
পাহাড়ধসের আশঙ্কায় চট্টগ্রামের বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড় পাঁচ দিন ধরে একপাশ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ওই সড়কে থেমে থেমে যানজট হচ্ছে। উল্টো পথে গাড়ি চলায় দেখা দিয়েছে সড়ক দুর্ঘটনার আশঙ্কাও। তবে তেমন কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সোমবার (২ জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বায়েজিদ লিংক রোড়ে এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটির সামনে ফৌজদারহাটমুখী লেনে কয়েকটি সিমেন্টের বার দেওয়া হয়েছে। সেখান অংশ থেকে স্পেক্টা কনস্ট্রাকশনের একটি রিসোর্ট সংলগ্ন ইউটার্ন পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে উভয় পাশের সিএনজিচালিত অটোরিকশা, প্রাইভেট কার, ট্রাক, বাসসহ সব ধরনের যানবাহন একই লেন অর্থাৎ বায়েজিদমুখী লেন দিয়ে চলাচল করছে। ফলে রাতের বেলায় এক ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে মুখোমুখি সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। কেননা সেখানে পার্শ্ববর্তী ছিন্নমূল এলাকার শত শত সিএনজিচালিত অটোরিকশা উল্টো পথে চলাচল করে।
সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আবদুল মালেক বলেন, ‘আমাদের অটোরিকশাগুলো পার্শ্ববর্তী এলাকা ছিন্নমূলে চলাচল করে। আমরা এক নম্বর এলাকা দিয়ে ছিন্নমূলের ভেতরের সড়কে চলে যাই। একপাশ দিয়ে উভয় লেনের গাড়ি চলাচল করায় আমাদের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে। অনেক সময় রাতের বেলায় বড় গাড়ি বিকল হয়ে থাকে সড়কের ওপর। আবার অনেক বাইকার দ্রুতগতিতে গাড়ি চালান এই রোডে। কিছু দিন পরপর এখানে দুর্ঘটনা ঘটে।’
স্থানীয় ব্যবসায়ী জসিম বলেন, ‘ছিন্নমূলের সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো উল্টো পথে আসে। তারা যে সড়ক দিয়ে প্রবেশ করে, সেখানে কোনো ইউটার্ন রাখা হয়নি। এ জন্য তারা দূরের ইউটার্ন দিয়ে না এসে উল্টো পথে গাড়ি চালায়। যাত্রীরা বললেও শুনে না।’ এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে চালকরা কথা বলতে রাজি হননি।
সিডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদ বিন আনোয়ার বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের ঝুঁকি এড়াতে সড়কটির একপাশ পাঁচ দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃষ্টি থেমে গেলে খুলে দেওয়া হবে।’