ঢাকা ২৬ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

ঝিনাইদহে শ্মশান কমিটির সভাপতিকে কুপিয়ে আহত

প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
ঝিনাইদহে শ্মশান কমিটির সভাপতিকে কুপিয়ে আহত
মদন বিশ্বাসক

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের বদনপুর মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি মদন বিশ্বাসকে (৩৫) কুপিয়ে  আহত করেছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। 

মঙ্গলবার (২৭মে)  দুপুর ১২টার সময় শ্মশানে এ ঘটনা ঘটে।

মদন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালীচরণপুর ইউনিয়নের বদনপুর গ্রামের অজিত বিশ্বাসের ছেলে।

তিনি খবরের কাগজকে  জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সুজন নামে এক যুবক, এক নারীকে নিয়ে শ্মশানের ভেতর যান। শ্মশানে নারী নিয়ে অনৈতিক কাজে বাধা দিলে মদনের ওপর ক্ষিপ্ত হন সুজন। পরে সুজন কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে দা দিয়ে মদন বিশ্বাসকে কোপাতে থাকেন। মদনের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে  দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান। 

মদন বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় সুজনসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন খবরের কাগজকে বলেন, 'এ বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি।' অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয়  আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রিফাত/

ভোলায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর মারধর ও ভিডিও ধারণ!

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০২:২০ পিএম
ভোলায় সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর মারধর ও ভিডিও ধারণ!
বামে- অভিযুক্ত কামাল

ভোলা সদরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর মারধর ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে।

গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) মধ্যরাতে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে ভুক্তভোগী ওই নারীকে ভোলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, মঙ্গলবার তিনি তার দুই সন্তান নিয়ে অন্যদিনের মতো নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। মধ্যরাতে তার ঘরের মাটিতে সিঁধ কেটে প্রতিবেশী মো. কামাল মাঝি ও তার এক সহযোগী ঘরে মধ্যে ঢোকে। এর পর তাকে মারধরের পর ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় শিশু ছেলে ও তার গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। এমনকি বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন কামাল। তার স্বামী জেলার বাইরে থাকায় সকালে ওই গৃহবধূর তার বাবার বাড়ি লোজনকে বিষয়টি জানালে তারা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভোলা সদর মডেল থানায় ও পরে ভোলা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষা শেষে বর্তমানে ওই গৃহবধূ হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন। 

এদিকে ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. তায়েবুর রজমান। ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহদৎ মো. হাচনাইন পারভেজ জানান, বিষয়টি জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে অভিযোগের তদন্তে থাকা ইলিশা পুলিশ তদন্তকের ফাড়ি ইনচার্জ তাজিব ইসলাম বলেন, 'ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের কোনো আলামত ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।'

অভিযুক্ত কামাল দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তবে ধর্ষণের ঘটনা ষড়যন্ত্র দাবি করেছেন করেছেন অভিযুক্তের বাবা তোফাজ্জল হোসেন।

তিনি জানান,' নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। তার ছেলে বিদেশ যাওযার প্রস্তুতি নিচ্ছে এ সময় মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে'।

অভিযুক্ত কামাল হোসেন বলেন, 'আমার পরিবারের সঙ্গে রাজনীতি ও জমিজমা নিয়ে বিরোধ ও টাকা পয়সার লেনদেন রয়েছে। আমি দেশের বাহিরে যাব তাই তাদের থেকে পাওনা টাকা চাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুস্থ তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।'

মেহেদী/

বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারীসহ ৭ জনকে পুশইন

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:০৯ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:১২ পিএম
বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারীসহ ৭ জনকে পুশইন
ছবি: খবরের কাগজ

জামালপুরের বকশীগঞ্জে ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত দিয়ে চার নারীসহ সাতজনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোরে উপজেলার ধানুয়া কামালপুরের ১০৮৩ পিলারের কাছ দিয়ে এ পুশইনের ঘটনা ঘটে। 

পরে সকালে স্থানীয়রা তাদের আটক করে বকশীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে। 

আটকরা হলেন- বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার কাশেম আলীর ছেলে এনায়েত খাঁ (৫৫), একই উপজেলার বেলায়েত খাঁ’র ছেলে মোহাম্মদ ইসলাম (২২), ফরিদপুর জেলার মেহবুব আলীর ছেলে কোরবান আলী (২০), তার মা তাছলিমা বেগম (৫০), খুলনা জেলার খালিশপুর এলাকার সোহাগ মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তার (৩০), তার বোন রেমি আক্তার (২০) এবং বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার রুস্তম আলীর মেয়ে মায়া আক্তার (৩২)। 

আটকরা বিভিন্ন সময়ে কাজের সন্ধানে দালালের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন শহরে চলে যান। সম্প্রতি বিভিন্ন সীমান্তে পুশইনের ঘটনায় আজ (বৃহস্পতিবার) বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে তাদেরও বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ। 

ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোতালেব মিয়া জানান, ‘ভোরে ভারত থেকে সাতজনকে পুশইন করছে এমন খবর পেয়ে গ্রামবাসীকে নিয়ে আমরা সীমান্তে অবস্থান নেই এবং তাদের আটক করি।’

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ খবরের কাগজকে জানান, এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান। 

আসিফ/পপি/

সোনারগাঁয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজট

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০১:০৮ পিএম
সোনারগাঁয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৭ কিমি যানজট
ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় লাঙ্গলবন্দ সেতু থেকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাত কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে যানজট শুরু হয়।

ঢাকার যাত্রী কামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে মোগরাপাড়ায় যানজটে আটকে আছি। গাড়ি নড়াচড়া করছে না। শুনলাম লাঙ্গলবন্দের ব্রিজের অবস্থা নাকি খুব খারাপ।

এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোরশেদ জানান, লাঙ্গলবন্দের ব্রিজের অবস্থা খুব খারাপ। গাড়ি ঠিকমতো যেতে পারছে না, তাই এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ কাজ করছে। আশাকরি যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানান, টানা বৃষ্টিতে সড়কের কয়েকটি স্থানে ছোট ছোট গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। লাঙ্গলবন্দ সেতুর মুখে গর্ত হয়ে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। সওজ মেরামতের কাজ করছে।

ইমরান হোসেন/অমিয়/

আলু নিয়ে অস্বস্তিতে কৃষক, কাজে আসছে না মডেল ঘর

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:১৬ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
আলু নিয়ে অস্বস্তিতে কৃষক, কাজে আসছে না মডেল ঘর
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার কোলা গ্রামে কৃষক সানোয়ার হোসেনের অহিমায়িত মডেল ঘরে সংরক্ষিত আলু পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে / সংগৃহীত

নওগাঁয় আলু সংরক্ষণের জন্য সরকারি অর্থায়নে তৈরি করে দেওয়া অহিমায়িত মডেল ঘরগুলো কাজে আসছে না। বেশির ভাগই খালি পড়ে আছে। ঘরে আলু সংরক্ষণ করার পর পচে নষ্ট হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষক।

আলুচাষিদের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর থেকে দুই ধাপে জেলার ৩৬ চাষিকে অহিমায়িত মডেল ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। সবশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বদলগাছী ও মহাদেবপুর উপজেলার ৯ চাষিকে দেওয়া হয় মডেল ঘর।

রড-সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া ও চৌচালা টিনের ছাউনি দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। ঘরের ভেতর আলু রাখার জন্য বানানো হয়েছে বাঁশের তাক। প্রতি ঘর তৈরিতে প্রায় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ ছাড়া মডেল ঘরে আলু সংরক্ষণের এই পদ্ধতি সম্পর্কে উপকারভোগীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ঘর তৈরি থেকে শুরু করে সব কিছুই করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। কিন্তু মডেল ঘরগুলো এখন আর কাজে আসছে না। প্রায় সবগুলোই ফাঁকা পড়ে আছে। চাষিরা বলছেন মডেল ঘরে আলু রেখে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

মডেল ঘর পাওয়া একজন জেলার বদলগাছী উপজেলার নাজমুল হোসেন। তিনি জানান, গত মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে আলু উৎপাদন করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় পৌনে ২ লাখ টাকা। ফলন ভালো পেয়েও তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। 

নাজমুল বলেন, ‘ফলন ঘরে তোলার পর হিমাগারে ঠাঁই মিলেনি। ফলে তখনই বাধ্য হয়ে ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে হয়েছে। মডেল ঘরে রেখে ১৫০ মণ আলুতে ভরসা রেখেছিলাম। কিন্তু সংরক্ষণের মাত্র দুই মাসের মাথায় পোকা ধরায় ও পচে যাওয়ায় প্রায় ২০ শতাংশ আলু নষ্ট হয়ে গেছে। আবারও বাধ্য হয়ে ৪৫০ টাকা মণ দরে বিক্রি করে দিয়েছি। লোকসানে পুঁজি হারিয়ে আমি এখন দিশেহারা।’

বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ি গ্রামের আলুচাষি আজিজার রহমান জানান, লাভের আশায় আলু উৎপাদন করে চরম বিপাকে পড়েছেন। মৌসুমের শুরুতে ব্যবসায়ীদের আধিপত্যে হিমাগারে চাষিরা আলু সংরক্ষণের সুযোগ পাননি। কোল্ড স্টোরেজ মালিক ও পুঁজিপতিরা মিলে স্টোরেজগুলো বোঝাই করে আলু সংরক্ষণ করেছেন। ফলে অল্প দরে লোকসানে ফলন বেচে দিতে হয়েছে। এ নিয়ে আবাদ ঘরে ওঠার পর থেকেই কৃষকদের মধ্যে অস্বস্তি বিরাজ করছে। মডেল ঘরও স্বস্তি দিতে পারছে না।

তিনি জানান, স্থানীয় কৃষক সানোয়ার হোসেন সরকারিভাবে তৈরি করে দেওয়া অহিমায়িত মডেল ঘর পেয়ে আলু সংরক্ষণ করেছিলেন। কিন্তু তিন মাসের মধ্যে অর্ধেক আলু পচে নষ্ট হয়ে গেছে। লাভের পরিবর্তে লোকসান হয়েছে, প্রণোদনার ঘর কোনো কাজেই আসছে না। 

চাষিরা বলছেন, অপরিকল্পিতভাবে ঘর তৈরি করায় নিরাপত্তার অভাবে সেগুলোতে আলু সংরক্ষণে আগ্রহ কম। এ ছাড়া নষ্ট হওয়ায় ঘরগুলো আর ব্যবহার হচ্ছে না। ঘর নির্মাণের প্রথম বছর চাষিরা আলু রেখে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পরে মুখ ফিরিয়ে নেন। অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে বেশির ভাগ ঘর।

নওগাঁ জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সোহাগ সরকার বলেন, ‘মডেল ঘরগুলো ছায়াযুক্ত স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে, যাতে ঘরে পর্যাপ্ত আলো বাতাস চলাচল করতে পারে। ফলে প্রাকৃতিকভাবে ২ থেকে ৩ মাস আলু সংরক্ষণ করা যায়। আলু সংরক্ষণের পরবর্তী সময়ে চাষিরা সচেতন থাকলে পোকার আক্রমণ এবং পচে নষ্ট হওয়া থেকে ফলন রক্ষা পাবে।’

তিনি বলেন, ‘কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের একটি প্রকল্পে আলু সংরক্ষণের মডেল ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে আগ্রহী চাষিদের মধ্য থেকে উপকারভোগী নির্বাচন করার কাজটি করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর তৈরিতে ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে।’ 

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জেলায় সাতটি হিমাগার রয়েছে। হিমাগারগুলোতে প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু উৎপাদন বেশি হওয়ায় চাষিরা উদ্বৃত্ত ফলন নিয়ে মৌসুমের শুরুতেই কিছুটা বিভ্রান্তিতে পড়েন। তাই কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকের বাড়িতে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে মডেল ঘরগুলো তাদের সহায়ক হিসেবে কাজে লাগে এবং সংরক্ষণ খরচ বাঁচে। সনাতন বা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে সঠিকভাবে আলু সংরক্ষণ করতে পারলে চাষিরা লাভবান হবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

বৌভাত থেকে ফেরার পথে পুকুরে বাস, নিহত ৩

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:১১ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:১৭ পিএম
বৌভাত থেকে ফেরার পথে পুকুরে বাস, নিহত ৩
ছবি: খবরের কাগজ

রংপুরের পীরগাছায় বৌভাতের দাওয়াত থেকে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে পুকুরে পরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। তাদের অধিকাংশই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বুধবার (৯ জুলাই) রাত ১১টার দিকে উপজেলার দেউতি সড়কে বেলতলা বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-  রংপুর নগরীর ১২নং ওয়ার্ডের হাজীরহাট থানার শান্তা রানী (৫০), বাবুপাড়া এলাকার অমৃত বালা (৮০) এবং অজ্ঞাত এক পুরুষ।

স্থানীয় ইকরামুল মিয়া বলেন, বাসটি একটি ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে রাস্তার পাশে পুকুরে পরে যায়। এ সময় শব্দ শুনে আমরা দৌড়ে এসে গুরুতর আহত শিশু, মহিলা ও পুরুষদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানোর ব্যবস্থা করি। পরে ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা এসে আরও অন্তত ২০-২৫ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতাল পাঠায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকার নজিরেরহাটের ৫০-৬০ জন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলতলী এলাকা থেকে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পুকুরে পড়ে যায়।

পীরগাছা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আল-আমিন জানান, ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সেলিম/মেহেদী/