
ঢাকার ধামরাইয়ে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেম নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কাশেম উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকার মৃত রইস উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকায় গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আবুল কাশেমকে দুর্বত্তরা অতর্কিত হামলা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আহতকে উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কিন্তু নিহতের স্ত্রী শহিদা বেগম বলেন, আমার স্বামী আবুল কাশেম মানিকগঞ্জ যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে পথে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। মৃত্যুর আগে সে খুনিদের নাম বলে গেছে। আবদুল জলিল, বাছেদ, বাবু, বিল্টু, আলী, আহাদ, সাইম, গফুর ও মালেক নামে ব্যক্তিরা তাকে কুপিয়েছে। তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে বলে জানা যায়।
নিহত আবুল কাশেম ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব তমিজ উদ্দিনের অনুসারী বলে জানা যায়।
ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কাশেমের খুনিদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব তমিজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হকের নির্দেশে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। অতিদ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কাশেমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হোসেন শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খুনিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।
মো. রুহুল আমিন/মাহফুজ