ঢাকা ১ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
English

সিলেটে বৃষ্টি কমলেও থামেনি পাহাড়ি ঢল, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
সিলেটে বৃষ্টি কমলেও থামেনি পাহাড়ি ঢল, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটে গত দুইদিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাত কিছুটা কমলেও ভারতের পাহাড়ি ঢল থামেনি। যার ফলে সিলেট জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার চারটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভারতের আসাম রাজ্যের বরাক উপত্যকায় কয়েকদিন ধরে টানা ভারী বর্ষণের ফলে দ্রুত বাড়ছে সীমান্ত নদী কুশিয়ারার পানি। আর এই কুশিয়ারা নদী বয়ে গেছে সিলেটের জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলা দিয়ে। তাই এই তিন উপজেলায় ইতোমধ্যে নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে গেছে। বিশেষ করে বাঁধ ভেঙে সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার এলাকার লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে এবং এই দুই উপজেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। ভারতের পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে কুশিয়ারার বাঁধে আরও ভাঙন দেখা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

এদিকে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদীর তিনটি স্থানে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। রবিবার (১ জুন) রাত থেকে সোমবার (২ জুন) সকাল পর্যন্ত জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রারাই গ্রামে প্রায় ১০০ ফুট, বাখরশাল গ্রামে ৫০ ফুট এবং খলাছড়া ইউনিয়নের লোহারমহল এলাকায় ৪০ ফুট বাঁধ ভেঙে যায়। এছাড়া আরও ২৫ থেকে ৩০টি স্থানে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করছে। যার ফলে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ৫০টি গ্রাম।

অপরদিকে বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের আঙ্গারজুর গ্রাম এলাকায় কুশিয়ারা নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে ওই অঞ্চলের একাধিক গ্রাম ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যার আশঙ্কায় বিয়ানীবাজারে ৬৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিরণ মাহমুদকে প্রধান করে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

সুরমা, কুশিয়ারা নদী ছাড়াও সিলেট জেলার সীমান্তবর্তী সারি, সারিগোয়াইন, ডাউকি, ধলাই ও লোভা নদীতে পানি বাড়ছে। ফলে গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মানুষ উদ্বেবেগের সাথে দিনানিপাত করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের তথ্য মতে, মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা তিনটায় কুশিয়ারা নদীর পানি জকিগঞ্জ উপজেলার আমলশিদ পয়েন্ট বিপৎসীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার, বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা পয়েন্টে ৪৮ সেন্টিমিটার ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৬.৬ মিলিমিটার।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস খবরের কাগজকে বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার ও সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মূলত ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে বিশেষ করে শিলচরে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে যার ফলে সেই পানি আমাদের সুরমা ও কুশিয়ারা নদী দিয়ে নামছে। এজন্য সিলেটের কয়েকটি উপজেলার মানুষজন বন্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। যেহেতু সিলেটেও বৃষ্টিপাত কমে গেছে, আশা করছি আগামী দুই তিনদিনের মধ্যে বন্যার পানি নেমে যাবে।

শাকিলা ববি/মাহফুজ

সিরাজগঞ্জে খাদ্য বিষক্রিয়ায় ভাই-বোনের মৃত্যু

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম
সিরাজগঞ্জে খাদ্য বিষক্রিয়ায় ভাই-বোনের মৃত্যু
ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে কাঁঠাল ও মুড়ি খেয়ে খাদ্য বিষক্রিয়া হয়ে বাকি বিল্লাহ (৫) ও আছিয়া খাতুন (৪) নামে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই ) দুপুরে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতদের পিতা নুরুল হক স্থানীয় তাঁত কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। 

স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কাঠাল-মুড়ি খায় শিশু বাকি বিল্লাহ ও আছিয়া খাতুন। তবে খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে পর্যায়ক্রমে দুই শিশুই ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পরে। পরে অসুস্থ অবস্থায় শিশুদের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ভাই-বোনকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জুলফিকার আলী জানান, খাদ্য বিষক্রিয়া হয়ে দুই ভাই বোনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। শিশু দুটির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সিরাজুল ইসলাম/সুমন/

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৬ পিএম
কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ শেষে ফেরার পথে কেন্দ্রীয় নেতাদের গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লায় মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। তাদের এই অবরোধ কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরাও।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ী বিশ্বরোড এলাকায় আধা ঘণ্টারও বেশি সময় সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে শত শত যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট কার। দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে বলেন, গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয় এনসিপি নেতাদের ওপর। যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মহাসড়ক ব্লকেড কর্মসূচি পালন করা হয়।

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যুব শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মাজহারুল ইসলাম হানিফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক সাকিব হোসেন, কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক আবু রায়হান, সদস্য সচিব রাশেদুল হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির শ্রমিক উইংসের জেলা আহ্বায়ক ফজলে এলাহী রুবেলসহ অন্যান্য নেতারা।

এ বিষয়ে মাজহারুল ইসলাম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবের মহানায়কদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অবিলম্বে এনসিপির নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিষিদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তার করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরীর আহ্বায়ক আবু রায়হান বলেন, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করে ফেরার পথে নিষিদ্ধ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। এর প্রতিবাদে আমারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছিলাম। আধা ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ করার পরে আমরা জানতে পারি আমাদের নেতৃবৃন্দ নিরাপদে সেখান থেকে সরে এসেছেন, তাই আমরা মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছি।

জহির শান্ত/মাহফুজ

গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে সিলেটে এনসিপির ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
গোপালগঞ্জে হামলার প্রতিবাদে সিলেটে এনসিপির ‘ব্লকেড’ কর্মসূচি
ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সারা দেশে ডাকা ব্লকেড কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেটেও কর্মসূচি পালন করেছে দলের নেতাকর্মীরা। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে সাড়ে ৫টায় মিছিল সহকারে চন্ডিপুলের দিকে যাত্রা করেনে এনসিপির নেতাকর্মীরা।

বিকেল পৌনে ৬টার দিকে চন্ডিপুল এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন দলটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। এসময় আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ বিরোধী স্লোগানে দিতে থাকেন তারা।

পরে ৬টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নেন তারা। এসময় এনসিপির একজন নেতা জানান, গোপালগঞ্জ থেকে এনসিপির শীর্ষ নেতারা নিরাপদ অবস্থানে যেতে পারায় জনভোগান্তিমূলক কর্মসূচি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কেন্দ্র থেকে নতুন কোনো নির্দেশনা আসলে আমরা সে অনুযায়ী কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।

শাকিলা ববি/মাহফুজ

মুন্সীগঞ্জে ব্লকেড কর্মসূচি, পদ্মা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
মুন্সীগঞ্জে ব্লকেড কর্মসূচি, পদ্মা সেতুতে যান চলাচল বন্ধ
ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও সভায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি আহব্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এর অংশ হিসেবে তাৎক্ষণিক ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পদ্মা সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতু উত্তর থানা সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে দক্ষিণবঙ্গমুখী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় স্থানীয় জাতীয় নাগরিক পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। 

এতে সেতুতে প্রায় ৫০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে নেতাকর্মীরা সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহাসড়ক থেকে সরে গিয়ে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কর্মসূচির ঘোষণা করার পর বিকাল ৫টার দিকে তারা পদ্মা সেতু উত্তর থানা সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের দক্ষিণবঙ্গমুখী লেনে অবস্থান নেয়। এতে যান চলাচল বিঘ্নিত হতে থাকে। পরে বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটের দিকে দক্ষিণ ওই সড়ক হয়ে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়ে দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরা। পরে ৬টা ১০ টার দিকে আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে গিয়ে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নেয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য ইব্রাহিম নিরব জানান, মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় ব্লকেড প্রত্যাহার করে মহাসড়কের পাশে অবস্থান নিয়েছে নেতাকর্মীরা। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, প্রায় ৫০ মিনিট দক্ষিণবঙ্গমুখী যান চলাচল বন্ধ ছিল। আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ায় এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

মঈনউদ্দিন আহমেদ ‍সুমন/মাহফুজ

 

পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম
পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নাজিরপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনার ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। তবে মামলা থেকে ২ জনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। 

সাজা প্রাপ্তরা হলেন- পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মধ্য হোগলাবুনিয়া গ্রামের হাতেম আলী শেখ (৬৬), তার দুই ছেলে মাজেদুল ইসলাম ডালিম (৪১) ও সেলিম শেখ (৪৬) এবং মো. জাহাঙ্গীর শেখ (৫১)। তবে মামলা চলাকালীন মারা গেছেন হাতেম আলী। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৭ ডিসেম্বর জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মধ্য হোগলাবুনিয়া গ্রামের বাদশা শেখ বাড়ি থেকে ধান নিয়ে অন্যত্র শুকানোর জন্য যাওয়ার পথে তার উপর হামলা করে প্রতিপক্ষের ১৪-১৫ জন লোক। হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এছাড়া বাদশাকে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করতে বাধা দেয় হামলাকারীরা। পরবর্তী সময়ে নাজিরপুর থানা পুলিশের সহায়তায় বাদশাকে স্বজনরা নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরেরদিন মারা যায় বাদশা। এ ঘটনায় নিহত বাদশার স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে ওই দিন ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে নাজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। 

এ ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৬ জনকে অভিযুক্ত করে পরের বছর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তবে আদালত মামলা থেকে হাতেম আলীর স্ত্রী সেফালি বেগম (৫৬) এবং জাহাঙ্গীরের স্ত্রী হাসি বেগমকে (৩৮) অব্যাহতি প্রদান করেন। 

রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

হাসিবুল ইসলাম হাসান/মাহফুজ