
চট্টগ্রামের খুলশী থানাধীন লালখান বাজারস্থ ফ্লাইওভারের নিচ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা অজ্ঞাত নারীর হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে।
সোমবার (২৪মার্চ) দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায়।
উদ্ধার করা মরদেহটি পোশাকশ্রমিক জোৎনা বেগমের (২০)। তিনি নোয়াখালীর কবিরহাট থানার আবুল কালামের মেয়ে। তিনি চট্টগ্রাম চান্দগাঁও মোহরা এলাকায় পরিবারে সঙ্গে বসবাস করতেন।
পুলিশ জানায়, পোশাকশ্রমিক জোৎনা আক্তারকে প্রেমঘটিত কারণে হত্যা করে মরদেহটি গুম করার চেষ্টা করা হয়েছে।
জোৎনাকে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রেমিক চট্টগ্রামের রাউজানের পশ্চিম গহিরার মৃত মিলন বড়ুয়ার ছেলে নয়ন বড়ুয়াকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই মেট্রো টিম।
রবিবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধারের পর নগরের খুলশি থানায় নিহতের বড়বোন তৈয়বা বেগম বাদি হয়ে হত্যা মামলা করেছেন।
এর আগের দিন সন্ধ্যায় জোৎনা বেগমের বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়ার পর থেকে পিবিআই টিম তার পরিচয় উদ্ঘাটন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। পরে চান্দগাও থানাধীন মোহরা এলাকা থেকে নয়ন বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জোৎনা কাপ্তাই রাস্তার মাথায় কে ডি এস গার্মেন্টসে চাকরি করত। নয়নের সঙ্গে তার প্রেমঘটিত সম্পর্ক থাকায় তারা ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা, আয়েশা মায়ের গলির কামাল ম্যানসনের নিচতলায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে একটি এক কক্ষের বাসা ভাড়া নেয়। প্রায়ই তারা ওই বাসায় রাত্রিযাপন করত। সম্প্রতি নয়ন বড়ুয়াকে ধর্মান্তরিত হয়ে জোৎনাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে নয়ন বড়ুয়া তাতে অস্বীকৃতি জানায়। এর পর শনিবার (২২ মার্চ) পূর্বের বিষয় নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে জোৎনাকে গলাটিপে হত্যা করেন নয়ন। হত্যা করার পর মরদেহ কম্বল, দড়ি, ওড়না দিয়ে বেঁধে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ঢুকায় এবং রিকশা ও ট্যাক্সিযোগে লালখান বাজার এক্সপ্রেসওয়ের নিচে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (পিবিআই, চট্টগ্রাম মেট্রো) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'নয়ন বড়ুয়াকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয়। গলাটিপে হত্যার পর লাশ গুম করতে চেয়েছিল। লাশ পাওয়ার পর ক্লুলেস ছিল ঘটনাটি। পরে পিবিআই দায়িত্ব পাওয়ার পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মেহেদী/