
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রুটে নতুন করে আট জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। মেট্রোরেলের আদলে তৈরি হওয়া এ ট্রেন চালু হওয়ায় প্রতিদিন এর সুফল পাবে এ পথে চলাচল করা প্রায় ২০ হাজার মানুষ। এমনকি এবারের ঈদ যাত্রায় এ পথে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারবে ঘরমুখো মানুষ।
বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ের তত্ত্বাবধানে চালু হওয়া এই ট্রেন সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসনক জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
এর আগে সকাল ১১ টায় ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে ১১টা ৫০মিনিটে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া রেল স্টেশনে পৌঁছায় মেট্রোরেলের আদলে তৈরি আধুনিক নতুন এ কমিউটার ট্রেন। এসময় জেলার রাজনৈতিক, সামাজিক, সংস্কৃতিক ও নাগরিক নেতারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের উপস্থিত হয়ে ট্রেন চলাচল কার্যক্রমকে স্বাগত জানায়।
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনক জাহিদুল ইসলাম মিঞা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ পথে আট জোড়া ট্রেন চলাচল করতো। ফলে যাত্রীরা দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা পরপর ট্রেনে চড়তেন। গাদাগাদি করে যাতায়াত করতে হতো যাত্রীদের। ভোগান্তি নিয়েই যাত্রীরা চলাচল করে আসছে। অনেক পরে হলেও এই ভোগান্তি অবসান ঘটলো।
ছবি: খবরের কাগজ
ডিসি জানান, নতুন এই ট্রেন চলাচল করবে এক ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানে। আগের ট্টেনের ৮টি বগি থাকলে নতুন এ ট্রেনে থাকছে ১১টি। প্রতিটি বগিতে ৯২ জন যাত্রী নিতে পারবে। ফলে এই ট্রেনটি একসঙ্গে ১১৭৬ জন যাত্রী বহন করবে। ট্রেনে বসার ব্যবস্থাসহ থাকছে নানা সুবিধা। যাত্রীরা এখন দ্রুত গতিতে নিরাপদ ও আরামদায়কভাবে চলাচল করতে পারবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, জামায়াত ইসলামের সাবেক আমীর মাওলানা মাইনুদ্দিন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনসহ অন্যান্যরা।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, নতুন এই ট্রেন সার্ভিসটি চাল হওয়াতে ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষসহ এ পথের নিয়মিত যাত্রী সঠিক সময়ে তাদের গন্তব্যে যেতে পারবে। কমবে আগের তুলনায় ভোগান্তিও। ট্রেন চালুর খবরে ইতোমধ্যে স্টেশনগুলোতে যাত্রীর চাপও বাড়তে শুরু করেছে। রেল কর্তৃপক্ষ তাদের সেবার মান বজায় রাখবে এই সেই প্রত্যাশা যাত্রীদের।
জেলার যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি বলেন, মাত্র ২০ টাকা ভাড়ায় ১৬ কিলোমিটারের ঢাকা নারায়ণগঞ্জ রেল পথে প্রতিদিন ২০ হাজারের বেশি মানুষের যাতায়াত। মেট্রোরেলের আদলে তৈরি হওয়া এ আট জোড়া ট্রেন চালু করায় এ পথে ভোগান্তি কম আসবে। রেল যদি তাদের এই সেবাটি বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ পথের পরিবহন সিন্ডিকেট ধ্বংষ হবে। আর সুফল পাবে স্থানীয়রা।
বিল্লাল হোসাইন/মাহফুজ