ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

ঈশ্বরদীতে দোকান দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৯ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
ঈশ্বরদীতে দোকান দখলের অভিযোগ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে
ছবি: খবরের কাগজ

পাবনার ঈশ্বরদীতে রেলওয়ের বরাদ্দকৃত বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও মারধর করে ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে একটি দোকান জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মাহফুজুল হাসান ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

মাহফুজুল হাসান অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, ‘শহরের পৌর এলাকার স্টেশন সড়কে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল অফিসের গলিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের সম্পত্তিতে ৯৮ বর্গফুট মাপের একটি দোকানঘর পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়ের ভূসম্পত্তি কার্যালয় থেকে লিজ গ্রহণ করে ভোগ দখল করে আসছিলাম। কিন্তু গত বছরের ৭ জুলাই দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে নওয়াজিশ মোস্তফা তুষার, আবির হাসান শৈশব, গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডল আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মোটরসাইকেলে করে দোকানের সামনে এসে গোলাম মোস্তফা চান্না মণ্ডলের হুকুমে তুষার ও শৈশব আগ্নেয়াস্ত্র মাথায় ও বুকে ঠেকিয়ে আমাকে খুন করার হুমকি দেয়। শুধু তাই নয়, দোকান বরাদ্দের লাইসেন্স এবং খাজনার কাগজপত্র নিয়ে মোটরসাইকেলে করে আমাকে তুলে নিয়ে যায় পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে।’

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘সেখানে নিয়ে ১০০ টাকা মূল্যের তিনটি সাদা স্টাম্পে স্বাক্ষর করতে বলেন। আমি অস্বীকৃতি জানালে তুষার, আবির, চান্না মণ্ডলসহ আরও তিন থেকে চারজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি আমাকে চড়, থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারে। পরে তারা আগ্নেয়াস্ত্র ধরে ভয় দেখালে আমি প্রাণ বাঁচানোর জন্য সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে দেই। এরপর থেকে তারা আমার দোকানঘর তাদের দখলে রেখেছে।’

এ বিষয়ে একাধিকবার অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

তবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।

পার্থ হাসান/সুমন/

বাবা-ছেলের ধর্ষণে গর্ভবতী গৃহপরিচারিকা, আটক ২

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০০ পিএম
বাবা-ছেলের ধর্ষণে গর্ভবতী গৃহপরিচারিকা, আটক ২
ছবি: খবরের কাগজ

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা ও ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সলঙ্গা থানার চরিয়াকান্দি পাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- চরিয়াকান্দি পাড়া গ্রামের জোদু ফকিরের ছেলে জোমসের ফকির (৬৫) ও তার ছেলে আনারুল ইসলাম মুক্তা ফকির (৩৫)।

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'ধর্ষণের শিকার ঐ নারী দীর্ঘ পাঁচবছর যাবৎ তাদের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছিলেন। বাবা ও ছেলের ধর্ষণে মেয়েটি দুই মাসের গর্ভবতী হয়। পরে এ ঘটনায় নির্যাতিত মেয়েটির মায়ের পৃথক দুটি ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে বাবা-ছেলে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।'

শিশির/মেহেদী/

ময়মনসিংহে বীজ বিতরণের নামে সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৩ পিএম
ময়মনসিংহে বীজ বিতরণের নামে সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগ
ছবি: খবরের কাগজ

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় বিনামূল্যে প্রনোদনার বীজ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। নিম্নমান ও পরিমাণে কম বীজ দিয়ে বরাদ্দ আত্মসাতের ঘটনায় উপজেলার তিন কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত করছে কৃষি বিভাগ। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাদিয়া ফেরদৌসি।

ভুক্তভোগী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ৭ হাজার ৮৬০ জন কৃষকদের বিভিন্ন বীজ দেওয়ার কথা ছিল। তাদের মধ্যে যারা বীজ পেয়েছেন, তাদের অনেকে নিম্নমানের বীজ পেয়েছেন। পরিমাণেও পেয়েছেন কম। নিম্নমানের বীজ রোপণ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অনেক কৃষক। বরাদ্দ অনুযায়ী প্রতি কৃষকের ৬০০ টাকা প্যাকেজ বীজের মূল্য ধরা থাকলেও ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেড থেকে ৩২০ টাকায় নিম্নমানের প্যাকেজ বীজ কেনা হয়েছে। মূলত সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার জন্য কম টাকায় নিম্নমানের বীজ কিনে বিতরণ করা হয়েছে।

আরও জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে উপজেলা কৃষি অফিসার নামের একাউন্টের ১৩টি চেকে ইস্পাহানির প্রতিনিধি আকাশ কুমারের নামে ৪৭ লাখ ২৫ হাজার ৮২৫ টাকা পরিশোধ করা হয়। একই তারিখে আকাশ কুমার ইস্পাহানি আগ্রাবাদ চট্রগ্রামের নামে ২৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা পরিশোধসহ ধোবাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার হিসেব নম্বরে ২১ লাখ টাকা জমা দেয়। 

ভুক্তভোগীরা জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে বিনামূল্যে বীজ পেতে কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে নাম দেওয়া হয়েছিল। বরাদ্দের তুলনায় কম দেওয়া হয়েছে। অনেকে বীজ রোপণের পর চারা না গজানোয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কম দামে নিম্নমানের বীজ কিনে বিতরণ করায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নমানের বীজ কিনে সরকারি টাকা আত্মসাতে ঘটনা জানাজানি হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনা তুঙ্গে। দুদকের তদন্ত প্রয়োজন।

উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের কাশিনাথপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মোতালেব খবরের কাগজকে বলেন, গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ সহায়তা নিতে কৃষি বিভাগের তালিকায় নাম দিয়েছিলাম। তালিকা অনুযায়ী লাল শাক, বেগুন, শিম, পালংশাক, লাউ, টমেটো ও মিষ্টি কুমড়াসহ ৮ ধরনের ১২ প্যাকেট বীজ পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পেয়েছি মাত্র ৮ প্যাকেট বীজ। অনেকে পেয়েছেন ৩ প্যাকেট করে। এগুলো রোপণের পর চারা গজায়নি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাদিয়া ফেরদৌসির বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও বীজ কিনে বিতরণের নামে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কৃষক কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, আমার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রথম তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগেই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, তদন্ত হয়ে গেছে। আমার অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। পরে অভিযোগ তুলে নিয়েছি। আমি কৃষক মানুষ। যার ইচ্ছা অনিয়ম করবে, যার ইচ্ছা করবে না। এতে আমার কি? একজন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়াটাই আমার ভুল হয়েছে।

বক্তব্য জানতে চাইলে ধোবাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাদিয়া ফেরদৌসি বলেন, আমার আগে আমার পদে থাকা কর্মকর্তা বিভিন্ন কাগজপত্র প্রস্তুত করেছেন। আমি যোগদানের পর এসবে শুধু স্বাক্ষর করেছি। আমি অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করিনি।

বীজ কেনার আগে ইস্পাহানিকে ব্যক্তিগত টাকা অগ্রীম (এডভান্স) দিয়েছিলেন কিনা? দিলে কত টাকা দিয়েছেন? এমন প্রশ্নে নাদিয়া ফেরদৌসি রীতিমতো চুপ হয়ে যান। একপর্যায়ে বলেন, আমি আমার টাকা ওই কোম্পানিকে অগ্রীম দিয়েছি, কিংবা দেইনি। কত টাকা অগ্রীম দিয়েছি সেটা বলব না।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ময়মনসিংহের উপপরিচালক (সাবেক বীজ বিপণন) মুহাম্মদ ফারুকুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে বীজ না থাকায় অন্য কোনো মাধ্যমে থেকে বীজ কিনতে প্রত্যায়নপত্র দিয়েছিলাম। তবে কম টাকায় নিম্নমানের বীজ কেনার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করলে আমার জানার কথা নয়। এটি সংশ্লিষ্টরা তদন্ত করলে জানা যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (খামারবাড়ী) ময়মনসিংহের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটির প্রধান ড. উম্মে হাবিবা বলেন, তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। তবে প্রতিবেদনে কি উল্লেখ করেছি, তা এখনই বলা যাবে না।

ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত শারমিন বলেন, এক তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য শেরপুরের আঞ্চলিক কৃষি কর্মকর্তাকে প্রধান করে তিন সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে নিশ্চয়ই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপপরিচালক ড. নাছরিন আক্তার বানু বলেন, ইস্পাহানী থেকে মোট ৪৭ লাখের অধিক টাকার বীজ কেনা হয়েছে। নাদিয়া ফেরদৌসি আমাকে জানিয়েছে, নিজের ১৪ লাখ টাকা ওই কোম্পানিকে অগ্রীম দিয়েছিল।

তদন্তে এটি প্রমাণ হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নে বলেন, এটি আমার জানা নেই। তবে নাদিয়া ফেরদৌসির কিছু ভুল ত্রুটি রয়েছে। সবমিলিয়ে আবারও তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু খবরের কাগজকে বলেন, বীজ দেওয়ার আগে অনেক সময় কোম্পানিকে অগ্রীম টাকা দিতে হয়। সরকারি টাকা না পেলে কৃষকদের সুবিধার্থে কৃষি কর্মকর্তারা বীজ কেনার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত টাকা অগ্রীম দিতে পারেন। পরে সেই টাকা কেটেও নিতে পারেন।

তিনি বলেন, ৪৭ লাখ লাখের অধিক টাকার বীজ কেনার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ১৪ লাখ টাকা অগ্রীম দেওয়া অস্বাভাবিক। কম টাকায় নিম্নমানের বীজ কিনে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে কিনা, বরাদ্দের বীজগুলো কৃষকদের মাঝে সঠিকভাবে বিতরণ করা হয়েছে কিনা, আসলেই ব্যক্তিগত কোনো টাকা কোম্পানিকে অগ্রীম দেওয়া হয়েছে কিনা, এসব বিষয়গুলো উদঘাটন করতে তদন্ত করা হচ্ছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/মাহফুজ

 

চৌদ্দগ্রামে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম, তদন্তে দুদক

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
চৌদ্দগ্রামে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম, তদন্তে দুদক
সড়কের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছে দুদকের টিম। ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের একটি গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে গত নভেম্বর মাসে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি দুদকের নজরে আসলে তারা তদন্ত নামে।

এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে দুদক কুমিল্লার সহকারী পরিচালক তারেকুর রহমানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম নির্মাণাধীন দুই দশমিক তিন কিলোমিটার যাত্রাপুর-পারুয়ারা সড়কটি পরিদর্শন করে।

এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, কাশিনগর ইউনিয়নের যাত্রাপুর থেকে শ্রীপুর ইউনিয়নের পারুয়ারা পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০ মিটার সড়ক পুনর্নির্মাণ করার জন্য ১ কোটি ৬৮ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৯ টাকা চুক্তিতে টেন্ডার পায় মুন্সিরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি সুমন পাটোয়ারীর প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাটোয়ারী এন্টারপ্রাইজ।

সড়কের নির্মাণ কাজ গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ১৮ আগস্ট শেষ হওয়ার নিয়ম ছিল।

অভিযোগ ওঠেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু করলেও দীর্ঘ ৫ মাস কাজ বন্ধ রাখে। গত ৫ আগস্টের আগে এলাকাবাসী ঠিকাদার সুমন পাটোয়ারীকে জানালেও তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেনি। সরকার পতনের পর সড়কের পাশের গ্রামগুলোর ছাত্র-জনতা অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ঠিকাদার সুমন পাটোয়ারী কাজ বন্ধ রেখে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। কিছুদিন পর তিনি চিহ্নিত কয়েকজন নেতাকে ম্যানেজ করে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে ওই সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু করলে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী অনিয়মের প্রতিবাদ করে।

ওই সময় সড়কের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স পাটোয়ারী এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর সুমন পাটোয়ারী কালভার্টের ভাঙা কিছু পুরানো ইট ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছিলেন। এনিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে দুদকের টনক নড়ে।

মঙ্গলবার দুপুরে দুদক কুমিল্লার সহকারী পরিচালক তারেকুর রহমান বলেন, আমরা দুই দশমিক তিন কিলোমিটার সড়ক পরিদর্শন করেছি। পর্যালোচনা শেষে শিগগিরই কমিশনের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করব। পরবর্তী সময়ে কমিশন যে সিদ্ধান্ত দিবে, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব।’

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘অনিয়মের অভিযোগে দুদকের একটি টিম যাত্রাপুর-পারুয়ারা সড়ক পরিদর্শন করেছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে’।

কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। অফিসের কাজে বাইরে আছি, ফাইল দেখে বিস্তারিত জানাব।’

মোহা. জহিরুল হাসান/মাহফুজ

 

টাঙ্গাইলে প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্মসাত, এলজিইডিতে দুদকের অভিযান

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
টাঙ্গাইলে প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্মসাত, এলজিইডিতে দুদকের অভিযান
ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলে বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন এবং কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এলজিইডিতে দুদকের অভিযান পরিচালনা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে জেলা এলজিইডি কার্যালয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক নুর আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে প্রাথমিকভাবে কাজ না করে টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে দুদক কর্মকর্তারা।

জেলা এলজিইডি কার্যালয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতি, একাধিক প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন না করেই বিধিবহির্ভূতভাবে অগ্রিম বিল উত্তোলন, এলজিইডির তত্ত্বাবধানে গ্রামগঞ্জের রাস্তা এবং ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও কাজের গুণগতমান বজায় না রাখা এবং উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে এলজিইডির বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ কর্তৃক নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরবর্তী সময়ে তারা ধাপে ধাপে কালিহাতী, মধুপুর, ভূঞাপুর সখীপুর, মির্জাপুর উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করবে।

দুদক জেলা শাখার সহকারী পরিচালক বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রকল্পের কাগজগুলো যাচাইবাছাই করা হয়েছে। কাজ না করেই বিভিন্ন প্রকল্পের থেকে বিল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

জুয়েল রানা/মাহফুজ 

 

সাভারে বিদ্যুৎ সংকটে ব্যাহত ডিইপিজেডের উৎপাদন

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম
সাভারে বিদ্যুৎ সংকটে ব্যাহত ডিইপিজেডের উৎপাদন
ছবি: খবরের কাগজ

বকেয়া বিলের জন্য সাভারের ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণে ডিইপিজেডের কারখানাগুলোতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। তবে জেনারেটর এবং আরইবি (পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি) থেকে ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে বিকল্পভাবে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বেপজা ও কারখানা কর্তৃপক্ষ। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর তিতাস কর্তৃপক্ষ প্রায় ৪শ কোটি টাকা বকেয়ার জন্য ডিইপিজেডের নতুন জোনে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ারের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।

ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ জানায়, ডিইপিজেডের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছে বকেয়া পাওনার জন্য সোমবার দুপুরের পর তিতাস কর্তৃপক্ষ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে ডিইপিজেডের নতুন ও পুরাতন জোনের ৯০টি কারখানা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ফলে কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানাগুলোতে ছুটি ঘোষণা করে।

মঙ্গলবার সকালে ডিইপিজেডের নতুন ও পুরাতন জোনের ৯০টি কারখানার জন্য ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে আরইবি (পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি) থেকে ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে অধিকাংশ কারখানা (প্রায় ৭০ শতাংশ) চালু করা হয়েছে। এর বাইরে বাকী কারখানাগুলো নিজস্ব জেনারেটর দিয়ে উৎপাদন সচল রেখেছে। 

ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, আরইবি থেকে আরো ১০ থেকে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এদিকে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটে মঙ্গলবার ডিইপিজেডের ৫টি কারখানায় ছুটি দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। 

ইপিজেডের ডিপিজেড নির্বাহী পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে (মঙ্গলবার) সকালেও বিদ্যুৎ না পেয়ে আমাদের এখানকার পাঁচটি ফ্যাক্টরি ছুটি ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যে আরইবির সঙ্গে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেছে এবং আমরাও যোগাযোগ করে ইতোমধ্যে আরিফের নিকট থেকে ২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ইপিজেডে আনতে সক্ষম হয়েছি। ফলে ৭০ ভাগ কারখানা সচল রয়েছে। আমরা আশা করছি আরইবির নিকট থেকে আরও ১০ থেকে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা পাব। আর এটা পেলে আমাদের ভাগ কারখানা চালু হবে।

ইমতিয়াজ উল ইসলাম/মাহফুজ