
জামালপুরে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মা মঞ্জিলা বেগম জিরা (৬৫) কে ছুরিকাঘাতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার চর নাওভাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে দুপুরে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ১৫ এপ্রিল সকালে জামালপুর পৌর শহরের চন্দ্রা এলাকায় নিজ বাড়িতে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মা মঞ্জিলা বেগম জিরাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে তার বড় ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু। এ সময় গাছ ব্যবসায়ী ফরিদ মণ্ডলকেও ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়। ঘটনার পরের দিন নিহতের ছোট ছেলে
জীবন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামিকে গ্রেপ্তারে জামালপুরসহ বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালায় পুলিশ। একপর্যায়ে আজ ভোরে ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার নাওভাঙ্গা চর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
নিহত মঞ্জিলা বেগম জিরা নিজের চোখের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাতে কম্পপুর এলাকার গাছ ব্যবসায়ী ফরিদ মণ্ডলের কাছে ১৬ হাজার টাকায় নিজ বাড়ির তিনটি গাছ বিক্রি করেন এবং অগ্রীম ৯ হাজার টাকা বুঝে নেন। গত মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ফরিদ মণ্ডল (৪৫) ও তার লোকজন গাছ কাটতে আসলে বড় ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু (৪০) বাধা দেন। মঞ্জু তার মাকে বলে আরও বেশি দামে গাছ বিক্রি করা যাবে কিন্তু এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ফরিদ মণ্ডলকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে মঞ্জু। এ সময় ছেলেকে বাধা দিলে মাকেও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। পরে বাড়িতে লোকজন আসতে দেখে মঞ্জু পালিয়ে যান এবং স্থানীয়রা আহত গাছ ব্যবসায়ী ফরিদ মণ্ডলকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পরের দিন (১৬ এপ্রিল) নিহতের ছোট ছেলে জীবন থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আসিফ/মেহেদী/