ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

সিলেটে ঈদের কেনাকাটা: রাত বাড়লে ক্রেতা বাড়ে

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
সিলেটে ঈদের কেনাকাটা: রাত বাড়লে ক্রেতা বাড়ে
সিলেটের বন্দরবাজার ফুটপাতে গভীর রাতেও ঈদের কেনাকাটা করছেন মানুষজন। ছবি: মামুন হোসেন

আর কয়দিন পরই পবিত্র ঈদুল ফিতর। সিলেটের মার্কেট, ফ্যাশন হাউস ও  শপিংমলগুলোতে এখন তাই কেনাকাটার উপচে পড়া ভিড়। রাতে কেনাকাটা করাই হলো সিলেটের ঈদবাজারের বিশেষত্ব। রাত যত বাড়ে, ক্রেতা তত বৃদ্ধি পায়। গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করেন মানুষজন।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নগরীর অভিজাত শপিংমল হিসেবে পরিচিত জিন্দাবাজার এলাকার ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, কাকলী শপিং সেন্টার, সিটি সেন্টার, আল-হামরা শপিং সেন্টার, সিলেট প্লাজা, জেলরোড, বারুতখানা ও কুমারপাড়ার ফ্যাশন হাউসগুলোর শোরুমে উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা কেনাকাটা করছেন। পাশাপাশি বন্দরবাজার ও হকার্স মার্কেটে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-বিত্তদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। বিশেষ করে নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারে ছিল না পা ফেলার জায়গা।

এই সড়কে যেমন যানবাহনে, তেমনি হেঁটেও মানুষজন গেছেন কেনাকাটা করতে।  ফুটপাতে ছিল না পা ফেলার জায়গা। হাতে ব্যাগ নিয়ে একদম গা ঘেঁষে চলাফেরা করতে দেখা গেছে ঈদবাজার করতে আসা মানুষজনকে। দশম রোজা থেকে ইফতারের পর পরই এই চিত্র জিন্দাবাজার এলাকার। 

ঈদের আনন্দকে উৎসবে পরিণত করতে সিলেটের বিভিন্ন বিপণিবিতান, ফ্যাশন হাউসগুলোতে রয়েছে বাহারি পোশাকের সমাহার। অন্য বছরের মতো এ বছরও বাহারি ডিজাইনের নানা ধরনের পোশাকে সাজানো হয়েছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো। বিভিন্ন বিপণিবিতানের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, দেশীয় পোশাকের পাশাপাশি ভারতীয় ও পাকিস্তানি শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট, গেঞ্জি, ফতুয়া, প্যান্টও বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, এবার চাহিদার ভিত্তিতে নারীদের জন্য পাকিস্তানি ইন্সপায়ার সালোয়ার-কামিজ বেশি আনা হয়েছে। পাশাপাশি গরমের কারণে সুতি পোশাকের চাহিদাও বেশি। জুতা, প্রসাধনী ও জুয়েলারি দোকানেও ভিড় করছেন ক্রেতারা।

জিন্দাবাজারের রিয়েল টাচের পরিচালক উৎপল রায় খবরের কাগজকে বলেন, এখন পর্যন্ত ক্রেতা সমাগম মোটামুটি ভালো। তবে গত বছরের তুলনায় এবার কম ব্যবসা হচ্ছে। আশা করছি আগামী কয়েক দিন ক্রেতা আরও বাড়বে।

ঈদের পোশাক কিনতে আসা নগরীর জালালাবাদ এলাকার বাসিন্দা শামছুন্নাহার মুক্তা খবরের কাগজকে বলেন, ‘গত ঈদে সারারা ড্রেস কিনেছিলাম, এবার একটি পাকিস্তানি ইন্সপায়ার ড্রেস কিনেছি। কারণ এই ডিজাইনের ড্রেস এখন ট্রেন্ডে আছে।’

নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় ঈদের কেনাকাটা করতে আসা সালওয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘নতুন বিয়ে হয়েছে, এবারের ঈদে তাই একটি কাতান শাড়ি কিনেছি। পাশাপাশি কিছু দেশি সালোয়ার-কামিজও কিনেছি। এখনো জুয়েলারি ও প্রসাধনী কেনা বাকি আছে।’

এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে সিলেট মহানগর পুলিশ। সিলেটে ঈদের বাজার রাতে জমজমাট হয়। এই সুযোগে সক্রিয় থাকে অপরাধীরা। পাশাপাশি মার্কেট-শপিংমলগুলোতে বখাটেপনা বা ইভ টিজিং করার চেষ্টা করে একশ্রেণির তরুণ ও যুবক। তবে এখন পর্যন্ত সিলেটের ঈদবাজারে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তার পরও ঈদের বাজারকেন্দ্রিক অপরাধীদের ধরতে ১৫ রমজান থেকে বিশেষ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে পুলিশ।

ঈদবাজারের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সিলেট নগরীর বেশ কয়েকটি শপিংমলের দায়িত্বশীলরা বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় মাঝে মাঝে দু-একজন পোশাকধারী পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়। তবে এর পরও ঈদবাজারের বাড়তি নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মার্কেট ও শপিংমলের দায়িত্বশীলরা নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী রেখেছেন। এরা মার্কেট ও শপিংমলগুলোর ভেতরে নিরাপত্তা রক্ষার কাজ করেন।

ঈদবাজারের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের এডিসি মিডিয়া মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘মানুষ যাতে নিরাপদে ঈদের কেনাকাটা করতে পারেন, সে জন্য সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

রমজানের প্রথম দিন থেকেই নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিশেষ পুলিশি নিরাপত্তাব্যবস্থা আমরা রেখেছি। ১৫ রমজান থেকে নগরীর যে এলাকাগুলোতে কেনাকাটা বেশি হয়, সেই এলাকাগুলোতে পুলিশ মোতায়েন আছে। কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করেছি। ক্রেতাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে পুলিশের টহল পার্টি, চেকপোস্ট, সাদাপোশাকে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিচ্ছেন।

আগে কোনো দাবি উত্থাপন করলে রাষ্ট্র সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়তো: শিক্ষা উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
আগে কোনো দাবি উত্থাপন করলে রাষ্ট্র সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়তো: শিক্ষা উপদেষ্টা
ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাহিত্য ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শিক্ষা ‍উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। ছবি: খবরের কাগজ

শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা এ বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। এটা যাতে না ঘটে তার জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আগে একটি অস্থিরতার পরিবেশ ছিল, এটি যে রাতারাতি ঠিক হয়ে যাবে এটা ভাবা ঠিক না। আগে যারা দাবি-দাওয়া উত্থাপন করতো তাদের সুযোগ-সুবিধা দেয়া হতো না। সে সময় কেউ যদি কোনো দাবি-দাওয়া উত্থাপন করতো, রাষ্ট্র সেখানে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তো। এখন এমন একটা ব্যবস্থা হয়েছে যেখানে সাধারণ মানুষ মনে করে তারা তাদের কথা বলতে পারবে। এখানে হয়তো তাদের একটু তাড়াহুড়া আছে। তারা চায় যে তাদের দাবিগুলো মানা হোক। আমরা সেসব দাবি সংবেদনশীলভাবে দেখছি। আমরা চেষ্টা করব তারা যেভাবে চাচ্ছেন সেটা আইন এবং নিয়মের মধ্যে থেকে একটি যুক্তিসঙ্গতভাবে সমাধান করার চেষ্টা। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাহিত্য ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি এ সময় কুয়েটের শিক্ষার্থীদের অনশনের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, সকালে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা আলাপ করেছি। এখানে যারা বিভিন্ন অংশীদার ছিলেন তাদের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। কুয়েট উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে সরকার বিবেচনা করবে। কুয়েটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সকালে যখন আমরা কথা বলেছি। তাদের যে অনশন সেখানে আমার একটি আহ্বান ছিল, তোমরা এই গরমের মধ্যে আছো। এরই মাঝে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তোমরা একটু শান্ত হও, আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। ছাত্ররা হয়তো ভেবেছে অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা হয়তো সেই কথাটি রাখতে পারব না। আমি তাদের নিশ্চিত করেছি আমরা অতি দ্রুত এটি সমাধান করতে পারব।  

এ সময় ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি প্রফেসর আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী একান্ত সচিব মো. ইনজামুল হক, এলজিইডির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল হাসান, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল, স্থানীয় সরকার, ফরিদপুরের উপপরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম, সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন প্রমুখ। 

পরে তিনি ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে ‘আগামীর শিক্ষা: প্রেক্ষিত বর্তমান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। 

সঞ্জিব দাস/মাহফুজ

 

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলাম। ছবি: খবরের কাগজ

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৩ গাইবান্ধা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে গাইবান্ধার সদর উপজেলার শাহপাড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের এরশাদ হোসেনের বসতবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মেহেরাজ ইসলাম ঢাকার বনানী থানার মহাখালী হাজারীবাড়ি এলাকার নুরুল ইসলাম সরদারের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১৩ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী।

তিনি জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে র‌্যাব জানতে পারে যে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বনানী থানার হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি মো. মেহেরাজ ইসলাম (২০) গাইবান্ধা জেলার সদর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় ভবানীপুর গ্রামের জনৈক মো. এরশাদ হোসেনের বসতবাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব সদস্যরা। তারা ওই বাড়ি থেকে চাঞ্চ্যকর জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার পলাতক এজাহারনামীয় প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।

রফিক খন্দকার/এমএ/

আমরা রংপুরের মানুষ দুইটি পরাশক্তির কাছে জিম্মি ছিলাম: আসাদুল হাবিব দুলু

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম
আমরা রংপুরের মানুষ দুইটি পরাশক্তির কাছে জিম্মি ছিলাম: আসাদুল হাবিব দুলু
রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির কর্মশালায় আসাদুল হাবিব দুলু । ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, আমরা রংপুরের মানুষ দুইটি পরাশক্তির কাছে জিম্মি ছিলাম। জাতীয়ভাবে কোনো সরকার রংপুরের উন্নয়নের কথা বলেনি। রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা দুটি মহা পরাক্রমশালী শক্তির কাছে লড়াই করছি রংপুরে। সেই লড়াইয়ে বিএনপির পতাকাকে তুলে ধরেছিলাম। তারা বিগত সময়ে রংপুরের জন্য কিছু করেনি, তেমনিভাবে এই ডাইনি পুত্রবধূও কিছু করেনি।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রংপুর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপির কর্মশালায় এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আসাদুল হাবিব বলেন, ‘জাগো বাহে কোণ্ঠে সবাই’, এটা একটা ভালোবাসা, এটা আমাদের জীবনের স্লোগান, ভালোবাসার স্লোগান। বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ, নদী আমাদের সভ্যতা, আমাদের প্রাণ নদী, আমাদের মা। বাংলাদেশের সব নদী হারিয়ে যাচ্ছে। ৩১ দফার ভিতরে এই দফা কেন আসেনি সেটি আমার জানা নেই। সংস্কারের নামে অনেক স্লোগান দিচ্ছেন অনেকে অনেক ছবক দিচ্ছেন। তার অনেক আগেই সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছেন তারেক রহমান।

একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ব আমরা, একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চাই আমরা। সেই বাংলাদেশে বৈষম্য থাকলে কোনো না কোনোভাবেই আমাদের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

নদীপাড়ের ৮ কোটি মানুষ ক্ষতবিক্ষত, ভূমিহীন। এসব ৩১ দফার ভিতরে অন্তর্ভুক্ত কর উচিৎ। নদী আইন রয়েছে, নদী যখন ভেঙ্গে যায়, জমি সরকারের কাছে খাস হয়ে যায়। ফলে বাড়ি-ভিটা উচ্ছেদ হয়ে যায়। এটি তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। নদী যখন পানি থেকে ভেসে ওঠে তখন আবার সরকার নিয়ে নেয়। তাই আইন সংশোধন হওয়া উচিত। অথবা ওই জমি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে দেওয়া উচিত। বিচ্ছিন্ন অঞ্চল ভেঙে তছনছ হয়ে যাচ্ছে, সে ব্যাপারে বিএনপির পদক্ষেপ থাকবে কিনা এ প্রশ্ন করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবসময় রংপুরের বৈরী রাজনীতির আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত। এরশাদ ছিলেন, হাসিনা ছিলেন, আবার নতুন দলের আবির্ভাব ঘটেছে। বাংলাদেশের যে নতুন দল এসেছে তার দু’জন খ্যাতনামা নেতার বাড়ি রংপুরে। আমাদের তিস্তা মহা পরিকল্পনা যদি ঠিকমতো ভাবতে পারি এবং ৩২ দফার ভিতরে অন্তর্ভুক্ত করতে পারি, রংপুরের মানুষ বিএনপি এবং ধানের শীষের পক্ষেই থাকবে।

তিনি বলেন, বৈষম্যের কারণে আমরা রংপুরের মানুষ দিন দিন এত পিছিয়ে পড়ছি, না আছে কোনো কারখানা, না আছে কোনো বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন, আলমগীর পাভেল, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফারজানা শারমিন পুতুল, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা বিএনপির আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু প্রমুখ।

সেলিম সরকার/মাহফুজ

 

আদর্শের নামে ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দেওয়ার মানসিকতা থেকে বের হতে হবে: শিবির সভাপতি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
আদর্শের নামে ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দেওয়ার মানসিকতা থেকে বের হতে হবে: শিবির সভাপতি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। ছবি: খবরের কাগজ

আদর্শের নামে ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা পরিহার করে মুক্ত ও গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী হতে তরুণ সমাজকে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ইসলামী ছাত্রশিবির নীলফামারী সরকারি কলেজ শাখার আয়োজনে কলেজের হলরুমে ‘সেরা হওয়ার জন্য নিরলস অভিযান (Quest for The Best)’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিগত সময়ে আমাদের ওপর ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছিল, এখন ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে ক্যাম্পাসগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সবাই মুক্তভাবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। আমরা চাই সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হোক। বাংলাদেশ হবে সবার বাংলাদেশ, যেখানে সবাই নাগরিক সুবিধা পাবে।

জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায়। এ লক্ষ্যে আমরা সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। শিবিরের সকল কার্যক্রম এই উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই-আগস্টে যে বিপ্লব বাংলাদেশে হয়েছে, সেটি সকলের অংশগ্রহণে একটি নতুন বাংলাদেশের দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে যা যা করা দরকার গত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী হাসিনা তাই করেছেন। এছাড়া দেশের এক বিশাল ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী তাকে ক্ষমতায় রাখতে সহায়তা করেছে।

নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মতে দেশের সকল নাগরিকের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তাহলেই আমরা ভবিষ্যতে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে পাব।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ছাত্রশিবির নীলফামারী শহর শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন কলেজ শাখার সভাপতি মো. হাসান আলী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিবিরের কেন্দ্রীয় দাওয়াত সম্পাদক হাফেজ মেজবাহুল করিম, রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি নুরুল হুদা, নীলফামারী জেলা সভাপতি তাজমুল হাসান সাগর, সাবেক জেলা সভাপতি আহমাদ রায়হান ও কামারুজ্জামান, শহর সেক্রেটারি মাজেদুল ইসলাম প্রমুখ।

কেন্দ্রীয় সভাপতি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

মমিনুর আজাদ/মাহফুজ

 

 

মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের দায়ে ১৪ বছর জেল, আসামি পলাতক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের দায়ে ১৪ বছর জেল, আসামি পলাতক

যশোরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের দায়ে মতিয়ার রহমান মতি নামে একজনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক গোলাম কবির এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ লতা।

আসামি মতিয়ার রহমান মতি যশোরের কেশবপুর উপজেলার লক্ষ্মীনাথকাটি মাঝেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভিকটিম একই এলাকার এবং ঘটনার সময় স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। 

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, মতি দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিমকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় নিয়মিত উত্ত্যক্ত করতেন তিনি। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নতুন পুত্রবধূকে দেখতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে স্থানীয় আহাদের দোকান সংলগ্ন এলাকা থেকে মতি ও তার সহযোগীরা তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এরপর ৯ জানুয়ারি ভিকটিমের মা কেশবপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত মতিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।

তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি কেশবপুর থানা পুলিশ মতির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বুধবার মতিয়ার রহমান মতিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে আদালত।

এইচ আর তুহিন/মাহফুজ