
শিকারির ফাঁদে আটকেপড়া হরিণকে উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতাধীন বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার (২২ মার্চ) সকালে সুন্দরবনের কাইনমারি খাল এলাকা থেকে হরিণটিকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরে হরিণটিকে সুন্দরবনের কাটেশ্বর টহল ফাঁড়ি এলাকায় অবমুক্ত করে বন বিভাগ।
বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান জানান, কাটেশ্বর টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে বনরক্ষীদের টহলের সময় তারা সুন্দরবনের কাইনমারি খাল এলাকায় হরিণ শিকারিদের পাতা ফাঁদ দেখতে পায়। পরে বনের গহিন থেকে ফাঁদসহ একটি জীবিত হরিণ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই স্থান থেকে একটি নৌকাও উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, বনের ভেতরে শিকারিদের পাতা ফাঁদে আটকা পড়ে হরিণটি। পরে হরিণটিকে উদ্ধার করে সুন্দরবনের কাটেশ্বর টহল ফাঁড়ি এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে।
সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ বা অবৈধভাবে বনে ঢুকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে হরিণ শিকার করেন শিকারিরা। বন ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পেশাদার হরিণ শিকারিদের আছে বিশেষ সিন্ডিকেট এবং তাদের সঙ্গে থাকে এজেন্ট ব্যবসায়ীরা। এসব এজেন্টের মাধ্যমে কখনো অগ্রিম অর্ডার, আবার কখনো মাংস এনে তারপর বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়। বন বিভাগসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মাঝে মধ্যে কিছু মাংস ধরা পড়লেও অধিকাংশ শিকারি থেকে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। একশ্রেণির অসাধু বন কর্মকর্তার কারণে সুন্দরবনে হরিণ শিকার কমছে না বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
সুলতান শাহাজান/জোবাইদা/