
যশোরে ঈদের নামাজ শেষে প্ল্যাকার্ড হাতে সুমনা ‘হত্যার’ বিচার ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান। এ সময় তার কোলে ছিল সুমনার ১১ মাস বয়সী মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া।
শনিবার (৭ জুন) যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে নামাজ শেষে তিনি এই প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়ান।
যৌতুকের জন্য সুমনাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ প্রতিনিয়ত মারধর আর মানসিক নির্যাতনে দিশেহারা অবস্থা হয় সুমনার। গত ২৯ মে সুমনাকে ব্যাপক মারপিট করে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন স্বামী। পরদিন সুমনার বাবা-মা যৌতুকের টাকা ছাড়াই তাকে আবার শ্বশুরবাড়ি ফেরত পাঠায়। ৩০ মে বিকেলে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমনার লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাশেদ খান বলেন, আমার কোলে শিশুটি হচ্ছে সুমনার মেয়ে। ১১ মাস বয়স। যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বড় গোপালপুর গ্রামে হৃদয় হাসানের সঙ্গে সুমনার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে। চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। আমরা এটিকে হত্যাকাণ্ড মনে করি।
তিনি আরও বলেন, সুমনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতে শহরের প্রভাবশালী মহলের দ্বারস্ত হয়েছেন ৷ যা ন্যায় বিচারকে প্রভাবিত করছে ৷ অবাক করার বিষয় হলো, প্রায় এক সপ্তাহ পার হলেও এখন পর্যন্ত এই মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
রাশেদ খান আত্মহত্যায় প্ররোচণাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, সুমনার ভাই সুমন হোসেন আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে হৃদয় হাসান, তার বাবা হারেজ আলী, মা শম্পা বেগম ও চাচা টুকু আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচ আর তুহিন/অমিয়/