
বকেয়া বিলের জন্য সাভারের ডিইপিজেডে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণে ডিইপিজেডের কারখানাগুলোতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। তবে জেনারেটর এবং আরইবি (পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি) থেকে ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে বিকল্পভাবে উৎপাদন চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন বেপজা ও কারখানা কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর তিতাস কর্তৃপক্ষ প্রায় ৪শ কোটি টাকা বকেয়ার জন্য ডিইপিজেডের নতুন জোনে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ারের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।
ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ জানায়, ডিইপিজেডের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছে বকেয়া পাওনার জন্য সোমবার দুপুরের পর তিতাস কর্তৃপক্ষ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে ডিইপিজেডের নতুন ও পুরাতন জোনের ৯০টি কারখানা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। ফলে কারখানা কর্তৃপক্ষ কারখানাগুলোতে ছুটি ঘোষণা করে।
মঙ্গলবার সকালে ডিইপিজেডের নতুন ও পুরাতন জোনের ৯০টি কারখানার জন্য ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে আরইবি (পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি) থেকে ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে অধিকাংশ কারখানা (প্রায় ৭০ শতাংশ) চালু করা হয়েছে। এর বাইরে বাকী কারখানাগুলো নিজস্ব জেনারেটর দিয়ে উৎপাদন সচল রেখেছে।
ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, আরইবি থেকে আরো ১০ থেকে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এদিকে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটে মঙ্গলবার ডিইপিজেডের ৫টি কারখানায় ছুটি দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
ইপিজেডের ডিপিজেড নির্বাহী পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে (মঙ্গলবার) সকালেও বিদ্যুৎ না পেয়ে আমাদের এখানকার পাঁচটি ফ্যাক্টরি ছুটি ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যে আরইবির সঙ্গে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেছে এবং আমরাও যোগাযোগ করে ইতোমধ্যে আরিফের নিকট থেকে ২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ইপিজেডে আনতে সক্ষম হয়েছি। ফলে ৭০ ভাগ কারখানা সচল রয়েছে। আমরা আশা করছি আরইবির নিকট থেকে আরও ১০ থেকে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা পাব। আর এটা পেলে আমাদের ভাগ কারখানা চালু হবে।
ইমতিয়াজ উল ইসলাম/মাহফুজ