ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে
চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর অভিযান চালালেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না//ফাইল ছবি

রমজান মাসে বেড়ে গেছে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। পোশাক, ওষুধ থেকে শুরু করে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যে চলছে ক্রেতা ঠকানোর মহোৎসব। ভোক্তা অধিকার, জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের অভিযানেও মিলছে কারসাজির প্রমাণ। বার বার সতর্কের পরও শুধরাচ্ছে না তারা। ফলে বরাবরেই মতোই প্রতারিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। 

নগরীর চাক্তাইয়ের রাজাখাল এলাকায় প্রতিবছর ঈদ ঘনিয়ে এলে সেমাই তৈরির ধুম পড়ে। বেনামি এসব সেমাই বাজারে বিক্রি হয় দেদার। অথচ এসব সেমাই তৈরি হচ্ছে নোংরা পরিবেশে। সেমাইয়ের ওপর তেলাপোকা মাছিসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর কীটপতঙ্গের অবাধ বিচরণ, সেমাই তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে নোংরা পানি। পাশাপাশি খোলা পরিবেশে শুকানোর কারণে ধুলাবালু ও অক্ষতিকর কার্বনযুক্ত ছাই সেমাইয়ের সঙ্গে মিশছে। গত মঙ্গলবার ভোক্তা অধিকারের অভিযানে তিনজনকে জরিমানা করা হয়। এরপরও শুধরাননি এসব ব্যবসায়ী। গত বুধবার জেলা প্রশাসন অভিযানে গেলে একই চিত্র ধরা পড়ে। এ সময় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। এরপরও থেমে নেই এসব অস্বাস্থ্যকর সেমাই তৈরি। 

এদিকে মানুষ সেলিম পাঞ্জাবি, পরিস্থান ও মেগা মার্ট শপিংমলের মতো নামিদামি প্রতিষ্ঠানের ওপর আস্থা রাখেন। অথচ এসব প্রতিষ্ঠান দেশি পোশাককে বিদেশি বলে বিক্রি করে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে ঠকাচ্ছে। নগরের বিয়াজউদ্দিন বাজারে সেলিম পাঞ্জাবি মিউজিয়াম নামে প্রতিষ্ঠানটি ক্রয় ভাউচার না রেখে বাংলাদেশে তৈরি বিভিন্ন ধরনের পাঞ্জাবিতে ইন্ডিয়ান পাঞ্জাবির ট্যাগ লাগিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছে। একই এলাকার পরিস্থান নামে প্রতিষ্ঠানেও চলছে সমান কারসাজি। ভোক্তা অধিকারের অভিযানে এসব নামিদামি প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা ধরা পড়ে। তবে এর বাইরেও অনেক প্রতিষ্ঠান বাড়তি অর্থ আদায় করে ভোক্তাদের নিয়মিত ঠকিয়ে গেলেও রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। 

নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় গড়ে উঠেছে ওরিয়েন্ট রেস্টুরেন্ট। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নামলেই এখানে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। এই রেস্টুরেন্টটিকে আগেও সতর্ক করেছিলেন ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা। এরপরও বদলায়নি কিছু। প্রতিষ্ঠানটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতার এবং খাদ্যসামগ্রী তৈরি করছে। পাশাপাশি খাবারে তেলাপোকার অবাধ বিচরণ দেখা গেছে। 

এদিকে তিন মাসের বেশি সময় ধরে নগরে উধাও হয়ে যায় বোতলজাত ভোজ্যতেল। মিলাররা ঠিকঠাক বাজারজাত করলেও বিভিন্ন খুচরা বিক্রেতা ও ডিলারদের মজুতের কারণে ভোজ্যতেলে কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়। এতে করে কোথাও দুই-একটি বোতলজাত সয়াবিন মিললেও ১৭৫ টাকার স্থলে বিক্রি হয়েছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। 

অন্যদিকে খোলা তেলের ওপর চাপ পড়লে ব্যবসায়ীরা সেটিরও দাম বাড়িয়ে লিটারপ্রতি বিক্রি করেন ১৯৫ টাকায়। এমন পরিস্থিতিতে গত ৪ মার্চ জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে খোলা সয়াবিনের দাম লিটারপ্রতি ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও তা মানেননি খুচরা ব্যবসায়ীরা। এখনো খোলা তেল বিক্রি হচ্ছে লিটারপ্রতি ১৮০ টাকায়। অন্যদিকে একজন ক্রেতা দুই লিটার তেল ৩৫০ টাকার বদলে কিনছেন ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকায়। সিটি করপোরেশন বা জেলা প্রশাসনের দফায় দফায় অভিযানও দমাতে পারেনি এসব অসাধু ব্যবসায়ীকে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘রমজান মাস শুরু হওয়ার মাসখানেক আগে থেকে পরিকল্পনা করে বাজার তদারকি ব্যবস্থা জোরদার করা উচিত ছিল। তার ওপর রমজানের মধ্যে কয়েকটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটরা চলে আসেন। মূল সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। এটা না করার কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল, ভেজাল পণ্য প্রস্তুত ও বাজারজাত করার সুযোগ পাচ্ছে। মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। তাদের জরিমানা করলে হবে না। জেল দিতে হবে।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ বলেন, ‘রমজান মাস এলেই অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। সাম্প্রতিক বিভিন্ন অভিযানে আমরা দেশি পোশাককে বিদেশি বলে বাড়তি দরে বিক্রি, খাবারে ক্ষতিকর রং কেমিক্যাল ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর রান্নাঘর যেখানে তেলাপোকার অবাধ বিচরণ, এমনকি ফার্মেসিগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার প্রমাণ পেয়েছি। বিষয়গুলো খুবই উদ্বেগের। সতর্ক করার পর কেউ শুধরাচ্ছে, আবার কেউ শুধরাচ্ছে না। তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হব।’ 

নাফনদী থেকে ২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয় গেছে আরাকান আর্মি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৬ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৭ পিএম
নাফনদী থেকে ২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয় গেছে আরাকান আর্মি
নাফ নদী। ছবি: সংগৃহীত

টেকনাফের হোয়াইক্যং নাফ নদীতে মাছ শিকারের সময় মায়ানমার জলসীমা অতিক্রমকালে দুই জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছে আরাকান আর্মি।

বুধবার (২৩ এপ্রিল)  দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অপহৃত জেলেরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং বিজিবি চেকপোস্টে সংলগ্ন বালুখালী এলাকার বাসিন্দার এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে বাদশা আলম (৪৫) ও একই এলাকার রশিদ আহমেদ ছেলে আবুল কালাম (৪০)।

এ বিষয়ে উখিয়া ব্যাটালিয়ন ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘হোয়াইক্যং বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা সীমান্ত পিলার-১৮ থেকে দক্ষিণ-পূর্বে আনুমানিক তিন কিলোমিটার ভিতরে নাফ নদীতে বগার দ্বীপ নামক এলাকায় মাছ শিকারে করতে গিয়ে মায়ানমার জলসীমানা অতিক্রম করলে দুই জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেন আরাকান আর্মি।’

তিনি বলেন, ‘হোয়াইক্যং নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে জেলেদের মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটি অমান্য করে নাফনদীতে মাছ শিকারে যায় জেলেরা।’

হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া এলাকার বাসিন্দার মোহাম্মদ মানিক জানান, ‘সকালে নাফনদীতে মাছ শিকারে গেলে মায়ানমার জলসীমানা অতিক্রম করলে আরাকান আর্মি দুইজন স্থানীয় জেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। দুই জনে আমার চাচাতো ভাই।’ 

শাহীন/সুমন/

লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় হামলা, ১৪ লাখ টাকা লুট

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৬ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২০ পিএম
লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় হামলা, ১৪ লাখ টাকা লুট
লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় হামলা। ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের তিস্তা সড়ক সেতুর টোলপ্লাজায় পুলিশের উপস্থিতির মাঝেই হেলমেটধারি সশস্ত্র ডাকাত দলের হামলায় টোল আদায়কারী তিন কর্মচারী গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনার সময় লুট হয়ে গেছে অন্তত ১৪ লাখ টাকা, যা ছিল দুই দিনের টোল আদায়ের অর্থ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে লালমনিরহাট অংশে অবস্থিত টোলপ্লাজায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা কনস্ট্রাকশনের পার্টনার এবং রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমূল আলম নাজু জানান, প্রায় ২০-২৫টি মোটরসাইকেলযোগে হেলমেট পরিহিত সশস্ত্র ডাকাতদল হঠাৎ করে হামলা চালায় এবং টোলপ্লাজায় ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে ক্যাশ বাক্সে থাকা টাকা নিয়ে যায়।

হামলায় আহত তিন কর্মচারী- সুরুজ মিয়া (৪০), মুসলিম মিয়া (৩৭) ও জুয়েল ইসলাম (২৮) কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নাজমুল আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার সময় মাত্র ২০ ফুট দূরে এসআই রওশন আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টহল টিম উপস্থিত ছিল, কিন্তু তারা কোনো প্রতিরোধ করেনি। বরং হামলার পর পুলিশ অফিসার রক্তের দাগ পানি দিয়ে ধুয়ে দেন, যা সন্দেহজনক ও রহস্যজনক।’

তিনি জানান, ডাকাতি ও পুলিশের রহস্যজনক নীরবতার বিষয়ে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লালমনিরহাট সদর থানায় একটি ডাকাতি মামলা করা হয়েছে।

টোলপ্লাজার ম্যানেজার দাউদ আলী সরদার বলেন, ‘পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা না থাকলে ডাকাতরা এত সহজে লুটপাট করে পালিয়ে যেতে পারত না।’ তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানান, এতে ডাকাত দলের সঙ্গে পুলিশের গোপন সখ্যতা রয়েছে বলে স্থানীয়দের মধ্যে গুঞ্জন চলছে।

ঘটনা নিয়ে টহলদলের এসআই রওশন আলী বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছাতে পারিনি, ডাকাতরা দ্রুত হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেছে।’

লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুন্নবী বলেন, ‘আমি নিজেই ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আছি। তদন্ত চলছে। পুলিশ সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আরেক পার্টনার নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিবউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সেলিম/তাওফিক/ 

নাটোরে বোর্ড বই তৈরির কারখানা সিলগালা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪১ এএম
নাটোরে বোর্ড বই তৈরির কারখানা সিলগালা
নাটোরে বোর্ড বই তৈরির কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নলবাতা এলাকায় বোর্ড বই তৈরির একটি কারখানাকে নকল কারখানা সন্দেহে সিলগালা করেছে যৌথবাহিনী।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) এই সিলগালা করা হয়।

প্রশাসনের দাবি মালিক যদি ওই বই ছাপানোর প্রয়োজনীয় বৈধ ডকুমেন্ট দেখাতে পারে তবে সিলগালা প্রত্যাহার করা হবে। অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সরদার আর জানান জানান, বুধবার দুপুর পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অভিযান চালায় যৌথবাহিনী।

ওই সময় তারা মাদ্রাসা বোর্ডের বিপুল পরিমাণ  বোর্ড বই উদ্ধার করেন। এরপর কারখানাটি সিলগালা করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রব্বানী সরদার আরও জানান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর তথ্যের ভিত্তিতে হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের নলবাতা বাজারে ক্ষণিকালয় নামে একটি বাড়িতে ওই অভিযান চালনা করা হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাড়ির মালিক কয়েকটি কক্ষ ভাড়া দেন। তবে প্রেসের মালিক আব্দুল হালিমকে সেখানে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। কারখানা মালিক ওই বই ছাপানোর অনুমতি আছে এমন দাবি করার পর তাকে ডকুমেন্ট দেখাতে বলা হয়েছে। ডকুমেন্ট দেখানোর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কামাল মৃধা/সুমন/

পোষা সাপের কামড়ে প্রাণ গেল সাপুড়ের

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২২ এএম
পোষা সাপের কামড়ে প্রাণ গেল সাপুড়ের
সাপ ধরছেন সাপুড়ে শাকিল

দিনাজপুর খানসামায় নিজ বাড়িতেই পোষা সাপের কামড়ে শাকিল ইসলাম (৩১) নামে এক সাপুড়ের মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের গারপাড়া পেশার মেম্বারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাপুড়ে শাকিল ইসলাম ওই এলাকার ফরমাজ আলীর বড় ছেলে।

এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শাকিল মাহান (গুনিকের) পাশাপাশি বিভিন্ন সাপ নিয়ে খেলা করতেন। রমজান মাসের কয়েকদিন আগে তিন এই গোমা (গোখরা) সাপটি ধরে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে মঙ্গলবার দুপুরে তার পোষা সেই সাপটি তাকে কামড় দেয়। প্রথমে শাকিল বিষয়টি কাউকে জানাননি, নিজে নিজে সাপটির বিষ নামানোর চেষ্টা করেন। পরে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে অন্য আরেক গুনিকের কাছে নিয়ে যায়। সেই গুনিকেও সাপের বিষ নামাতে পারে না পরে শাকিল খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

পরে মৃত শাকিলকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এনে পরিবারের ধারণামতে তার জীবন ফিরে আসবে এ বিশ্বাসে রাতে আবারও গুনিক ও ওঝা নিয়ে ঝাড়ফুঁক করা হয়। এ ঘটনা দেখতে এলাকায় উৎসুক জনতার ভিড় লাগে। অবশেষে বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে তার জানাজা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।

আরও জানা গেছে, এর আগেও তাকে ঐ সাপটি কামড় দিয়েছিল, তখন কিছু হয়নি। কিন্তু এদিন সেই সাপের কামড়েই তার মৃত্যু হয়েছে। উৎসুক জনতা সাপটিকে মেরে ফেলে দিয়েছে।

খামারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক চৌধুরী বলেন, আমি শাকিলকে দীর্ঘদিন থেকে জানতাম মাহানগিরি (গুনিক) করে। আমি তার মাধ্যমে মৌমাছির চাকও কেটে নিয়েছিলাম। বিভিন্ন সময়ে তাকে সাপ নিয়ে খেলা করতে দেখা যেত।

এ বিষয়ে খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক বলেন, আপনার মাধ্যমে জানলাম সাপের কামড়ে একজন মারা গেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।

সুলতান/মেহেদী/

হাটহাজারীতে নিশীথে পাহাড় কাটা, অভিযানে লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৪ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২০ এএম
হাটহাজারীতে নিশীথে পাহাড় কাটা, অভিযানে লাখ টাকা জরিমানা
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গভীর রাতে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে গভীর রাতে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে একজনকে আটক করে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে দক্ষিণ পাহাড়তলীর নন্দীরহাট এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল এ অভিযানে অংশ নেয়।

ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে ধরা হয় মো. নোমান সিদ্দিকী নামে এক ব্যক্তিকে, যিনি এক্সকেভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে পাহাড় কাটছিলেন। নোমান নোয়াখালীর চৌমুহনী এলাকার বাসিন্দা। 

ইউএনও বলেন, ‘আটক ব্যক্তি দোষ স্বীকার করে নেওয়ায় তাকে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়মিত মামলা করবে।’ 

ইউএনও জানান, অভিযানে ধরা পড়া ব্যক্তি ছাড়াও পাহাড় কাটার পেছনে থাকা মূল হোতারা আগেই পালিয়ে যায়। 

এর আগে চট্টগ্রামের একটি পত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ পাহাড়তলীর মাহমুদাবাদ এলাকায় গত দুই মাস ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে আসছে। আলী (র.) দরগাহর আশপাশে খননযন্ত্র দিয়ে পাহাড় কেটে রাস্তা ও বিভিন্ন স্থানে ভরাটের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই মাটি। এতে পাহাড়ের একটি বড় অংশ প্রায় বিলীন হয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিদিন রাতভর ৮-১০টি ড্রাম ট্রাকে করে প্রতি ট্রাক মাটি ২৪০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। কবরস্থান, বাড়িঘর বা নির্মাণাধীন স্থানে এসব মাটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

এই সিন্ডিকেটে জড়িতদের তালিকায় রয়েছে এনাম সওদাগর, নেজাম উদ্দিন, শাহনেওয়াজ, ফোরকান, কাশেম সওদাগরসহ ১৪-১৫ জন। এ ছাড়া ‘মাটি মনসুর’ নামেও একজনের বিরুদ্ধে বড় পরিসরে মাটি ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে।

তাওফিক/