ঢাকা ১১ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫
English

পঞ্চগড় সীমান্তে পুশইন করা ১১ বাংলাদেশি আটক

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ০৬:২৩ পিএম
পঞ্চগড় সীমান্তে পুশইন করা ১১ বাংলাদেশি আটক
পঞ্চগড়ে ভারত থেকে পুশইন করা ১১ জনকে আটক করেছে বিজিবি। ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের পৃথক দুটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে পুশইন করা নারী ও শিশুসহ ১১ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।

শনিবার (১৭ মে) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রিয়াদ মুর্শেদ।

জানা যায়, শুক্রবার (১৬ মে) গভীর রাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের মালকাডাঙ্গা ও কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ডানাকাটা সীমান্ত দিয়ে ওই ১১জনকে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়।

আটকরা হলেন- সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বাগবাটী গ্রামের তাসলিমা খাতুন, কলারোয়া উপজেলার চিতলা গ্রামের মর্জিনা, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শুক্র গ্রামের নীরুফা বেগম, যশোরের শার্শা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের সাজিদা খাতুন, ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আটরশি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, ফাইজান শেখ, নোয়াখালীর শ্যামনগর উপজেলার ডোমনাকান্তি গ্রামের ওমর ফারুক, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর গ্রামের মীম আক্তার, সোনারগাঁও উপজেলার চৌরাপাড়া গ্রামের শাহনাজ, নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার বালাপুরের চর গ্রামের তানিয়া এবং খুলনার তেরখাদা উপজেলার বাউনডাঙ্গা গ্রামের আলেয়া বেগম।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মালকাডাঙ্গা ও ডানাকাটা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে তাদেরকে পুশইন করে। স্থানীয়রা তাদের সীমান্ত এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখে বিজিবিকে অবহিত করলে বিজিবি সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে বসবাস ও শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। গত ২ মে ভারতের বোম্বে শহর থেকে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। ১৭ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রেখে মোট ১২৫ জন বাংলাদেশিকে শিলিগুড়ি বিমানবন্দরে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১১ জনকে বিএসএফ পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে পুশইন করে।

বিজিবি জানিয়েছে, আটকরা বোদা থানায় হস্তান্তরের করে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে নীলফামারী-৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রিয়াদ মুর্শেদ বলেন, ‘সীমান্ত রক্ষায় বিজিবি সর্বদা তৎপর রয়েছে। অনুপ্রবেশ ও অন্যান্য সীমান্ত অপরাধ রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।’

রনি মিয়াজী/সুমন

সোনারগাঁয়ে দুই যুবককে অপহরণ করে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৯:০৯ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম
সোনারগাঁয়ে দুই যুবককে অপহরণ করে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ৫
অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জন। ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের দড়িকান্দি এলাকা থেকে দুই যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে ৫ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে গ্রেপ্তারদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার (২৩ জুন) রাতে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

অপহরণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় বোন রেখা আক্তার বাদী হয়ে মঙ্গলবার সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের কুমারচর এলাকার মো. স্বাধীন মিয়া, ভাটিরচর এলাকার ফয়সাল মিয়া, নাজিরপুর এলাকার  রাব্বানী হোসেন মুন্না, বন্দর উপজেলার ছোটবাগ গ্রামের মো. সাজ্জাদ হোসেন ও গজারিয়া উপজেলার চর বাউশিয়া গ্রামের রাশেদ ওরফে রাসেল। 

জানা গেছে, দাউদকান্দি উপজেলার ময়নামতি মীরপুর গ্রামের মো. ফিরোজ মিয়ার ছেলে মো. শাকিল মিয়া ও তার বন্ধু মৌলরদী গ্রামের কবির হোসেনের ছেলে শাওন মিয়া গত রবিবার (২২ জুন) বিকেলে মোটরসাইকেলযোগে বালু ব্যবসায়ের কাজে মহাসড়কের দড়িকান্দি এলাকায় যান। পরে অজ্ঞাতনাম ৪-৫ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের মোটরসাইকেল গতিরোধ করে জোরপূর্বক টেনেহিচড়ে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আটক করে নির্যাতন করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

পরে অপহৃতদের পরিবার তাদের বিকাশের মাধ্যমে দুদফায় ২৫ হাজার টাকা দেয়। পরদিন রাত ১১টার দিকে স্থানীয়রা টের পেয়ে স্বাধীন ও ফয়সাল নামে দুই অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশে দেয়। তাদের দেওয়া তথ্যে পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই রাব্বানী হোসেন মুন্না, সাজ্জাদ হোসেন, রাশেদ ওরফে রাসেলকে গ্রেপ্তার করে।

সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খাঁন বলেন, অপহরণ করে দুই যুবককে নির্যাতন ও মুক্তিপণ নেওয়ার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ইমরান/মাহফুজ/ 

পাথরমহাল খুলে দেওয়ার দাবিতে একাট্টা বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম
পাথরমহাল খুলে দেওয়ার দাবিতে একাট্টা বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি
সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সামনে মানববন্ধন চলাকালে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির একাত্মতায় সমাবেশ/  খবরের কাগজ

সিলেট বিভাগের বন্ধঘোষিত পাথরমহাল (পাথর কোয়ারি) খুলে দেওয়ার দাবিতে ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সংগঠনটির উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপির নেতারা পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে পাথরমহাল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। 

মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশ থেকে বলা হয়, পাথরমহাল খুলে দেওয়ার ঘোষণা না দিলে ২৮ জুন থেকে সিলেটের সকল পাথর ও বালুমহাল থেকে ৪৮ ঘণ্টা লোড-আনলোডে কর্মবিরতি, ৩০ জুন থেকে সিলেট জেলার সকল পণ্যপরিবহনে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি এবং ২ জুলাই থেকে সিলেট জেলায় সকল প্রকার পণ্যপরিবহন ও গণপরিবহনে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করা হবে। 

সিলেটের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে সিলেট জেলা পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহস্রাধিক শ্রমিক অংশ নেন। 

ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল জলিল মেম্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও জৈন্তাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির ফখরুল ইসলাম, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সিলেট জেলার আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন সাহান, এনসিপির মহানগর শাখার আহ্বায়ক আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী বক্তব্য দেন।

বিএনপি-জামায়াত ও এনসিপির নেতারা মালিক-শ্রমিক সংগঠনের ঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক একাত্মতা প্রকাশ করে অবিলম্বে পাথরমহাল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। তারা বলেন, অন্যথায় যে কোনো অরাজক পরিস্থিতির জন্য অন্তবর্তী সরকারকে দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।  

মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক শাব্বীর আহমদ ফয়েজের সঞ্চালনায় সমাবেশে পর্যায়ক্রমে বক্তব্য দেন, সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজির আহমদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ খান সাদেক, সিলেট জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক আহমদ, ইসলামী আন্দোলন সিলেট জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ রুহুল আমীন, সিলেট জেলা ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দিলু মিয়া, কার্যকরী সভাপতি আব্দুস সালাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুরসহ বিভিন্ন শ্রমিক ও মালিক সংগঠনের নেতারা।

সমাবেশ শেষে সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি নাজির আহমদ স্বপন ও সিলেট জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দিলু মিয়া আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। 

ঘোষিত কর্মসূচি হলো- ২৮ জুন থেকে সিলেটের সকল বালু-পাথরমহাল থেকে ৪৮ ঘন্টা লোড-আনলোডে কর্মবিরতি, ৩০ জুন থেকে সিলেট জেলা সকল পণ্যপরিবহনে ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতি ও ২ জুলাই থেকে সিলেট জেলায় সকল পণ্যপরিবহন এব গণপরিবহনে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি।

মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক শাব্বীর আহমদ ফয়েজ বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষার দোহাই দিয়ে বন্ধ রাখা সিলেটের পাঁচটি পাথরমহাল খুলে দেওয়ার দাবিতে ‘‘সিলেট জেলা পাথরসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’’ নামের সংগঠনটি ১৮ জুন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে। পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ জ্বালানি উপদেষ্টা গত ১৪ জুন জাফলং ঘুরে যান। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সিলেটের পাথরমহাল (কোয়ারি) আর লিজ দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন। এতে আমরা ব্যথিত ও হতাশ হয়েছি।’ 

তিনি বলেন, ‘সিলেটের কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহে পাথরমহাল ইজারার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলনও হয়েছে। দাবির প্রতি এবারই প্রথম রাজনৈতিক দলের একাত্মতায় নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।’

পাথরমহালে বোমা মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্র দিয়ে পাথর উত্তোলনে একের পর এক শ্রমিক নিহত ও পরিবেশ ধ্বংস হওয়ায় প্রথমে জাফলং সংকটাপন্ন ঘোষণা দিয়ে ইজারা কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। এরপর করোনাকালে বাকি চারটি মহলের ইজারা স্থগিত করে পাথর উত্তোলন সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়। অন্তবর্তী সরকার আমলে সারা দেশের সঙ্গে সিলেটের পাথরমহালের ইজারা কার্যক্রম শুরু করা হলে পরিবেশ ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়েল বৈঠকে সিলেট বিভাগের পাঁচটি মহাল ইজারা বন্ধ করা হয়।

সেনাবাহিনী-ইউপিডিএফ গোলাগুলি, অস্ত্রসহ ৩ সন্ত্রাসী আটক

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম
সেনাবাহিনী-ইউপিডিএফ গোলাগুলি, অস্ত্রসহ ৩ সন্ত্রাসী আটক
গ্রেপ্তার তিন সন্ত্রাসী। ছবি: আইএসপিআর

রাঙ্গামাটিতে সেনাবাহিনীর টহল দলের সঙ্গে আঞ্চলিক সংগঠন প্রসীত খীসার ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়েছে। এসময় সাড়ে তিন হাজার রাউন্ড গুলি বিনিময় হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তরিকুজ্জামান খান নামে একজন সৈনিক হাতের আঙ্গুলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
 
মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোর ৪টা থেকে থেমে থেমে রাঙ্গামাটির কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া মোনপাড়া স্কুল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

তবে সেনা অভিযানে ইউপিডিএফের তিন সশস্ত্র সন্ত্রাসীকে অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ আটক করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

উদ্ধার করা অস্ত্র। ছবি: আইএসপিআর

সেনা অভিযানে ঘটনাস্থল হতে ১টি এসএসজি, ১টি ম্যাগাজিন, ১টি কাউন্টার রিকয়েল ম্যাকানিজম স্প্রিং, ৪৭ রাউন্ড এ্যামুনেশন, ৫২টি খালি খোসা, ৪টি মোবাইল ফোন, ২ টি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। 

অভিযানে আটক তিনজন হলেন- মনসুখ চাকমা (৫০), পিতা: মৃত. বিন্দু কুমার চাকমা, সিন্ধু মনি চাকমা (২৩), পিতা: মনসুখ চাকমা ও অন্তর চাকমা (১৯), পিতা: সোনামুনি চাকমা। তিনজনই কাউখালীর ঘাগড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মৌনপাড়া এলাকার বাসিন্দা। 

রাঙ্গামাটি সদর জোন ৬০ ইবি. ক্যাপ্টেন আসিফ হাসান শোভনের নেতৃত্বে চলমান টহল দলের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা। 

এর আগে সোমবার (২৩ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় রাঙ্গামাটির কুতুকছড়ি ফুরোমন সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থেকে একটি পেট্রোল (সেনাটহল) বের হয়। কিন্তু পৌনে ৭টার দিকে  একটি অজ্ঞাত নাম্বার থেকে ইউপিডিএফ এর কমান্ডার পরিচয় দিয়ে পেট্রোল কমান্ডারকে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। এসময় পেট্রোল কমান্ডার ইউপিডিএফের হুমকিতে এলাকা ছেড়ে না গিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন।

একই সময়ে সেনাবাহিনীর অন্যান্য ক্যাম্প থেকে আরও পেট্রোল বের হয়ে এসে কুতুকছড়ি ব্লক করে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাতে থাকেন। মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর দলটি স্থানীয় মইনপাড়া স্কুলে রেইড (অভিযান) করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। তবে গোলাগুলিতে টিকতে না পেরে ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। 

এদিকে অভিযানের বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ ২৪ জুন ২০২৫ (মঙ্গলবার) রাঙ্গামাটির দূর্গম পাহাড়ে ভোর ৪টা থেকে ইউপিডিএফ (মূল) দলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে।


জিয়াউর রহমান জুয়েল/মাহফুজ 

 

ধর্ষণে অন্ত:সত্ত্বা পুত্রবধূ, শ্বশুরের যাবজ্জীবন

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৭:৩৭ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
ধর্ষণে অন্ত:সত্ত্বা পুত্রবধূ, শ্বশুরের যাবজ্জীবন
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত গণি খাঁ

ফরিদপুরে ছেলে বিদেশে থাকাকালীন অবস্থায় নিজ পুত্রবধূকে ধর্ষণের দায়ে শ্বশুরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

সাজাপ্রাপ্ত গণি খাঁ (৫০) নগরকান্দা উপজেলার গোয়াইলপোতা গ্রামের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় গণি খাঁ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামী প্রবাসে থাকাকালে ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ওই নারী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে একই বছরের ২৮ জুন নগরকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই গৃহবধূর ভগ্নিপতি।

ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিচারক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

সঞ্জিব/মেহেদী

টেকনাফে বিদেশি পিস্তল ও ইয়াবাসহ আটক ২

প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ০৬:২২ পিএম
আপডেট: ২৪ জুন ২০২৫, ০৬:৩২ পিএম
টেকনাফে বিদেশি পিস্তল ও ইয়াবাসহ আটক ২
ছবি: খবরের কাগজ

কক্সবাজারের টেকনাফে একটি বিদেশি পিস্তল ও ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ মো. একরাম (২৬) ও মো. মিজানুর রহমান (২০) নামে দুজনকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।

আটক মো. একরাম ও মো. মিজানুর রহমান টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'গোপন সংবাদে সোমবার রাত ১১টায় বিশেষ অভিযানের সময় একটি মোটরসাইকেলের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে এটি থামানো হয়। পরে মোটরসাইকেলের আরোহীর ব্যাগ তল্লাশি করে ২০ হাজার পিস ইয়াবা এবং মোটরসাইকেল চালকের দেহ তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ তাদের আটক করা হয়। আটক মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।'

শাহীন/রিফাত/