ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

প্রধান উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে মৎস্য অফিস সহকারীর কোটি টাকা লোপাট

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
প্রধান উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে মৎস্য অফিস সহকারীর কোটি টাকা লোপাট
অভিযুক্ত সোনারগাঁয়ে মৎস্য কার্যালয়ের অফিস সহকারী মাহবুব আলম সুমন। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মৎস্য কার্যালয়ের অফিস সহকারী মাহবুব আলম সুমনের বিরুদ্ধে প্রধান উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ভুক্তভোগীরা সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমানের নিকট পৃথকভাবে কয়েকটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মৎস্য কার্যালয়ের অফিস সহকারী মাহবুব আলম সুমন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস প্রত্যেক দরিদ্র অসহায়দের নগদ দুই লাখ টাকা দিবে বলে জানিয়েছেন। এর জন্য দারিদ্রবিমোচন কর্মসংস্থান ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য তাকে দিতে হবে ছয় হাজার টাকা। শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে জন প্রতি ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে দিয়েছেন একটি করে ম্যাসেজ। সে ম্যাসেজে লেখা হয়েছে আপনার একাউন্টে পাঁচ হাজার টাকা জমা হয়েছে। পরে ভুক্তভোগীরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ঐ ব্যাংকে তাদের কোনো একাউন্ট নেই। যে মোবাইল নম্বর দিয়ে মেসেজ দেওয়া হয়েছে সেটাও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নয়। এভাবে তিনি একটি ইউনিয়ন থেকেই হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় ১০ লাখ টাকা। এমন করে বিভিন্ন ইউনিয়ন মিলিয়ে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। 

আরেকটি পৃথক অভিযোগ থেকে জানা যায়, পাঁচ লাখ টাকার সরকারি ঘর দিবে বলে জনপ্রতি নিয়েছে দেড় লাখ টাকা। গাভী দেওয়ার কথা বলে নিয়েছেন জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা। একই সঙ্গে মাতৃকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতার জন্য নিয়েছেন জন প্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগ পেলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। 

ভুক্তভোগী স্বর্ণা জানান, আমরা গরীব মানুষ। মাহবুব আলম সুমন মৎস্য কর্মকর্তার পরিচয়ে প্রধান উপদেষ্টার অনুদান দেওয়ার কথা বলে আমাদের থেকে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেন। আমরা তাকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। 

সনমান্দী ইউনিউনের আরেক ভুক্তভোগী তাছলিমা বেগম জানান, আমিসহ আমাদের এলাকার অনেকের থেকেই বাড়ি ও গাভী দিবে বলে প্রত্যেকের থেকে দেড় লাখ টাকা থেকে শুরু করে পঁচিশ হাজার করে টাকা নেয়। এখন অফিসে এসে জানতে পেরেছি। তিনি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। এ বিষয়ে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি। তিনি আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেছেন। 

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার জানান, ভুক্তভোগীরা আমার কাছে পূর্বেও একাধিকবার অভিযোগ নিয়ে এসেছেন। সুমনকে ৪ বার শোকজ করা হয়েছে। কিন্তু সে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে রমজান মাস থেকেই অফিসে অনুপস্থিত। এ কারণে আমি নিজেই ভুক্তভোগীদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে নিয়ে গিয়েছি।  

এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান বলেন, ভুক্তভোগী গ্রাহকদের নিকট থেকে অভিযোগ পেয়েছি সংশ্লিস্ট কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইমরান হোসেন/মাহফুজ

 

গাইবান্ধায় বাড়িতে হামলা করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৭ এএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৩ এএম
গাইবান্ধায় বাড়িতে হামলা করে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ, গ্রেপ্তার ১
ছবি: ভিডিও থেকে

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাড়িতে হামলা করে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সঞ্চয় নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের ব্যাপারীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

ছড়িয়ে পড়া ৩ মিনিট ৫ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, ২০/২২ জন যুবক দেশি অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে একটি বাড়িতে হামলা করছে। বাড়ির জানালা ও গেটে ভাঙচুরের চেষ্টা করে। এর পর কয়েকজন যুবক বাড়ির ভেতরে ঢুকে ওই শিক্ষার্থীকে টেনেহিঁচড়ে বের করছে। স্থানীয় লোকজন তাদের আটকের চেষ্টা করছেন।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  অপহরণ হওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম মাশরুবা আক্তার মিম। তার বাড়ি ব্যাপারীপাড়া। মিম আক্তার গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার গোবিন্দগঞ্জ গার্লস স্কুলকেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরেন মিম। পরে দুপুরে ২টার দিকে হঠাৎ করে সঞ্চয়সহ ২০-২২ জনের একদল যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে হামলা করে তাকে নিয়ে পালিয়ে যান।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, 'খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত ওই পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।'

রফিক/মেহেদী/

ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে সমাবেশ, আটক ৩

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১১ এএম
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে সমাবেশ, আটক ৩
ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকের চলাচল বন্ধ এবং চালকদের হয়রানির প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ থেকে আটক তিনজনের মধ্যে একজনকে প্রিজন ভ্যানে উঠানো হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকের চলাচল বন্ধ এবং চালকদের হয়রানির প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশ থেকে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। সমাবেশটি আয়োজন করেছিল ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ। 

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরের দেওয়ানহাট মোড়ে ঘটনাটি ঘটে। 

আটক তিনজন হলেন- বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার ইনচার্জ আল কাদেরি জয়, ছাত্র ফ্রন্টের নেতা মিনহাজ উদ্দিন ও রিকশাচালক মো. রুকন।

জানা গেছে, নগরের দেওয়ানহাট এলাকায় ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ’ নামক ব্যানারে একটি সমাবেশ আয়োজন করা হয়। কিন্তু পূর্বে অনুমতি না নেওয়ায় পুলিশ সমাবেশে বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেন তারা। এ সময় পুলিশ তিনজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।

ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের সচিব মনির হোসেন বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালিয়ে লাখ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। সরকার যদি এদের জন্য নিবন্ধন, লাইসেন্স ও রুট পারমিটের ব্যবস্থা করে, তাহলে যানবাহনগুলো আরও নিরাপদ ও আধুনিক করা সম্ভব। আমরা ব্যানার নিয়ে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ এসে ব্যানার কেড়ে নেয়, মাইকটাও ভেঙ্গে ফেলে। আমাদের তিনজনকে ধরে নিয়ে যায়। একজনকে আহত করে।’ 

তবে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ কাউকেই আঘাত করেনি। তারা কোন প্রকার অনুমতি ছাড়া সমাবেশ করছিল। পাশাপাশি রাস্তা বন্ধ করে দাঁড়িয়েছিল। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে। তাই আমরা তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এদের মধ্যে জয় নামক একজনের বিরুদ্ধে হালিশহর থানায় মামলা আছে। তাই তাকে ওই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকিদের বরিুদ্ধে কোন মামলা আছে কিনা যাচাই-বাছাই চলছে।’ 

তাওফিক/ 

সিলেটে ৫ মামলায় আসামি রাতে গ্রেপ্তার, দুপুরেই জামিন

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম
আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৬ এএম
সিলেটে ৫ মামলায় আসামি রাতে গ্রেপ্তার, দুপুরেই জামিন
সিলেট জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতা আন্দোলনে হামলার অভিযোগসহ ৫ মামলায় সিলেট নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকা থেকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে গ্রেপ্তার হন সিলেট জেলা অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাকারিয়া আহমদ। আটকের ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, জাকারিয়া আহমেদের নামে ৫টি মামলা রয়েছে। উনাকে গতকাল (২৮ এপ্রিল) রাতে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেন। সকালে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাকারিয়া আহমদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে হামলার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে এসএমপির বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এ ছাড়া শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি থাকার সুবাদে তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। 

তাছাড়া আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সিলেটে দাপট দেখিয়ে শ্রমিকদের ব্যবহার করে সড়ক অবরোধ করে জনভোগান্তির সৃষ্টি করতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তাওফিক/ 

অনিয়মের অভিযোগে কালাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরখাস্ত

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪১ এএম
অনিয়মের অভিযোগে কালাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরখাস্ত
অনিয়মের অভিযোগে কালাই উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাময়িক বরখাস্ত। ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ২৭টি বিদ্যালয়ের ৯৬৭ জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির মোবাইল নম্বর পরিবর্তনের অভিযোগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখান্ত করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

গত ২২ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা গেছে। ২৭ এপ্রিল মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রজ্ঞাপনটি আপলোড করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘মহাপরিচালক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রস্তাবমতে রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, কালাই-এর বিরুদ্ধে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জুলাই-ডিসেম্বর মোট ৬ মাসে উপজেলার ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৯৬৭ জন উপবৃত্তি সুবিধাভোগী অভিভাবকের মোবাইল নম্বর বেআইনিভাবে পরিবর্তনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর অনুচ্ছেদ ১২ (১) এবং সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৩৯ (১) ধারা মোতাবেক তাকে আদেশ জারির তারিখ থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। বরখাস্তকালীন রফিফুল ইসলাম শুধু খোরাকি ভাতা পাবেন।’

এ বিষয়ে কালাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যে সরকারি ওয়েবসাইটে বৃত্তির কাজ সম্পাদন করি সেই আইডি পাসওয়ার্ড কে বা কারা হ্যাক করেছে। আমি এ বিষয়ে থানায় জিডিও করেছিলাম। আমি এ ঘটনার সঙ্গে কোন ভাবেই জড়িত নই।’

সাগর/তাওফিক/ 

খাগড়াছড়িতে সরকারি ভ্যাকসিনে ২০ গরু-ছাগলের মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৮ এএম
খাগড়াছড়িতে  সরকারি ভ্যাকসিনে ২০ গরু-ছাগলের মৃত্যুর অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

গ্রামের মসজিদে মাইকিং করে গরু-ছাগলকে সরকারি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভ্যাকসিন দেওয়া গরু-ছাগলগুলো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মারা যেতে শুরু করে। ঘটনাটি খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার ১ নম্বর রামগড় ইউনিয়নের লামকুপাড়া এলাকার। ১২ দিনের ব্যবধানে এখন পর্যন্ত ১৬টি ছাগল ও চারটি গরু মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া অসুস্থ হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় রয়েছে আরও অর্ধশতাধিক গরু-ছাগল। এ ঘটনায় ওই এলাকার খামারিদের পাশাপাশি বসতবাড়িতে গরু-ছাগল পালনকারীরা আতঙ্কে রয়েছেন। ঘটনার সঠিক তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্তরা রামগড় ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জড়ো হন।

গ্রামবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, রামগড় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রুবায়েতুল ইসলামের পরামর্শে তার দুই সহকারী জামাল উদ্দিন ও রমজান গত ১৫ এপ্রিল লামকুপাড়া এলাকায় গরু ও ছাগলের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেন। ভ্যাকসিন দেওয়ার এক দিন পার হতে না হতেই গরু ও ছাগলের অসুস্থতা দেখা দেয়। এরপর এক এক করে মারা যায় গবাদি পশুগুলো। গবাদিপশু মালিকদের দাবি, এসব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল কিংবা একই সিরিজে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে। 

লুৎফর রহমান নামে স্থানীয় এক খামারি অভিযোগ করে বলেন, ‘ভ্যাকসিন দেওয়ার দুই দিন পর আমার তিনটি ছাগল ও দুটি গরু মারা যায়। পশুচিকিৎসকরা আমার খামারের আরও অন্তত ১৫টি ছাগলকে ভ্যাকসিন দিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে সবগুলো ছাগল অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমাদের গ্রামে যারা ভ্যাকসিন দিয়েছেন তাদের সবার গরু-ছাগলে একই অবস্থা।’

লামকুপাড়া গ্রামের গৃহিণী সায়েরা খাতুন বলেন, ‘আমার দিনমজুর স্বামী বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকেন। গরু-ছাগল পালন করেই আমাকে সংসার চালাতে হয়। ভ্যাকসিন দেওয়ার পর আমার তিনটি ছাগল মারা গেছে। বাড়িতে আরও তিনটি অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে।’

একই অভিযোগ করেন লামকুপাড়ার ওবায়দুল হক, আবুল কাশেম, আবদুল করিম, শান্তনু দেবী ও চিকনি ত্রিপুরার। তাদের দাবি, এ ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং দায়ীদের বিচার হোক। 

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রামগড় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. রুবায়েতুল ইসলাম বললেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘ছাগল মারা গেছে, তবে গরু মারা যাওয়ার বিষয়টি গুজব। ভ্যাকসিনের মেয়াদ ছিল। তবুও মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আক্রান্ত গবাদিপশুগুলোকে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের কোনো সুযোগ আমাদের নেই।’

রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতা আফরিন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত আমার কাছে এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’