
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়াড়ী ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে গোরস্থানের জমির দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচার মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ৩ জন। আহতদের নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম নজিম উদ্দিন (৫০) ওরফে নজি। তিনি নওপাড়া গ্রামে আলাউদ্দিনের ছেলে।
আহতরা হলেন একই এলাকার বন্দে আলীর ছেলে ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), সিরাজ উদ্দিনের ছেলে ও ছাত্রদল কর্মী আরিফুল ইসলাম (৩৮) এবং বাবু মিয়া (৪৫)।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, স্থানীয় সামাদ মৌলভী ১৯৯১ সালে তার প্রায় ১১ শতক জমি নওপাড়া গেরস্থানে দান করেন। কিন্তু তার মৃত্যুর পর ২০০৮ সালে সামাদের ছেলে গণি ও মেয়েরা ওই জমি ওয়ারিশমূলে মালিক দেখিয়ে মহারাজপুরের আজিমের কাছে বিক্রি করে। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে গ্রাম প্রধান ও গণির চাচাত ভাই জাহাঙ্গীর আলম, আরিফুল, দুলাল ও নজিসহ ১০-১৫ জনকে আসামি করে গণি, আজম ও গণির ছেলে ফারুক এবং সবুজ বিভিন্ন মিথ্যা দাবিতে ১১টি মামলা করে।
অপরদিকে ওই গোরস্থানের জমিটি আদালতের মাধ্যমে ডিক্রি পায় গোরস্থান। কিন্তু নানা অজুহাতে ওই জমির দখল দেয়নি গণি ও তার শরিকরা। ওই জমি সংলগ্ন পাশের জমিটিও বিক্রি করে গণিরা। ওই পাশের জমির বর্তমান ক্রেতার লিজ গ্রহিতা জমিটিতে কাজ শুরু করলে গোরস্থান কমিটি ও গ্রাম প্রধানরা বাধা দিয়ে বলে, গোরস্থানের জমির দখল বুঝিয়ে দিলে তখন কাজ করতে তাদের বাধা নেই।
বিষয়টি জানার পর বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) গণির ছেলে ফারুক ও সবুজের সঙ্গে চাচা নজুর তর্কাতর্কির জেরে তাকে চর থাপ্পর দেয় চাচা নজু। বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে গ্রাম প্রধান দুলাল ওই নজুসহ অন্যদের নিয়ে বিস্তারিত জানতে ফারুককে জিজ্ঞেস করে। ওই নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ফারুক চাকু নিয়ে হামলা করলে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের স্বজন রতন জানান, নজির বুকে ছুরিকাঘাত করায় হাসপাতাল নেওয়ার পথেই মারা যায়। আহত তিনজনেরও অনেক রক্ষক্ষরণ হয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি মাহাবুর রহমান জানান, ওই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা দায়ের শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কামাল মৃধা/মাহফুজ