
কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট ২ আসনের সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগ পার হলো আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল)। ১৩ বছর পূর্বে ১৭ এপ্রিল রাতে ঢাকা থেকে নিজের গাড়িচালকসহ নিখোঁজ হন তিনি। এই ১৩ বছরেও সাবেক এই সংসদ সদস্যের নিখোঁজ হওয়ার রহস্য উদঘাটন হয়নি। তিনি ফিরে আসবেন বলে এখনও আশায় আছেন তার পরিবারের সদস্য ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তিনি নিখোঁজের পর থেকে বিএনপি অভিযোগ করছে তৎকালীন আওয়ামী সরকার তাকে ‘গুম’ করে রেখেছে। তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পরও কোনো খোঁজ মেলেনি ইলিয়াস আলীর।
ইলিয়াস আলীর পরিবার ও জেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ইলিয়াসের গ্রামের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। তৎকালীন বিশ্বনাথ বালাগঞ্জ (বর্তমান বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর নিয়ে গঠিত সিলেট-২) আসনের এমপি ছিলেন তিনি। ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে গাড়িতে করে নিজের বনানীর বাসা থেকে বের হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন গাড়িচালক আনসার আলী। রাত ১২টার পর মহাখালী থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ইলিয়াস আলীর প্রাইভেটকার উদ্ধার করে পুলিশ। তখন গাড়িতে ছিলেন না ইলিয়াস ও তার গাড়িচালক। বনানী থানার তৎকালীন এসআই সাইদুর রহমান সে সময় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মধ্যরাতে ইলিয়াস আলীর প্রাইভেট কারটি মহাখালী সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়ির ভেতরে পাওয়া চালক আনসারের মোবাইল ফোন সূত্রে জানা যায়, গাড়িটি ইলিয়াস আলীর।
বিএনপির এই প্রভাবশালী নেতা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই সিলেট বিএনপি নেতারা নানা প্রতিবাদ কর্মসূচি করে আসছেন। ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রতিবছরই প্রতিবাদ মিছিল নিয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেন সিলেট জেলা বিএনপির নেতারা। বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারও প্রতিবাদ কর্মসূচি করবে সিলেট জেলা বিএনপি। ইলিয়াস আলী ও তার গাড়ি চালককে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সিলেট জেলা বিএনপি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মাহবুব আলম এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় সিলেট নগরীর কোর্ট পয়েন্ট মানববন্ধন ও বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান।
এই দুই কর্মসূচিতে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকলস্তরের নেতা-কর্মীদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
শাকিলা ববি/মাহফুজ