
ফরিদপুর সদর উপজেলার বাখুন্ডায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো সাত। এখনো আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অনেক যাত্রী। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১১টার দিকে সদর উপজেলার বাখুন্ডা শরীফ জুটমিলের সামনে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাতজনের নাম পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- নগরকান্দার শিয়ালকান্দি গ্রামের জোয়াত সরদার (৭০), তার সন্তান ইমন সরদার (২২), লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ফকির পাড়া গ্রামের আজিবর শেখ (৪৫), নগরকান্দার তালমা গ্রামের ভারতী সরকার (৪০), নগরকান্দার দিপা খান (৩৪), চর ভদ্রাসনের হাজিগঞ্জ এলাকার আলম শেখ (৪৫) ও ফজিরুন নেসা (৬৫)।
বাসের যাত্রীরা জানান, বাসের মূল চালক না থাকায় হেলপার চালাচ্ছিলেন বাস। তিনি কিছুটা ঘুমন্ত ভাবে ছিল। আর এ কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস নিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যান।
উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত গিয়ে উদ্ধার কাজ চালানো হয়। বাসে প্রায় ৪০ জনের মতো যাত্রী ছিল। প্রায় সবাই আহত হয়েছে। পরে তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, বাসটি উল্টে খাদে পড়ে ঘটনাস্থলে ৪০ জনের মতো আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় মোট সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি যারা রয়েছেন আহত তাদেরকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. দিলরুবা জেবা জানান, আমরা আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছি।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৩০-৩৫ হাজার টাকা দাফনের জন্য সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। এছাড়া, এই দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।
সঞ্জিব দাস/মেহেদী/অমিয়/