ঢাকা ১ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
English

বহিষ্কৃত যুবদল নেতার সঙ্গে একই মঞ্চে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম
বহিষ্কৃত যুবদল নেতার সঙ্গে একই মঞ্চে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেকের সঙ্গে মঞ্চে বহিষ্কৃত যুবদল নেতা আশরাফ ভূইয়ার বামপাশে সাদা পঞ্জাবি পরিহিত। ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজির দায়ে বহিষ্কৃত যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ ভূইয়ার সঙ্গে একই মঞ্চে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেককে দেখে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একই মঞ্চে তাদের অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় পুরো জেলায় যুবদলের নেতাকর্মী মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় নেতাকর্মীদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে।

রবিবার (১ জুন) বিকেলে উপজেলার পেরাবো এলাকার ফান ল্যান্ড পার্কে শহিদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে বসে বিভিন্ন আলাপ ও দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। এরপর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা সৃষ্টি হয়। 

জানা যায়, দখলবাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় যুবদলের দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আশরাফ ভূঁইয়াকে সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিতে যুবদলের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক তার সঙ্গে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেই যাচ্ছেন। এতে একাধিবার বিতর্ক সৃষ্টি হলেও এবার পুরো জেলায় টক অব দ্যা টাউন এ পরিনত হয়েছে। 

অভিযোগ রয়েছে, বহিষ্কার হওয়ার পর থেকেই জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেকের সঙ্গে আঁতাত করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন আশরাফ ভূঁইয়া। এছাড়াও বহিষ্কৃত এ নেতা আশরাফ ভূঁইয়ার সঙ্গে সোনারগাঁ থানায় চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে একটি সালিশি বৈঠকে ওসির কক্ষে সাদেকুর রহমান সাদেককে দেখা গিয়েছে। 

গত ২১ মে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে তারুণ্যের সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় সাদেকুর রহমান সাদেকের বলয়ে কিছু সংখ্যক লোক নিয়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল কবির পল ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রেজাউল হক জিয়ার সামনে আশরাফ ভূইয়া বসলে হৈ চৈ শুরু হয়। পরে আশরাফ ভূইয়ার সাংগঠনিকভাবে বহিষ্কার হওয়া সত্ত্বেও অনুষ্ঠানে আসায় তাকে শাসিয়ে সভা কক্ষ থেকে বের করে দেন রেজাউল কবির পল। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ নিয়েও নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যুবদলের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বহিষ্কৃত নেতা আশরাফ ভূইয়া নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ককে ব্যবহার করে জামপুর ইউনিয়নে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছেন। কিছুতেই তার লাগাম টানা যাচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক জেলা যুবদল নেতা জানান, আশরাফ ভূইয়াকে চাঁদাবাজি ও তার উশৃঙ্খলার সত্যতা পেয়েই কেন্দ্র থেকে সরাসরি বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখতে যুবদলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলা আহ্বায়কের এমন কর্মকাণ্ড সাংগঠনিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।

সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপন বলেন, আমরা জিয়াউর রহমানের আদর্শে রাজনীতি করি। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আশরাফ ভূঁইয়াকে বহিষ্কারের পাশাপাশি তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে রাজনীতি করি। কেউ তার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রেখে তাকে সঙ্গে নিয়ে সভা, সমাবেশ করলে দায় ভার তার নিজের নিতে হবে। 

নারায়ণগঞ্জে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক বলেন, সোনারগাঁয়ের ২১ মে একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে তারুণ্যের সমাবেশের প্রস্তুতি সভা শেষে কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল কবির পল তাকে ঢাকায় সমাবেশে নেতাকর্মী নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছেন। তবে দলের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকী আশরাফ ব্যক্তিগতভাবে পালন করেছেন। দলীয় পদ ব্যবহার না করে অনুষ্ঠান করেছেন। সেই অনুষ্ঠানে আমাকে অতিথি করেছেন, আমি গিয়েছে। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। 

ইমরান হোসেন/মাহফুজ 

 

 

সিরাজগঞ্জে খাদ্য বিষক্রিয়ায় ভাই-বোনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম
সিরাজগঞ্জে খাদ্য বিষক্রিয়ায় ভাই-বোনের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে কাঁঠাল ও মুড়ি খেয়ে খাদ্য বিষক্রিয়া হয়ে বাকি বিল্লাহ (৫) ও আছিয়া খাতুন (৪) নামে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই ) দুপুরে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতদের পিতা নুরুল হক স্থানীয় তাঁত কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। 

স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কাঠাল-মুড়ি খায় শিশু বাকি বিল্লাহ ও আছিয়া খাতুন। তবে খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দুই শিশুই ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পরে। পরে অসুস্থ অবস্থায় শিশুদের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ভাই-বোনকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জুলফিকার আলী জানান, খাদ্য বিষক্রিয়া হয়ে দুই ভাই বোনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। শিশু দুটির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সিরাজুল ইসলাম/সুমন/

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম
কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে ফেরার পথে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। তাদের এই অবরোধ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরাও।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ী বিশ্বরোড এলাকায় আধা ঘণ্টারও বেশি সময় সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে শত শত যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট কার। দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয় এনসিপি নেতাদের ওপর। যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহাসড়ক ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হয়।

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মাজহারুল ইসলাম হানিফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক সাকিব হোসেন, কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক আবু রায়হান, সদস্য সচিব রাশেদুল হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির শ্রমিক উইংসের জেলা আহ্বায়ক ফজলে এলাহী রুবেলসহ অন্যান্য নেতারা।

এ বিষয়ে মাজহারুল ইসলাম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবের মহানায়কদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অবিলম্বে এনসিপির নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিষিদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরীর আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করে ফেরার পথে নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। এর প্রতিবাদে আমারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছিলাম। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ করার পরে আমরা জানতে পারি আমাদের নেতৃবৃন্দ নিরাপদে সেখান থেকে সরে এসেছেন, তাই আমরা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছি।

জহির শান্ত/মাহফুজ

গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে সিলেটে এনসিপির ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে সিলেটে এনসিপির ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি
ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে ডাকা ব্লকেড কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটেও কর্মসূচি পালন করেছে দলের নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে সাড়ে ৫টায় মিছিল সহকারে চন্ডিপুলের দিকে যাত্রা করেনে এনসিপির নেতাকর্মীরা।

বিকেল পৌনে ৬টার দিকে চন্ডিপুল এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। এসময় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ বিরোধী স্লোগানে দিতে থাকেন তারা।

পরে ৬টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নেন তারা। এসময় এনসিপির একজন নেতা জানান, গোপালগঞ্জ থেকে এনসিপির শীর্ষ নেতারা নিরাপদ অবস্থানে যেতে পারায় জনভোগান্তিমূলক কর্মসূচি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কেন্দ্র থেকে নতুন কোনো নির্দেশনা আসলে আমরা সে অনুযায়ী কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।

শাকিলা ববি/মাহফুজ

মুন্সীগঞ্জে ব্লকেড কর্মসূচি, পদ্মা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
মুন্সীগঞ্জে ব্লকেড কর্মসূচি, পদ্মা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ
ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও সভায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি আহব্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এর অংশ হিসেবে তাৎক্ষণিক ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উত্তর থানা সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে দক্ষিণবঙ্গমুখী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় জাতীয় নাগরিক পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। 

এতে সেতুতে প্রায় ৫০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে নেতাকর্মীরা সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরে গিয়ে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কর্মসূচির ঘোষণা করার পর বিকাল ৫টার দিকে তারা পদ্মা সেতু উত্তর থানা সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের দক্ষিণবঙ্গমুখী লেনে অবস্থান নেয়। এতে যান চলাচল বিঘ্নিত হতে থাকে। পরে বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে দক্ষিণ ওই সড়ক হয়ে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা। পরে ৬টা ১০ টার দিকে আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে গিয়ে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নেয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য ইব্রাহিম নিরব জানান, মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় ব্লকেড প্রত্যাহার করে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছে নেতাকর্মীরা। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, প্রায় ৫০ মিনিট দক্ষিণবঙ্গমুখী যান চলাচল বন্ধ ছিল। আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ায় এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

মঈনউদ্দিন আহমেদ ‍সুমন/মাহফুজ

 

পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম
পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নাজিরপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনার ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তবে মামলা থেকে ২ জনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। 

সাজা প্রাপ্তরা হলেন- পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মধ্য হোগলাবুনিয়া গ্রামের হাতেম আলী শেখ (৬৬), তার দুই ছেলে মাজেদুল ইসলাম ডালিম (৪১) ও সেলিম শেখ (৪৬) এবং মো. জাহাঙ্গীর শেখ (৫১)। তবে মামলা চলাকালীন মারা গেছেন হাতেম আলী। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মধ্য হোগলাবুনিয়া গ্রামের বাদশা শেখ বাড়ি থেকে ধান নিয়ে অন্যত্র শুকানোর জন্য যাওয়ার পথে তার উপর হামলা করে প্রতিপক্ষের ১৪-১৫ জন লোক। হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এছাড়া বাদশাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করতে বাধা দেয় হামলাকারীরা। পরবর্তী সময়ে নাজিরপুর থানা পুলিশের সহায়তায় বাদশাকে স্বজনরা নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরেরদিন মারা যায় বাদশা। এ ঘটনায় নিহত বাদশার স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে ওই দিন ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। 

এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৬ জনকে অভিযুক্ত করে পরের বছর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তবে আদালত মামলা থেকে হাতেম আলীর স্ত্রী সেফালি বেগম (৫৬) এবং জাহাঙ্গীরের স্ত্রী হাসি বেগমকে (৩৮) অব্যাহতি প্রদান করেন। 

রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

হাসিবুল ইসলাম হাসান/মাহফুজ