ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্থা

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫১ পিএম
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্থা
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফার তোপের মুখে পড়েছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার কাজী সাখাওয়াত হেসেন। 

বুধবার (২৬ মার্চ) সকালে উপজেলা স্বরূপকাঠি সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।

২৫ মার্চ মঙ্গলবার গণহত্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক এক আলোচনা সভায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার কাজী সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যের শেষে ‘জয় বাংলা’ ও ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে বক্তব্য শেষ করেন। তখন সেখানে উপস্থিত কিছু রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা তার বক্তব্যের বিরোধীতা করলে তখনই ক্ষমা চেয়ে নেন সাখাওয়াত হোসেন।

আজ ২৬ মার্চ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ওই মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা মিলে উপজেলার নবাগত ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলামকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা ২৫ মার্চের আলোচনা সভায় বলা কাজী সাখাওয়াত হোসেনের জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে উত্তেজিত হয়ে কাজী সাখাওয়াত হোসেনের ওপর তেড়ে আসেন এবং তাকে নাজেহাল করেন। পরে ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম মুক্তিযোদ্ধাদের পুরস্কার দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারি কমিশনার (ভূমি) সহ মাঠে উপস্থিত উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সামনে এ নিয়ে উত্তেজনা ও বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরে ওই সংবাদকর্মীকে নিবৃত্ত করেন প্রশাসন।
 
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় আমি ‘জয় বাংলা’ বলেছিলাম, এটি মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান, যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন বলে যাব। তাহলে জয় বাংলা স্লোগান বলা কি অপরাধ? 
তিনি আরও বলেন, আমি আগের দিন জয় বাংলা বলার কারণে বুধবার (২৬ মার্চ) স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা আমার ওপর চড়াও হন।

নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে কেউ ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়নি। মূলত ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে উপজেলা অডিটরিয়ামে একটি আলোচনা সভার অনুষ্ঠানে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ‘জয় বাংলা’ বলেছিলেন বলে শুনেছি। ওই সভায় আমি অনুপস্থিত ছিলাম। আমি যা শুনেছি তা হলো, ওই মুক্তিযোদ্ধা জয় বাংলা বলার পরে আবার তিনি তার ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সংবাদকর্মী গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ বললে আমি সহ্য করতে পারি না। প্রশাসন তাকে কিছু না বলায় আমি ক্ষিপ্ত হয়েছি তার প্রতি।

মো. হাসিবুল ইসলাম হাসান/মাহফুজ

 

আদর্শের নামে ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দেওয়ার মানসিকতা থেকে বের হতে হবে: শিবির সভাপতি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
আদর্শের নামে ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দেওয়ার মানসিকতা থেকে বের হতে হবে: শিবির সভাপতি
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। ছবি: খবরের কাগজ

আদর্শের নামে ফ্যাসিবাদ চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা পরিহার করে মুক্ত ও গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী হতে তরুণ সমাজকে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ইসলামী ছাত্রশিবির নীলফামারী সরকারি কলেজ শাখার আয়োজনে কলেজের হলরুমে ‘সেরা হওয়ার জন্য নিরলস অভিযান (Quest for The Best)’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিগত সময়ে আমাদের ওপর ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছিল, এখন ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে ক্যাম্পাসগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ সবাই মুক্তভাবে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। আমরা চাই সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হোক। বাংলাদেশ হবে সবার বাংলাদেশ, যেখানে সবাই নাগরিক সুবিধা পাবে।

জাহিদুল ইসলাম আরও বলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায়। এ লক্ষ্যে আমরা সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। শিবিরের সকল কার্যক্রম এই উদ্দেশ্যেই পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই-আগস্টে যে বিপ্লব বাংলাদেশে হয়েছে, সেটি সকলের অংশগ্রহণে একটি নতুন বাংলাদেশের দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে যা যা করা দরকার গত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী হাসিনা তাই করেছেন। এছাড়া দেশের এক বিশাল ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠী তাকে ক্ষমতায় রাখতে সহায়তা করেছে।

নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মতে দেশের সকল নাগরিকের মতামতের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। তাহলেই আমরা ভবিষ্যতে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে পাব।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী ছাত্রশিবির নীলফামারী শহর শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন কলেজ শাখার সভাপতি মো. হাসান আলী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিবিরের কেন্দ্রীয় দাওয়াত সম্পাদক হাফেজ মেজবাহুল করিম, রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি নুরুল হুদা, নীলফামারী জেলা সভাপতি তাজমুল হাসান সাগর, সাবেক জেলা সভাপতি আহমাদ রায়হান ও কামারুজ্জামান, শহর সেক্রেটারি মাজেদুল ইসলাম প্রমুখ।

কেন্দ্রীয় সভাপতি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

মমিনুর আজাদ/মাহফুজ

 

 

মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের দায়ে ১৪ বছর জেল, আসামি পলাতক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের দায়ে ১৪ বছর জেল, আসামি পলাতক

যশোরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের দায়ে মতিয়ার রহমান মতি নামে একজনকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক গোলাম কবির এ রায় ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ লতা।

আসামি মতিয়ার রহমান মতি যশোরের কেশবপুর উপজেলার লক্ষ্মীনাথকাটি মাঝেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভিকটিম একই এলাকার এবং ঘটনার সময় স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। 

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, মতি দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিমকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় নিয়মিত উত্ত্যক্ত করতেন তিনি। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নতুন পুত্রবধূকে দেখতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে স্থানীয় আহাদের দোকান সংলগ্ন এলাকা থেকে মতি ও তার সহযোগীরা তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এরপর ৯ জানুয়ারি ভিকটিমের মা কেশবপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত মতিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।

তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি কেশবপুর থানা পুলিশ মতির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বুধবার মতিয়ার রহমান মতিকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে আদালত।

এইচ আর তুহিন/মাহফুজ

 

মহেশখালী-কক্সবাজার রুটে সি-ট্রাক চলাচল শুরু বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৮ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
মহেশখালী-কক্সবাজার রুটে সি-ট্রাক চলাচল শুরু বৃহস্পতিবার
ছবি: খবরের কাগজ

অবশেষে মহেশখালীবাসীর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত দেশের একমাত্র পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালীতে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম সমুদ্রপথে বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) অন্তর্বর্তী সকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন সি-ট্রাকের উদ্বোধন করবেন। 

নৌপরিবহন মন্ত্রাণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ৬ নম্বর জেটিঘাটে সি-ট্রাক চলাচলের শুভ উদ্বোধন করবেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা। এরপর ওই সি-ট্রাকে করে মহেশখালীতে গিয়ে সাড়ে ১১টায় মহেশখালী ঘাট পরিস্থিতি পরিদর্শন করে সুধী সমাবেশে অতিথি হিসেবে অংশ নেবেন।

দীর্ঘদিনের আন্দোলন, দাবি ও প্রতীক্ষার ফলস্বরূপ মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথে অবশেষে সি-ট্রাক চালু হচ্ছে।

প্রথম ধাপে প্রায় ২৫০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন আধুনিক সি-ট্রাক এই রুটে যুক্ত হচ্ছে। সঙ্গে মহেশখালী ঘাটে বসানো হয়েছে একটি নতুন পন্টুন, যা যাত্রীদের ওঠা-নামাকে করবে নিরাপদ।

গত ১৮ এপ্রিল নৌরুটটিতে পরীক্ষামূলকভাবে সি-ট্রাক চালু করা হয়। এরপর নিয়মিতভাবে সি-ট্রাক চলাচলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সি-ট্রাক চলাচলের সময়ও চূড়ান্ত করা হয়েছে। 

ছবি: খবরের কাগজ

কক্সবাজার থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৮টা, দুপুর ১২টা এবং সন্ধ্যা ৬টায় মহেশখালীর উদ্দেশে সি-ট্রাক ছেড়ে যাবে। মহেশখালী থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছাড়বে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা, বেলা ১১টা এবং বিকেল ৫টায়। ৬ নম্বর জেটিঘাট যাতায়াতের ক্ষেত্রে একজন যাত্রীকে ভাড়া দিতে হবে ৫০ টাকা। নুনিয়ারছড়া ঘাট দিয়ে ৪০ টাকা ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের। এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।

তবে এই নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে দ্বীপবাসীর চরম অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় কবি নিলয় রফিকের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, সি-ট্রাকের ভাড়া যৌক্তিক না হলে সীট্রাকের সুফল আসবে না। ভাড়া ও টোল এক টোকেনে আদায় না হলে ঝামেলা লেগেই থাকবে। মহেশখালী ভ্রমণে পর্যটকের জন্য আলাদা কোনো টোল নয়। তিনি টোলসহ ৩৫ টাকা ভাড়া নির্ধারন করার দাবি জানান।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্যাহ বলেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে মহেশখালী জেটিঘাটে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। এরই মধ্যে জেটিঘাটের যাত্রীছাউনিতে বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সবারই প্রত্যাশা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মহেশখালী জেটিঘাটের দীর্ঘদিনের জনদুর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে দ্বীপবাসী এবং ধীরে ধীরে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সংস্কার ও উন্নতি হবে।

এনাম মো. ছৈয়দুল করিম মঞ্জু/মাহফুজ

সিংগাইরে ফুফার ধর্ষণে অন্ত:সত্তা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারী , অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
সিংগাইরে ফুফার ধর্ষণে অন্ত:সত্তা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারী , অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় ফুফা আইনুদ্দিনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে  বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম।

গ্রেপ্তার আইনুদ্দিন উপজেলার জার্মিতা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ধাইরাপাড়া গ্রামের মৃত নুর ইসলামের ছেলে।

মামলার সূত্র থেকে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি জন্মের পর থেকেই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। মাঝে মধ্যেই ওই বাড়িতে বেড়াতে যেতেন আইনুদ্দিন। ঘটনার দিন মেয়েকে রেখে বাড়ির সবাই কৃষি কাজের জন্য মাঠে যান। এই সুযোগে আইনুদ্দিন ভয় দেখিয়ে প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ও দেখান তিনি।

এর বেশ কিছুদিন পর মেয়ের শরীরের পরিবর্তন ও বমি করতে দেখে ভুক্তভোগীর মা স্থানীয় এক প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তার মেয়েকে ১৬ সপ্তাহের গর্ভবতী বলে জানান। পরে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণের মামলা করেন।

ওসি জেওএম তৌফিক আজম বলেন, গতকাল আইননুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে ধর্ষণের কথা শিকার করেছেন। এ ঘটনায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আসাদ/মেহেদী/

চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস অবস্থা

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি তাপপ্রবাহে হাঁসফাঁস অবস্থা
চুয়াডাঙ্গায় অতিরিক্ত গরমে মানুষের হাসফাঁস অবস্থায়। ছবি: খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। অতিরিক্ত গরমে মানুষ পড়েছে হাঁসফাঁস অবস্থায়।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ২৮ শতাংশ, যা গরমের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

এই গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষরা। 

শহরের রেলগেট এলাকায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা আব্দুল মান্নান খবরের কাগজকে বলেন, ‘এই অতিরিক্ত তাপে সারাদিন রাস্তায় ভ্যান চালানোটা খুবই কষ্টকর। গরম আর ঘামে চোখে অন্ধকার দেখা দেয়। তবু তো চালাতে হয়, পেটের দায়ে।’

দিনমজুর গফুর হোসেন বলেন, ‘রোদের তাপ এত বেশি যে কাজ করতে গেলে শরীর জ্বলতে থাকে। পানি খেয়েও তৃষ্ণা মেটে না, ক্লান্তি যেন ঘাড়ে চেপে বসে আছে।’

পথচারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘বাইরে একটু বের হলেই মনে হয় শরীর পুড়ে যাচ্ছে। রাস্তার মধ্যে দাঁড়াতে কষ্ট হয়, ঘামে জামাকাপড় ভিজে একেবারে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়।’

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ (বুধবার) বিকেল ৩টায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৮ শতাংশ। বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় গরম কম অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি ও তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

মিজানুর/পপি/