
অবৈধভাবে ওরস বিরিয়ানি, ইফতারি ও মেজবানি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) রাজস্ব বিভাগ থেকে নোটিশ জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম সওরয়ার কামালের স্বাক্ষারিত চিটিতে বলা হয়, আদর্শ কর তফসিল ২০১৬ মতে সিটি করপোরেশন এলাকায় ওরস বিরিয়ানি বিক্রি থেকে ফি আদায় করে চসিক তহবিলে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠির আলোকে কর কর্মকর্তা লাইসেন্স ও রাজস্ব সার্কেলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে চসিকের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মেজবানি, ওরস বিরিয়ানি ও ইফতারি ব্যবসায়ীদের এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার ‘চট্টগ্রামে লাইসেন্স ট্যাক্স ছাড়াই ব্যবসা চলছে দেদার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে খবরের কাগজ। এ সংবাদে এবার নড়েচড়ে বসেছে চসিকের রাজস্ব বিভাগ। কিন্তু ভ্যাট ও আয়কর আদায়ের জন্য কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এখনো। রেস্তোরাঁয় বিক্রির ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট দেওয়ার আইন রয়েছে।
চসিকের রাজস্ব কর্মকর্তা সাব্বির রহমান সানি খবরের কাগজকে বলেন, ‘চসিকের রাজস্ব আদায়ের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অস্থায়ী সব প্রতিষ্ঠান থেকে রাজস্ব আদায় হচ্ছে। ভ্যাট আদায়ের বিষয়টি আমরা দেখছি না। সংশ্লিষ্ট ভ্যাট সার্কেল বিষয়টি দেখে ভ্যাট আদায় করবে।’
চট্টগ্রামে কাজির দেউড়ী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলের মাঠে আবুল বাবুর্চির ইফতারি নামে ব্যবসা পরিচালনা করছেন এ কনভেনশন হলের মালিক মোহাম্মদ রফিক। সিআরবির রেলওয়ের জায়গা দখল করে ওরস বিরিয়ানির ব্যবসা করছেন মোহাম্মদ সুমন, সিডিএ মার্কেট ২ নং গেটে নালার পাশে বদ্দার মেজবানি ও বিরিয়ানি বিক্রি করছেন মো. এরফানুল আলম। অলংকার এলাকায় শাহ ওরস বিরিয়ানির ব্যবসা করছেন তারেকুল হক। এভাবে চট্টগ্রামের লাভ লেইন ওরস বিরিয়ানি, কর্ণফুলী মইজ্জ্যারটেক এলাকায় আকাশ বিরিয়ানি, পতেঙ্গায় ওরস বিরিয়ানি নামে অবৈধ ব্যবসা জমজমাট চলছে। এদের সবার থেকে রাজস্ব আদায় করছে চসিক।