ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

বানিয়াচংয়ে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
বানিয়াচংয়ে কিশোরীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরীকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটে বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে উপজেলার গুণই গ্রামে। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নির্যাতিতা কিশোরীর ভাষ্য অনুযায়ী, ওই দিন রাত ৯টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে ওতপেতে থাকা একই গ্রামের ইকবাল, কামরুল ও হুমায়ুন তার মুখ চেপে তুলে নিয়ে যায়। পরে গ্রামের একটি বাড়িতে নিয়ে অন্য দুইজনের সহযোগিতায় ইকবাল তাকে ধর্ষণ করে।

এদিকে কিশোরীকে অনেকক্ষণ ধরে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা চারদিকে সন্ধান করতে থাকেন। অবশেষে রাত ৩টার দিকে বাড়ির পাশে নির্যাতিতা কিশোরীকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবারের সদস্যরা তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

কিশোরীর চাচা জানান, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা খুবই প্রভাবশালী। এ ঘটনায় যেন মামলা না করা হয় ও কাউকে জানানো না হয়, সে জন্য আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তবে এ ব্যাপারে আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করার পর সদর থানা পুলিশ ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, ‘পুলিশ ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলেছে। পরে আমরা বিষয়টি বানিয়াচং থানাকে জানিয়েছি।’

৯৯৯ সহযোগিতা চাওয়ায় গৃহিণীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৪ এএম
৯৯৯ সহযোগিতা চাওয়ায় গৃহিণীকে মারধরের অভিযোগ
ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বড় বাসালিয়া গ্রামে ৯৯৯ সহযোগিতা চাওয়ায় এক গৃহিণীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশের বিরুদ্ধে। 

ভুক্তভোগী ওই মহিলা বলেন, গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে আমার বাড়ির যাওয়ার রাস্তা নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছিলো। বিষয়টি আমি আমার বড় ভাইকে জানালে তিনি ৯৯৯ কল করে পুলিশের কাছে সহযোগিতা চান। অপরদিকে এই রাস্তা নিয়ে আমার প্রতিবেশী মৃত আতোয়ার হোসেনের ছেলে পুলিশের আইও সরোয়ার হোসেন হঠাৎ করে লোকজন নিয়ে এসে হামলা করে। হামলার সময় আমাকে লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। আমি এই হামলাকারীর কঠিন বিচার দাবি করছি। 

হামলার বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীর ছেলে ফেরদৌস রহমান।

তিনি বলেন, 'আমার মায়ের ওপর যে হামলা হয়েছে তার উপযুক্ত বিচার দাবি করছি। সরোয়ার পুলিশের লোক হয়ে কীভাবে ৯৯৯ সহযোগিতা চাওয়ায় হামলা করে তা আমার বোধগম্য নয়। তার ক্ষমতার কাছে আমরা কিছুই না।' 

অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রিনা খান বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষ হলে মামলা হবে। 

মারধরের বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত সরোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি পরিচয় জানার পর পরে কল করব বলে কেটে দেন। 


জুয়েল/মেহেদী/

নড়াইলে ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী পূজা

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০০ এএম
নড়াইলে ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী পূজা
নড়াইলে ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাসব্যাপী নিশিনাথতলার বৈশাখী পূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা-অর্চনা। ছবি: খবরের কাগজ

নড়াইলে শুরু হয়েছে ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাসব্যাপী নিশিনাথতলার বৈশাখী পূজা। মনোবাসনা পূরণের জন্য এই মাসের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার সেখানে চলে পূজা-অর্চনা। শ্রী শ্রী নিশিনাথতলা মন্দির কমিটির আয়োজনে শেষের দিকে চলে সপ্তাহব্যাপী মহানামযজ্ঞ।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, নড়াইল শহর থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে একটি বটগাছকে (বাবা নিশিনাথের বটগাছ) কেন্দ্র করে নামকরণ করা হয় নিশিনাথতলা। এই বটতলায় পূজারিদের ভিড়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মেলার নামকরণ হয়েছে ‘নিশিনাথতলার বৈশাখী পূজা’। তবে তারও অনেক আগে থেকে এই বটগাছ ও নিশিনাথের মন্দিরে পূজা-অর্চনা শুরু হয়। এর সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, ‘নিশিনাথ’ সনাতন ধর্মের একজন প্রতিষ্ঠিত দেবতা। নিশিনাথের আরেক নাম শিব। এই দেবতার পূজা ও ধ্যানের কথা পুরাতন সনাতন শাস্ত্রগ্রন্থে পাওয়া যায়।

জনশ্রুতি রয়েছে, অনেকেই বাবা নিশিনাথ ঠাকুরকে গভীর রাতে ওই গাছ থেকে নেমে খড়ম পায়ে হাঁটতে হাঁটতে পাশের চিত্রা নদীর ঘাটে স্নান করতে দেখেছেন। শুরুতে নিশিনাথতলার এই জায়গাটি ইংরেজ আমলে জমিদারদের দখলে ছিল। এই জায়গার অলৌকিকত্ব অনুভব করে জমিদাররা প্রায় ৩০০ বছর আগে নিশিনাথ ঠাকুরের নামে নড়াইল-নোয়াপাড়া সড়কের পাশে ওই বটগাছ তলায় একটি মন্দির তৈরি করে দেন। বিশাল এই বটগাছে দেবতা ‘নিশিনাথ ঠাকুর’ বসবাস করেন বলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আজও বিশ্বাস করেন।

সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিজেদের মনোবাসনা পূরণের জন্য নারী-পুরুষ সবাই জল, দুধ, তেল, সিঁদুর দিয়ে পূজা করে থাকেন। একসময় অনেকে মনোবাসনা পূরণের লক্ষ্যে গাছের ডালে ছোট-বড় ইট বেঁধে রেখে যেতেন। মনোবাসনা পূর্ণ হলে তারা ফিরে এসে সেই ইট খুলে দেবতা নিশিনাথ ঠাকুরের নামে মন্দিরে সাধ্যমতো পূজা দিয়ে যেতেন। তবে বর্তমানে গাছটির তেমন ডালপালা না থাকায় ইটের টুকরো বাঁধা তেমন দেখা যায় না।

জানা গেছে, নড়াইলবাসীর কাছে বৈশাখ মানেই নিশিনাথতলায় এসে চিত্রা নদীর বাঁধাঘাট থেকে খালি পায়ে জল এসে ঢালা। নিজেকে পবিত্র করে দুধ-ফুল, তেল দিয়ে পূজা করা, প্রসাদ বিতরণ করা।

এদিকে নিশিনাথতলার বৈশাখী মেলা চলে আসছে ৩০০ বছরের বেশি সময় ধরে। দেশের মেলাগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রাচীন এই মেলা। মেলাটি সনাতন ধর্মকে কেন্দ্র করে হলেও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ এই মেলায় ছুটে আসে প্রতিবছর।

ভক্ত শুক্লা সাহা বলেন, ‘নিশিনাথতলায় আমরা ছোটবেলা থেকেই প্রতিবছরের বৈশাখ মাসের শনি ও মঙ্গলবার পূজা করে থাকি।’ সুজিত সাহা নামে আরেক পূজারি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, নিশিনাথতলায় কোনো কিছু চাইলে সেটা পূরণ হয়।’

অনিতা বিশ্বাস বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও নিশিনাথতলায় অনেক বড় মেলা বসত। সেখানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দোকানিরা আসত তাদের পসরা নিয়ে। বৈশাখ মাসজুড়ে চলত সার্কাস, পুতুলনাচসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। এখন তেমন কিছুই হয় না।’

নিশিনাথতলা পূজা মণ্ডপের পুরোহিত সুনীল চক্রবর্তী বলেন, ‘কত বছর ধরে নিশিনাথতলায় পূজা-অর্চনা হচ্ছে, সেটার সঠিক তথ্য আমাদের জানা নেই। তবে আমরা শুনছি, ৩০০ বছরের কম নয়।’

নড়াইল নিশিনাথতলা কমিটির সভাপতি অচিন চক্রবর্তী বলেন, ‘৩০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে বৈশাখ মাসের প্রতি সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার নদী থেকে জল এনে গাছে ঢালা, পূজা-অর্চনা করে থাকেন ভক্তরা। পূজারি ভক্তদের বিশ্বাস, নিশিনাথতলায় এসে কিছু চাইলে কেউ খালি হাতে ফেরেন না।’

বাড়িতে মেয়ের বিয়ে, পঞ্চগড়ে জুয়েলারি শপে চুরি ৫০ ভরি সোনা!

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
বাড়িতে মেয়ের বিয়ে, পঞ্চগড়ে জুয়েলারি শপে চুরি ৫০ ভরি সোনা!
গিনি হাউজ জুয়েলার্স। ছবি: খবরের কাগজ

একদিকে বাড়িতে চলছে মেয়ের বিয়ের আয়োজন, অন্যদিকে রাতের আঁধারে দোকান খালি করে দিল সংঘবদ্ধ চোরচক্র। এমনই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে পঞ্চগড় জেলা শহরের বানিয়াপাড়ায়।

গিনি হাউজ জুয়েলার্স নামের একটি স্বর্ণালঙ্কারের দোকানে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভোরে ঘটে এই ভয়াবহ চুরির ঘটনা। দোকানের মালিক লব বণিক তখন বাড়িতে মেয়ের বিয়ের আয়োজনে ব্যস্ত ছিলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ছিল লব বণিকের একমাত্র মেয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। চারপাশে ছিল উৎসবের আমেজ, আত্মীয়-স্বজনের ভিড় আর আনন্দের মুহূর্ত। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে সেই আনন্দ পরিণত হয় দুঃখ আর হতাশায়।

সকাল ৬টার দিকে লব বণিক তার ভাগ্নে নন্দ দত্তকে দোকান খুলতে পাঠালে তালা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা গিয়ে দেখেন, দোকানের ভেতরের সব স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে দাবি করা হচ্ছে, অন্তত ৫০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ৭৫ লাখ টাকা।  

দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ১১-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্র ভোরবেলা তালা কেটে দোকানে ঢুকে পুরো দোকান খালি করে দেয়।

এ ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন লব বণিক ও তার পরিবার। একদিকে মেয়ের বিয়ের আনন্দে ভাটা, অন্যদিকে জীবনের সঞ্চিত সম্পদ হারানোর বেদনা, এই দুইয়ের ভারে ভেঙে পড়েছেন তিনি।

চুরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পঞ্চগড়ের বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মধুসুধন বণিক রনি বলেন, ‘আজকের এই ঘটনায় আমরা গভীরভাবে মর্মাহত। প্রতিবাদস্বরূপ জেলার সব জুয়েলারি দোকান দিনভর বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে দ্রুত তদন্ত ও চোরচক্রকে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লা হিল জামান জানান, পরিবারের সদস্যরা থানায় এসেছে। এজাহার জমা দিলে মামলা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

রনি/তাওফিক/ 

টেকনাফের পাহাড় থেকে সিলেটের নিখোঁজ ৬ জনকে উদ্ধার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৬ এএম
টেকনাফের পাহাড় থেকে সিলেটের নিখোঁজ ৬ জনকে উদ্ধার
কক্সবাজার গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ছয়জনকে উদ্ধার। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেট থেকে কক্সবাজার গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ছয়জনের খোঁজ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফের দুর্গম পাহাড় এলাকা রাজার ছড়া গ্রাম থেকে তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ থানা-পুলিশ।

বর্তমানে তারা টেকনাফ মডেল থানায় পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিখোঁজ এমাদ উদ্দিনের চাচাতো ভাই আব্দুল বাছিত দুলাল। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘টেকনাফের রাজার ছড়া গ্রামের দুর্গম পাহাড় থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো ভালোভাবে কারও সঙ্গে কথা বলতে পারিনি।’

উদ্ধার হওয়া ছয়জন হলেন জকিগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর খলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লোহারমহল গ্রামের মৃত লুকুছ মিয়ার ছেলে রশিদ আহমদ (২০), ফারুক আহমদের ছেলে মারুফ আহমদ (১৮), আজির উদ্দিনের ছেলে শাহিন আহমদ (২১), মৃত দুরাই মিয়ার ছেলে এমাদ উদ্দিন (২২), সফর উদ্দিনের ছেলে খালেদ হাসান (১৯) ও মৃত সরবদির ছেলে আব্দুল জলিল (৫৫)।

জানতে চাইলে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল হক মুন্না খবরের কাগজ বলেন, ‘সিলেট জেলা পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় কক্সবাজার ও টেকনাফ থানা-পুলিশ নিখোঁজ ছয়জনকে উদ্ধার করেছে। তারা বর্তমানে সেখানে রয়েছেন। তারা কীভাবে সেখানে গেলেন এ ব্যাপারে এখনো তেমন কিছু জানা যায়নি।’ 

সীতাকুণ্ডে কিশোরীকে বিয়ে করতে এসে জরিমানা গুণলেন ভারতীয় যুবক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪২ এএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৩ এএম
সীতাকুণ্ডে কিশোরীকে বিয়ে করতে এসে জরিমানা গুণলেন ভারতীয় যুবক
সীতাকুণ্ডে ১৪ বছরের কিশোরীকে বিয়ে করতে এসে জরিমানা গুণল ভারতীয় যুবক। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ১৪ বছরের কিশোরীকে বিয়ে করতে আসলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিয়ের আয়োজনকারীকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত আটটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া এলাকার (বাদামতল) পশ্চিম পাশে অরুণ বাবুর খোলা নামক বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

বর সেঁজে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন সুশান্ত নাথ নামের এক যুবক। অথচ তিনি একজন ভারতীয় নাগরিক। ওই ভারতীয় যুবক গত ১৬ এপ্রিল বেড়াতে এসেছিলেন বাংলাদেশে। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া এলাকায় দীপালি বালা নাথ নামের তার ফুফুর বাড়িতে এসে ওঠেন তিনি। এরই মধ্যে ওই ভারতীয় যুবকের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করা হয় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর। শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও। এমন বাল্যবিবাহের খবরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ম্যাজিস্ট্রেট। এতে পণ্ড হয় বিবাহ।

বিয়ের পিঁড়িতে বসা ওই তরুণীর নাম শান্তা নাথ (১৪)। তার পরিবার দক্ষিণ বাঁশবাড়িয়া এলাকায় বসবাস করেন।

অন্যদিকে ভারতীয় নাগরিক ওই যুবকের নাম সুশান্ত নাথ (২৭)। তিনি ভারতের কলকাতার বাসিন্দা। তার পাসপোর্ট অনুযায়ী তিনি এক মাসের জন্য বাংলাদেশে ভ্রমণে এসেছিলেন। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ভ্রাম্যমাণ অভিযান সূত্রে জানা গেছে, এ সময় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শান্তা নাথ নামের এক তরুণীকে ভারতীয় এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা হয়। ওই ভারতীয় যুবক এক মাসের জন্য বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলেন তার আত্মীয়ের বাড়িতে। তার পাসপোর্ট ও ভিসা দেখে তাকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়।

এ বিয়ের আয়োজন ও তত্ত্বাবধানের অপরাধে অভিযুক্ত দীপালি বালা নাথকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭-এর সংশ্লিষ্ট ধারায়   ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরবর্তীতে ১৮ বছরের আগে যেন বিবাহের আয়োজন না করে সে বিষয়ে কন্যার মা-বাবাসহ অভিযুক্তকে সতর্ক করা হয়। মোবাইল কোর্ট অভিযানে সহযোগিতা করেন সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ।

মুসলেহ উদ্দীন/সুমন/