ঢাকা ১০ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
English

টাঙ্গাইলে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি, দপ্তরির মেয়ে দেখছেন দেশ গড়ার স্বপ্ন

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ০২:৫১ পিএম
আপডেট: ১৫ মে ২০২৫, ০৪:০৯ পিএম
টাঙ্গাইলে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি, দপ্তরির মেয়ে দেখছেন দেশ গড়ার স্বপ্ন
টাঙ্গাইলে ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছে ৫০ জন। ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের তরফপুর এলাকার স্কুল-দপ্তরি মর্জিনা আক্তারের একমাত্র মেয়ে সাবিহা আক্তার বিথি। ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পাওয়ায় বিথির দু-চোখে আনন্দাশ্রু যেন থামছে না। স্বপ্ন দেখছেন দেশ গড়ার।

টাঙ্গাইলে ১২০ টাকায় আবেদন করে প্রাথমিকভাবে পুলিশের চাকরি নিশ্চিত হয়েছে ৫০ জনের। 

বুধবার (১৪ মে) রাতে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনের গ্রিলশেডে ফলাফল প্রকাশ করেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। 

তরফপুর এলাকার আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মর্জিনা বেগম। তার মেয়ে বিথির স্বপ্ন বড় হয়ে পুলিশে জয়েন করবে। সেই স্বপ্ন নিয়ে ১২০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছিলেন পুলিশের রিক্রুট কনেস্টবলে। এর পর কয়েকটি ধাপ পার করে চূড়ান্ত তালিকায় উঠে আসে বিথি। 

বিথি বলেন, ‘অভাবের সংসার থেকে এ সময়ে চাকরি পেলাম মাত্র ১২০ টাকায়, যা স্বপ্ন মনে হচ্ছে। এখন অভাবী মাকে সাহায্য করতে পারব সংসারে। বাবা অনেক আগে আমার মাকে ও আমাকে রেখে চলে গেছে।’ 

ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া এলাকার কুসুমী সূত্রধরের মেয়ে রাখী সূত্রধর বলেন, ‘পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারব এখন। দেশের সেবা করার জন্য একটি সুযোগ পেলাম। খুবই ভালো লাগছে চূড়ান্ত তালিকায় উঠে।’ 

ফয়সাল নামে একজন বলেন, ‘বাবা কৃষক। কৃষক পরিবারের সন্তান হয়ে পুলিশে চাকরি পেয়ে খুবই ভালো লাগছে। দেশের সেবা করতে চাই নিজের জীবন বাজি রেখে।’ 

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, ‘একদম স্বচ্ছভাবে এবার পুলিশে নিয়োগ হয়েছে। এবার কোনো কোটায় নিয়োগ হয়নি। সবাই বিনা কোটায় নিয়োগ পেল। এবার টাঙ্গাইলে ২৭ হাজার ৭১ জন আবেদন করেছিল। এর পর ৫০ জনকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।’

নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন নরসিংদী জেলার শিবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান সরকার ও মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন। 

জুয়েল/পপি/

টেকনাফে বিদেশি পিস্তল ও ইয়াবাসহ আটক ২

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৬:২২ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম
টেকনাফে বিদেশি পিস্তল ও ইয়াবাসহ আটক ২
ছবি: খবরের কাগজ

কক্সবাজারের টেকনাফে একটি বিদেশি পিস্তল ও ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মো. একরাম (২৬) ও মো. মিজানুর রহমান (২০) নামে দুজনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।

আটক মো. একরাম ও মো. মিজানুর রহমান টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'গোপন সংবাদে সোমবার রাত ১১টায় বিশেষ অভিযানের সময় একটি মোটরসাইকেলের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে এটি থামানো হয়। পরে মোটরসাইকেলের আরোহীর ব্যাগ তল্লাশি করে ২০ হাজার পিস ইয়াবা এবং মোটরসাইকেল চালকের দেহ তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ তাদের আটক করা হয়। আটক মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।'

শাহীন/রিফাত/

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করায় নারীকে প্রাণনাশের হুমকি

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বিয়ে করায় নারীকে প্রাণনাশের হুমকি
ছবি: খবরের কাগজ

স্বামীর মৃত্যুর পর সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে দ্বিতীয় বিয়ে করায় নির্যাতন ও জীবননাশের হুমকির প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছে অনামিকা লাকি নামের এক ভুক্তভোগী নারী।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে জেলা শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের হলরুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অনামিকা লাকি জানান, ২০০৫ সালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী এলাকার জুয়েলারি ব্যবসায়ী অসীম কুমার সাহার সঙ্গে বিয়ে হয় তার। দাম্পত্য জীবনে তাদের দু’টি কন্যা সন্তানের হয়। ২০২০ সালে কিডনি ও ফুসফুস জনিত রোগে মারা যায় অসীম। এর পর অনামিক নিজেই ব্যবসার হাল ধরেন।

এ দিকে সম্পত্তির লোভে অনামিকার দেবর ও ভাসুর এবং অনামিকার বড় মেয়ের জামাইকে দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালে তার জুয়েলারি দোকান থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামালও চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন অনামিকা।

অনামিকা আরও বলেন, ইসলাম ধর্মের প্রতি পূর্বে থেকেই টান থাকায় এবং জীবন বাচাতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। চলতি বছরের ৫ মে পাটগাতী গ্রামের দলিল লেখক আলমগীর হোসেন বিশ্বাসকে বিয়ে করেন লাকি।

অনামিকা অভিযোগ করে আরও বলেন, জানাজানি হওয়ার পর বাজার কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান খলিফা এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ অপুর প্রত্যক্ষ নির্দেশে তার ভাসুর বিনয়, সঞ্জিত ও গৌতম রাতের অন্ধকারে এক কাপড়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর নাবালিকা ছোট মেয়েকে নিয়ে বর্তমান স্বামী আলমীরের বাড়িতে ঠাই নিলে অনামিকার জুয়েলারি দোকানে তালা ঝুলয়ে পাটগাতী বাজারে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। থানায় অভিযোগ করেও মেলেনি সুবিচার। বাধ্য হয়ে আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন তিনি। এ দিকে দোকান তালাবন্ধ করে রাখায় ক্রেতাদের অর্ডার করা গহনা ডেলিভারি দিতে পারছেন না তিনি। এ অবস্থায় সকল সহায় সম্বল হারিয়ে দোষীদের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী এই নারী।

সংবাদ সম্মেলনে লাকির স্বামী আলমগীর হোসেন বিশ্বাসসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাদল সাহা/মাহফুজ

 

বাগমারায় বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৬:১৩ পিএম
বাগমারায় বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর বাগমারায় এক বাকপ্রতিবন্ধী শিশু (৭) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বর্তমানে সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস। 

তিনি জানান, সোমবার (২৩ জুন) রাত ৩টার দিকে শিশুটিকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ওসিসিতে পাঠান।

শিশুটির চাচা বলেন পাঁচ বছর আগে বড় ভাইয়ের সংসার ভেঙে যায়। এর পর তিনি আরেকটি বিয়ে করে নিজ এলাকা তাহেরপুর ছেড়ে পাশের পুঠিয়া উপজেলার সরগাছি উত্তরপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। কিন্তু ভাইয়ের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েটি তাহেরপুরেই থেকে যায়। শিশুটিকে বাড়িতে রাখার চেষ্টা করলেও সে থাকতে চায় না, বরং তাহেরপুর বাজারে ঘুরে বেড়াত। কোনো সময় মানুষের বারান্দায় বা সিএনজিস্টেশনে ঘুমিয়ে পড়ত। সোমবার তাহেরপুর বাজারের স্থানীয়রা শিশুটিকে কলেজ গেটের পাশে বাগানের মধ্যে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় শিশুটির রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তার মুখ দিয়ে নেশাদ্রব্যের দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। এর পর তাকে দ্রুত বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে রামেক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘বাকপ্রতিবন্ধী পথশিশুটি তাহেরপুর বাজারে ঘুরে বেড়াত। এ সুযোগে সোমবার রাত আনুমানিক ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে বখাটে কোনো যুবক শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। রক্তমাখা পোশাকসহ আলামত সংগ্রহ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, শিশুটির পরিবার এখনও থানায় অভিযোগ করেনি। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

রিফাত/

এবার ডিসি অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
এবার ডিসি অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
অভিযুক্ত নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারী (সহকারী নাজির) ইকরাম হোসেন।

শরিয়তপুরের ডিসির ভাইরাল ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মচারী (সহকারী নাজির) ইকরাম হোসেনের (৪২) বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন এক নারী।

সোমবার (২৩ জুন) ওই নারী নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। পরে বিজ্ঞ আদালত তা গ্রহণ করে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার আব্দুল হালিম।

অভিযুক্ত ইকরাম হোসেন নরসিংদী পৌর শহরের পূর্ব ভেলানগর এলাকার মৃত ইলিয়াস হোসেনের ছেলে এবং বর্তমানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী নাজির হিসেবে কর্মরত।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, বাদীর বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি তার বাবার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি হুইলচেয়ারের আবেদন করেন। ওই আবেদন সূত্রে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে অভিযুক্ত ইকরাম হোসেন বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। কিছুদিন পর তিনি বাদীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।

বাদীর অভিযোগ, গত ৯ মার্চ ইকরাম তাকে বিয়ের কথা বলে মাধবদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গাজী আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এর পর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেন। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি নানা অজুহাতে তা এড়িয়ে যান এবং অবশেষে গত ১৬ জুন বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।

বাদী আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় গেলে পুলিশ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেয়।

এ বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার (২৪ জুন) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অভিযুক্ত সহকারী নাজির ইকরাম হোসেনকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেলে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদেশটি এখনো থনায় আসেনি। আদেশ এলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাওন/মেহেদী/

কুষ্টিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে হত্যা

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
কুষ্টিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে হত্যা
ছকিব: খবরের কাগজ

কুষ্টিয়ার খোকসায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মোহাম্মদ আলী (৭০) নামে এক ব্যাক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

মোহাম্মদ আলী খোকসা উপজেলা সাতপাকিয়া গ্রামের মৃত আকমত প্রমানিকের ছেলে। 

নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে খোকসা থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম খবেরর কাগজকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী সোনাই শেখের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সোমবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সোনাই শেখের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে আলীর বাড়ীতে হামলা করে তাকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক হোসেন ইমাম বলেন, 'আলী নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার অন্ডকোষে ও ঘাড়ের পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।'

ওসি শেখ মঈনুল ইসলাম বলেন, 'নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলাসহ তাদের গ্রেপ্তারের জন্য কাজ করছে পুলিশ।'

মিলন/রিফাত/