
ফেসবুকে টিয়াপাখির ছানা বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পর অভিনব কায়দায় ক্রেতা সেজে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি টিয়াপাখির ছানা জব্দ করেছে বন বিভাগের কর্মকর্তারা। এ সময় বিক্রেতাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রবিবার (১১ মে) সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালী বাজার এলাকা থেকে পাখিগুলো জব্দ করা হয়।
আটক বিক্রেতা মো. হাফিজুর রহমান খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের রেংকার্যা গ্রামের বাসিন্দা।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, একটি ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে নাড়াইছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান, হাজাছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন, মেরুং রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাফর উল্লাহ ও মো. আব্দুল কুদ্দুস বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর পর ক্রেতা সেজে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাখিগুলো উদ্ধার করেন তারা। পরে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ মোবাইল কোর্ট বসিয়ে বিক্রেতাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেন।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী পাখি বা বন্যপ্রাণী শিকার, ধরা কিংবা বিক্রি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। টিয়াপাখির ছানাগুলোকে বন বিভাগের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
নাড়াইছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, পাখির ছানাগুলো এখনো ভালোভাবে উড়তে পারে না। আপাতত বন বিভাগের হেফাজতে রয়েছে। উড়বার উপযুক্ত হলে ছানাগুলোকে অবমুক্ত করা হবে।
রাজু/মেহেদী/