ঢাকা ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
English

পুঁটিমাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২১ পিএম
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:২৬ পিএম
পুঁটিমাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর
থানায় আত্মসমর্পন করেন অভিযুক্ত স্বামী বাছির উদ্দিন। ছবি: খবরের কাগজ

বাজার থেকে কিনে আনা পুঁটি মাছ কাটা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যা করেছে স্বামী। স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বামী নিজেই আবার থানায় গিয়ে উপস্থিত হয়ে দেন ঘটনার বর্ণনা। শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে এমনটাই ঘটেছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বাজার এলাকার উত্তর ত্রিশ গ্রামে।

অভিযুক্ত স্বামী বাছির উদ্দিন (৩৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার সাহাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মতিনের ছেলে। নিহত স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (২৯) দেবিদ্বার উপজেলার নবীপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বাছির উদ্দিন একটি মেডিসিন কোম্পানির মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ এরিয়ার রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে চাকরি করেন। সেই সুবাদে আড়াই বছর ধরে উত্তর ত্রিশ গ্রামের আলাল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া আছেন।

শনিবার দুপুরে কোম্পানিগঞ্জ বাজার থেকে পুঁটি মাছ কিনে নিয়ে যায় বাছির উদ্দিন। সেই মাছ নিয়ে বাসায় যেতেই স্ত্রী মৌসুমী আক্তার মাছ কাটাকুটি করতে পারবে না বলে মাছ ছুঁড়ে মারেন স্বামীর ওপর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী বাছির উদ্দিন তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তারকে গলাচেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে সে নিজেই মুরাদনগর থানায় গিয়ে উপস্থিত হয়ে পুলিশকে তার স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি জানায়।

থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশকে বাছির উদ্দিন জানান, নয় বছর আগে সে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন মৌসুমী আক্তারকে। তাদের এই সংসার জীবনে রয়েছে ৪ বছর বয়সী জমজ ১টি ছেলে ও ১টি মেয়ে। সে আরও জানায়, দীর্ঘদিনের এই সংসার জীবনে তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার তাকে প্রতিনিয়ত মানসিকভাবে যন্ত্রণা দিত। তবে স্ত্রীকে হত্যার কোনো পূর্বপরিকল্পনা ছিল না তার। বাজার থেকে আনা পুঁটি মাছ যখন তার উপর ছুঁড়ে মারে সে, তখন নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গলাটিপে হত্যা করে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান জানান, শনিবার দুপুরের দিকে যখন বাছির উদ্দিন থানায় উপস্থিত হয়ে আমাকে জানায় সে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে, তখন প্রথমে আমার বিশ্বাস হয়নি। পরে খোঁজ নিয়ে জানি ঘটনা সঠিক। ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বাছির উদ্দিন থানা হেফাজতে আছে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

জহির শান্ত/মাহফুজ

 

মানিকগঞ্জে চাঁদাবাজির মামলায় ছাত্র আন্দোলনের ২ নেতা রিমান্ডে

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১০:৫৪ এএম
মানিকগঞ্জে চাঁদাবাজির মামলায় ছাত্র আন্দোলনের ২ নেতা রিমান্ডে
ছবি: সংগৃহীত

চাঁদাবাজি ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মানিকগঞ্জ শাখার দুই নেতাকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালতে তাদের হাজির করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে যাওয়া দুই নেতা হলেন- শিবালয় উপজেলার নবগ্রাম এলাকার রজ্জব মোল্লার ছেলে আশরাফুল ইসলাম রাজু এবং মানিকগঞ্জ পৌরসভার উত্তর সেওতা এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে মেহেরাব খান। তারা দুজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার মো. আনিসুর রহমান সাব্বির নামে একজন সদর থানায় চাঁদাবাজি ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ করেন। সেই মামলায় রাজু ও মেহেরাবকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়।

এ বিষয়ে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটনের জন্য তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

ঈশ্বরদীতে বালুঘাট দখল নিয়ে সংঘর্ষে সাত গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
ঈশ্বরদীতে বালুঘাট দখল নিয়ে সংঘর্ষে সাত গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মায় বালুর খাজনা আদায় ও ঘাটের দখল নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ১০ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর দক্ষিণে ঈশ্বরদী-লালপুর সীমানায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চর এলাকায় বালু ব্যবসার দখলদারিত্ব ও বালুর খাজনা আদায়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মো. কাকন ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী টনি বিশ্বাসের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত বুধবার পদ্মার চরে উভয়পক্ষের মহড়া হয়। এরপর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পদ্মার চরের ঈশ্বরদীর সীমানায় কয়েকটি ট্রলারে করে কাকন ইঞ্জিনিয়ারের লোকজন এসে বালুমহাল দখল নিতে চাইলে টনি বিশ্বাসের লোকজন সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। প্রতিরোধের মুখে এক পর্যায়ে কাকনের লোকজন সেখান থেকে ট্রলার নিয়ে চলে যান। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পদ্মার চরে আবারও দুপক্ষ অবস্থান নেয়। এ সময় আকস্মিকভাবে কাকনের লোকজন টনি বিশ্বাসের লোকজনের ওপর হামলা শুরু করলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এ বিষয়ে সুলতান আলী বিশ্বাস টনি জানান, তিনি বৈধভাবে ইজারা নিয়ে গত ১ মে থেকে নদীচর থেকে বালুর খাজনা আদায় করছেন। এরই মধ্যে বালুমহল দখল ও খাজনা আদায়ের নিয়ন্ত্রণ নিতে কাকন ইঞ্জিনিয়ার বিভিন্নভাবে হুমকি ও বাধা দেওয়া শুরু করেন। গতকাল সকালে ৩-৪টি ট্রলারে করে কাকনের লোকজন এসে তার লোকজনের ওপর হামলা চালায় ও গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন ১০ জন। গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ সেলিম হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে কাকনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি নাটোর জেলা থেকে কাকন উপজেলার সাঁড়ার নিকটবর্তী লালপুর সীমানায় পদ্মার চর এলাকায় বালুমহাল ইজারা নিয়েছেন। সেই ইজারার দখল নিতে এলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

ঈশ্বরদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বালুর ইজারা ও খাজনা আদায়ের দখলদারিত্ব নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে বিএনপি নেতার গালাগাল ও হুমকি!

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১০:৩৫ এএম
আপডেট: ২৩ মে ২০২৫, ১০:৪৬ এএম
স্কুলে ঢুকে প্রধান শিক্ষককে বিএনপি নেতার গালাগাল ও হুমকি!
ছবি: খবরের কাগজ

ঝালকাঠির নলছিটিতে এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) খাদিজা বেগমকে স্কুল চলাকালীন সময় শিক্ষক রুমের সামনে অশ্লীল গালাগাল ও হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদ হোসেন খানের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে ) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। 

এর আগে বুধবার (২১ মে) বিকেল  তিনটার দিকে উপজেলার পশ্চিম সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। 

তিনি জানান, সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শহিদ হোসেন খান এদিন বিকাল তিনটায় স্কুলে এসে শিক্ষক রুমে ঢুকে অন্য শিক্ষকদের সামনে স্কুলের উন্নয়নের জন্য সরকারি বরাদ্দকৃত টাকার হিসাব ও খরচের বিল-ভাউচার দেখতে চান। এ বছর স্লিপে ভ্যাট দেওয়ার পর প্রধান শিক্ষক ২৯ হাজার টাকা হাতে পেয়েছেন এবং এ টাকা দিয়ে তিনি স্কুলে রং করণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করেছেন যা স্কুলের সভাপতি জানেন। এ কথা জানানো হলেও ওই বিএনপি নেতা কিছু শুনতে নারাজ।
তিনি প্রধান শিক্ষককে বলেন, তুই টাকার হিসেব দে এবং বিল-ভাউচার দেখা। একই সময় তিনি তাকে বিভিন্ন অশ্লীল গালাগাল করেন এবং মারতে উদ্ধত হন ও হুমকি ধামকি দেন। ওই বিএনপি নেতা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবক বা কমিটির কোনো সদস্য নন। তিনি আমার কাছে কোনো হিসাব চাইতে পারেন না এবং আমার সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণও করতে পারেন না বলেও জানান প্রধান শিক্ষক। কিন্তু তিনি সেটা করেছেন। 

প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম বলেন, বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান স্যারকে জানিয়েছি। নারীর মর্যাদা রক্ষায় আমি প্রশাসন এবং বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে এর বিচার দাবি করছি।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, 'ম্যাডাম ( প্রধান শিক্ষিকা) স্লিপের বরাদ্দের টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কাজ করেছেন।' 

অন্য শিক্ষকরা জানান, বিএনপি নেতা শহিদ খান স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা করেন। তবে তারা বিস্তারিত বলতে ভয় পাচ্ছিলেন।

উপজেলা সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, বুধবার বিকেলে প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম কান্নাকাটি করে আমাকে জানিয়েছেন, ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাকি স্কুলে গিয়ে বিভিন্ন কাজের হিসাবনিকাশ চেয়েছেন এবং তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। আমার কাছে ওই প্রধান শিক্ষক তাকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। আমি বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ম্যাডামকে জানানোর জন্য বলেছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। 

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা শহীদ হোসেন খান বলেন, বিদ্যালয়টি আমার বাড়ির দরজায়। আমিতো সেখানে যাই। ওই প্রধান শিক্ষক যা বলেছেন, তা মিথ্যা ও বানোয়াট । তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে আছে।

সুইট/মেহেদী/

ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দির মৃত্যু

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১০:০১ এএম
ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দির মৃত্যু
ছবি: খবরের কাগজ

ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারে নূরনবী হক জিসান (২৬) নামে এক বন্দির মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুর আড়াইটায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মারা যাওয়া নূরনবী হক জিসান ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পালপাড়া গ্রামের মৃত নজরুল হকের ছেলে। তিনি ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, জিসান গ্রেপ্তার হওয়ার পর চলতি বছরের ২৮ মার্চ থেকে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে কারাগারের ভেতরের ওয়ার্ডে সিঁড়ির রেলিং থেকে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পায় জিসান। এমতাবস্থায় কারাগারের চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের ৮নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর আড়াইটায় মারা যান জিসান।

তিনি বলেন, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আগে থেকে কোনো রোগে আক্রান্ত কিনা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে জানা যাবে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মিন্টু/মেহেদী/

একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন ময়মনসিংহের তানজিলা

প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ০৯:৫০ এএম
একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন ময়মনসিংহের তানজিলা
ছবি: খবরের কাগজ

ময়মনসিংহে তানজিলা আক্তার (২৫) নামে এক নারী একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। এ ঘটনায় তার পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে।

বুধবার (২১ মে) দুপুর দুইটার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর ব্রাহ্মপল্লী এলাকার হেলথ কেয়ার হাসপাতাল নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিজারের মাধ্যমে তাদের জন্ম হয়।

তানজিলা আক্তার জেলার তারাকান্দা উপজেলার রায়পুর গ্রামের মো. নূরুল ইসলামের স্ত্রী।

একসঙ্গে জন্ম হওয়া চার সন্তানের মধ্যে দুইটি ছেলে ও দুইটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। ছেলে সন্তানদের মধ্যে একজনের নাম রাখা হয়েছে মোহাম্মদ ইশরাক ও অপরজনের নাম রাখা হয়েছে মো. আল-ই-হাসান। তবে দুই মেয়ের নাম এখনো ঠিক করা হয়নি।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কনসালেটেন্ট ডাক্তার দেলোয়ারা পারভীন ডলি তানজিলা আক্তারের সিজার সম্পন্ন করেন।

তিনি বলেন, একসঙ্গে ৪ সন্তান জন্মের ঘটনাটি ব্যতিক্রম। মাসহ চার সন্তান সুস্থ রয়েছে।

তানজিলার মা নূরজাহান বেগম বলেন, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে নারায়ণগঞ্জের চাসাড়া এলাকার কসমেটিক ব্যবসায়ী নূরুল ইসলামের সঙ্গে গত ৫ বছর আগে বিয়ে হয় তানজিলার। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও তাদের সন্তান না হওয়ায় অনেকবার চিকিৎসকের কাছে গিয়েছে। কিন্তু কোন ফল হয়নি। অবশেষে আল্লাহর রহমতে এ বছর তানজিলা অন্তঃসত্ত্বা হলে চিকিৎসক জানিয়েছে তার পেটে ৪টি বাচ্চা রয়েছে। এর পর বুধবার প্রসব ব্যথা নিয়ে এই হাসপাতালে তানজিলাকে ভর্তি করা হয়। সুস্থ অবস্থায় চার সন্তান হওয়ায় আমরা খুব খুশি।

এ বিষয়ে হেলথ কেয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শ্রী রঞ্জণ নন্দী বলেন, ভর্তি করার পর থেকেই তাকে অত্যন্ত যত্নশীল ও সাবধানতার সঙ্গে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে সিজার করা হয়। বর্তমানে তারা আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মিন্টু/মেহেদী/