ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

চুয়াডাঙ্গায় অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:১৯ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০৯ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স
ছবি : খবরের কাগজ

অযত্ন আর অবহেলায় যেন নিজেই রোগী হয়ে যাচ্ছে ভারত সরকারের উপহার পাওয়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্স। মুমূর্ষু রোগীর নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের কাজে নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্স পড়ে থেকে অকেজো হয়ে যাচ্ছে। এখন কর্তৃপক্ষের বোঝা হয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি পড়ে আছে হাসপাতালে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নতুন বিল্ডিংয়ের এক কোণে পড়ে আছে এই অ্যাম্বুলেন্সটি। অবশ্য এর আগে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ভেতরেও পড়েছিল ভারতের উপহারের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারত সরকার উপহার হিসেবে যেসব অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশ পেয়েছিল, তারই একটি পায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল। এই আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়।

সে দিনই অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি বুঝে নেওয়ার প্রায় সাড়ে ৩ বছর পার হয়ে গেলেও চালু করা হয়নি এর সেবা। প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করা যাচ্ছে না। এ যেন গাড়ি থাকলেও ঘোড়া না থাকার মতো অবস্থা।

জানা যায়, আইসিউ অ্যাম্বুলেন্স তো পরের কথা, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সরকারি বা বেসরকারি কোনো হাসপাতালেই আইসিইউ সেবা চালু নেই। অথচ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে প্রতিনিয়তই মুমূর্ষু রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। যে কারণে এই আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটির ব্যবহার এখানে অতি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ অ্যাম্বুলেন্সটি চালুর বিষয়ে যেন কারও কোনো মাথাব্যথা নেই।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুৎ কুমার রায় বলেন, ‘রোগী বহনে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও জনবলের অভাবে তা চালু করা যাচ্ছে না। সদর হাসপাতালটিতে আইসিইউ ইউনিট চালু করার বিষয়ে এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আইসিউই ইউনিট চালু হলে অ্যাম্বুলেন্সটি সচল করা যাবে।’

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অধীনে রয়েছে। তবে সেটি সচল করে সেবা দিতে প্রশিক্ষিত জনবল ও চিকিৎসকের প্রয়োজন। জনবল না থাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি অব্যবহৃত পড়ে আছে।’ সূত্র: ইউএনবি।

ফরিদপুরে স্ত্রীর শিলের আঘাতে কৃষকদল নেতার মৃত্যু

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৫ পিএম
ফরিদপুরে স্ত্রীর শিলের আঘাতে কৃষকদল নেতার মৃত্যু
কৃষকদল নেতা ওবায়দুর রহমান মুন্সি। ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় স্ত্রীর শিলের আঘাতে ওবায়দুর রহমান মুন্সি (৫৫) নামে উপজেলা কৃষকদল নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও পুত্রবধূকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোর রাতের দিকে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইছাপাশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওবায়দুর রহমান মুন্সি উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল খালেক মুন্সির (ডক সাহেব) ছেলে।

নিহতের ভাই সিরাজুল হক বলেন, ‘ওবায়দুরের সঙ্গে পারিবারিক কলহের জের ধরে দীর্ঘদিন যাবৎ তার স্ত্রী, ছেলে ও পুত্রবধূর বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার রাতে তার স্ত্রী পাথরের শিল দিয়ে আঘাত করে তাকে হত্যা করে। আমি ভাই হত্যার বিচার চাই।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম ও পুত্রবধূ মাসকারা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী সাবিনা বেগম স্বীকার করেছেন যে, সে নিজেই তার স্বামীকে পাথরের শিল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

সঞ্জিব দাস/সুমন/ 

জামালপুরে মাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫২ পিএম
জামালপুরে মাকে হত্যার ঘটনায় ছেলে গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

জামালপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মা মঞ্জিলা বেগম জিরা (৬৫) কে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার চর নাওভাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে দুপুরে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ১৫ এপ্রিল সকালে জামালপুর পৌর শহরের চন্দ্রা এলাকায় নিজ বাড়িতে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মা মঞ্জিলা বেগম জিরাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার বড় ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু। এ সময় গাছ ব্যবসায়ী ফরিদ মণ্ডলকেও ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। ঘটনার পরের দিন নিহতের ছোট ছেলে
জীবন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামিকে গ্রেপ্তারে জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালায় পুলিশ। একপর্যায়ে আজ ভোরে ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার নাওভাঙ্গা চর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

নিহত মঞ্জিলা বেগম জিরা নিজের চোখের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাতে কম্পপুর এলাকার গাছ ব্যবসায়ী ফরিদ মণ্ডলের কাছে ১৬ হাজার টাকায় নিজ বাড়ির তিনটি গাছ বিক্রি করেন এবং অগ্রীম ৯ হাজার টাকা বুঝে নেন। গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ফরিদ মণ্ডল (৪৫) ও তার লোকজন গাছ কাটতে আসলে বড় ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (৪০) বাধা দেন। মঞ্জু তার মাকে বলে আরও বেশি দামে গাছ বিক্রি করা যাবে কিন্তু এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ফরিদ মণ্ডলকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে মঞ্জু। এ সময় ছেলেকে বাধা দিলে মাকেও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। পরে বাড়িতে লোকজন আসতে দেখে মঞ্জু পালিয়ে যান এবং স্থানীয়রা আহত গাছ ব্যবসায়ী ফরিদ মণ্ডলকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পরের দিন (১৬ এপ্রিল) নিহতের ছোট ছেলে জীবন থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

আসিফ/মেহেদী/

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদে হামলার প্রতিবাদে সাভারে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৭ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদে হামলার প্রতিবাদে সাভারে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদে হামলার প্রতিবাদে সাভারে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সংগৃীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পাঘাচং এলাকায় একটি মসজিদে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও মুসল্লিদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সাভারে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদিস।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে সাভারের আশুলিয়ার কাঁইচাবাড়ি এলাকায় সংগঠনটির নিজস্ব জমঈয়ত ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সংগঠনটির মহাসচিব শাইখ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ খান মাদানী, সিনিয়র যুগ্ম সেক্রেটারি জেনারেল শাইখ হারুন হুসাইন এবং স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড. আহমাদুল্লাহ ত্রিশালী বলেন, ‘বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদিস দেশের সবচেয়ে বড় আহলুল হাদিস সংগঠন, যার সঙ্গে প্রায় ৪ কোটি মানুষ যুক্ত। তারা শিরকমুক্ত তাওহীদের দাওয়াত ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং বেদাতমুক্ত ইবাদতের শিক্ষা দিচ্ছে। এই সঠিক দাওয়াতের ফলেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আল বাইতুল মামুর সালাফী জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি কিছু উগ্রবাদী ব্যক্তির উসকানিমূলক বক্তব্যে সেখানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। মুসল্লিদের ওপরও নির্মম হামলা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমানে একটি বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত, এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তবে একটি ধর্মীয় স্থাপনায় নিয়মিত নামাজ আদায় করা সত্ত্বেও কেন এ ধরনের হামলা চালানো হল, সেটি ভাবনার বিষয়। আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনুন এবং ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদের পুনর্নির্মাণ ও নামাজ আদায়ের সুযোগ নিশ্চিত করুন।’

তিনি প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘দেশের কোথাও যেন আর কোনো ধর্মীয় স্থাপনায় এ ধরনের হামলার ঘটনা না ঘটে।’

ইমতিয়াজ / তাওফিক

টাঙ্গাইলে ধানখেত থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১১ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
টাঙ্গাইলে ধানখেত থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ধানখেত থেকে আমিনা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার পূর্ব ঘোনারচালা এলাকার বাড়ির পাশের ধানখেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

দুই সন্তানের জননী আমিনা বেগম ওই এলাকার প্রবাসী দুলাল হোসেনের স্ত্রী।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে আমিনা বেগম তার স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে ঘরের বাইরে বের হয়ে দীর্ঘক্ষণ যাবৎ ঘরে না ফেরায় বাড়ির লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে ভোরে স্থানীয়রা বাড়ির পাশের ধানখেতে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে সখীপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন জানান, বাড়ির পাশ থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

জুয়েল/মেহেদী/

বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে চোখে গুলি করল বিএসএফ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১১ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৯ পিএম
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে চোখে গুলি করল বিএসএফ
ছবি: খবরের কাগজ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে হাসিবুল আলম (২৪) নামে এক যুবককে ধরে নিয়ে চোখে গুলি করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এ ঘটনায় সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ওই উপজেলার মধ্য সিঙ্গিমারী সীমান্তের ৮৯৪নং মেইন পিলারের সাব ৬ এস পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

হাসিবুল আলম ওই এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হাসিবুলসহ কয়েকজন ওই সীমান্তে বাংলাদেশের অংশে ঘাস কাটতে যায়। এ সময় ভারতের শীতলকুচি এলাকার নগর সিঙ্গিমারী ক্যাম্পের বিএসএফের টহল দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পিছন থেকে হাসিবুলকে আটক করে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। এ সময় তাকে বিএসএফের গাড়িতে তোলার সময় চোখে গুলি করে।

পরে বিএসএফ তাকে কোচবিহারের একটি হাসপাতালে ভর্তি করায় বলে সীমান্তের একটি সূত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে নাম না প্রকাশ শর্তে বিজিবির একটি সূত্র জানায়, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের প্রস্তুতি চলছে।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদুন-নবি জানান, 'সীমান্তবর্তী লোকজন তাকে জানিয়েছেন হাসিবুল নামে এক যুবককে ভারতীয় বিএসএফ সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে গুলি করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।'

মেহেদী/