
পঞ্চগড়ের পৃথক দুটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে পুশইন করা নারী ও শিশুসহ ১১ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।
শনিবার (১৭ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রিয়াদ মুর্শেদ।
জানা যায়, শুক্রবার (১৬ মে) গভীর রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের মালকাডাঙ্গা ও কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ডানাকাটা সীমান্ত দিয়ে ওই ১১জনকে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়।
আটকরা হলেন- সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বাগবাটী গ্রামের তাসলিমা খাতুন, কলারোয়া উপজেলার চিতলা গ্রামের মর্জিনা, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শুক্র গ্রামের নীরুফা বেগম, যশোরের শার্শা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সাজিদা খাতুন, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আটরশি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, ফাইজান শেখ, নোয়াখালীর শ্যামনগর উপজেলার ডোমনাকান্তি গ্রামের ওমর ফারুক, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর গ্রামের মীম আক্তার, সোনারগাঁও উপজেলার চৌরাপাড়া গ্রামের শাহনাজ, নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার বালাপুরের চর গ্রামের তানিয়া এবং খুলনার তেরখাদা উপজেলার বাউনডাঙ্গা গ্রামের আলেয়া বেগম।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মালকাডাঙ্গা ও ডানাকাটা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে তাদেরকে পুশইন করে। স্থানীয়রা তাদের সীমান্ত এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখে বিজিবিকে অবহিত করলে বিজিবি সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে বসবাস ও শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। গত ২ মে ভারতের বোম্বে শহর থেকে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। ১৭ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রেখে মোট ১২৫ জন বাংলাদেশিকে শিলিগুড়ি বিমানবন্দরে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১১ জনকে বিএসএফ পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে পুশইন করে।
বিজিবি জানিয়েছে, আটকরা বোদা থানায় হস্তান্তরের করে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রিয়াদ মুর্শেদ বলেন, ‘সীমান্ত রক্ষায় বিজিবি সর্বদা তৎপর রয়েছে। অনুপ্রবেশ ও অন্যান্য সীমান্ত অপরাধ রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।’
রনি মিয়াজী/সুমন