ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

দুধ কিনতে না পেরে সন্তানকে বিক্রি

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০২ পিএম
দুধ কিনতে না পেরে সন্তানকে বিক্রি
ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে দুধ কিনতে না পেরে মাত্র ২০ হাজার টাকায় নিজের সন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে আশামনি খাতুন (২৫ নামে এক নারীর বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি বিষয়‌টি জানাজানি হয়। 

জানা গেছে, আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি গ্রামের সৈয়দ আলী সরদারের ছেলে শামীম হোসেনের (২৮) চতুর্থ স্ত্রী আশামনি খাতুন সুচিকিৎসা ও দুধ কিনতে না পেরে ১৪ দিনের নবজাতক খাদিজা খাতুনকে বিশ হাজার টাকায় এক চা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আশামনি জানান, জানুয়ারি মাসের ১৬ তারিখে স্থানীয় কুল্যার মোড়ের একটি ক্লিনিকে দ্বিতীয় সন্তান প্রসব করেন তি‌নি। ক্লিনিকের খরচ, বাচ্চার ওষুধ ও দুধ কিনতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে নিজের নবজাতক শিশু খাদিজাকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে আশাশুনির তেঁতুলিয়া গ্রামের চা বিক্রেতা নিঃসন্তান রবিউল-কাজল দম্পতির কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। 

আশামনি বলেন, ‘এ কাজ করেছি আমার সন্তানের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য।’ 

এ বিষয়ে ওই নবজাতকের কিনে নেওয়া চা বিক্রেতা রবিউলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার স্ত্রী কাজল বলেন, ‘আমরা দরদাম করে কয়েকজন সাক্ষীর সামনে শর্ত দিয়ে টাকার বিনিময়ে বাচ্চাকে কিনে নিয়েছি। বাচ্চার টিকা কার্ডে পিতামাতার নামের স্থানে আমার স্বামী ও আমার নাম দিয়েছি। জন্ম নিবন্ধন সনদে তার নাম রাখা হয়েছে ফারিয়া জান্নাতুল। সে আমাদের পরিচয়ে পরিচিত হবে।’

এলাকাবাসী জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলার ভালুকা চাঁদপুর কর্মকারপাড়ার জনৈক আফসার আলীর বাড়িতে ৫ম স্ত্রী হোসনেআরা খাতুনকে নিয়ে রাতযাপন করছিলেন আশামনির স্বামী ডিপ টিউবওয়েল মিস্ত্রী শামীম হোসেন। মাঝেমধ্যে তিনি ইটভাটায়ও কাজ করেন। স্বামীর ৫ম বিয়ের খবর শুনে শুক্রবার ভোরে খোঁজ নিতে ভালুকা চাঁদপুর গ্রামে আসেন আশামনি খাতুন। সেখানে স্বামী ও তার ৫ম স্ত্রী হোসনেআরার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তার। এ সময় শামীম ও আশামনি বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হলে সুকৌশলে পালিয়ে যান ৫ম স্ত্রী হোসনেআরা খাতুন। এর পরপরই শিশুটিকে বি‌ক্রির বিষয়‌টি জানাজানি হয়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেখানে যান সেখানেই বিয়ে করেন শামীম। ২০১৬ সালে তিনি তালা উপজেলার লাউতাড়া গ্রামে সামাজিকভাবে বিয়ে করলেও সে বিয়ে টেকেনি। এর পর উপজেলার বদরতলায় টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ করতে গিয়ে বাড়ির মালিকের স্ত্রীকে নিয়ে পালান। পরে ওই নারীকে বিয়ে করেন তিনি। সে বিয়েও টেকেনি। 

পরবর্তীকালে নিজের চাচাতো বোন বিলকিস খাতুনকে বিয়ে করেন শামীম। বিলকিসকে নিজ বাড়িতে রেখে ইটভাটায় কাজ করতে গিয়ে শামীম আশামনিকে বিয়ে করেন। পরে শামীমকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যান বিলকিস। 

আশামনি জানান, তার গর্ভে সন্তান থাকাকালীন বদরতলায় টিউবওয়েল স্থাপনের কাজ করতে গিয়ে ছয়মাস আগে হোসেনেআরাকে বিয়ে করেছেন শামীম। এর পর থেকে সন্তানদের নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন কর‌ছিলেন তি‌নি।

জাকির/মেহেদী/

সাতকানিয়ায় বন্যহাতির তাণ্ডবে অসহায় কৃষক, নীরব বনবিভাগ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম
সাতকানিয়ায় বন্যহাতির তাণ্ডবে অসহায় কৃষক, নীরব বনবিভাগ
বন্যহাতির তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত আম বাগান। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মাদার্শা ইউনিয়নে ১২টি বন্যহাতি তাণ্ডব চালাচ্ছে। তাদের তাণ্ডবে কৃষকরা অসহায় হয়ে পড়েছেন। এরই মধ্যে কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বন্যহাতির ওই পালটি পাহাড় থেকে লোকালয়ে প্রবেশ করে প্রায় দুই একর সবজি খেত ও এক একর আম বাগান নষ্ট করে পুনরায় পাহাড়ে ফিরে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বাগান মালিকরা। 

এ ছাড়াও বন্যহাতির পালটি মাদার্শা ইউনিয়নের এয়াজের পাড়া, কামারপাড়া ও বড়ডেবা গ্রামে প্রায় সময় তাণ্ডব চালিয়ে ফসলের ও ফলের বাগানের ব্যাপক ক্ষতি করছে। এক্ষেত্রে বনবিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি জেনেও এক প্রকার নীরব ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা।

স্থানীয়রা জানায়, ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে বন্যহাতির পালটি পাহাড় ছেড়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এসময় তারা একের পর এক তাণ্ডব চালাচ্ছে। ফসল ও ঘরবাড়ি রক্ষায় পাহারা বসিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন সেখানকার কৃষকরা। সোমবার সন্ধার দিকে বন্যহাতির পালটি জাগির হোসেন নামের এক কৃষকের ফসলি জমিতে তাণ্ডব চালায়। পরে তার গোয়ালঘরে আক্রমণেরও চেষ্টা করে।

এসময় বেশ কয়েকজন কৃষকের প্রায় দুই একর সবজি খেতের ফসল নষ্ট করে দেয়। এলাকাবাসী মশাল ও টর্চলাইট জ্বালিয়ে এগিয়ে আসলে বন্যহাতির পালটি পাহাড়ে ফিরে যায়।

মাদার্শা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কামারপাড়ার কৃষক জাগির হোসেন বলেন, ১২টি বন্যহাতি বেশ কিছুদিন ধরে মাদার্শা ইউনিয়নের এয়াজেরপাড়া ও কামারপাড়ার পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে অবস্থান করছে। সোমবার সন্ধ্যায় বন্যহাতির পালটি আমার লাউ, শসা ও কাঁকরোল খেত নষ্ট করে দিয়ে গোয়ালঘর পর্যন্ত চলে আসে। এতে আমার তিন লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। বন্যহাতির বিষয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের জানালেও কোনো কাজ হয় না। 

একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের এয়াজের পাড়ার কৃষক মো. সায়েম বলেন, বন্যহাতির পাল এখন মশাল ও মানুষ দেখে ভয় পায় না। বিভিন্ন কৌশলে ভয় দেখালেও কাজ হয় না। আমরা এখন বন্যহাতির কাছে নিরুপায় হয়ে গিয়েছি। সম্প্রতি আমার এক একর আম বাগান নষ্ট করে দিয়েছে। বনবিভাগ এ বন্যহাতির পালটিকে পাহাড়ে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। যার কারণে আমরা প্রতিবার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আওতাধীন মাদার্শা রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, বন্যহাতি তার নিজের গতিতে পাহাড়ে অবাধ বিচরণ করছে। খাদ্যের সন্ধানে মাঝেমধ্যে লোকালয়ে আসতেই পারে। তবে কৃষকদের ফসলি ক্ষেতে তাণ্ডব চালাচ্ছে এ বিষয়ে কেউ আমাকে জানায়নি। সরকারি বনাঞ্চলের বাইরে লোকালয়ে বন্যহাতির তাণ্ডব কিংবা আক্রমণে কারও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হলে নিয়ম অনুযায়ী বনবিভাগ বরাবর আবেদন করলে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

মো. আরিফুল ইসলাম/মাহফুজ

 

দিনাজপুরের মোস্ট ওয়ান্টেড ডাকাত মুসা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
দিনাজপুরের মোস্ট ওয়ান্টেড ডাকাত মুসা গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

দিনাজপুরে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ও হত্যাসহ ২০ মামলার পলাতক আসামি মো. মুসাকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া তার কাছ থেকে একটি চাপাতি ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে দিনাজপুর পুলিশ সুপার মারুফাত হোসেন মারুফ লিশ সুপার কার্যালয়ে ব্রিফিংকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত মো. মুসা এলাকায় মুসা ডাকাত হিসেবে পরিচিত। সে দিনাজপুর সদর উপজেলার বড়ইল (চেহেলগাজী মাজার সংলগ্ন) এলাকার মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ সুপার মারুফাত হোসেন মারুফ বলেন, ‘দিনাজপুর শহরের কলেজমোড় হতে বাঁশের হাট এলাকায় মাদক, চুরি-ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপকর্ম চালাতেন মুসা। এলাকায় তার কিছু অনুসারীও রয়েছে। বিশেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজ ও হাবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছিনতাই করতেন মুসা। সম্প্রতি তিনি আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে একটি শক্তিশালী টিম গঠন করেছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে সোমবার (২ জুন) রাত সাড়ে তিনটায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ ২০টি মামলা রয়েছে। তাকে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে একইসঙ্গে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, মুসা ডাকাতের অনুসারীসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সমস্ত অপরাধীদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।

মেহেদী/

ঈদে সোনামসজিদ স্থলবন্দর ১০ দিন বন্ধ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
ঈদে সোনামসজিদ স্থলবন্দর ১০ দিন বন্ধ
ছবি: খবরের কাগজ

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর। এ সময় বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানিসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে আগামি ১৫ জুন থেকে আবারও সচল হবে। 

মঙ্গলবার (৩ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংকের ব্যবস্থাপক মাঈনুল ইসলাম। তবে স্বাভাবিক থাকবে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার।

ব্যবস্থাপক মাঈনুল ইসলাম বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভারত থেকে আগামী ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত আমদানি বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে কোনোপণ্য রপ্তানি করা হবে না। ফলে ১০ দিন বন্দরটির আমদানি-রপ্তানিসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে আবার ১৫ জুন থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক হবে।

পাসপোর্টধারীরা পারাপারের বিষয়ে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন উপপরিদর্শক মো. জামিরুল ইসলাম বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এই চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে। পাসপোর্টধারীরা নির্বিঘ্নে পারাপার হতে পারবেন।


মো. আসাদুল্লাহ/মাহফুজ

 

শাহরাস্তিতে ১০ মাস পর আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উত্তোলন

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
শাহরাস্তিতে ১০ মাস পর আওয়ামী লীগ নেতার মরদেহ উত্তোলন
ছবি: খবরের কাগজ

মৃত্যুর ১০ মাস পর চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে আদালতের নির্দেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সূচীপাড়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা কামাল মজুমদারের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে উপজেলার ওই ইউনিয়নের শোরসাক মজুমদার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার থানা পুলিশের সহযোগিতায় এ মরদেহ উত্তোলন করেন। 

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ গভীর রাতে বাড়ির পাশ্ববর্তী ডোবার পানিতে ডুবে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পরদিন ৬ আগস্ট বাড়ির পার্শ্ববর্তী ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে দাফন করা হয়। মৃত্যুর ৬ মাস পর গত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে মোস্তফা কামালের স্ত্রী ফাতেমা কামাল বাদী হয়ে শাহরাস্তি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার বাদী ফাতেমা কামালের দাবি, তার স্বামীকে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা সংঘবদ্ধভাবে বাড়িতে হামলা করে হত্যা করেছে। দেশের তৎকালীন পরিস্থিতি ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি তার স্বামী হত্যার বিচার দাবিতে দেরিতে আইনী পদক্ষেপ নিয়েছেন। 

নিহতের ভাই হুমায়ূন কবির মজুমদার জানান, আমার ভাইয়ের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে চাই। নিরপরাধ কেউ যেন এ ঘটনায় হয়রানির শিকার না হয়, প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল বাসার জানান, নিহত চেয়ারম্যানের স্ত্রীর দায়ের করা মামলা ও আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার জানান, আদালতের নির্দেশে সূচিপাড়া উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মজুমদারের মরদেহ উত্তোলন করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ/

 

কারখানার ১২৩ রোল কাপড় চুরি, গ্রেপ্তার ৫ কর্মকর্তারা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:২৯ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম
কারখানার ১২৩ রোল কাপড় চুরি, গ্রেপ্তার ৫ কর্মকর্তারা
গ্রেপ্তার ৫ আসামি। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে চীন থেকে আমদানি করা ১২৩ রোল নিট কাপড় একটি পোশাক কারখানার গোডাউন থেকে চুরি হওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে। কাপড়গুলোর আনুমানিক মূল্য ২৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। একইসঙ্গে ৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ওই কারখানার কর্মকর্তা ও কর্মচারী। 

সোমবার (২ জুন) রাত দেড়টায় আসামিদের গ্রেপ্তার ও চুরি হওয়া কাপড় উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ওসি মুহাম্মদ সুলাইমান। 

থানা সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মে রাত ৮টায় পাঁচলাইশ থানাধীন শাহ-নূর মার্কেটের তৃতীয় তলার পূর্ণা ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানার গোডাউন থেকে কারখানার ডিরেক্টরের অনুপস্থিতিতে কাটিং ম্যানেজার নুর নবী ওরফে মিজান (৪০), স্টোর ম্যানেজার সাইমুম ইসলাম (৪৮), সহকারী স্টোর কিপার মো. মহিউদ্দিন রাকিব (২৬) ১২৩ রোল কাপড় চুরি করে নিয়ে যায়। যার দাম ২৫ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এই কাজে সহযোগিতা করে চুরির পরামর্শকারী মো. বিল্লাল হোসেন (৩৪) ও মো. হাসান (৩২)। তারা তাদের ব্যবহৃত পিকআপ দিয়ে সেগুলো সরিয়ে নেয় এবং বিক্রি করে দেয়। 

এ ঘটনায় কারখানার মালিক গোলাম রাব্বানী বাদী হয়ে মামলা করেন। তারই প্রেক্ষিতে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় একটি টিম অভিযান চালিয়ে সোমবার রাতে নগরের আতুরার ডিপো থেকে প্রথমে মহিউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর বিল্লালকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

উদ্ধার করা পিকআপ ও কাপড়ের রোল। ছবি: সংগৃহীত

পরে জানা গেছে, রোলগুলোর মধ্যে ৬৪ রোল বায়েজিদের বিডি জুট ফ্যাশনে ও ৫৯ রোল নারায়ণগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর কাছে আসামি হাসানের মাধ্যমে বিক্রি করেছে। একই রাতে হাসানকে বায়েজিদ বোস্তামীর বাংলাবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আসামি মোরশেদ আলম ও আবু রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বিডি জুট ফ্যাশন কারখানার গোডাউন থেকে ৬৪ রোল নিট কাপড় উদ্ধার করা হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ সদরের উকিল পাড়ার ‘মোহাম্মদ ট্রেডার্স’ থেকে ৫৯ রোল কাপড়ও উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে একটি কাভার্ডভ্যান (চট্টমেট্রো-ম-৫১০৮-২৭) জব্দ করা হয়। 

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- ভোলা জেলার তজিমুদ্দিন থানার মো. মহিউদ্দিন রাকিব, পাঁচলাইশের মো. বিল্লাহ হোসেন, বাকলিয়ার বউ বাজার মাস্টারপুল এলাকার মো. হাসান, কুমিল্লার মুরাদনগর চালিয়কান্দির মো. মোরশেদ আলম ও নেত্রকোণার পূর্বধলা থানার বইর আটি ইউনিয়নের আবু রায়হান। 

আসামিদেরকে মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পাঁচলাইশের ওসি মুহাম্মদ সুলাইমান।

মনির/মাহফুজ/