
মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলার নব্য চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের প্রতিহত করতে বিএনপির নেতা-কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও বাগেরহাট-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী কাজী মনিরুজ্জামান মনির।
নব্য চাঁদাবাজ-দখলবাজদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করে চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য করছে। এদের বিরুদ্ধে সবাই মিলে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। সম্মিলিতভাবে এই সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ নব্য এরশাদ শিকদারকে প্রতিহত করব, ইনশাআল্লাহ।
সোমবার (৩ জুন) মোড়েলগঞ্জে মীম কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করে কাজী মনির বলেন, জিয়াউর রহমানের বিকল্প কেবল জিয়াই। স্বাধীনতার ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন নির্লোভ নিরহংকার, দেশপ্রেমিক। তিনি বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি, বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের জন্য গার্মেন্টস ও বিভিন্ন খামার করেছেন। তিনি যে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া মানুষের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন, তার প্রমাণ তার মৃত্যুর পর বৃহৎ জানাজার নামাজ। এছাড়া ইরাক ও ইরানের মধ্যকার যুদ্ধ মীমাংসাকারী, মুসলমানদের বিচারলায় আরাফা ময়দানে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিম গাছ রোপন করেছেন, যা সৌদিবাসী সারজাতুল জিয়া বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকারপ্রধান অসত্য ও ভুল ম্যাসেস দিচ্ছেন। দেশে শুধু একটি দল নয়, দেশে ৪৬ দল নিবন্ধিত দলসহ ৫৩টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়।
কাজী মনির বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই সরকারকে চাঁদাবাজ-দখলবাজ সন্ত্রাসীদের আইনি ব্যবস্থা নিতে বললেও নিচ্ছেন না। তবে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে যারা লিপ্ত হয়েছে তাদেরেকে বহিষ্কার করছেন। তিনি এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। মোড়েলগঞ্জে বিগত সময়ে বিএনপি নামধারী আওয়ামী দোসর হেলিকপ্টারে আসা যাওয়া করতো, আর সামনে পেছেন পুলিশ ও র্যাব থাকতো। তার চারদিকে ছিল ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। তারই নেতৃত্বে সর্বত্র চাঁদা-দখল বাণিজ্য সহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে।
খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম (ভার্চুয়ালি), বিএনপি নেতা অধ্যাপক আব্দুল আউয়াল, মনিরুল হক ফরাজী, অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আল আজাদ, অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ফকির, বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন তালুকদার প্রমুখ।
শফিকুল ইসলাম