
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে হারুন অর রশীদ ইমারুল (৩০) নামের এক সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল পৌনে ১২ টার দিকে স্থানীয় উপজেলা মোড়ের দোয়েল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আহত ইমারুল দৈনিক ভোরের সময় ও দৈনিক একুশের বাণী পত্রিকার হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রতিনিধি।
আহত সাংবাদিক ইমারুল ইসলাম বলেন, তিনিসহ বাংলাদেশ প্রেসক্লাব হরিণাকুন্ডু উপজেলা শাখার কয়েকজন সাংবাদিক হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটা তথ্য জানার জন্য ফোন করেন। এসময় ফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বি এম তারিক উজ জামান বলেন, আপনারা একটু অপেক্ষা করেন, না হয় কিছুক্ষণ পরে আসেন।
এরপর উপজেলা মোড়ের একটি চায়ের দোকানে ইমারুল ও তার সহকর্মীরা বসে অপেক্ষা করেন। এ সময় কিছু বুঝে উঠার আগেই হঠাৎ কয়েকজন যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইমারুলকে কোপাতে থাকে। আর তারা বলতে থাকে, ‘বড় সাংবাদিক হয়েছো, সাংবাদিকতা করা শিখিয়ে দেব।’ এরপর ইমারুলের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারী দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সাংবাদিক ইমারুলের মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে সহকর্মীরা তাকে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সাংবাদিক ইমারুল জানান, হামলাকারীদের সঙ্গে তার পূর্বের কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু এরপরেও সন্ত্রাসীরা তাকে ফোনে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। বর্তমানে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সাংবাদিক ইমারুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনায় ঝিনাইদহ ও হরিণাকুন্ডুতে কর্মরত সাংবাদিকরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
সাংবাদিক নেতারা সাংবাদিক ইমারুলের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ রউফ খান বলেন, খোঁজ নিয়ে এ বিষয় পরে জানানো যাবে।
এদিকে হরিণাকুন্ডু উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি দেখা দিয়েছে।
মাহফুজুর রহমান/মাহফুজ