ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

ভোলাগঞ্জে রোপওয়ে বাঙ্কার ধসে পাথরশ্রমিকের মৃত্যু

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৮:২২ পিএম
ভোলাগঞ্জে রোপওয়ে বাঙ্কার ধসে পাথরশ্রমিকের মৃত্যু
ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে বাঙ্কারে পাথর তুলতে গিয়ে ছবির স্থানে ভূমিধসে নিহত হন শ্রমিক। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে বাঙ্কার থেকে পাথর তুলতে গিয়ে ভূমিধসে কয়েস আহমদ (৩৮) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত কায়েস নেত্রকোণা জেলার কালিয়াজুড়ি উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভোলাগঞ্জের দয়ারবাজারে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন বলে জানা গেছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় আরও চারজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি রোপওয়ে বাঙ্কার এলাকায় পাথর তুলতে গিয়ে ভূমিধসে লিটন মিয়া (৩২) নামে এক শ্রমিক মারা গিয়েছিলেন। এই এলাকায় অবৈধভাবে পাথর তুলতে গিয়ে তিন মাসের মধ্যে দুই শ্রমিক নিহত হলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে কয়েকজন শ্রমিক বাঙ্কার এলাকায় পাথর তুলছিলেন। এ সময় আকস্মিকভাবে একটি গাছ ধসে পড়লে কায়েস গাছের নিচে চাপা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে পুলিশ মরদেহ হেফাজতে নেয়।

এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন, ভোলাগঞ্জ এলাকার সবুজ মিয়া, সুজাত আহমদ, ইমরান ও কোম্পানীগঞ্জের শিলাকুড়ি গ্রামের সুরুজ আলী। তাদের সিলেটের এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, ‘লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে অপমৃত্যুর মামলা হলেও তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে সুনামগঞ্জের ছাতক পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ের একমাত্র রোপওয়ে (রজ্জুপথ)। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির পাশে রোপওয়ের লোডিং স্টেশনের বাঙ্কার এলাকা পড়েছে। পাথর পরিবহনে স্থল ও জলযানের বিকল্প হিসেবে ১৯৬৪ সালে ভোলাগঞ্জ থেকে ছাতকে রজ্জুপথ স্থাপন করা হয়। ১১৯টি খুঁটির মাধ্যমে তৈরি হয় রোপলাইন। এর মধ্যে রয়েছে ভোলাগঞ্জ লোডিং স্টেশন (বাঙ্কার) ও ছাতক খালাস স্টেশন। রোপলাইন আশির দশক পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করলেও পরবর্তীতে অনিয়মিত হয়ে পড়ে।

সর্বশেষ ২০১১ সালে কিছুদিন সচল থাকলেও ঘটনাক্রমে রোপওয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। স্থল ও জলপথে পাথর পরিবহণ সহজলভ্য হওয়ায় ও রোপওয়ে চলাচল ব্যয়বহুল হয়ে পড়ায় রোপলাইন বন্ধ রয়েছে।

এই সুযোগে গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে রোপওয়ের সংরক্ষিত এলাকায় অবৈধভাবে পাথর তোলা হচ্ছে। পাথর লুট বন্ধ করতে প্রশাসন একাধিকবার অভিযান চালালেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি।

জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলাকে ঘিরে পসরা সাজাচ্ছেন দোকানিরা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫০ পিএম
জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলাকে ঘিরে পসরা সাজাচ্ছেন দোকানিরা
জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলাকে ঘিরে পসরা সাজাচ্ছেন দোকানিরা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের জব্বারের বলীখেলাকে ঘিরে দুইদিন আগে থেকেই কিছু কিছু দোকানি পসরা সাজাতে শুরু করেছেন। বাকিরা আছেন অপেক্ষায়। তবে এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে অন্যান্য বছরের মতো আগেভাগে মেলা জমে ওঠেনি। তবুও আশা-নির্ভরতায় ফুটপাত আর সড়কের একপাশে সীমিত পরিসরে দোকান সাজাতে শুরু করেছেন অনেক দোকানি।

তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ বলীখেলা অনুষ্ঠিত হবে ২৫ এপ্রিল বিকেলে। আর বৈশাখী মেলা চলবে ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। দেশের নানা প্রান্ত থেকে পণ্যের ঝাঁপি নিয়ে দোকানিরা ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে আসতে শুরু করেছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সিনেমা প্যালেস থেকে শুরু করে কে সি দে রোডের দুই পাশে বসেছে বাঁশ-বেত, মাটি ও নানান হস্তশিল্পের পসরা। তবে সড়কে দোকান বসানো নিষেধ থাকায় স্থান সংকটে ভোগছেন দোকানিরা। লালদিঘি পাড় থেকে আন্দরকিল্লা পর্যন্ত কিছু দোকান গড়ে উঠলেও, লালদিঘি ময়দানের পাশে এখনো কাউকে বসতে দেওয়া হয়নি।

গাজীপুর থেকে আসা মৃৎপণ্য বিক্রেতা রহিম উদ্দিন জানান, তিনদিন আগে এসেছি মালামাল নিয়ে। ফুলদানি আর শো পিছ এনেছি, কিন্তু পুলিশের বারবার সতর্কতায় ঠিকমতো বসতে পারছি না।

একই অভিযোগ ঢাকার শাহবাগ থেকে আসা বিক্রেতা আহমদ আলীরও। তিনি বলেন, ‘পুলিশ দোকান গুটাতে বলছে, কিন্তু আমাদের জন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থাও নেই।’

এদিকে, মেলা প্রাঙ্গণে এসেছেন আগ্রহী ক্রেতারাও। অক্সিজেন এলাকা থেকে আসা গৃহবধূ ফাহমিদা আখতার বলেন, ‘প্রতি বছর মেলার জন্য অপেক্ষা করি। এবার মানুষের ভিড় বাড়ার আগেই প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র কিনে ফেলার চেষ্টা করছি।’

শান্তা চৌধুরী নামে আরেক গৃহবধূ বলেন, ‘বলীখেলার চেয়ে মেলার আকর্ষণ বেশি। এখান থেকেই সারাবছরের ছোটখাটো দরকারি জিনিস কিনে নিই।’
আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল জানান, চলমান এসএসসি পরীক্ষা ও অন্যান্য পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার পুলিশ সড়কে দোকান বসাতে দিচ্ছে না। তবে ২৪ এপ্রিল থেকে দোকান বসার অনুমতি মিলবে। কাউকে ফেরত যেতে হবে না, আমরা সবাইকে সহায়তা করব।

এদিকে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) নির্দেশনা অনুযায়ী, এবারের মেলায় সড়কের উপর কোনো ধরনের দোকান বসানো যাবে না। এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তারা বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ফুটপাত ও সড়কের একপাশে সীমিত পরিসরে বসে পড়েছেন।

মেলায় নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন রয়েছে তৎপর। তবে ব্যবসায়ীদের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকা এবং আগেভাগে দোকান বসতে না পারায় এবার মেলার আগাম আমেজ কিছুটা স্তিমিত বলেই মনে করছেন অনেকেই।

তবে আয়োজন ঘিরে শেষ মুহূর্তে জমে উঠবে পুরনো চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এই জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা- এমন প্রত্যাশা সকলের।

তাওফিক/ 

নাফনদী থেকে ২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয় গেছে আরাকান আর্মি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৬ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৭ পিএম
নাফনদী থেকে ২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয় গেছে আরাকান আর্মি
নাফ নদী। ছবি: সংগৃহীত

টেকনাফের হোয়াইক্যং নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় মায়ানমার জলসীমা অতিক্রমকালে দুই জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছে আরাকান আর্মি।

বুধবার (২৩ এপ্রিল)  দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অপহৃত জেলেরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং বিজিবি চেকপোস্টে সংলগ্ন বালুখালী এলাকার বাসিন্দার এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে বাদশা আলম (৪৫) ও একই এলাকার রশিদ আহমেদ ছেলে আবুল কালাম (৪০)।

এ বিষয়ে উখিয়া ব্যাটালিয়ন ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘হোয়াইক্যং বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা সীমান্ত পিলার-১৮ থেকে দক্ষিণ-পূর্বে আনুমানিক তিন কিলোমিটার ভিতরে নাফ নদীতে বগার দ্বীপ নামক এলাকায় মাছ শিকারে করতে গিয়ে মায়ানমার জলসীমানা অতিক্রম করলে দুই জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেন আরাকান আর্মি।’

তিনি বলেন, ‘হোয়াইক্যং নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে জেলেদের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটি অমান্য করে নাফনদীতে মাছ শিকারে যায় জেলেরা।’

হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া এলাকার বাসিন্দার মোহাম্মদ মানিক জানান, ‘সকালে নাফনদীতে মাছ শিকারে গেলে মায়ানমার জলসীমানা অতিক্রম করলে আরাকান আর্মি দুইজন স্থানীয় জেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। দুই জনে আমার চাচাতো ভাই।’ 

শাহীন/সুমন/

লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় হামলা, ১৪ লাখ টাকা লুট

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২২ পিএম
লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় হামলা, ১৪ লাখ টাকা লুট
লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় হামলা। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় পুলিশের উপস্থিতির মাঝেই হেলমেটধারী সশস্ত্র ডাকাত দলের হামলায় টোল আদায়কারী তিন কর্মচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার সময় লুট হয়ে গেছে অন্তত ১৪ লাখ টাকা, যা ছিল দুই দিনের টোল আদায়ের অর্থ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লালমনিরহাট অংশে অবস্থিত টোলপ্লাজায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা কনস্ট্রাকশনের পার্টনার এবং রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু জানান, প্রায় ২০-২৫টি মোটরসাইকেলযোগে হেলমেট পরিহিত সশস্ত্র ডাকাত দল হঠাৎ করে হামলা চালায় এবং টোলপ্লাজায় ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে ক্যাশবাক্সে থাকা টাকা নিয়ে যায়।

হামলায় আহত তিন কর্মচারী- সুরুজ মিয়া (৪০), মুসলিম মিয়া (৩৭) ও জুয়েল ইসলাম (২৮)কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নাজমুল আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার সময় মাত্র ২০ ফুট দূরে এসআই রওশন আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল টিম উপস্থিত ছিল। কিন্তু তারা কোনো প্রতিরোধ করেনি। বরং হামলার পর পুলিশ অফিসার রক্তের দাগ পানি দিয়ে ধুয়ে দেন, যা সন্দেহ ও রহস্যজনক।’

তিনি জানান, ডাকাতি ও পুলিশের রহস্যজনক নীরবতার বিষয়ে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লালমনিরহাট সদর থানায় একটি ডাকাতি মামলা করা হয়েছে।

টোলপ্লাজার ম্যানেজার দাউদ আলী সরদার বলেন, ‘পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা না থাকলে ডাকাতরা এত সহজে লুটপাট করে পালিয়ে যেতে পারত না।’ তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানান, এতে ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের গোপন সখ্য রয়েছে বলে স্থানীয়দের মধ্যে গুঞ্জন চলছে।

ঘটনা নিয়ে টহল দলের এসআই রওশন আলী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছাতে পারিনি, ডাকাতরা দ্রুত হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেছে।’

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুন্নবী বলেন, ‘আমি নিজেই ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আছি। তদন্ত চলছে। পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আরেক পার্টনার নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিবউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সেলিম/তাওফিক/ 

নাটোরে বোর্ড বই তৈরির কারখানা সিলগালা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪১ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
নাটোরে বোর্ড বই তৈরির কারখানা সিলগালা
নাটোরে বোর্ড বই তৈরির কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নলবাতা এলাকায় বোর্ড বই তৈরির একটি কারখানাকে নকল কারখানা সন্দেহে সিলগালা করেছে যৌথ বাহিনী।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) এই সিলগালা করা হয়।

প্রশাসনের দাবি, মালিক যদি ওই বই ছাপানোর প্রয়োজনীয় বৈধ ডকুমেন্ট দেখাতে পারে তবে সিলগালা প্রত্যাহার করা হবে। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সরদার জানান জানান, বুধবার দুপুরের পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।

ওই সময় তারা মাদ্রাসা বোর্ডের বিপুল পরিমাণ  বোর্ড বই উদ্ধার করেন। এর পর কারখানাটি সিলগালা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সরদার আরও জানান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নলবাতা বাজারে ক্ষণিকালয় নামে একটি বাড়িতে ওই অভিযান চালানো হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাড়ির মালিক কয়েকটি কক্ষ ভাড়া দেন। তবে প্রেসের মালিক আব্দুল হালিমকে সেখানে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। কারখানা মালিক ওই বই ছাপানোর অনুমতি আছে এমন দাবি করার পর তাকে ডকুমেন্ট দেখাতে বলা হয়েছে। ডকুমেন্ট দেখানোর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কামাল মৃধা/সুমন/

পোষা সাপের কামড়ে প্রাণ গেল সাপুড়ের

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২২ এএম
পোষা সাপের কামড়ে প্রাণ গেল সাপুড়ের
সাপ ধরছেন সাপুড়ে শাকিল

দিনাজপুর খানসামায় নিজ বাড়িতেই পোষা সাপের কামড়ে শাকিল ইসলাম (৩১) নামে এক সাপুড়ের মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের গারপাড়া পেশার মেম্বারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাপুড়ে শাকিল ইসলাম ওই এলাকার ফরমাজ আলীর বড় ছেলে।

এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শাকিল মাহান (গুনিকের) পাশাপাশি বিভিন্ন সাপ নিয়ে খেলা করতেন। রমজান মাসের কয়েকদিন আগে তিন এই গোমা (গোখরা) সাপটি ধরে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে তার পোষা সেই সাপটি তাকে কামড় দেয়। প্রথমে শাকিল বিষয়টি কাউকে জানাননি, নিজে নিজে সাপটির বিষ নামানোর চেষ্টা করেন। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে অন্য আরেক গুনিকের কাছে নিয়ে যায়। সেই গুনিকেও সাপের বিষ নামাতে পারে না পরে শাকিল খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

পরে মৃত শাকিলকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এনে পরিবারের ধারণামতে তার জীবন ফিরে আসবে এ বিশ্বাসে রাতে আবারও গুনিক ও ওঝা নিয়ে ঝাড়ফুঁক করা হয়। এ ঘটনা দেখতে এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় লাগে। অবশেষে বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে তার জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।

আরও জানা গেছে, এর আগেও তাকে ঐ সাপটি কামড় দিয়েছিল, তখন কিছু হয়নি। কিন্তু এদিন সেই সাপের কামড়েই তার মৃত্যু হয়েছে। উৎসুক জনতা সাপটিকে মেরে ফেলে দিয়েছে।

খামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক চৌধুরী বলেন, আমি শাকিলকে দীর্ঘদিন থেকে জানতাম মাহানগিরি (গুনিক) করে। আমি তার মাধ্যমে মৌমাছির চাকও কেটে নিয়েছিলাম। বিভিন্ন সময়ে তাকে সাপ নিয়ে খেলা করতে দেখা যেত।

এ বিষয়ে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক বলেন, আপনার মাধ্যমে জানলাম সাপের কামড়ে একজন মারা গেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।

সুলতান/মেহেদী/