
মৌলভীবাজারে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার সব কয়টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন স্থানের নদী ভাঙনের কিছু পুরোনো ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সাধারণ মানুষ বন্যা আতঙ্কে রয়েছেন।
জেলার মনু, জুড়ী ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কোনো জায়গায় নদ-নদী ভাঙনের কোনো খবর পায়নি জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, সোমবার (২ জুন) দুপুর ২টায় মনু নদের রেলওয়ে ব্রিজে পানি বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার, চাঁদনীঘাট পয়েন্টে পানি ৭৩ সেন্টিমিটার, জুড়ী নদীতে ১৬৯ সেন্টিমিটার ও কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ধলাই নদীর পানি ১৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ছবি: খবরের কাগজ
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী তুহিন জুবায়ের বলেন, মৌলভীবাজারের মনু নদের বাঁধ ভাঙনের খবর সঠিক নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই গত বছরের ভিডিও ভাইরাল করার চেষ্টা করছেন। এই গুজবে দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই নদী ভাঙনের খবর জানতে চাচ্ছেন।
পৌরশহরের মনুপারের শান্তিবাগ ওয়াকওয়ে কথা হয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক জয়নাল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন স্থানের নদী ভাঙনের কিছু পুরোনো ছবি ও ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে। এতে মানুষজন আতঙ্কে আছেন। আমি সঠিক খবর নিতে এখানে আসলাম।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, আগেও নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যা হয়। ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিরক্ষা বাঁধের যেকোনো স্থান ভেঙে যেতে পারে। পাশাপাশি আগের অনেক বাঁধে এখনো কাজ হয়নি। যদি পানি বাড়তে থাকে তাহলে আগের বাঁধগুলো দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করবে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন ওয়ালিদ বলেন, মনু, জুড়ী ও কুশিয়ারা নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে দ্রুত পানি নেমে যাবে।
নদী ভাঙনের বিষয়ে ওই প্রকৌশলী জানান, জেলার কোনো জায়গায় নদ-নদী ভাঙনের কোনো খবর পাইনি। আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি।
পুলক পুরকায়স্থ/মাহফুজ