ঢাকা ৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

পিরোজপুরে রিকশাচালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম
পিরোজপুরে রিকশাচালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা
পিরোজপুরে রিকশাচালককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে এই স্থানে ফেলে রাখা হয়। ছবি: খবরের কাগজ

পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের ওদনকাঠী গ্রামে নির্মমভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে সাব্বির সিকদার (২৫) নামে এক রিকশাচালককে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে ওই রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস সোবাহান।

নিহত রিকশাচালক পিরোজপুর পৌরসভার রায়েরকাঠি এলাকার হারুন সিকদারের ছেলে। সাব্বিরের ৫ বছর বয়সী একটি সন্তান রয়েছে। 

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে দুই কিলোমিটার দূরে সাব্বিরকে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখা হয়। হাতুড়ির আঘাতে তার মাথা পুরোপুরি থেতলে গেছে।

নিহতের পিতা হারুন সিকদার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে ঘর থেকে বের হয় সাব্বির। এরপর রাতে বাড়ি না ফেরায় স্বজনরা তার মোবাইলে ফোন করে। তবে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন স্থানে সাব্বিরের খোঁজ করেও ব্যর্থ হয়।

এরপর শুক্রবার সকালে সাব্বিরের মৃতদেহ দেখে সেটি সনাক্ত করা হয়। ঘটনাস্থলে তার রিকশাটি পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে রিকশাটি নেওয়ার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খান জানান, এখন পর্যন্ত সাব্বিরকে হত্যার কারণ উদ্‌ঘাটন করা যায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আব্দুস সোবাহান জানান, শুক্রবার সকালে স্থানীয়রা সাব্বিরের মরদেহ নির্জন রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে পিরোজপুর সদর থানায় খবর দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাব্বিরের লাশ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

হাসিবুল ইসলাম/সুমন/

পঞ্চগড় ছেলেকে বিষ খাইয়ে মায়ের বিষপান, দু’জনেরই মৃত্যু

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৫২ পিএম
পঞ্চগড় ছেলেকে বিষ খাইয়ে মায়ের বিষপান, দু’জনেরই মৃত্যু
ছবি: খবরের কাগজ

পঞ্চগড়ে পাঁচ বছরের ছেলেকে বিষ খাইয়ে মা নিজেও পান করে এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর মা বিউটি আকতার (২৮) ও তার ছেলে মুসার (৫) মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ঘণ্টার ব্যবধানে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে, মৃত বিউটি আকতার জেলা শহরের নিমনগড় এলাকার মতিউর রহমানের স্ত্রী। ও তাদের ছেলে মুসা। স্বামীর অনলাইন জুয়ার আসক্তি ও সংসারে অভাব অনটনের কারণে পারিবারিক কলহের জেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি ওই নারীর পরিবারের। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তার স্বামী। 

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, মতিউর রহমান ও বিউটি আক্তার দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ে মাইশার বয়স ১১ বছর ও ছেলে মুসার বয়স পাঁচ বছর। মতিউর মসজিদে খাদেমের কাজ করলেও পরবর্তী সময়ে জেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে চা বিক্রি করতেন। ব্যবসায় বড় লোকসান হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন তিনি। আসক্ত হয়ে পড়েন জুয়ায়। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতো। বিউটি স্বামীর এমন কর্মকাণ্ডে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। আর এমন কর্মকাণ্ডের কারণে গত ১১ এপ্রিল মতিউর তার স্ত্রীকে না জানিয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে যায়। সেখান থেকে মোবাইলে বিউটির সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তার। এর কিছুক্ষণ পর তারা জানতে পারেন বিউটি তার ছেলে মুসাকে বিষ খাইয়ে নিজে বিষ পান করেছে। তবে মেয়ে মাইশা পালিয়ে যাওয়ায় তাকে খাওয়াতে পারেননি। পরে তাদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থানান্তর করেন। পরে সেখানেও তাদের অবস্থার উন্নতি না হলে তাদের ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। 

কিন্তু টাকার অভাবে তারা ঢাকায় না নিয়ে ১৫ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টায় আবার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলে মুসা ও তার এক ঘণ্টা পরে মা বিউটি মারা যান। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

এদিকে মৃত বিউটি আক্তারের বাবা আব্দুল বারেক বলেন, আমার মেয়ের পরিবারের অন্য কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা একটাই মতিউর জুয়া খেলে। প্রায় রাতে বাড়ি ফিরতো না, তাই এটা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হতো। 

এ বিষয়ে মৃত বিউটির আকতারের মামা খোরশেদ আলম বলেন, ছেলেটি জুয়া খেলে সব শেষ করে ফেলেছে। আগে ভালো ব্যবসা করতো তবে কী কারণে আমার ভাগিনি আত্মহত্যা করেছে তা আমরা জানিনা।

অভিযোগ অস্বীকার করে মতিউর রহমান বলেন, আমি ব্যবসায় ৩ লাখ টাকা লোকসান করেছি। সংসারে অভাব তাই বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। পাসপোর্টও করেছি। আমার স্ত্রীকে না জানিয়ে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ায় তার সঙ্গে আমার ও আমার শ্যালকের কথা কাটাকাটি হয়। আমার স্ত্রীর রাগ একটু বেশি। এর কিছুক্ষণ পরেই শুনি আমার স্ত্রী আমার ছেলেকে বিষ খাইয়ে নিজেও বিষ পান করেছে। টাকা না থাকায় তাদের ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে পারি নি। 

পঞ্চগড় সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এইচএসএম সোহরাওয়ার্দী বিষ পানে মা ও ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা আত্মহত্যার কারণ জানার চেষ্টা করছি। পরিবারের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

মো. রনি মিয়াজী/মাহফুজ 

 

চিত্রশিল্পীর বাড়িতে আগুন, গ্রেপ্তার ৮ জনকে আদালতে প্রেরণ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৩৬ পিএম
চিত্রশিল্পীর বাড়িতে আগুন, গ্রেপ্তার ৮ জনকে আদালতে প্রেরণ
ছবি: খবরের কাগজ

মানিকগঞ্জে চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৮ জনকে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গ্রেপ্তারদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সদর উপজেলার পাঞ্জনখাড়া গ্রামের মৃত শাহীন খান সৃজনের ছেলে খান মো. রাফি সৃজন (১৮), চান্দইর গ্রামের আমজাদ খানের ছেলে আল আমিন খান তমাল (২২), পাঞ্জনখাড়া গ্রামের মো. জামাল উদ্দিন আহমেদ তানিসের ছেলে মঈন উদ্দিন আহমেদ পিয়াস (২২), বড় ষাট্টার মৃত হায়াত আলীর ছেলে মো. বাবুল হোসেন (৬০), দক্ষিণ উথলীর মৃত মীর নাসির উদ্দিনের ছেলে মো. মীর মারুফ (২১), দক্ষিণ উথলীর সাইদুর রহমানের ছেলে মীর আমিনুর (২৬), শিবালয়ের অন্বয়পুরের মো. রায়হান মল্লিকের ছেলে মো. মোশারফ হোসেন (৪৮) এবং পূর্ব দাশড়ার সুনীল ঘোষের ছেলে সঞ্জিব ঘোষ (৪০)।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমান উল্লাহ বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে আজ দুপুর পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা সকলেই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী।

প্রসঙ্গত, পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রার মোটিফ নির্মাণের জেরে হুমকির শিকার চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দইর ঘোষের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আসাদ জামান/মাহফুজ 

 

মুন্সীগঞ্জে ১ম ধাপে স্বাস্থ্যকার্ড পেলেন ৩২ আহত জুলাইযোদ্ধা

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
মুন্সীগঞ্জে ১ম ধাপে স্বাস্থ্যকার্ড পেলেন ৩২ আহত জুলাইযোদ্ধা
আহত জুলাইযোদ্ধাদের হাতে স্বাস্থ্যকার্ড তুলে দেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত। ছবি: খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত জুলাইযোদ্ধাদের মাঝে স্বাস্থ্যকার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রথমে আলোচনা ও একার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমধাপের জেলা ৩২ জন আহতের হাতে কার্ড তোলে দেওয়া হয়। 

এদিকে অনুষ্ঠানে আন্দোলনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন আহতরা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, সিভিল সার্জন ডাক্তার মঞ্জুরুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী হুমায়ুন রশীদসহ সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত বাকি আহতদের মাঝে স্বাস্থ্যকার্ড প্রদান করা হবে। আর স্বাস্থ্যকার্ডের মাধ্যমে দেশের সরকারি সকল চিকিৎসাকেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ থাকবে আহতদের।

মঈনউদ্দিন সুমন/মাহফুজ

 

ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না গোয়াইনঘাটের সাব-রেজিস্ট্রার মাসুদ পারভেজ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
ঘুষ ছাড়া কাজ করেন না গোয়াইনঘাটের সাব-রেজিস্ট্রার মাসুদ পারভেজ
ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে সপ্তাহে দুই দিন (মঙ্গলবার ও বুধবার) দলিল রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে থাকে। এই অফিসে আবাসিক ভূমি রেজিস্ট্রেশনের করতে প্রতি শতকে ১ হাজার টাকা, নকল তোলতে প্রতি দলিলে ১ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করা হচ্ছে ওপেন সিক্রেট। এছাড়া যদি কোনো জমির কাগজপত্রে সমস্যা থাকে তাহলে মোটা অঙ্কের ঘুষ প্রদান না করলে কোনো কাজই হয় না। জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে ঘুষ নেওয়া নিয়মে রূপান্তরিত করেছিলেন গোয়াইনঘাটের সাব রেজিস্টার মাসুদ পারভেজ। 

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট অভিযানে তারই প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদারের নেতৃত্বে কোর্ট পরিদর্শক মো. জাহিদুল ইসলাম এবং উপসহকারী পরিচালক নিঝুম রায় প্রান্তর সমন্বয়ে এই এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে গোয়াইনঘাট উপজেলা সাব-রেজিস্টারের কার্যালয়ে দলিল রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি, নকল উত্তোলনসহ অন্যান্য কাজে সেবা প্রার্থীদের হয়রানি এবং ঘুষ দাবিসহ নানাবিধ অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

অভিযান পরিচালনাকালে দলিল লেখক মো. নাসির উদ্দিন, মো. আব্দুল হান্নান, মো. জালালউদ্দিনসহ প্রায় ২০ জনের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, গোয়াইনঘাটে আবাসিক ভূমি রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রতি শতকে ১ হাজার টাকা, নকল তোলার ক্ষেত্রে প্রতি দলিলে ১ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করতে হয়। যদি কোনো জমির কাগজপত্র সম্পর্কিত সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের ঘুষ প্রদান করতে হয়। উক্ত কাজগুলো সাব রেজিস্টার মাসুদ পারভেজের নির্দেশে মোহরার মো. আব্দুল মালেক ও দালাল সবুজ আহমদ সম্পন্ন করে থাকেন। 

অভিযানকালে নলজুরি গ্রামের বাসিন্দা ভুক্তভোগী মো আব্দুল হান্নান জানান, তার একটি দলিল সম্পন্ন করার জন্য তিনি গোয়াইনঘাট সাব রেজিস্টার অফিসের নকল নবীশ মনি দাসের মাধ্যমে দালাল সবুজ আহমদকে ৪০ হাজার টাকা প্রদান করেন। এ ব্যাপারে এনফোর্সমেন্ট টিম মনি দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি লিখিতভাবে জানান যে, সাব-রেজিস্টার মাসুদ পারভেজ এবং তার পার্সোনাল এজেন্ট সবুজ আহমদ পরস্পর যোগসাজশে প্রতিটি দলিলে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে। তারা ঘুষ ছাড়া রেজিস্ট্রেশন ও কোনো কাজই করেন না। পাশাপাশি সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার। 

শাকিলা ববি/মাহফুজ

ভারতে অনুপ্রবেশকালে বকশীগঞ্জে ২ বাংলাদেশি যুবক আটক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম
ভারতে অনুপ্রবেশকালে বকশীগঞ্জে ২ বাংলাদেশি যুবক আটক
ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় দুই বাংলাদেশি যুবককে আটক করা হয়েছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের মাজারটিলা এলাকার সীমান্তবর্তী পিলারের নিকট তাদের আটক করেছে জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানী পাড়া সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর ৩৫ বিজিবির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। 

বিজিবির হাতে আটকরা হলেন- ভোলা জেলার সদর উপজেলার বেদুরিয়া গ্রামের লিটন গাজীর ছেলে খোকন গাজী (৩১) ও ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার এলংজানী গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে সোহেল রানা (৩২)। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, কাজের উদ্দেশ্যে ওই দুই বাংলাদেশি যুবক বুধবার রাতে বকশীগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ১০৮৬ পিলারের কাছে মাজারটিলা এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় জামালপুর ৩৫ বিজিবির সাতানী পাড়া বিওপির টহলরত সদস্যদের সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে কাজের উদ্দেশ্যে ভারতে যাচ্ছিলেন বলে স্বীকার করেন ওই দুই যুবক। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ভারতীয় ২টি আধার কার্ড, ৩টি মোবাইল, ৫টি সিম কার্ড, ২টি চার্জার ও কিছু নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে বকশীগঞ্জ থানায় ওই দুইজনকে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে বিজিবির হাতে আটক দুই বাংলাদেশি যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের জামালপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

আসমাউল আসিফ/মাহফুজ