
নেত্রকোনা জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর এবং ভেটেরিনারি হাসপাতালে ১১টি পদের মধ্যে ৬টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকায় অফিস সহকারীকে দিয়ে গবাদিপশুর কৃত্রিম প্রজনন করা হচ্ছে। এতে গরুর প্রকৃত প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের উপসহকারী প্রাণিসম্পদ কৃত্রিম প্রজনন কর্মকর্তার পদ শূন্য রয়েছে। এ জন্য বাধ্যতামূলকভাবে অফিস সহকারী কামরুল ইসলামকে দিয়ে দৈনন্দিন কৃত্রিম প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এটি পশু স্বাস্থ্যের জন্য অনেক সময় হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের একাধিক কর্মচারী জানান, কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ১১ পদের মধ্যে কর্মকর্তাসহ ৬টি প্রয়োজনীয় পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এতে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা প্রাণীর প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় দিন দিন বাড়ছে হাঁস-মুরগি পালনের খামার। বাড়ছে গবাদিপশুর খামারের সংখ্যা।
হাসপাতালটিতে জনবল নিয়োগ না দেওয়ায় প্রয়োজনীয় প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা মিলছে না। ছুটির দিন ছাড়া প্রায়ই অন্তত ৩০টি গবাদিপশুর প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন মালিকরা। জরুরি অবস্থায় অফিস সহকারীর পরামর্শ নিয়ে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা চালানো হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন রোগে গবাদিপশু আক্রান্ত হলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। অনেক হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু আক্রান্ত হয়ে মারা যায় বলে অভিযোগ করেছেন তারা। আর অনেক ক্ষেত্রে বারবার বীজ গ্ৰহণ করার পরও গাভি গর্ভধারণ করতে পারে না।
কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের কর্মকর্তা ডা. মতিয়র রহমান জানান, উপজেলা হাসপাতালে সৃষ্ট পদের ১১টির মধ্যে ৬টি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। ফলে দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রেগুলার কমপক্ষে ২৯-৩০টি গাভিকে বীজ প্রদান করতে হয়। এ জন্য অফিসের সহকারী সহযোগিতা করেন। তবে সব ধরনের শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।