ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

ক্লিনিকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, আতঙ্কে কর্মচারীর লাফ

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৯ এএম
ক্লিনিকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, আতঙ্কে কর্মচারীর লাফ
ফটিকছড়ি ক্লিনিকসংলগ্ন একটি ফুচকার দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ফটিকছড়ি ক্লিনিকসংলগ্ন একটি ফুচকার দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং বিস্ফোরণের ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফুচকার দোকানটি সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। আগুনের তীব্রতায় ফটিকছড়ি ক্লিনিকের পাঁচটি এসি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় আগুন একপাশে ছড়িয়ে পড়ায় ক্লিনিকের রোগী ও স্টাফদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকায় এবং গ্যাস সিলিন্ডারের বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ফলে ক্লিনিকে থাকা রোগী ও কর্মচারীরা প্রাণভয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। আতঙ্কিত হয়ে ফটিকছড়ি ক্লিনিকের টুম্পা নামের এক নারী কর্মচারী ছাদ থেকে লাফিয়ে পাশের একটি ভবনে পড়ে গিয়ে আহত হন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

স্থানীয়রা জানান, ক্লিনিকের পাশে এমন বিপজ্জনক দোকান থাকা খুবই আতঙ্কের বিষয়। ক্লিনিকের পাশে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহৃত হয়, এমন দোকান থাকাটা রোগী ও স্টাফদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। প্রশাসন এ ধরনের দোকান করায় ব্যবস্থা নেবে, যেন ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

বিয়ের রঙ মুছে গেল হালদার স্রোতে

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৯ এএম
বিয়ের রঙ মুছে গেল হালদার স্রোতে
নুরুদ্দীন মঞ্জু। ছবি: সংগৃহীত

নতুন জীবনের শুরুতে যেন এক নির্মম পরিসমাপ্তি। সদ্য বিবাহিত দুবাই প্রবাসী নুরুদ্দীন মঞ্জু হঠাৎই বিদায় নিলেন এই পৃথিবী থেকে। সুখের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছিল মাত্র কয়েকদিন আগে, কিন্তু হালদার স্রোতে তা ডুবে গেল চিরতরে।

গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) ছিল মঞ্জুর ওয়ালিমা, আনন্দ-উৎসব আর অতিথি আপ্যায়নে মুখর ছিল বাড়ি। কিন্তু মাত্র দুই দিন পর, (বুধবার ১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ক্রিকেট খেলা দেখে ফেরার পথে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বন্ধু তাজ উদ্দিনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে ফিরছিলেন মঞ্জু। পথে সিদ্ধাশ্রম ঘাটে বাঁশের সাঁকো পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজনেই পড়ে যান হালদা নদীতে।

তাজ উদ্দিন কোনোরকমে সাঁতরে উঠলেও মঞ্জু স্রোতে তলিয়ে যান। স্থানীয়দের চেষ্টায় দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা পর, রাত তিনটার দিকে নদী থেকে উদ্ধার করা হয় তার নিথর দেহ।

নিহত মঞ্জু চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সুয়াবিল পাঁচপুকুরিয়া চন্দ্রঘোনা এলাকার আব্দুল ইসলামের ছেলে। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও ভদ্রচরিত্রের অধিকারী হিসেবে এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত ছিলেন তিনি। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

তাওফিক/

চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন, পুলিশের হেফাজতে ৪ জন

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০১ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৯ এএম
চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন, পুলিশের হেফাজতে ৪ জন
ছবি: খবরের কাগজ

পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ নির্মাণের জেরে হুমকির শিকার চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

 বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ।

আটকরা হলেন- মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইনউদ্দিন আহাম্মদ পিয়াস, অর্থবিষয়ক সম্পাদক আল আমিন ওরফে তমাল, গড়পাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন ও কর্মী মীর মারুফ।

 এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হাসান খানকে প্রধান করে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। তাদের আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

 এর আগে দুর্বৃত্তরা মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাত আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের ঘোষের বাজারে মানবেন্দ্র ঘোষের গ্রামের বাড়ির একটি ঘরে আগুন দেয়।

পরিবারের সদস্যদের বরাতে জানা গেছে, রাত তিনটার দিকে বাড়ির দক্ষিণ পাশে থাকা টিনশেড ঘরে আগুন জ্বলতে দেখে তারা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিস এসে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে ঘরের সবকিছু পুড়ে যায়।

 মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, 'পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমি বাঘের একটি মোটিফ নির্মাণ করেছিলাম। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয় যে, আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখাবয়ব তৈরি করেছি। এর পর থেকেই আমি ফেসবুকে হুমকি পেতে থাকি। পরে মঙ্গলবার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। আর সেই রাতেই আমার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।'

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, আগুনের খবর পাওয়ার পর পরই পুলিশ ফোর্সসহ আমি ঘটনাস্থলে যাই। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

আসাদ/মেহেদী/

দুদকের অভিযান: রেজিস্ট্রার অফিসে মিলেছে অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৬ এএম
দুদকের অভিযান: রেজিস্ট্রার অফিসে মিলেছে অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা
চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দলিল রেজিস্ট্রেশন, নকল তোলাসহ অন্যান্য কাজে সেবাপ্রার্থীদের হয়রানি এবং ঘুষ দাবিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয় খতিয়ে দেখেছে দুদক টিম। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে দুদক জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর কর্মকর্তারা এই অভিযান চালান।

অভিযানের বিষয়ে দুদক জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১-এর সহকারী পরিচালক সায়েদ আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে মিশন চাকমা নামে একজন জেলা রেজিস্ট্রার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহকারী, প্রধান সহকারী মিলে অবৈধ টাকা-পয়সা লেনদেন করা এবং চাকরির পদোন্নতি নিয়ে অভিযোগ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সন্দ্বীপে কিছু নকলনবিশের নিয়োগ নিয়ে একটা অনিয়ম হয়েছে। আমরা তাদের কাছে কাগজপত্র চেয়েছি। আবার কিছু রেকর্ডপত্র পেয়েছি। সবমিলিয়ে অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এখানকার (চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রার অফিস) কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। ওই কর্মচারীদের ব্যক্তিগত নথি তলব করেছি। তাদের নামে কোনো অবৈধ সম্পদ আছে কি না, তা দুদক খতিয়ে দেখবে।’

চলন্ত বাসে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, চালক-হেলপার গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩২ এএম
চলন্ত বাসে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, চালক-হেলপার গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে চলন্ত বাসে এক কিশোরীকে (১৪) দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলায় ওই বাসের চালক মো. লোকমান ও সহকারী মো. হানিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও পুলিশ।

ভুক্তভোগী কিশোরী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার মো. লোকমান ওরফে তারেক (২৬)  সাতকানিয়া উপজেলার উত্তর পুরান ঘর এলাকার আইয়ুবের বাড়ির মো. শামসুল ইসলামের ছেলে।অপরদিকে বাসের হেলপার মো. হানিফ (৩৬) লোহাগাড়া উপজেলার মাতবর পাড়ার মাতবর বাড়ির হাফিজ আহম্মদের ছেলে।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) কক্সবাজার থেকে বাসে করে চট্টগ্রামে আসছিল ওই কিশোরী। বাসটি নগরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় আসার পর ওই কিশোরীকে বাসের ভেতর আটকে রাখা হয়। পরে সেখানে চালক, তার সহকারী ও বাসের সুপারভাইজার মোবারক হোসেন তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই কিশোরী বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়। চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হলেও সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।  গ্রেপ্তার দুই আসামি ঘটনার সঙ্গে বাসের সুপারভাইজার জড়িত বলে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে।

মেহেদী/

কক্সবাজারে থেকেও সিলেটে মামলার আসামি ফটোসাংবাদিক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১০ এএম
কক্সবাজারে থেকেও সিলেটে মামলার আসামি ফটোসাংবাদিক
ফটোসাংবাদিক রেজা রুবেল। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে থেকেও সিলেটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় আসামি করা হয়েছে ফটোসাংবাদিক রেজা রুবেলকে। গত রবিবার মহানগর কৃষক দলের ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক আলী আরশাদ খাঁন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। 

জানা গেছে, গত ১১ এপ্রিল বন্ধুদের নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলেন ফটোসাংবাদিক রেজা রুবেল। ওই দিন রাতে সিলেট নগরীর উপশহর এলাকায় মোটরসাইকেল পার্কিং করা কেন্দ্র করে তর্কাতর্কির জেরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা দিপুর হামলায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আজিজুল হক আজিজসহ তিনজন আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত হন আজিজ।

এ ঘটনায় দিপুর বাসায় হামলা করতে গিয়ে এলাকাবাসীর ধাওয়ার শিকার হন স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তাদের ফেলে যাওয়া ৩১টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন এলাকাবাসী। পরে এ ঘটনায় গত ১৩ এপ্রিল সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়। মামলার বাদী মহানগর কৃষক দলের ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক আলী আরশাদ খাঁন। মামলায় তিনি ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করেন। এ মামলার ৭ নম্বর আসামি করা হয় রেজা রুবেলকে।

মামলার এজাহারে সূত্রে জানা গেছে, ১ থেকে ৯ নম্বর আসামি অন্যদের ককটেল সরবরাহ করেন। পরে তারা সবাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। মামলায় রেজা রুবেলকে যুবলীগ নেতা দেখানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে রেজা রুবেল বলেন, ‘ঘটনার চার দিন আগে থেকে আমি কক্সবাজার অবস্থান করছিলাম। সিলেটের বাইরে থাকা সত্ত্বেও মামলায় আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমি ব্যক্তি বিশেষের আক্রোশের শিকার। মামলায় নাম ঢুকিয়ে হয়রানির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাই।’

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বলেন, ‘১১ এপ্রিল রাতের একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা রয়েছে। তবে বাদী কাকে আসামি দিচ্ছেন, তাৎক্ষণিক সেটা যাচাইয়ের সুযোগ থাকে না। তবে নিরপরাধ কাউকে আসামি করা হলে তদন্ত সাপেক্ষে তাকে মামলা থেকে বাদ দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে আজিজুল হক আজিজ বলেন, ‘ভুল বোঝাবুঝির কারণে সাংবাদিক রেজা রুবেলকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।’

ফটোসাংবাদিক রেজা রুবেল সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য এবং বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেটের বিভাগীয় কমিটির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক। তিনি স্থানীয় দৈনিক শ্যামল সিলেট ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন এশিয়ান টেলিভিশনের সিলেটের ক্যামেরাপারসন হিসেবে কাজ করছেন।