ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

বেহাল কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ভোগান্তি বাড়াবে

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:১০ এএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৫২ পিএম
বেহাল কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক ভোগান্তি বাড়াবে
ছবি : খবরের কাগজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বেহাল হয়ে আছে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার অংশ। পিচ উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের। এ অবস্থায় এবার ঈদযাত্রায় বেহাল মহাসড়কটিতে যাত্রী ভোগান্তির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও ভোগান্তি এড়াতে ইতোমধ্যেই বেহাল অংশগুলো মেরামত শুরু করছে সড়ক বিভাগ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন সিলেট-চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা ও কুমিল্লা-সিলেট রুটে অসংখ্য যানবাহন যাতায়াত করে। মহাসড়কটির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-বিশ্বরোড মোড়, ঘাটুরা, পুনিয়াউট, রাধিকা, সুলতানপুর ও ধরখার এলাকার অন্তত ৩ কিলোমিটার অংশের পিচ উঠে গেছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় এসব অংশে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। ফলে বেহাল অংশগুলোতে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটার পাশাপাশি যানবাহনের ধীরগতির কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সড়কে দীর্ঘ সময় গাড়িতে বসে যাত্রীদের ভোগান্তি যেমন বাড়ছে, তেমনি নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা।

এদিকে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়কটি চারলেনের জাতীয় মহাসড়কে উন্নীত করার কাজ করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফকন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। তবে নানা সংকটের কারণে নির্ধারিত সময়ে সড়কের কাজ শেষ করতে না পারায় যাত্রীদের ভোগান্তি আরও বাড়ছে। এ সড়কের বেশির ভাগ অংশ পড়েছে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে। মূলত প্রকল্পের অধীনে পড়ায় সড়কটিতে নিয়মিত সংস্কারকাজ করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার ঘাটুরা এলাকার বাসিন্দা শিমুল মাহমুদ জানান, ঘাটুরা মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে পেট্রল পাম্প পর্যন্ত অংশটুকু দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে আছে। এ ছাড়া সড়কের নির্মাণকাজের জন্য প্রতিনিয়ত ধুলাবালি ওড়ে। এতে স্থানীয়রা নানা সমস্যায় পড়ছেন। সড়কটিতে যেন দুর্ভোগের শেষ নেই।

সদর উপজেলার রাধিকা এলাকার হাসান মিয়া বলেন, ‘খানাখন্দের কারণে প্রায়ই গাড়িগুলো দুর্ঘটার শিকার হয়। ৪ লেন মহাসড়কের নির্মাণকাজ যত বিলম্বিত হচ্ছে, মানুষের দুর্ভোগ তত বাড়ছে। এবার ঈদযাত্রায় তীব্র যানজট তৈরি হয়ে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকবে না।’

সবুজ কাজী নামে এক বাসচালক বলেন, ‘সরাইল-বিশ্বরোড মোড় থেকে ধরখার পর্যন্ত যেতে কয়েকটি জায়গায় অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এর ফলে গতি কমিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। এতে গাড়ির জট লেগে যায়। এ অবস্থায় বেহাল অংশগুলো সংস্কার করা না গেলে ঈদে ভোগান্তি বাড়বে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুগঞ্জ-আখাউড়া চারলেন মহাসড়ক প্রকল্পের ব্যবস্থাপক শামীম আহমেদ বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে বেহাল অংশগুলোর মেরামতের কাজ শুরু করেছি। কয়েকটি অংশের মেরামত শেষ হয়ে গেছে। এ ছাড়া ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঘাটুরা এলাকায় নির্মাণাধীন সড়কের একটি লেন খুলে দেওয়া হয়েছে।’

অপহরণের ৯ দিন পর মুক্তি মিলল চবির পাঁচ শিক্ষার্থীর

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
অপহরণের ৯ দিন পর মুক্তি মিলল চবির পাঁচ শিক্ষার্থীর
অবশেষে মুক্তি মিলেছে খাগড়াছড়ি থেকে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পাঁচ শিক্ষার্থীর। ছবি: সংগৃহীত

অপহরণের নয় দিন পর অবশেষে মুক্তি মিলেছে খাগড়াছড়ি থেকে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পাঁচ শিক্ষার্থীর।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (পিসিজেএসএস) সহযোগী ছাত্র সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপণ ত্রিপুরা।

এর আগে মঙ্গলবার রাত থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে খবর চাউর হলেও তা নিশ্চিত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, অপহৃতদের পরিবার কিংবা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

এ ছাড়া বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে অপহৃতদের মুক্তির দাবি করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমা স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৬ এপ্রিল সকাল আনুমানিক সাড়ে ছয়টায় খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে পিসিপি সদস্য রিশন চাকমাসহ তার চার সহপাঠীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে আপামর সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রগতিশীল ব্যক্তি, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তোলে। অবশেষে ব্যাপক জনরোষের মুখে পড়ে অপহরণকারীরা কয়েক দফায় তাদের মুক্তি দেয়।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘অপহৃতদের মুক্তির বিষয়টি পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের বিবৃতির মাধ্যমে জেনেছি। তবে যেহেতু পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সেহেতু মুক্তির খবরটি সত্য হতে পারে।’

তবে কোথায়, কবে, কীভাবে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ।

এদিকে অপহরণের পর থেকেই এ ঘটনার জন্য প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করে আসছিল পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। যদিও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইউপিডিএফ।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে অপহৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও অপহৃতদের কারো পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। অপহৃতদের পরিবারের সদস্য ও অভিভাবকদের সব মোবাইল নম্বর বন্ধ রয়েছে। তারা কোথায়, কীভাবে আছেন সে বিষয়েও কোনো তথ্য নেই কারো কাছে।

অপহৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কাউকে সুনির্দিষ্ট করে দায়ী করা না হলেও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিপণ ত্রিপুরা অভিযোগ করে বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই তাদের অপহরণ করা হয়েছিল। অপহৃতদের মধ্যে রিশান চাকমা আমাদের পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য। মূলত তাকে টার্গেট করে একসঙ্গে থাকায় অন্যদেরও অপহরণ করে। এবং এটি স্পষ্ট যে, প্রসিত খীসার ইউপিডিএফই এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত।’

মুক্তি পাওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন, রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বটতলা এলাকার মৈত্রীময় চাকমা, বরকল উপজেলার চাইল্যাতুলি এলাকার দিব্যি চাকমা, জুরাছড়ি উপজেলার জামেরছড়ি এলাকার রিশন চাকমা, বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার সতীশপাড়া এলাকার অলড্রিন ত্রিপুরা এবং আলীকদম উপজেলার রেংপু পাড়া পোয়ামুহুরী এলাকার লংঙি ম্রো। এরা সকলেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

এবারের বৈসাবির ছুটিতে অন্য চার বন্ধু মিলে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার বটতলা এলাকার মৈত্রীময় চাকমার বাড়িতে বেড়াতে যান। বৈসাবি উৎসব শেষে গত ১৫ এপ্রিল তারা বাঘাইছড়ি থেকে খাগড়াছড়ি আসেন এবং ওই রাতে খাগড়াছড়ি সদরের কুকিছড়া এলাকায় মৈত্রীময় চাকমার এক নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে রাতযাপন করেন। পরদিন ১৬ এপ্রিল ভোরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার গিরিফুল এলাকা থেকে অটোরিকশা চালকসহ তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায় পাহাড়ি কয়েকজন অস্ত্রধারী।

দিদারুল আলম রাজু/এমএ/

শিবচরে জঙ্গলের পাশ থেকে যুবকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৭ পিএম
শিবচরে জঙ্গলের পাশ থেকে যুবকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার
নিহত কামরুল হাসান

মাদারীপুরের শিবচরে জঙ্গলের পাশ থেকে কামরুল হাসান (২৩) নামে এক যুবকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের প্রেম ব্রিজ নামক এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত কামরুল হাসান পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার বিকে নগর ইউনিয়নের সরদারকান্দি গ্রামের দাদন চোকদারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিবচর থানা পুলিশের একটি দল মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠায়।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রতন শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ চলছে।

রফিকুল/মেহেদী/

রাঙামাটিতে টিসিবি পণ্য পাচারকালে সেনাবাহিনীর হাতে জব্দ

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম
রাঙামাটিতে টিসিবি পণ্য পাচারকালে সেনাবাহিনীর হাতে জব্দ
কাপ্তাই থানা। ছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য অবৈধভাবে পাচার হওয়ার সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ করেছে সেনাবাহিনী।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কাপ্তাই জেটিঘাট এলাকায় কাপ্তাই সেনা জোনের (অটল ছাপান্ন) সেনারা এসব মালমাল জব্দ করেন।

সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোহাম্মদ ফারুকের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সেনাবহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যান।

জব্দ এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে ২০৮ লিটার সয়াবিন তেল, ২৫০ কেজি মসুর ডাল ও ১০০ কেজি চিনি। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো রুহুল আমিন। মূলত বিলাইছড়ি উপজেলার কেংড়াছড়ি থেকে চোরাইভাবে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে পণ্যগুলো ইঞ্জিন চালিত বোটে কাপ্তাই জেটিঘাটে নিয়ে আসা হয় বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ জানান, টিসিবি পণ্যগুলো সেনাবাহিনী কাপ্তাই থানায় হস্তান্তর করেছে। পরে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এসব মালামাল হস্তান্তর করা হয়েছে।

জিয়াউর/তাওফিক/ 

সীতাকুণ্ডে ট্রাকের চাপায় ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম
সীতাকুণ্ডে ট্রাকের চাপায় ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু
নিহত ইঞ্জিনিয়ার মো. সোলাইমান

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রয়েল সিমেন্ট কারখানায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মো. সোলাইমান (৩০) নামে এক ইঞ্জিনিয়ার নিহত হয়েছেন।

বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কুমিরা রয়েল সিমেন্ট ও রড তৈরি কারখানা কেএসআরএম ফ্যাক্টরির ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইঞ্জিনিয়ার ভাটিয়ারির উত্তর বাজার যমুনা ব্যাংকের পাশে নজির সওদাগরের বাড়ির জহুর আলমের ছেলে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, একই মালিকানাধীন রয়েল সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ও রড তৈরি কারখানা কেএসআরএম পাশাপাশি অবস্থিত। ইঞ্জিনিয়ার সোলাইমান রয়েল সিমেন্টে চাকরি করলেও কেএসআরএম স্টিল ও রয়েল সিমেন্টের মাঝখানে একটি পাওয়ার প্লান্ট চেক করতে যান। ফেরার পথে কারখানার ভেতর রড বোঝাই একটি ট্রাক স্কেল করে আসার সময় চালকের অসাবধানতাবশত পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে তিনি ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় রাতেই নিহতের বড় ভাই মো. জাফর ইকবাল বাদী হয়ে উপজেলার লালানগর গ্রামের নুরুল আলমের ছেলে ট্রাকচালক নুর নবীর (২৮ বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, রয়েল সিমেন্ট ফ্যাক্টরি ও রড তৈরির কারখানা একই গেট দিয়ে পাশাপাশি অবস্থিত। যিনি মারা গেছেন, তিনি রয়েল সিমেন্ট ফ্যাক্টরির ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটেছে কেএসআরএম রডের কারখানার স্কেলে রডবোঝাই গাড়িচাপা পড়ে। এ ঘটনায় ওই চালকের বিরুদ্ধে নিহতের বড় ভাই মামলা করেছেন।

মেহেদী/

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় মা-ছেলে আটক

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় মা-ছেলে আটক
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় ভারতীয় মা-ছেলে আটক। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপারের সময় ভারতীয় এক মা ও তার ছেলেকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জীবননগর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আটকরা হলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার কালিনগর থানার তিলকচন্দ্রপুর গ্রামের হরলাল দাসের মেয়ে পুতুল দাস (৪৯) ও তার ছেলে তাকের দাস (২৫)।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের ৫৮-বিজিবি অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

সাইফুল ইসলাম জানান, আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জীবননগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

মিজানুর/তাওফিক/