ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

ঢাবি শিক্ষার্থী হত্যায় গ্রেপ্তার তামিমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ০৮:৩৫ এএম
ঢাবি শিক্ষার্থী হত্যায় গ্রেপ্তার তামিমের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার মাদারীপুরের তামিম হাওলাদারের (৩০) বসতবাড়িতে আগুন দিয়েছে স্থানীয়রা। এ সময় দুটি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নে ব্রাহ্মন্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার তামিম হাওলাদার সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী এলাকার এরশাদ হাওলাদারের ছেলে।

এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও দুজন হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের শশিকর গ্রামের যতন্দ্রীনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক (২৮)।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাম্য হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার তিনজনই এলাকায় বিভিন্ন সময় নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরপরই তামিম ও পলাশ গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে যায়। কারণ তারা ছিলেন আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের অনুসারী। আওয়ামীপন্থী নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। এ ছাড়া সম্রাট মাদকাসক্ত বলে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সোহেল খাঁ ও রুবেল খাঁর লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করতেন তামিম ও পলাশ। আওয়ামী লীগের দলীয় কোন পদ-পদবি না থাকলেও তারা আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ৫ আগস্টে সরকার পরিবর্তনের পর তামিম ও পলাশ ঢাকায় চলে যান। এর পর আর বাড়িতে ফেরেনি। পলাশের বাবা কালাম সরদার এক সময় পালকি বহন করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। অন্যদিকে তামিমের বাবা এলাকায় জমি বেঁচা-কেনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে। অন্যদিকে গ্রেপ্তার সম্রাট মাদকাসক্ত হিসেবে এলাকায় পরিচিত। বেশ কিছুদিন আগে তিনি মসজিদের মাইক লাগানো নিয়ে এলাকায় ছাত্রদের মারধর করে। এ নিয়ে ডাসার থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগও রয়েছে।

ডাসার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. এহতেশামুল ইসলাম বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে ডাসার ও ডিএমপির রুপনগরসহ বিভিন্ন থানায় তিনটি মাদক মামলা রয়েছে। তার বিষয় আমরা বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) চাতক চাকমা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের বাড়িই মাদারীপুর জেলায়। এদের মধ্যে তামিম হাওলাদার ও পলাশ সরদারের বাড়ি সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামে। অপরজনের বাড়ি ডাসার উপজেলার শশিকরে। বুধবার সন্ধ্যায় তামিম হাওলাদারের বাড়িতে বিক্ষুব্ধরা অগ্নিসংযোগ করার খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্য দুজনের বাড়িতে এখনো কেউ অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুর করেছে বলে কোন খবর পাইনি। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।

রফিকুল/মেহেদী/

লালমনিরহাটে ২ ভুয়া মেজর আটক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
লালমনিরহাটে ২ ভুয়া মেজর আটক
ছবি: খবরের কাগজ

সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয়ে দিয়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় জমি দখলের নামে চাঁদাবাজি করায় দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে ওই উপজেলার বড়খাতা ফেডারেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আটক দুই ভুয়া মেজর হলেন- রংপুরের হাজিরহাট এলাকার সাজু আহমেদ ও তারাগঞ্জ এলাকার মাসুম।

পুলিশ জানায়, ওই এলাকার রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বে-দখলে থাকা জমি উদ্ধারের জন্য  সাজু আহমেদ ও মাসুম নামে দুই ভুয়া মেজর ২০ হাজার টাকা নেন। মঙ্গলবার বাকি ৩০ হাজার টাকা নিতে রফিকুলের বাড়ি আসলে সাবেক এক সেনা কর্মকর্তার সহযোগিতায় দুই ভুয়া মেজরকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। 

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তাদেরকে আটক করে নিয়ে আসে। দুই ভুয়া মেজরের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মেহেদী/

রংপুর নগরীর রাস্তায় বালু-পাথর, যান চলাচলে অসুবিধা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম
রংপুর নগরীর রাস্তায় বালু-পাথর, যান চলাচলে অসুবিধা
ছবি: খবরের কাগজ

রংপুর নগরীর সড়কগুলোতে বালু ও পাথরের স্তূপ করে পথচারীদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে প্রভাবশালীরা। এতে করে সড়কে চলাচলে যেমন বিঘ্ন ঘটছে, তেমনি বালু ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে শহরের বসতবাড়িতে। বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

বালু ও পাথরের স্তূপের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারী ও গাড়িচালকরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাড়ছে জনমনে ক্ষোভ। জেনেও নিরব প্রশাসন।

স্থানীয়রা বলছেন, এমন ঘটনা শহরে প্রতিনিয়ত ঘটলেও প্রশাসনের তদারকি নেই বললেই চলে। আগে এমন কোনো কিছু ঘটলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো। বেশিরভাগ বেয়ারা হয়েছে হাউজ বিল্ডিং কোম্পানিগুলো বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

ছবি: খবরের কাগজ

সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর মুন্সিপাড়া থেকে বাস টার্মিনালের রাস্তার উপরে এক-তৃতীয়াংশ রাস্তায় রাখা হয়েছে বালু ও পাথর। বাস টার্মিনাল ও রংপুর কোর্ট, ডিসি অফিস, পুলিশ কমিশনার অফিস, রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রংপুর জেলা স্কুল—যাতায়াতের প্রধান রাস্তা এটি। যা চলাচলের বাধা হয়ে গেছে এই বালু-পাথর।

নগরীর কেরানীপাড়া চৌরাস্তা মোড়, মুন্সিপাড়া, পালপাড়া, গোমস্তাপাড়া, পাশাড়িপাড়া রাস্তা, মডার্ন মোড়, ধাপ পুলিশ ফাঁড়ি, গুপ্তপাড়া-সহ রংপুর সিটি করপোরেশনের একাধিক রাস্তার একই অবস্থা।

স্থানীয়রা বলছেন, বেশ কিছুদিন ধরে এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। তবে এর কোনো সমাধান করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

গাড়িচালক রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হইয়া কী হইছে? এরা আরও বেয়ারা হইয়া গেছে। আগেই একটু নিয়মকানুন মানতো। এখন সবাই নেতা হইয়া গেছে।’

নগরীর গুপ্তপাড়ার বাসিন্দা রেজওয়ান কবির বলেন, ফুটপাত ও রাস্তার পাশে ইট-বালু-সিমেন্ট স্তূপ করে রাখায় চলাচলের অনেক অসুবিধা হয়ে গেছে। প্রায় সময় রাস্তায় জ্যাম লেগে থাকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের কেয়ারটেকার জাকির হোসেন বলেন, আমি এখানে দায়িত্বে আছি। কে ফেলেছে জানি না। সকালে বাধা দিয়েছি, তারপরও ফেলেছে।

বালু দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দুর্ভোগ সৃষ্টি করার বিষয়ে দলিল লেখক দীপু অস্বীকার করে বলেন, এগুলো আমার না। আমি কিছু জানি না।

রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী উম্মে ফাতেমা বলেন, আমাদের লোকবল সংকটের কারণে এগুলোতে তদারকি করা যাচ্ছে না। আমাদের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন জায়গায় অভিযানে যাচ্ছেন। তারপরেও বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে।

সেলিম সরকার/মাহফুজ

ফেনীতে ফের বন্যার শঙ্কা, ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৪০৬ মি.মি. বৃষ্টিপাত

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:২১ পিএম
ফেনীতে ফের বন্যার শঙ্কা, ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৪০৬ মি.মি. বৃষ্টিপাত
টানা বৃষ্টিতে ফেনী শহরের রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। ছবি: খবরের কাগজ

টানা বৃষ্টিতে ফেনী শহরে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ফেনীতে ২৪ ঘণ্টায় ৪০৬ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেনীর পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নের গদানগর এলকায় সিলোনিয়া নদীর একটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া ফুলগাজীতে মুহুরী নদীতে ভেসে গেছে দু’টি দোকান ঘর, নদী পাড়ের রাস্তা ভেঙ্গে ফুলগাজী বাজার থেকে রাজসপুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। 

অন্যদিকে সকাল থেকে ফেনী শহরের কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে শিক্ষা বোর্ড থেকে পরীক্ষা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রজ্ঞাপন জানা যায়নি। টানা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, সোমবার (৭ জুলাই) বিকাল ৩টা হতে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে ৪০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটি চলতে মৌসুমের জন্য সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। আরও দুইদিন ফেনীতে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ছবি: খবরের কাগজ

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, পরশুরামের উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সিলোনিয়া নদীর উপর একটি ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। 

জানা গেছে, সোমবার বিকাল থেকে ফেনীতে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। বৃষ্টির পানিতে ফেনী শহর নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। শহরের অলিতে গলিতে কোথায় কোথায় সড়কে তিন থেকে চার ফুট পানি জমেছে। পাড়ামহল্লার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে অনেক এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। 

ফেনী শহর ঘুরে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে শহরের প্রধান সড়ক শহিদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, রামপুর শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠান বাড়ি এলাকা, নাজির রোড, পেট্রো বাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরী হয়েছে জলাবদ্ধতা। এসব এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। অতিরিক্ত পানির চাপে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় দূর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।  

ফেনী সরকারি কলেজ থেকে বাংলা সমাপনী বর্ষের পরীক্ষার্থী ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের খালেদুল আশরাফ বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে অনার্স সমাপনী বর্ষের পরীক্ষা রয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে গ্রামের রাস্তাঘাট ডুবে গেছে, সড়কে কোনো পরিবহন নেই। বোর্ড থেকেও পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় কীভাবে কলেজে যাব? পরীক্ষা দেব? সেটি বুঝতে পারছি না।  

গাড়ি চালক বেলায়েত হোসেন জানান, ২০২৪ আগস্টে ফেনীতে ভয়াবহ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে এখনো ফেনীর মানুষ কেটে উঠতে পারেনি। বৃষ্টি পরিস্থিতিতে আবার বন্যা শুরু হতে পারে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে পরিবার ও স্বজনদের নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যাওয়ার চিন্তা করছি।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহরিয়া ইসলাম জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমান উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৭টার দিকে ফুলগাজীর রাজেশপুর সড়কের মুহুরী নদীর বাধ ভেঙে দু’টি দোকান নদীতে ধসে গিয়েছে। এতে করে ওই গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা নাসরিন কান্তা বলেন, এখন প্রায় সকল স্কুলেই ষান্মাসিক পরীক্ষা চলমান রয়েছে। সড়ক ও স্কুলে পানি ওঠায় অনেক স্কুলে ইতোমধ্যে অন্তবর্তী পরীক্ষা স্থগিত করার নোটিশ দিয়েছে। তবে বোর্ড পর্যায়ে চলমান পরীক্ষা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নোটিশ পাওয়া যায়নি। 

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আকতার হোসেন মজুমদার বলেন, সীমান্তবর্তী তিন নদী মুহুরী, কহুয়া, সিলোনীয়া নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়াও পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের গদানগর গ্রামে পূর্বের ভাঙন দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। আর উজানে ভারী বৃষ্টি হলে নদীর পানি আরও বাড়বে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তোফায়েল নিলয়/মাহফুজ

 

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো ২ জনের জিকা ভাইরাস শনাক্ত

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো ২ জনের জিকা ভাইরাস শনাক্ত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে দুইজনের দেহে জিকা ভাইরাস (মশাবাহিত ভাইরাস) শনাক্ত হয়েছে। বন্দর নগরে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার এটিই প্রথম ঘটনা। পাশাপাশি এই রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘উপসর্গ দেখা দেওয়ায় সোমবার (৭ জুলাই) রাতে নগরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ল্যাবে দুই রোগীর পরীক্ষা করা হয়। সেখানে দুজনের রিপোর্টে জিকা ভাইরাস পজিটিভ আসে। আক্রান্তদের একজন পুরুষ ও অপরজন নারী। দুজনেই ৪২ বছর বয়সী।’

ডেপুটি সিভিল সার্জন মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ‘যেসব কীট দিয়ে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া পরীক্ষা করা হয়, ওই একই কীট দিয়ে জিকা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। এই ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা হয়। কোনো অপ্রচলিত বা বিরল রোগের ক্ষেত্রে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। আক্রান্ত দুজনের নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এখন তারা চাইলে চট্টগ্রামের ওই ল্যাব টেস্টের ওপর ভরসা করতে পারে, অথবা নিজেরা পুনরায় পরীক্ষা করতে পারে।’

জানা গেছে, আক্রান্ত দুজনের শরীরে জ্বর, ব্যথা ও র‌্যাশ (চামড়ায় লালচে দানার মতো ছোপ) রয়েছে। পাশাপাশি হাত-পা ফোলা রয়েছে।

দেশে প্রথম ২০১৪ সালে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তবে চট্টগ্রামে এটিই প্রথম ঘটনা। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জিকা ভাইরাসে জীবনঝুঁকি নেই। তবে গর্ভবতী নারীদের অনাগত শিশু অপরিপূর্ণ হয়। এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা- এই তিন রোগ হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম, প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শে জ্বর ও ব্যথার জন্য ওষুধ খেতে হবে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে বা রোগীকে ভর্তি করতে হবে।

সালমান/

বরিশালে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম
বরিশালে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

বরিশালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে বিভাগের ৬ জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৪ জন।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মৃতদের মধ্যে সোনিয়া আক্তার (১৮) বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা এলাকার বাসিন্দা। অপরজন মো. সাইদুল মোল্লা বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বাসিন্দা। তারা সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা বরগুনা জেলায়। জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬৩ জন ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন। বরিশাল জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ জন, পটুয়াখালী সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জন, ভোলা ও ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতালে ২ জন করে, পিরোজপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ৪৫৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৭১৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। 

সবুজ/সালমান/