ক্যাপশন: ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিলচালিত ট্রলার দিয়ে গোমতী নদী পার হচ্ছেন এলাকাবাসী। সম্প্রতি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়নে/ খবরের কাগজ
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়নের গোলাপের চর চেঙ্গাকান্দি, গঙ্গাপ্রসাদ ও পার্শ্ববর্তী মেঘনা উপজেলার বাটেরারচর, আলীপুর গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষের কষ্ট যেন দেখার কেউ নেই। এসব গ্রামের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ কয়েক হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ইঞ্জিলচালিত ট্রলার দিয়ে গোমতী নদী পার হয়ে দাউদকান্দি পৌর সদরে আসেন। তাই এলাকাবাসীর দাবি, এই নদীতে দ্রুত সেতু নির্মাণ করে তাদের দুর্ভোগ দূর করা হোক।
জানা গেছে, গোমতী নদীর স্রোত বেশি। তাই ট্রলার দিয়ে নদী পারাপার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত গ্রামগুলোর সাধারণ মানুষ ও স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। অনেক সময় রাতে ট্রলার বা নৌকার মাঝি না থাকায় পারাপারে ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রামবাসীকে। জরুরি রোগীদের ক্ষেত্রে ভোগান্তির মাত্রা আরও বেশি। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই গোমতী নদী পার হওয়া অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।
গোলাপেরচর গ্রামের মো. রবিউল মিয়া বলেন, ‘নদী পারাপারের সময় আমরা আতঙ্কে থাকি। প্রায় সময় এখানে ট্রলার বা নৌকা ডুবে যায়। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আরও বিপজ্জনক। কারণ অনেক ছাত্র-ছাত্রী সাঁতার জানে না।’
চেঙ্গাকান্দি গ্রামের আকলিমা আক্তার বলেন, ‘ব্রিজের অভাবে এই গ্রামের মানুষকে সারা বছর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে স্কুলের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী এবং গর্ভবতী নারীদের জন্য নৌকায় পার হওয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। যদি সরকার একটি ব্রিজ তৈরি করে দেয়, তাহলে আমাদের যাতায়াতের জন্য অনেক সুবিধা হতো।’
দাউদকান্দি আদর্শ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তাসলিমা বলে, ‘বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বেশি থাকায় প্রায়ই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ যেন এখানে সেতু নির্মাণের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।’
চেঙ্গাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘নদীর দুই পাশ মিলিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষার্থীসহ প্রায় ১৫ থেকে থেকে ২০ হাজার মানুষ প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে বা নৌকায় গোমতী নদী পারাপার হন। তাই এখানে দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাই।’
দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম বলেন, ‘সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে নদী পারাপারে শিক্ষার্থী, গর্ভবতী মা ও সাধারণ রোগীরা কষ্ট পাচ্ছেন- বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। গ্রামবাসী যদি একটি ব্রিজ দাবি করে লিখিতভাবে জানান তাহলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হবে।’