
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রাজবাড়ীতে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য ও প্রাণবন্ত লাঠিখেলা। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে রাজবাড়ী শহিদ খুশি রেলওয়ে মাঠে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং ডা. কামরুল হাসান লালী ও ডা. রেহেনা ফাউন্ডেশন এবং রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় এই ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইমরুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. কামরুল হাসান লালী, রাজবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী আব্দুল কুদ্দুস বাবু এবং ডা. রেহেনা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম।
এদিকে আয়োজনটি দেখতে মাঠজুড়ে জড়ো হয় হাজারও দর্শক। গ্রামীণ ঐতিহ্যের এই খেলা উপভোগে নারী-পুরুষ-শিশু- সব বয়সের মানুষই সমান আগ্রহ নিয়ে অংশ নেয়। খেলোয়াড়রা রং-বেরঙের পোশাকে সজ্জিত হয়ে, ঢোলের তালে তালে মাঠে নেমে পড়েন। প্রতিটি দলের খেলোয়াড়রা তাদের কৌশলী লাঠি প্রদর্শনীর মাধ্যমে দর্শকদের মুগ্ধ করেন। দর্শকরা করতালির মাধ্যমে তাদের উৎসাহ দেন।
আয়োজকরা জানান, এই লাঠিখেলা ছিল প্রতিযোগিতামূলক নয়, বরং আনন্দনির্ভর। কোনো দল বেশি দর্শকদের মন জয় করতে পেরেছে, সেটিই ছিল ‘বিজয়ী’ হওয়ার প্রধান মাপকাঠি। এবারের খেলায় মোট তিনটি দল অংশ নেয়।
জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, ‘লাঠিখেলা আমাদের লোকজ সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আমরা নতুন প্রজন্মের সামনে গ্রামীণ ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে চাই। নববর্ষে রাজবাড়ীবাসীকে আনন্দ দিতে এই আয়োজন করা হয়েছে।’
আয়োজক ও স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, এ ধরনের লোকজ আয়োজনে শুধু বিনোদন নয়, বরং সমাজের ঐতিহ্যগত শিকড় সংরক্ষণের বার্তা নিহিত রয়েছে। এমন আয়োজন নিয়মিত করারও আহ্বান জানান স্থানীয় দর্শনার্থীরা।
এর আগে গত সোমবার বিকেলে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই খেলা দেখার জন্য ভিড় করেন কয়েক শ মানুষ। ঢাকঢোল আর সানাইয়ের বাজনার তালে তালে খেলোয়াড়রা লাঠি হাতে নাচ ও কসরত দেখিয়ে উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করেন।