ঢাকা ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫
English

উৎস ব্লক ফ্যাক্টরি ও রাজশাহী ব্লকটেকের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৯ পিএম
উৎস ব্লক ফ্যাক্টরি ও রাজশাহী ব্লকটেকের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত
ছবি: খবরের কাগজ

দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগ্রুপ নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এবার নির্মাণখাতে অবদান রাখতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক পরিবেশবান্ধব ও টেকসই প্রযুক্তিতে নির্মাণের আধুনিক উপকরণ হিসেবে উন্নতমানের ব্লক তৈরি করছে। এর ফলে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইটভাটার কার্যক্রম কমে আসবে। নির্মাণখাতে তৈরি হবে যুগান্তকারী প্রযুক্তি।

এ লক্ষ্যে সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে নাবিল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান উৎস ব্লক ফ্যাক্টরি ও রাজশাহী ব্লকটেক-এর মাঝে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।  

ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত এ চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে নাবিল গ্রুপের পক্ষে স্বাক্ষর করেন উৎস ব্লক ফ্যাক্টরির স্বত্বাধিকারী ইসরাত জাহান। অপরদিকে রাজশাহী ব্লকটেকের পক্ষে সমঝোতা স্মারকের স্বাক্ষর করেন স্বত্বাধিকারী মশিউল আলম।

এ সময় তারা বলেন, পরিবেশ রক্ষায় নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে ব্লক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। সরকারি স্থাপনা নির্মাণকাজেও ব্লক ইটের ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব ও উন্নত প্রযুক্তির হওয়ায় ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ব্লক। কাজেই এখন ব্যক্তিগত স্থাপনা নির্মাণখাতেও ব্লকের বিপুল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই এ দুটি প্রতিষ্ঠান এক হয়ে দেশের ব্লক তৈরির বাজারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে চায়।

এনায়েত করিম/মাহফুজ

জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতা পিয়াল হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতা পিয়াল হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার সোহেল রানা। ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটে শহর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বিপ্লব আহমেদ পিয়াল হত্যা মামলার মূল আসামি সোহেল রানাকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। রবিবার (১ জুন) গভীররাতে র‌্যাব-৫ ও র‌্যাব-১১ যৌথ অভিযান চালিয়ে নোয়াখালীর সুধারাম পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। 

সোমবার (২ জুন) বিকেলে জয়পুরহাট র‌্যাব ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার সোহেল রানা জয়পুরহাট পৌর শহরের আদর্শপাড়া (ইসলামনগর) এলাকার ছামছুদ্দীন মন্ডল চানুর ছেলে।

জানা গেছে, পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২৮ মে আসামিরা ছাত্রদল নেতা পিয়ালকে শহরের ইসলামনগর এলাকায় ছুরিকাঘাত করে। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় পিয়ালের মা ইতি আক্তার বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

মামলার পর ঘটনার অন্যতম হোতা সোহেল রানা গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকা থেকে বাসযোগে নোয়াখালী যাওয়ার সময় সোমবার রাত দেড়টার দিকে র‌্যাব-৫ ও র‌্যাব-১১ যৌথ অভিযানের মাধ্যমে সুধারাম পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা হতে সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে তাকে জয়পুরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে।

সাগর কুমার/মাহফুজ

 

তিস্তার পানি বাড়ায় চরাঞ্চলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, দুশ্চিন্তায় কৃষক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
আপডেট: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:৫৯ পিএম
তিস্তার পানি বাড়ায় চরাঞ্চলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, দুশ্চিন্তায় কৃষক
তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে পাকা ধান ক্ষেত পানির নিচে। ছবি: খবরের কাগজ

উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বর্ষণে হঠাৎ করেই তিস্তা নদীর পানি বিপজ্জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লালমনিরহাট জেলার তিস্তা তীরবর্তী বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির তোড়ে ডুবে গেছে বাদাম, ভুট্টা, পাট ও ধানের মাঠ। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা।

পানি হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় অনেক জমির ফসল কাটার উপযুক্ত সময় হলেও তা ঘরে তোলার আগেই প্লাবিত হয়ে যায়। এতে করে সবজি ও শস্য ঘরে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছেন কৃষকরা। তারা এখন নৌকা ও অন্যান্য উপায়ে ক্ষতিগ্রস্ত জমি থেকে ফসল উদ্ধারে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জেলার বিভিন্ন এলাকায় একই অবস্থা দেখা গেছে। নদী তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার চরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। কোথাও কোথাও পাট, ভুট্টা, ও বাদাম তলিয়ে যাওয়ায় গাছ পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

হঠাৎ পরিস্থিতিতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষক পরিবারগুলো। বীজ, সার ও জমি চাষে নেওয়া ঋণ মেটানো তো দূরের কথা, অনেকে তাদের শেষ সম্বল ফসলটুকুও রক্ষা করতে পারছেন না। এখনই সরকারিভাবে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করা না হলে এই এলাকার কৃষকদের পুনরুদ্ধার দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার হয়ে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

মহিষখোচার গোবর্ধন এলাকার কৃষক আবুল হোসেন বলেন, ‘আমার দুই একর জমিতে ভুট্টা ছিল। কাটার সময় হয়েছিল, কিন্তু হঠাৎ পানি এসে সব ভাসিয়ে নিয়ে গেল। এখন আর কিছুই করার নাই। নৌকা দিয়ে যা পারি তুলে নিচ্ছি।’

আরেক কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘আর ১৫-২০ দিন সময় পেলেই বেশিরভাগ ফসল ঘরে তুলতে পারতাম। হঠাৎ করে বন্যায় হয়েছে তাই বেশি ক্ষতির আশঙ্কা করছি। শেষ সময়ে এসে পানি পাইলে ফসল নস্ট হয়ে যাবে।’

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন বলেন, ‘ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে। এ বছর বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ায় এ বন্যা দেখা দিয়েছে। আমরা পরবর্তীতে ক্ষতি নিরুপণ করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা ও ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।’

তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডও রয়েছে সতর্ক অবস্থানে। বোর্ডের লালমনিরহাট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, শুষ্ক মৌসুমে যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছিল, সেখানে প্রতিরক্ষা কাজ আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে। জরুরি দুর্ঘটনা মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী তিনদিন তিস্তায় পানি কিছুটা বাড়ন্ত থাকতে পারে।

এমআই বকুল/মাহফুজ

ধামরাইয়ে নিজ ঘর থেকে মা ও ২ ছেলের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম
ধামরাইয়ে নিজ ঘর থেকে মা ও ২ ছেলের মরদেহ উদ্ধার
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকার ধামরাইয়ে নিজ বসতঘর থেকে দুই ছেলে ও তাদের মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা। 

সোমবার (২ জুন) দুপুর তিনটার দিকে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত গ্রামে নিজ বসত ঘর থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী নারগিস আক্তার (৪০), বড় ছেলে শামীম (১৬) ও ছোট ছেলে সোলাইমান (৮)। 

নিহত নারগিস আক্তারের মেয়ে নাসরিন আক্তার বলেন , প্রতিদিনের মতো মা দুই ভাইকে নিয়ে রাতে ঘুমাতে যান। পরে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও কেউ তাদের কোনো সারা শব্দ পায়নি। আমি সকাল থেকেই মাকে ফোন দিলেও কেউ ফোন রিসিভ করেননি। পরে আমি শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করার পরও তাদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের ঢুকে দেখি মা দুই ভাইয়ের নিথর দেহ বিছানার উপর পড়ে আছে। তাদের কোনো সাড়াশব্দ নেই। তিনজনই অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে । একপর্যায়ে তাদের  মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়। বিষয়টি ধামরাই থানা পুলিশকে জানালে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা জানান, নারগিস আক্তার ও তার দুই ছেলে ভালো মানুষ ছিল। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম বইছে। 

ধামরাই থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বলেন, মাসহ দুই ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে নিজেরাই বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের পর সত্যিটা জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 

রুহুল আমিন/মেহেদী/

আখাউড়ায় বন্যায় এখনও পানিবন্দি ৪৫০ পরিবার

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:২৯ পিএম
আখাউড়ায় বন্যায় এখনও পানিবন্দি ৪৫০ পরিবার
ছবি: খবরের কাগজ

টানা বর্ষণ এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার কোনো উন্নতি হয়নি। দ্বিতীয় দিনের মতো ভারী বর্ষণ ও ঢলের পানি নামা অব্যাহত থাকায় সোমবার (২ জুন) সকাল থেকে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত উপজেলার মোগড়া, মনিয়ন্দ ও দক্ষিণ আখাউড়া ইউনিয়নের অন্তত ১৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। 

ত্রিপুরা এলাকার পাহাড়ি ঢলের পানি আখাউড়া স্থলবন্দরের যাওয়ার বঙ্গেরচর এলাকায় সড়কটি দিয়ে অতিক্রম করছে। এতে আশপাশের খালগুলো পানিতে টইটুম্বুর। এখনও পর্যন্ত ৪৫০টি পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। তবে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

আখাউড়া স্থলবন্দরের মৎস্য রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, বন্যার কারণে এখন পর্যন্ত রপ্তানিতে কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি। ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপারও স্বাভাবিক রয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পানি উন্নয়ন নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান জানান, ত্রিপুরায় হাওরা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে অতিক্রম করছে। আর সেই পানি বাংলাদেশে ধেয়ে আসছে। ইটনা-কর্নেল বাজারের বাঁধগুলো এখন পর্যন্ত সুরক্ষিত রয়েছে।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিএম রাশেদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, পানিবন্দি হয়ে পড়া পরিবারগুলোর জন্য নিকটস্থ বিদ্যালয়গুলোতে ১১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানিবন্দি ৫০টি পরিবারকে আশ্রয়ণকেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া তাদের কাছে শুকনো খাবার পোঁছানোর চেষ্টা চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। 

জুটন বনিক/মাহফুজ

 

বাগেরহাট ৪ আসনের চাঁদাবাজ-দখলবাজদের প্রতিহত করার আহ্বান কাজী মনিরের

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
বাগেরহাট ৪ আসনের চাঁদাবাজ-দখলবাজদের প্রতিহত করার আহ্বান কাজী মনিরের
ছবি: খবরের কাগজ

মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলার নব্য চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের প্রতিহত করতে বিএনপির নেতা-কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাগেরহাট-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী কাজী মনিরুজ্জামান মনির।

নব্য চাঁদাবাজ-দখলবাজদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করে চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য করছে। এদের বিরুদ্ধে সবাই মিলে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। সম্মিলিতভাবে এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ নব্য এরশাদ শিকদারকে প্রতিহত করব, ইনশাআল্লাহ। 

সোমবার (৩ জুন) মোড়েলগঞ্জে মীম কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।  

জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে কাজী মনির বলেন, জিয়াউর রহমানের বিকল্প কেবল জিয়াই। স্বাধীনতার ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন নির্লোভ নিরহংকার, দেশপ্রেমিক। তিনি বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি, বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গার্মেন্টস ও বিভিন্ন খামার করেছেন। তিনি যে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া মানুষের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন, তার প্রমাণ তার মৃত্যুর পর বৃহৎ জানাজার নামাজ। এছাড়া ইরাক ও ইরানের মধ্যকার যুদ্ধ মীমাংসাকারী, মুসলমানদের বিচারলায় আরাফা ময়দানে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিম গাছ রোপন করেছেন, যা সৌদিবাসী সারজাতুল জিয়া বলেন। 

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারপ্রধান অসত্য ও ভুল ম্যাসেস দিচ্ছেন। দেশে শুধু একটি দল নয়, দেশে ৪৬ দল নিবন্ধিত দলসহ ৫৩টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়।  

কাজী মনির বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই সরকারকে চাঁদাবাজ-দখলবাজ সন্ত্রাসীদের আইনি ব্যবস্থা নিতে বললেও নিচ্ছেন না। তবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে যারা লিপ্ত হয়েছে তাদেরেকে বহিষ্কার করছেন। তিনি এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। মোড়েলগঞ্জে বিগত সময়ে বিএনপি নামধারী আওয়ামী দোসর হেলিকপ্টারে আসা যাওয়া করতো, আর সামনে পেছেন পুলিশ ও র‍্যাব থাকতো। তার চারদিকে ছিল ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। তারই নেতৃত্বে সর্বত্র চাঁদা-দখল বাণিজ্য সহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে।

খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম (ভার্চুয়ালি), বিএনপি নেতা অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল, মনিরুল হক ফরাজী, অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আল আজাদ, অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ফকির, বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন তালুকদার প্রমুখ। 

শফিকুল ইসলাম