
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় মেসার্স দীপ্তি ডাইং কারখানার নির্মাণাধীন ইটিপি প্ল্যান্টের দেয়াল ধসে আশরাফুল ইসলাম (৩৮) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
আশরাফুল ভোলার চর ফ্যাশন থানার দক্ষিণ আইচা গ্রামের সাত্তার সরদারের ছেলে। বর্তমানে তারা দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার জাকির হোসেনের বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন।
আশরাফুল মেসার্স দীপ্তি ডাইং কারখানায় মেশিন অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, আশরাফুলের ৭ম এবং ২য় শ্রেণি পড়ুয়া দুটি মেয়ে রয়েছে।
আহতরা হলেন- মেসার্স দীপ্তি ডাইং কারখানার মেশিন অপারেটর মো. হৃদয় (১৮), সোহেল মিয়া (৩৫) এবং মেকানিক হেলপার রাকিব হোসেন (১৫)।
আশরাফুলের ভগ্নিপতি মোস্তফা কামাল খবরের কাগজকে জানান, ঈদের ছুটি শেষে সোমবার ভোরে গ্রামের বাড়ি ভোলা থেকে তার শ্যালক আশরাফুলসহ সবাই নারায়ণগঞ্জের বাড়িতে যান। সেদিন তারা তাদের কর্মস্থলেও যোগ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শ্রমিকরা জানান, ছুটি শেষ হলেও কারখানা পুরোপুরি চালু না হওয়ায় এবং নির্মাণ শ্রমিক সংকট থাকায় ইটিপি নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে সকালে তাদেরকে কাজ করতে দেয় কারখানা মালিক কর্তৃপক্ষ। বিকেলে কাজ করা অবস্থায় তাদের ওপর দেয়াল ধসে পড়ে।
এ সময় আশরাফুল, রাকিব ও সোহেল দেয়ালের নিচে চাপা পড়েন। হৃদয় নামে আরেক শ্রমিক আহত হলেও সেখান থেকে নিজেই উঠে পড়েন। পরে খবর পেয়ে পাগলা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল তাৎক্ষণিক গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত চারজনকে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে পাঠায়।
আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অপু কুমার সাহা আশরাফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘আশরাফুল মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। আহতদের ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, আশরাফুলের মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিল্লাল/পপি/