
ঈদযাত্রার শেষ সময়েও ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে তীব্র যানযট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শুক্রবার (৬ জুন) বিকেল পর্যন্ত মহাসড়কের প্রায় ৩০ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানযট দেখা যায়।
জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন যানযট নিরসনে। তবে মহাসড়কে দেখা যায়নি জেলা প্রশাসনের কোনো কর্মকর্তাকে।
ঘরমুখো যাত্রীরা বলেন, ‘বিগত কয়েক বছরে এ ধরনের যানযটে পড়িনি আমরা। গত রমজান শেষে ঈদুল ফিতরেও এতো ভোগান্তি হয়নি। গত দুদিনে মহাসড়ক যেন বসত ঘর হয়ে গেছে।’
ঢাকার বাড্ডা থেকে রওনা হওয়া বগুড়াগামী সাদিয়ার সঙ্গে কথা হয়।
তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টায় মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে বগুড়া যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠেছি এখন বিকেল হয়ে গেছে। সব সময় যেখানে যেতে সময় লাগে ৩/৪ ঘণ্টা সেখানে এখন ১৬ ঘণ্টায়ও যেতে পারছি না। সঙ্গে ছোট বাচ্চা আছে। এই সড়কে ভোগান্তির শেষ নেই।’
কাওছার নামে রাজশাহীগামী এক যাত্রী বলেন, ‘আগামীকাল (শনিবার) ঈদের নামাজ পড়তে পারবো কি না জানি না। সকালে রওনা হয়েছি গাবতলী থেকে এখন এলেঙ্গা পর্যন্ত। এই পর্যন্ত আসতে যে ভোগান্তি হলো বাকী পথ কিভাবে যাব আল্লাহ জানে।’
এলেঙ্গা হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ শরীফ খবরের কাগজকে বলেন, ‘মহাসড়কে বর্তমানে তেমন কোন জটলা নেই। আশা করছি অতিদ্রুত আমরা এই ধীরগতি নিরসন করতে পারব। পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাতে সেতুর উপর দুর্ঘটনা ঘটার কারণে সেতুর টোল প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ ছিল, যার ফলে যানযটের সৃষ্টি হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেটরা কাজ করছে। বারতি ভাড়া নিয়েও জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।’
জুয়েল/পপি/