
ভারতে পাচার হওয়া ২১ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছে। এদের মধ্যে ১০ জন ছেলে এবং ১১ জন মেয়ে রয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।
ফেরত আসা কিশোর-কিশোরীরা বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা, যেমন খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, নড়াইল, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, ঢাকা, কেরানীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ এবং কক্সবাজার। তারা হলেন- মিরাজ হোসাইন রিমন, আবু জুবাইদা সান, ইয়াসির আরাফাত, ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, প্রান্ত মণ্ডল, আপন বিশ্বাস, মিহির জোয়ার্দ্দার, খাইরুল ইসলাম, সৈকত আলম, আবিদ আহমেদ। এ ছাড়া সাহিদা খাতুন, সুবর্ণা রায়, স্নিগ্ধা বিশ্বাস, শিলা আক্তার, টপা খানম, আজমিরা খাতুন, টুম্পা মণ্ডল, সুমাইয়া আক্তার, দিঘি বিশ্বাস, সোনিয়া আক্তার ও সুমাইয়া আক্তার।
বেনাপোল চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, ফেরত আসা কিশোর-কিশোরীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়। পরে দুটি এনজিও সংস্থা- রাইটস যশোর ও জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জন্য নিয়ে যায়।
যশোরের জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার সংস্থার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন জানান, প্রায় দুই বছর আগে ভালো কাজের প্রলোভন দেখিয়ে দালালচক্র এসব কিশোর-কিশোরীকে ভারতে পাচার করেছিল। সেখানে তারা কাজ করার সময় পুলিশি অভিযানে আটক হয়। পরে ভারতের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের শেল্টার হোমে রাখে। এখন বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফিরেছেন এবং তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ঘটনায় দালালচক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
নজরুল/তাওফিক/