
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পাওনা টাকা না পেয়ে বসতবাড়ির মাটি কেটে নিলেন এক যুবদল নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের আজগানা গ্রামে।
বুধবার (১৯ মার্চ) ভুক্তভোগী বাড়ির মালিক আজাহার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তার এ ক্ষোভের কথা জানান। অভিযুক্ত যুবদল নেতা মাসুদ সিকদার আজগানা ইউনিয়নের খাড়াপাড়া গ্রামের সাগর সিকদারের ছেলে।
উপজেলার আজগানা গ্রামের আজাহার (৩৫) আজগানা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক। তিনি উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ সিকদারের কাছ থেকে বাকিতে কিছু ইট কিনেন। ইটের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় আজাহার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন। ওয়াদা অনুযায়ী ইটের টাকা পরিশোধ না করায় মাসুদ সিকদার রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে বসতবাড়ির মাটি কেটে নিয়ে গেছেন বলে আজাহার অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী আজাহার বলেন, গত বছর মাসুদ সিকদারের কাছ থেকে বাকিতে ১ লাখ টাকার ইট নিয়ে ঢাকার একটি সাইটে দিয়েছি। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ঢাকার ব্যবসায়ী ইটের টাকা না দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর মাসুদ সিকদার ইটের টাকার জন্য আমাকে চাপ দেন। একপর্যায়ে একটি সাদা স্ট্যাম্পে আমার স্বাক্ষর নেন। এরপর কয়েকদিন আগে রাতের আধারে প্রভাব খাটিয়ে আমার বাড়ির উঠানের মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে নিয়ে যায়। পুরো আজগানা গ্রামটা সিকদার পরিবারের কাছে জিম্মি। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারে না। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
যুবদল নেতা মাসুদ সিকদার বলেন, চার বছর আগে আজাহার ৫০ হাজার টাকার ইট নেয়। আরও কয়েক দফায় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে টাকা দিতে না পারায় বসতবাড়ির লাল মাটি বিক্রি করবে বলে জানান। এরপর ১ হাজার ২০০ টাকা গাড়ি হিসেব করে ৮৬ গাড়ি মাটি কাটি। আমি জোর করে মাটি কাটিনি। আজাহার নিজেই আমার কাছে মাটি বিক্রি করেছেন।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম আরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুয়েল রানা/মাহফুজ