ঢাকা ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

চা শিল্পকে টিকিয়ে রাখা শ্রমিকদের এখনো নেই ভূমির অধিকার

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০১ পিএম
চা শিল্পকে টিকিয়ে রাখা শ্রমিকদের এখনো নেই ভূমির অধিকার
একডো আয়োজিত সিলেটের সাংবাদিকদের সঙ্গে এডভোকেসি সভায় চা শ্রমিক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। ছবি: খবরের কাগজ

‘সারা দেশে রয়েছে ১৬৮টি চা বাগান, এর মধ্যে ১৩৪টি চা বাগান আছে সিলেট বিভাগের মধ্যে। প্রায় পৌনে দুইশ বছর ধরে নামমাত্র মজুরি নিয়ে চা শিল্পকে টিকিয়ে রাখলেও এখন পর্যন্ত ভূমির অধিকার নেই চা শ্রমিকদের। চা বাগান গড়ার শুরু থেকেই চাষ উপযোগী জমি তৈরি করেছেন এই চা শ্রমিকরা। তারপরও নিজেদের তৈরি করা ভূমিতেই ভূমিহীন হয়ে আছেন চা শ্রমিকরা। র্দীঘবছর যাবত শোষিত এই চা জনগোষ্ঠী এখনো লড়ছেন দারিদ্র্যতার সঙ্গে। তাই ভূমি অধিকারের মতো রাষ্ট্রীয় মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার দাবি তারা বিভিন্ন সময় তুললেও এই দাবি আদায়ে কখনো জোরালো ভূমিকা গ্রহণ করেতে পারেননি চা শ্রমিকরা।’ 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (একডো) আয়োজিত সিলেটের সাংবাদিকদের সঙ্গে এডভোকেসি সভায় এসব কথা বলেন চা শ্রমিক, সাংবাদিক ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। 

আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশের যৌথ সহযোগিতায় ‘লিডারশিপ ডেভলপমেন্ট অব টি লেবার ওমেন ওয়ার্কার অন দেয়ার রাইটস’ শিরোনামে নারী চা-শ্রমিকদের মধ্যে নেতৃত্ব বিকাশ এবং তাদেরকে অধিকার সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে একডো। এই প্রকল্পের মাধ্যমেই বর্তমানে চা শ্রমিকদের ভূমি অধিকার নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছে একডো। 

একডোর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার (কো-অর্ডিনেটর) ডা. আবু সালমান মো. সাইফুল ইসলাম। 

এই এডভোকেসি সভায় সিলেট প্রেসক্লাব, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা) ও সিলেট উইমেনস জার্নালিস্ট ক্লাবের নেতারা ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। 

সভায় বক্তারা বলেন, চা শ্রমিকদের ভূমির মালিকানা দিতে গেলে রাষ্ট্রকে উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ সরকারি খাস জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান চা বাগান গড়ে তুলেন। তাই লিজ নেওয়া জমির মালিকানা কাউকে হস্তান্তর করার নিয়ম নেই। চা জনগোষ্ঠীর ভূমির অধিকারের জন্য রাষ্ট্রকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। কিন্তু দেশে বিভিন্ন সময় সরকার বদল হলেও চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার নিয়ে কখনোই কোনো সরকার উদ্যোগ নেয়নি। তাই এখনও সর্বক্ষেত্রে চা শ্রমিক জনগোষ্ঠী বৈষম্যের শিকার। 

মূলত কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা নিবন্ধিত কোম্পানি চা বাগান করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে খাস জমি ইজারা নেন। জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে ইজারা গ্রহীতা ইজারার চুক্তি নামা ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ সুবিধাও গ্রহণ করতে পারেন। তবে ইজারাদাররা বাগানের ভূমি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সাবলিজ বিক্রয়, দান বা বাটোয়ায়ারা করার এক্তিয়ার রাখেন না। এমন কিছু করলে ইজারা বাতিল হওয়ার নিয়ম আছে। এছাড়াও চা শ্রমিকদের বসবাসের জন্য ঘর করে দেওয়ারও নিয়ম আছে। বর্তমানে এই নিয়মেই বাগান কর্তৃপক্ষ চলছেন। চা বাগানের ভিতর তৈরা করা ঘরগুলোতেই চা শ্রমিকরা থাকছেন। তবে এসব ঘরের মালিকানা তাদের নেই। যুগযুগ ধরে প্রতিটি চা শ্রমিক পরিবার থেকে কেউ না কেউ বাগানে কাজ করার সুবাদেই এসব ঘরে বসবাস করছেন চা শ্রমিকরা। 

সভায় উপস্থিত চা শ্রমিক সুমি নায়েক বলেন, যুগ যুগ ধরে আমাদের পূর্বসুরীরা এই চা বাগান গড়ে তুলেছেন। এই পরম্পরায় আমরাও কাজ করছি চা বাগানে। তারপরও আমরা ভূমিহীন। প্রতি ঘরের একজন করে বাগানে কাজ করে তাই আমরা ঘরে থাকতে পারি। আমাদের কি ভূমির মালিক হওয়ার কোনো অধিকার নাই? 

শাকিলা ববি/মাহফুজ

 

উৎস ব্লক ফ্যাক্টরি ও রাজশাহী ব্লকটেকের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম
উৎস ব্লক ফ্যাক্টরি ও রাজশাহী ব্লকটেকের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত
ছবি: খবরের কাগজ

দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগ্রুপ নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এবার নির্মাণখাতে অবদান রাখতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক পরিবেশবান্ধব ও টেকসই প্রযুক্তিতে নির্মাণের আধুনিক উপকরণ হিসেবে উন্নতমানের ব্লক তৈরি করছে। এর ফলে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইটভাটার কার্যক্রম কমে আসবে। নির্মাণখাতে তৈরি হবে যুগান্তকারী প্রযুক্তি।

এ লক্ষ্যে সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে নাবিল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান উৎস ব্লক ফ্যাক্টরি ও রাজশাহী ব্লকটেক-এর মাঝে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।  

ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত এ চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে নাবিল গ্রুপের পক্ষে স্বাক্ষর করেন উৎস ব্লক ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী ইসরাত জাহান। অপরদিকে রাজশাহী ব্লকটেকের পক্ষে সমঝোতা স্মারকের স্বাক্ষর করেন স্বত্বাধিকারী মশিউল আলম।

এ সময় তারা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে ব্লক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। সরকারি স্থাপনা নির্মাণকাজেও ব্লক ইটের ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব ও উন্নত প্রযুক্তির হওয়ায় ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ব্লক। কাজেই এখন ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণখাতেও ব্লকের বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই এ দুটি প্রতিষ্ঠান এক হয়ে দেশের ব্লক তৈরির বাজারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে চায়।

এনায়েত করিম/মাহফুজ

নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম
নড়াইলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার
ধর্ষক নুরনবী শেখ (২২)। ছবি: সংগৃহীত

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ১৪ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে নুরনবী শেখ (২২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান।

এর আগে রবিবার এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে রাতেই লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের লাহুড়িয়া রাজাপুর গ্রাম থেকে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে লোহাগড়া থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার নুরনবী লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের লাহুড়িয়া রাজাপুর গ্রামের নূর মিয়া শেখের ছেলে।

পুলিশও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার সময় স্কুল গেটের সামনে থেকে নুরনবী তাকে জোর করে তুলে নিয়ে লোহাগড়া পৌরসভায় একটি বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে।

পরে ওই ছাত্রী স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে ঘটনা খুলে বলে। এরপর ওই ছাত্রীর বাবা লোহাগড়া থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

ওসি মো. আশিকুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে ওইদিন রাতেই আমরা নুরনবীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।’

শরিফুল ইসলাম/সুমন/

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৫

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৭ পিএম
ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৫
ছবি: খবরের কাগজ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসন্দি ইউনিয়নের দিঘিরপাড় গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নারীসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। 

রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের আলিম উদ্দিন বিশ্বাসের সমর্থকদের সঙ্গে স্থানীয় রেজওয়ান বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। রবিবার রাতে রেজওয়ানের সমর্থক তুষারের সঙ্গে আলিম উদ্দিনের সমর্থক মুকুলের কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। 

পরে রাতে আলিম উদ্দিনের লোকজন রেজওয়ান বিশ্বাসের সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে। বাঁধা দিলে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নারীসহ ৫ জনকে আহত করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে পরিবেশ শান্ত রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

মাহফুজুর রহমান/মাহফুজ

 

বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি, ২ চোরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম
বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি, ২ চোরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের ভারগাঁও কাজিপাড়া এলাকায় বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির সময় দুই চোরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের সোপার্দ করেছে এলাকাবাসী।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে তাদের আটক করে গণধোলাই দেওয়া হয়। এঘটনায় সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম (প্রশাসন) মোহাম্মদ রেজাউল করিম বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চোরদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলো-রূপগঞ্জের মাসাবো এলাকার মো. রবিউল ইসলাম (২৩), একই এলাকার রাকিবুল ইসলাম (২০)। তবে মো. সাগর নামের আরও এক চোর পালিয়ে যায়।  

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান বলেন, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির দায়ে দুই চোরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। দুই চোরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ইমরান হোসেন/মাহফুজ 

 

সিওমেকে চিকিৎসককে মালাউনের বাচ্চা বলে গালি, হাতাহাতি

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩১ পিএম
আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম
সিওমেকে চিকিৎসককে মালাউনের বাচ্চা বলে গালি, হাতাহাতি
সিওমেকে চিকিৎসককে মালাউনের বাচ্চা বলে গালি দেওয়ায় মেজাজ হারান চিকিৎসক। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমেক) হাসপাতালে রোগীর এক স্বজনের বিরুদ্ধে ডা. তনয় বর্ধন নামে এক চিকিৎসককে মালাউনের বাচ্চা ও আবাদি বলে গালি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। 

রবিবার ( ২৭ এপ্রিল) হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

চিকিৎসক ও রোগীর স্বজনের হাতাহাতির ঘটনার একটি ভিডিও রবিবার রাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে রোগীর আত্মীয় ও বন্ধুকে চিকিৎসকের লাথি মারার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে চরম ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠে। ভিডিওতে দেখা যায় কর্তব্যরত চিকিৎসককে কিছু একটা বলায়, রোগীর ভাইকে মারতে তেড়ে যান চিকিৎসক। ভিডিওতে এক যুবককে লাথি মারতেও দেখা যায়।

তবে সেই চিকিৎসকের দাবি মালাউনের বাচ্চা ও আবাদি বলে গালি দেওয়াসহ  অশোভন আচরণ করায় মেজাজ হারান তিনি।

জানা গেছে, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে আসেন জুবায়ের আহমদ নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার সময় রোগীর অ্যাপেন্ডিসাইটস-এর ব্যথা হচ্ছিল। তখন পাশের ওয়ার্ডে এক রোগী মারা গেলে ডা. তনয় বর্ধন সেখানে দ্রুত যাচ্ছিলেন। ওই সময় রোগীর বিছানায় শুয়ে পায়ের ওপর পা তুলে তাকে ‘এই স্যার’ বলে ডাক দিচ্ছিলেন রোগীর স্বজন। তখন চিকিৎসক তার ডাক দেওয়ার বাচন ও শারীরিক ভঙ্গি ভালো না লাগার কথা ওই রোগীর স্বজনদের জানান। এই কথা শুনে চিকিৎসককে মালাউন, নন সিলেটি ও আবাদি বলায় নিজের মেজাজ হারিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ডা. তনয় বর্ধন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী রোগী জোবেল আহমেদ ও তার বন্ধু জুবায়ের বলেন, ‘অ্যাপেন্ডিসাইটিস-এর ব্যথা ওঠায় চিকিৎসককে ডাক দিলে তিনি আসছেন বলে ইমার্জেন্সি অন্য একটি রোগী দেখতে আরেকটি ওয়ার্ডে চলে যান। পরবর্তীতে চিকিৎসক আসার পর আবার যখন আমি ডাক দেই তিনি বলেন, এইভাবে ডাকছেন কেন। আমি বললাম স্যার বলেই তো ডাকলাম, পরবর্তীতে চিকিৎসক ক্ষেপে গিয়ে থাপ্পড় ও লাথি দেন।’

এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত আরেক চিকিৎসক ডা. রুবেল আহমেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোগীর স্বজনদের ডা. তনয়কে ডাকার ভঙ্গি ভালো ছিল না। আর পরবর্তীতে যখন ডা. তনয় ফিরে আসেন তখন তাকে গালাগালি করলে তিনি মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এবং এই ঘটনা ঘটে।’

এ ব্যাপারে ডা. তনয় বর্ধন বলেন, ‘পাশের ওয়ার্ডে একজন রোগী মারা যান। তাই আমি দ্রুত সেখানে যাচ্ছিলাম। তখন রোগীর বিছানায় শুয়ে পায়ের উপর পা তুলে তাকে ‘এই স্যার, এই স্যার’ বলে ডাক দিচ্ছিলেন রোগীর এক স্বজন। পরে আমি পাশের ওয়ার্ড থেকে এসে তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে, সে কেন এভাবে আমাকে ডাকল। আমার কথা শুনে তিনি আমাকে স্থানীয় ক্ষমতার কথা বলেন এবং আমাকে মালাউনের বাচ্চা, নন সিলেটি, আবাদি বলায় নিজের মেজাজ হারিয়ে ফেলি। তখন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। তবে আমি পরে বুঝতে পারি এভাবে মেজাজ হারানো আমার ঠিক হয়নি। আমি এইজন্য অনুতপ্ত। পরবর্তীতে রোগীর বাবার কাছে গিয়ে সব কিছু বুঝিয়ে বললে তারা বিষয়টা বুঝতে পারেন। এর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।’

এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি ডিরেক্টর সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, ‘বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ঘটনায় ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা ৭ কর্মদিবসে প্রতিবেদন দিবেন। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সুমন/