ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

যশোরে ইজিবাইক চালককে নৃশংসভাবে হত্যা

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ০২:১৮ পিএম
আপডেট: ২৬ মে ২০২৫, ০৮:১২ এএম
যশোরে ইজিবাইক চালককে নৃশংসভাবে হত্যা
নিহত সেলিম রেজা ডাবলু

যশোরে রেজা ডাবলু (৪০) নামে এক ইজিবাইক চালককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছে।

রবিবার (২৫ মে) সকালে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি এলাকার ব্র্যাক অফিসের সামনে থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নিহত সেলিম রেজা ডাবলু যশোর সদর উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামের আমজাদ হোসেন বিশ্বাসের ছেলে।  

নিহতের  ছোট ভাই শাহীন বলেন, প্রতিদিনের মতো শনিবার (২৪ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হন ডাবলু। পরে রবিবার সকালে তার চাচা ফোন দিয়ে জানান, বড় ভাই মারা গেছেন। খবর পেয়ে স্বজনদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আগে থেকেই পুলিশ উপস্থিত ছিল। পরে মরদেহ উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। 

তিনি আরও বলেন, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য হলে ছিনতাইকারীরা দুই-চারটি চাকু মেরে ইজিবাইক নিয়ে যাবে। কিন্তু দুর্বৃত্তরা সেটি না করে মাথায়, বুকে, পেটে, দুই পায়ে এবং পিঠে একাধিক ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছে। 

যশোর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জুবায়ের আহমেদ জানান, পুলিশ একটি মরদেহ জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। অফিশিয়াল কাজ সম্পন্ন করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা তাকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত কুপিয়েছে। পেটের ভুঁড়ি পর্যন্ত বেরিয়ে এসেছে। 

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব কোনো শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীরা ডাবলুর ইজিবাইক নিয়ে গেলেও মোবাইল রেখে গেছে। হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও আটকে কাজ করছে পুলিশ। 

তুহিন/রিফাত/মেহেদী/

রংপুর নগরীর রাস্তায় বালু-পাথর, যান চলাচলে অসুবিধা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম
রংপুর নগরীর রাস্তায় বালু-পাথর, যান চলাচলে অসুবিধা
ছবি: খবরের কাগজ

রংপুর নগরীর সড়কগুলোতে বালু ও পাথরের স্তূপ করে পথচারীদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে প্রভাবশালীরা। এতে করে সড়কে চলাচলে যেমন বিঘ্ন ঘটছে, তেমনি বালু ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে শহরের বসতবাড়িতে। বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

বালু ও পাথরের স্তূপের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ভোগান্তিতে পড়েছে পথচারী ও গাড়িচালকরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাড়ছে জনমনে ক্ষোভ। জেনেও নিরব প্রশাসন।

স্থানীয়রা বলছেন, এমন ঘটনা শহরে প্রতিনিয়ত ঘটলেও প্রশাসনের তদারকি নেই বললেই চলে। আগে এমন কোনো কিছু ঘটলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো। বেশিরভাগ বেয়ারা হয়েছে হাউজ বিল্ডিং কোম্পানিগুলো বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

ছবি: খবরের কাগজ

সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর মুন্সিপাড়া থেকে বাস টার্মিনালের রাস্তার উপরে এক-তৃতীয়াংশ রাস্তায় রাখা হয়েছে বালু ও পাথর। বাস টার্মিনাল ও রংপুর কোর্ট, ডিসি অফিস, পুলিশ কমিশনার অফিস, রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, রংপুর জেলা স্কুল—যাতায়াতের প্রধান রাস্তা এটি। যা চলাচলের বাধা হয়ে গেছে এই বালু-পাথর।

নগরীর কেরানীপাড়া চৌরাস্তা মোড়, মুন্সিপাড়া, পালপাড়া, গোমস্তাপাড়া, পাশাড়িপাড়া রাস্তা, মডার্ন মোড়, ধাপ পুলিশ ফাঁড়ি, গুপ্তপাড়া-সহ রংপুর সিটি করপোরেশনের একাধিক রাস্তার একই অবস্থা।

স্থানীয়রা বলছেন, বেশ কিছুদিন ধরে এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। তবে এর কোনো সমাধান করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

গাড়িচালক রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হইয়া কী হইছে? এরা আরও বেয়ারা হইয়া গেছে। আগেই একটু নিয়মকানুন মানতো। এখন সবাই নেতা হইয়া গেছে।’

নগরীর গুপ্তপাড়ার বাসিন্দা রেজওয়ান কবির বলেন, ফুটপাত ও রাস্তার পাশে ইট-বালু-সিমেন্ট স্তূপ করে রাখায় চলাচলের অনেক অসুবিধা হয়ে গেছে। প্রায় সময় রাস্তায় জ্যাম লেগে থাকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

জনশক্তি ও কর্মসংস্থান অফিসের কেয়ারটেকার জাকির হোসেন বলেন, আমি এখানে দায়িত্বে আছি। কে ফেলেছে জানি না। সকালে বাধা দিয়েছি, তারপরও ফেলেছে।

বালু দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দুর্ভোগ সৃষ্টি করার বিষয়ে দলিল লেখক দীপু অস্বীকার করে বলেন, এগুলো আমার না। আমি কিছু জানি না।

রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী উম্মে ফাতেমা বলেন, আমাদের লোকবল সংকটের কারণে এগুলোতে তদারকি করা যাচ্ছে না। আমাদের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন জায়গায় অভিযানে যাচ্ছেন। তারপরেও বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে।

সেলিম সরকার/মাহফুজ

ফেনীতে ফের বন্যার শঙ্কা, ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৪০৬ মি.মি. বৃষ্টিপাত

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:২০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:২১ পিএম
ফেনীতে ফের বন্যার শঙ্কা, ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৪০৬ মি.মি. বৃষ্টিপাত
টানা বৃষ্টিতে ফেনী শহরের রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। ছবি: খবরের কাগজ

টানা বৃষ্টিতে ফেনী শহরে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ফেনীতে ২৪ ঘণ্টায় ৪০৬ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। এদিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেনীর পরশুরামের মির্জানগর ইউনিয়নের গদানগর এলকায় সিলোনিয়া নদীর একটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া ফুলগাজীতে মুহুরী নদীতে ভেসে গেছে দু’টি দোকান ঘর, নদী পাড়ের রাস্তা ভেঙ্গে ফুলগাজী বাজার থেকে রাজসপুর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। 

অন্যদিকে সকাল থেকে ফেনী শহরের কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে শিক্ষা বোর্ড থেকে পরীক্ষা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রজ্ঞাপন জানা যায়নি। টানা ভারী বৃষ্টিতে বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, সোমবার (৭ জুলাই) বিকাল ৩টা হতে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকাল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে ৪০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটি চলতে মৌসুমের জন্য সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড। আরও দুইদিন ফেনীতে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ছবি: খবরের কাগজ

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, পরশুরামের উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সিলোনিয়া নদীর উপর একটি ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই ভাঙন দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। 

জানা গেছে, সোমবার বিকাল থেকে ফেনীতে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। বৃষ্টির পানিতে ফেনী শহর নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। শহরের অলিতে গলিতে কোথায় কোথায় সড়কে তিন থেকে চার ফুট পানি জমেছে। পাড়ামহল্লার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে অনেক এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে। 

ফেনী শহর ঘুরে দেখা গেছে, টানা বৃষ্টির কারণে শহরের প্রধান সড়ক শহিদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, রামপুর শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠান বাড়ি এলাকা, নাজির রোড, পেট্রো বাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরী হয়েছে জলাবদ্ধতা। এসব এলাকার রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। অতিরিক্ত পানির চাপে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় দূর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।  

ফেনী সরকারি কলেজ থেকে বাংলা সমাপনী বর্ষের পরীক্ষার্থী ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের খালেদুল আশরাফ বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে অনার্স সমাপনী বর্ষের পরীক্ষা রয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে গ্রামের রাস্তাঘাট ডুবে গেছে, সড়কে কোনো পরিবহন নেই। বোর্ড থেকেও পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। এমতাবস্থায় কীভাবে কলেজে যাব? পরীক্ষা দেব? সেটি বুঝতে পারছি না।  

গাড়ি চালক বেলায়েত হোসেন জানান, ২০২৪ আগস্টে ফেনীতে ভয়াবহ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে এখনো ফেনীর মানুষ কেটে উঠতে পারেনি। বৃষ্টি পরিস্থিতিতে আবার বন্যা শুরু হতে পারে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে পরিবার ও স্বজনদের নিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যাওয়ার চিন্তা করছি।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহরিয়া ইসলাম জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমান উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৭টার দিকে ফুলগাজীর রাজেশপুর সড়কের মুহুরী নদীর বাধ ভেঙে দু’টি দোকান নদীতে ধসে গিয়েছে। এতে করে ওই গ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা নাসরিন কান্তা বলেন, এখন প্রায় সকল স্কুলেই ষান্মাসিক পরীক্ষা চলমান রয়েছে। সড়ক ও স্কুলে পানি ওঠায় অনেক স্কুলে ইতোমধ্যে অন্তবর্তী পরীক্ষা স্থগিত করার নোটিশ দিয়েছে। তবে বোর্ড পর্যায়ে চলমান পরীক্ষা নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো নোটিশ পাওয়া যায়নি। 

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আকতার হোসেন মজুমদার বলেন, সীমান্তবর্তী তিন নদী মুহুরী, কহুয়া, সিলোনীয়া নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়াও পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের গদানগর গ্রামে পূর্বের ভাঙন দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। আর উজানে ভারী বৃষ্টি হলে নদীর পানি আরও বাড়বে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধের বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।

তোফায়েল নিলয়/মাহফুজ

 

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো ২ জনের জিকা ভাইরাস শনাক্ত

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম
চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো ২ জনের জিকা ভাইরাস শনাক্ত
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে দুইজনের দেহে জিকা ভাইরাস (মশাবাহিত ভাইরাস) শনাক্ত হয়েছে। বন্দর নগরে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার এটিই প্রথম ঘটনা। পাশাপাশি এই রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘উপসর্গ দেখা দেওয়ায় সোমবার (৭ জুলাই) রাতে নগরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ল্যাবে দুই রোগীর পরীক্ষা করা হয়। সেখানে দুজনের রিপোর্টে জিকা ভাইরাস পজিটিভ আসে। আক্রান্তদের একজন পুরুষ ও অপরজন নারী। দুজনেই ৪২ বছর বয়সী।’

ডেপুটি সিভিল সার্জন মোহাম্মদ তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, ‘যেসব কীট দিয়ে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া পরীক্ষা করা হয়, ওই একই কীট দিয়ে জিকা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। এই ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা হয়। কোনো অপ্রচলিত বা বিরল রোগের ক্ষেত্রে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। আক্রান্ত দুজনের নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এখন তারা চাইলে চট্টগ্রামের ওই ল্যাব টেস্টের ওপর ভরসা করতে পারে, অথবা নিজেরা পুনরায় পরীক্ষা করতে পারে।’

জানা গেছে, আক্রান্ত দুজনের শরীরে জ্বর, ব্যথা ও র‌্যাশ (চামড়ায় লালচে দানার মতো ছোপ) রয়েছে। পাশাপাশি হাত-পা ফোলা রয়েছে।

দেশে প্রথম ২০১৪ সালে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তবে চট্টগ্রামে এটিই প্রথম ঘটনা। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জিকা ভাইরাসে জীবনঝুঁকি নেই। তবে গর্ভবতী নারীদের অনাগত শিশু অপরিপূর্ণ হয়। এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জিকা- এই তিন রোগ হয়। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম, প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শে জ্বর ও ব্যথার জন্য ওষুধ খেতে হবে। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে বা রোগীকে ভর্তি করতে হবে।

সালমান/

বরিশালে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম
বরিশালে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

বরিশালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে বিভাগের ৬ জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৪ জন।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মৃতদের মধ্যে সোনিয়া আক্তার (১৮) বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা এলাকার বাসিন্দা। অপরজন মো. সাইদুল মোল্লা বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বাসিন্দা। তারা সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা বরগুনা জেলায়। জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬৩ জন ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন। বরিশাল জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ জন, পটুয়াখালী সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জন, ভোলা ও ঝালকাঠি জেনারেল হাসপাতালে ২ জন করে, পিরোজপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ৪৫৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৭১৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। 

সবুজ/সালমান/

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২ জন গ্রেপ্তার
ছবি: খবরের কাগজ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গোবিন্দনগর মুন্সিরহাট গ্রামের ব্যবসায়ী কুতুবউদ্দিনকে (৪২) কুপিয়ে ৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৭ জুলাই) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এর আগে গত ২২ জুন রাতে ঠাকুরগাঁও শহরের শুক নদীর সেতুর ওপর এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। 

আটকরা হলেন- ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ঘোষপাড়া গ্রামের মো. আলভী আহমেদ এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার অভিমানপুর এলাকার মোহাম্মদ মানিক হোসেন। 

জানা গেছে, ২২ জুন রাতে ব্যবসা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেলযোগে আসা ছিনতাইকারীরা কুতুবউদ্দিনের গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তার কাছে থাকা প্রায় ৮ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। 

এ ঘটনায় কুতুবউদ্দিন ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিকভাবে তারা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন।

এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, তাদের  কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া টাকার মধ্যে ১৮ হাজার টাকা এবং ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নবীন/মেহেদী/