ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

গোমস্তাপুরে ট্রাক-ইজিবাইক সংঘর্ষে দুইজন নিহত

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
গোমস্তাপুরে ট্রাক-ইজিবাইক সংঘর্ষে দুইজন নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে ট্রাক ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ইজিবাইকের আরও ৫ যাত্রী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৬ জুন) সকালে উপজেলার চৌডালা বেলাল বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার চৌডালা বেনীচক গ্রামের  আহসান হাবিবের ছেলে ইজিবাইকের চালক জাহিদ হোসেন ও যাত্রী বোয়ালিয়া ঘাটনগর এলাকার মিঠনের ছেলে হাসান (১১)।

গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আসাদুল্লাহ/অমিয়/

কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে ওঝার মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:০৪ এএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:০৭ এএম
কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে ওঝার মৃত্যু
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

মিরপুরে সাপ ধরতে গিয়ে বিষাক্ত গোখরা সাপের কামড়ে দুল্লু সাপুড়ি নামে এক ওঝার মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের আখের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুল্লু সাপুড়ির বাড়ি পার্শ্ববর্তী ছাতিয়ান ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে।

ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পোড়াদহ আখেরমোড় এলাকার আখেরের বাড়িতে বিষাক্ত গোখরা সাপের দেখা যায়। পরে বাড়ির লোকজন সাপ ধরার জন্য সাপুড়িকে খবর দেয়। এর পর সাপুড়ি সাপ ধরে হাঁড়িতে ঢুকাতে গেলে সাপ ছোবল দিলে সাপুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মিলন/মেহেদী/

ফেনীতে প্রস্তুত ১৩১ আশ্রয়কেন্দ্র

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৫ এএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম
ফেনীতে প্রস্তুত ১৩১ আশ্রয়কেন্দ্র
ছবি: খবরের কাগজ

গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় নানা প্রস্তুতি গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে দুই উপজেলায় মোট ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবারের জন্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলায় ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

এ ছাড়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম (মোবাইল নম্বর-01818-444500, 01336-586693 ) খোলা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ৪০০ করে মোট ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্গতদের মাঝে রান্না করা খাবার সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা দুই দিন ধরে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরে সর্বোচ্চ।

ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর ১১ টি স্থানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।  

নিলয়/মেহেদী/

ওষুধ সরবরাহ বন্ধ, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম
ওষুধ সরবরাহ বন্ধ, ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা
সংগৃহীত

খুলনা জেলায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে ২৩ ধরনের ওষুধ পেত গ্রামের সাধারণ মানুষ। কিন্তু ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে এসব কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি পর্যাপ্ত জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর অভাবে পরিবার পরিকল্পনা সেবাও ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসাকেন্দ্রে এসে ওষুধ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। 

জানা গেছে, জেলা পরিবার পরিকল্পনার আওতায় ৪৮টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র, মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র দুটি ও স্যাটেলাইট ক্লিনিক রয়েছে ৩৪৮টি। এর বাইরে ১৮৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি, বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালি, ভান্ডারকোট, ফুলতলা উপজেলা, পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি, গদাইপুর, রাড়ুলী, চাঁদখালী, গড়ইখালী ও তেরখাদা উপজেলার আজগড়ায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র পরিচালিত হয়। এসব ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রাথমিক সেবা দেন। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য পরিচর্যা, শিশুরোগের সমন্বিত চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাসেবা ও সাধারণ রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে ২৩ ধরনের ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে রোগীও তুলনামূলক কমে গেছে। স্বাস্থ্য সহকারী রোকসানা আক্তার জানান, রোগীর সংখ্যা আগের মতো নেই। কারণ সরকারিভাবে সরবরাহ করা ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ায় রোগীকে শুধু ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হচ্ছে। কয়েক মাস ধরে সেবা নিতে এসে কেউই ওষুধ পাননি। শুধু রোগের বিবরণ শুনে প্রেসার আর ওজন মেপে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। তবে তাদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ও রোগ প্রতিরোধের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

রূপসা উপজেলার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সেই সঙ্গে জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর সরবরাহও কমেছে। ফলে পরিবার পরিকল্পনা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। কবে ওষুধের সংকট কাটবে, সেটা কেউই বলতে পারে না।’ 

খুলনার দিঘলিয়ায় গত এপ্রিলে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা দম্পতির সংখ্যা ছিল ৭২ হাজার ৪২৪। একইভাবে ডুমুরিয়ায় ৫৪ হাজার ৮১৬, সদরে ৪৪ হাজার ১৬২, দাকোপে ২৫ হাজার ১৮৭, তেরখাদায় ২০ হাজার ৫১, ফুলতলায় ২৩ হাজার ৯৯, বটিয়াঘাটায় ৩২ হাজার ২৭৯, পাইকগাছায় ৪৬ হাজার ৯৮৩, রূপসায় ৩১ হাজার ৩০৬, কয়রায় ৩১ হাজার ৬৫৭ দম্পতি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন, যা আগের মাসের তুলনায় শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ কম। 

তবে খুলনা জেলার পরিবার পরিকল্পনা উপপরিচালক আকিব উদ্দিন বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ ছিল না। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে সেটা স্বাভাবিক হবে বলে জানা গেছে। আর জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ইতোমধ্যে পৌঁছেছে। যখন জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রীর ঘাটতি ছিল, ওই সময় বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বনে উৎসাহিত করা হয়েছে।’    

 

ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি ২০ গ্রামের মানুষ

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৬ এএম
ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি ২০ গ্রামের মানুষ
ছবি: খবরের কাগজ

ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর ১১টি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। এতে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেল থেকে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।

ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর চার স্থানে ও পরশুরামে সিলোনিয়া নদীর সাত স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মধ্যম ধনীকুন্ডা, নোয়াপুর, শালধর এলাকায় তিনটি, ফুলগাজী উপজেলার দেড়পাড়ায় দুইটি, নাপিত কোনায় একটি স্থান ভেঙে গেছে। 

এছাড়া সিলোনিয়া নদীর মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম গদানগর, জঙ্গলঘোনা, উত্তর মনিপুর দাসপাড়া ও মেলাঘর কবরস্থানের পাশে চারটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

পরশুরামের উত্তর মনিপুর এলাকার রহমান মিয়া বলেন, ‘গেল বছরে বল্লামুখা বাঁধের ভাঙন স্থলের একটি স্থানে এখনো মেরামত কাজ শেষ হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকদের গাফিলতির কারণে এমন হয়েছে। সেই জায়গা দিয়ে আজ আবারও পানি প্রবেশ করছে। এছাড়া নদীগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে না আনলে প্রতিবছরই এমন ভোগান্তিতে পড়তে হবে।’ 

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১১টি স্থানে ভাঙনের তথ্য পেয়েছি। আরও খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানব। মাঠপর্যায়ে আমাদের কাজ অব্যাহত রয়েছে। 

এদিকে টানা বর্ষণে ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়া, শহিদ শহিদুল্লা কায়সার সড়ক, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস, শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠানবাড়ি, নাজির রোড, মিজান রোড, একাডেমি, সদর হাসপাতাল মোড় ও পেট্রোবাংলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার নিচু সড়কগুলো। দোকানপাটে পানি ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালপত্র। তবে বিকেল থেকে বৃষ্টির পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে।
 
ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা দুই দিন ধরে মাঝারী ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরে সর্বোচ্চ। আগামী দুই-তিন দিন জেলাজুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

তোফায়েল/অমিয়/

প্রত্যাশার সেতু এখন মরণফাঁদ নতুন চেয়ে মিলছে সংস্কারের আশ্বাস

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৪ এএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৫ এএম
প্রত্যাশার সেতু এখন মরণফাঁদ নতুন চেয়ে মিলছে সংস্কারের আশ্বাস
ক্যাপশন: স্কুলগামী কয়েকজন শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছে। মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়ন থেকে তোলা/ খবরের কাগজ প্রত্যাশার সেতু এখন মরণফাঁদ নতুন চেয়ে মিলছে সংস্কারের আশ্বাস আসাদ জামান, মানিকগঞ্জ মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়ন। আট বছর আগে এই এলাকার জৈল্যা খালের ওপর একটি বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। শুরুতে এই সেতুকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। কিন্তু এই সেতুটিই এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সেতুটির রেলিং ভেঙে গেছে। কাঠের পাটাতনে তৈরি হয়েছে বড় বড় ছিদ্র। এ ছাড়া নড়বড়ে অবকাঠামোর কারণে প্রতিমুহূর্তে রয়েছে সেতু ভেঙে পানিতে পড়ে প্রাণহানির শঙ্কা। অথচ এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ যাতায়াত করেন। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে একটি টেকসই সেতু নির্মাণ করা হোক। যদিও এই দাবি একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের কাছে করেও কোনো ফল না পাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে খোদ জনপ্রতিনিধির মুখে। অবশ্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ মিলেছে সেতুটি সংস্কারের আশ্বাস। বলধারা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় মাত্র ২ লাখ টাকা ব্যয়ে জৈল্যা খালের ওপর প্রায় ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর রেলিং অনেক আগেই ভেঙে পড়েছে। পাটাতনের অসংখ্য স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় ছিদ্র। কোথাও কোথাও কাঠ উঠে গিয়ে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে। হেঁটে কিংবা বাইসাইকেল চালিয়ে ব্রিজ পার হওয়াটাই যেন রীতিমতো এক দুঃসাহসিক অভিযান। সেতুর দক্ষিণ পাশেই অবস্থিত জৈল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে। ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা। স্থানীয়রা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে তারা ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিনের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে ব্রিজটি এখন জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকিতে পরিণত হয়েছে। তাদের আশঙ্কা-যেকোনো মুহূর্তেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, সংস্কারের আশ্বাস বহুবার পেলেও বাস্তবে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ তারা দেখেননি। এ অবস্থায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আবুল কাশেম মিয়া নামে স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, ‘আমার জীবনে অনেক ব্রিজ দেখেছি, কিন্তু এমন ভয়ানক অবস্থা কখনো দেখিনি। দিনে দিনে শুধু খারাপই হচ্ছে। আমরা না জানি কখন একটা বড় দুর্ঘটনার খবর শুনব।’ শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলে, ‘ব্রিজের ওপর হাঁটতে ভয় লাগে। মাঝেমধ্যে পাটাতনের ফাঁকার মধ্যে পা ঢুকে যায়। আমার স্কুলের অনেকে ব্যথাও পেয়েছে। আর বৃষ্টির দিনে আরও বেশি ভয় করে। আমাদের কথা চিন্তা করে হলেও এখানে একটি নতুন ব্রিজ বানানো হোক।’ এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সালমা বেগম বলেন, ‘আমার ছোট মেয়েটা জৈল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিন এই ব্রিজ দিয়েই স্কুলে যায়। আমি প্রতিদিন ওর জন্য দোয়া করি যেন নিরাপদে যেতে পারে। কিন্তু কতদিন এভাবে চলবে?’ আবদুর রহমান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘সেতুর যে অবস্থা তাতে আমাদের গ্রামের কেউ মারা গেলে তার খাটিয়া নিয়ে কবরস্থানে যাওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এখানে দ্রুত একটি মজবুত সেতু নির্মাণ করা হোক।’ মজিবর রহমান নামে এক কৃষক বলেন, ‘কৃষিপণ্য বাজারে নিতে হলে আমাদের এই ব্রিজ ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সব সময় ভয় করে, বড় বোঝা নিয়ে যদি ফেঁসে (আটকে) যাই?’ এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘জৈল্যার এই ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজটি এখন আর শুধু একটি অবকাঠামোগত সমস্যা নয়, এটি হয়ে উঠেছে জীবন-মরণের প্রশ্ন। আমরা বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবগত করেছি। যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যার দায় এড়ানো যাবে না।’ সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহাগ খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। জনগণের নিরাপত্তা বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ব্রিজটির সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ক্যাপশন: স্কুলগামী কয়েকজন শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছে। মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়ন থেকে তোলা/ খবরের কাগজ প্রত্যাশার সেতু এখন মরণফাঁদ নতুন চেয়ে মিলছে সংস্কারের আশ্বাস আসাদ জামান, মানিকগঞ্জ মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়ন। আট বছর আগে এই এলাকার জৈল্যা খালের ওপর একটি বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। শুরুতে এই সেতুকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। কিন্তু এই সেতুটিই এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সেতুটির রেলিং ভেঙে গেছে। কাঠের পাটাতনে তৈরি হয়েছে বড় বড় ছিদ্র। এ ছাড়া নড়বড়ে অবকাঠামোর কারণে প্রতিমুহূর্তে রয়েছে সেতু ভেঙে পানিতে পড়ে প্রাণহানির শঙ্কা। অথচ এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ যাতায়াত করেন। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে একটি টেকসই সেতু নির্মাণ করা হোক। যদিও এই দাবি একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের কাছে করেও কোনো ফল না পাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে খোদ জনপ্রতিনিধির মুখে। অবশ্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ মিলেছে সেতুটি সংস্কারের আশ্বাস। বলধারা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় মাত্র ২ লাখ টাকা ব্যয়ে জৈল্যা খালের ওপর প্রায় ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর রেলিং অনেক আগেই ভেঙে পড়েছে। পাটাতনের অসংখ্য স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় ছিদ্র। কোথাও কোথাও কাঠ উঠে গিয়ে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে। হেঁটে কিংবা বাইসাইকেল চালিয়ে ব্রিজ পার হওয়াটাই যেন রীতিমতো এক দুঃসাহসিক অভিযান। সেতুর দক্ষিণ পাশেই অবস্থিত জৈল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে। ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা। স্থানীয়রা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে তারা ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিনের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে ব্রিজটি এখন জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকিতে পরিণত হয়েছে। তাদের আশঙ্কা-যেকোনো মুহূর্তেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, সংস্কারের আশ্বাস বহুবার পেলেও বাস্তবে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ তারা দেখেননি। এ অবস্থায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আবুল কাশেম মিয়া নামে স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, ‘আমার জীবনে অনেক ব্রিজ দেখেছি, কিন্তু এমন ভয়ানক অবস্থা কখনো দেখিনি। দিনে দিনে শুধু খারাপই হচ্ছে। আমরা না জানি কখন একটা বড় দুর্ঘটনার খবর শুনব।’ শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলে, ‘ব্রিজের ওপর হাঁটতে ভয় লাগে। মাঝেমধ্যে পাটাতনের ফাঁকার মধ্যে পা ঢুকে যায়। আমার স্কুলের অনেকে ব্যথাও পেয়েছে। আর বৃষ্টির দিনে আরও বেশি ভয় করে। আমাদের কথা চিন্তা করে হলেও এখানে একটি নতুন ব্রিজ বানানো হোক।’ এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সালমা বেগম বলেন, ‘আমার ছোট মেয়েটা জৈল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিন এই ব্রিজ দিয়েই স্কুলে যায়। আমি প্রতিদিন ওর জন্য দোয়া করি যেন নিরাপদে যেতে পারে। কিন্তু কতদিন এভাবে চলবে?’ আবদুর রহমান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘সেতুর যে অবস্থা তাতে আমাদের গ্রামের কেউ মারা গেলে তার খাটিয়া নিয়ে কবরস্থানে যাওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এখানে দ্রুত একটি মজবুত সেতু নির্মাণ করা হোক।’ মজিবর রহমান নামে এক কৃষক বলেন, ‘কৃষিপণ্য বাজারে নিতে হলে আমাদের এই ব্রিজ ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সব সময় ভয় করে, বড় বোঝা নিয়ে যদি ফেঁসে (আটকে) যাই?’ এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘জৈল্যার এই ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজটি এখন আর শুধু একটি অবকাঠামোগত সমস্যা নয়, এটি হয়ে উঠেছে জীবন-মরণের প্রশ্ন। আমরা বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবগত করেছি। যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যার দায় এড়ানো যাবে না।’ সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহাগ খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। জনগণের নিরাপত্তা বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ব্রিজটির সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ক্যাপশন: স্কুলগামী কয়েকজন শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছে। মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়ন থেকে তোলা : খবরের কাগজ

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়ন। আট বছর আগে এই এলাকার জৈল্যা খালের ওপর একটি বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। শুরুতে এই সেতুকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়। কিন্তু এই সেতুটিই এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সেতুটির রেলিং ভেঙে গেছে। কাঠের পাটাতনে তৈরি হয়েছে বড় বড় ছিদ্র। এ ছাড়া নড়বড়ে অবকাঠামোর কারণে প্রতিমুহূর্তে রয়েছে সেতু ভেঙে পানিতে পড়ে প্রাণহানির শঙ্কা।

 অথচ এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন স্কুলগামী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শত শত মানুষ যাতায়াত করেন। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত সময়ের মধ্যে এখানে একটি টেকসই সেতু নির্মাণ করা হোক। যদিও এই দাবি একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের কাছে করেও কোনো ফল না পাওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে খোদ জনপ্রতিনিধির মুখে। অবশ্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ মিলেছে সেতুটি সংস্কারের আশ্বাস।

বলধারা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এলজিএসপি প্রকল্পের আওতায় মাত্র ২ লাখ টাকা ব্যয়ে জৈল্যা খালের ওপর প্রায় ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। 

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর রেলিং অনেক আগেই ভেঙে পড়েছে। পাটাতনের অসংখ্য স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় ছিদ্র। কোথাও কোথাও কাঠ উঠে গিয়ে ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছে। হেঁটে কিংবা বাইসাইকেল চালিয়ে ব্রিজ পার হওয়াটাই যেন রীতিমতো এক দুঃসাহসিক অভিযান। সেতুর দক্ষিণ পাশেই অবস্থিত জৈল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছে। ফলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবকরা।

স্থানীয়রা বলছেন, বছরের পর বছর ধরে তারা ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিনের অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে ব্রিজটি এখন জননিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকিতে পরিণত হয়েছে। তাদের আশঙ্কা-যেকোনো মুহূর্তেই ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা জানান, সংস্কারের আশ্বাস বহুবার পেলেও বাস্তবে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ তারা দেখেননি। এ অবস্থায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আবুল কাশেম মিয়া নামে স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, ‘আমার জীবনে অনেক ব্রিজ দেখেছি, কিন্তু এমন ভয়ানক অবস্থা কখনো দেখিনি। দিনে দিনে শুধু খারাপই হচ্ছে। আমরা না জানি কখন একটা বড় দুর্ঘটনার খবর শুনব।’

শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বলে, ‘ব্রিজের ওপর হাঁটতে ভয় লাগে। মাঝেমধ্যে পাটাতনের ফাঁকার মধ্যে পা ঢুকে যায়। আমার স্কুলের অনেকে ব্যথাও পেয়েছে। আর বৃষ্টির দিনে আরও বেশি ভয় করে। আমাদের কথা চিন্তা করে হলেও এখানে একটি নতুন ব্রিজ বানানো হোক।’

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সালমা বেগম বলেন, ‘আমার ছোট মেয়েটা জৈল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিন এই ব্রিজ দিয়েই স্কুলে যায়। আমি প্রতিদিন ওর জন্য দোয়া করি যেন নিরাপদে যেতে পারে। কিন্তু কতদিন এভাবে চলবে?’

আবদুর রহমান নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘সেতুর যে অবস্থা তাতে আমাদের গ্রামের কেউ মারা গেলে তার খাটিয়া নিয়ে কবরস্থানে যাওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন, জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এখানে দ্রুত একটি মজবুত সেতু নির্মাণ করা হোক।’

মজিবর রহমান নামে এক কৃষক বলেন, ‘কৃষিপণ্য বাজারে নিতে হলে আমাদের এই ব্রিজ ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সব সময় ভয় করে, বড় বোঝা নিয়ে যদি ফেঁসে (আটকে) যাই?’

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘জৈল্যার এই ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজটি এখন আর শুধু একটি অবকাঠামোগত সমস্যা নয়, এটি হয়ে উঠেছে জীবন-মরণের প্রশ্ন। আমরা বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবগত করেছি। যদি এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যার দায় এড়ানো যাবে না।’

সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহাগ খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। জনগণের নিরাপত্তা বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ব্রিজটির সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’