ঢাকা ২৮ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
English

ঈদের দিন প্ল্যাকার্ড নিয়ে সুমনা‌ ‘হত্যার’ বিচার দাবি

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
ঈদের দিন প্ল্যাকার্ড নিয়ে সুমনা‌ ‘হত্যার’ বিচার দাবি
ছবি: সংগৃহীত

যশোরে ঈদের নামাজ শেষে প্ল্যাকার্ড হাতে সুমনা‌ ‘হত্যার’ বিচার ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান। এ সময় তার কোলে ছিল সুমনার ১১ মাস বয়সী মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া।
 
শনিবার (৭ জুন) যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে নামাজ শেষে তিনি এই প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়ান।

যৌতুকের জন্য সুমনাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ৷ প্রতিনিয়ত মারধর আর মানসিক নির্যাতনে দিশেহারা অবস্থা হয় সুমনার। গত ২৯ মে সুমনাকে ব্যাপক মারপিট করে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন স্বামী। পরদিন সুমনার বাবা-মা যৌতুকের টাকা ছাড়াই তাকে আবার শ্বশুরবাড়ি ফেরত পাঠায়। ৩০ মে বিকেলে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমনার লাশ উদ্ধার করা হয়।

রাশেদ খান বলেন, আমার কোলে শিশুটি হচ্ছে সুমনার মেয়ে। ১১ মাস বয়স। যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের বড় গোপালপুর গ্রামে হৃদয় হাসানের সঙ্গে সুমনার বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে। চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। আমরা এটিকে হত্যাকাণ্ড মনে করি।
 
তিনি আরও বলেন, সুমনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন এই হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতে শহরের প্রভাবশালী মহলের দ্বারস্ত হয়েছেন ৷ যা ন্যায় বিচারকে প্রভাবিত করছে ৷ অবাক করার বিষয় হলো, প্রায় এক সপ্তাহ পার হলেও এখন পর্যন্ত এই মামলায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। 

রাশেদ খান আত্মহত্যায় প্ররোচণাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, সুমনার ভাই সুমন হোসেন আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে হৃদয় হাসান, তার বাবা হারেজ আলী, মা শম্পা বেগম ও চাচা টুকু আলীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইচ আর তুহিন/অমিয়/

টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০১:৩২ পিএম
টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা
ছবি: খবরের কাগজ

টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। 

শনিবার (১২জুলাই) সকাল থেকে দিনব্যাপী কালিহাতি উপজেলার টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে স্থাপিত মেডিকেল ক্যাম্পে এ সেবা দেওয়া হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএ-৫৬৯১ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহমুদুর রহমান, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, কমান্ডার,৯৮ সংমিশ্রিত ব্রিগেড।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় জনগণের পাশে থাকবে। বিগত সময়ে যেমন সঙ্গে ছিল তেমনি ভাবে আগামী দিনেও থাকবে। আমরা ১৯ পদাতিক ডিভিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় এই কার্যক্রম চলমান রাখবে। এ ছাড়া আজকে প্রায় ১৫০০ রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।’

স্থানীয়রা বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীর এই চিকিৎসা সেবা পেয়ে অনেক উপকৃত হলাম, মাঝে মাঝে এই ধরনের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করলে গ্রামবাসীর অনেক উপকারে আসবে।’  

জুয়েল রানা/সুমন/

মায়ের পাশেই সমাহিত হলেন মিটফোর্ডের সামনে হত্যার শিকার সেই ব্যবসায়ী

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
মায়ের পাশেই সমাহিত হলেন মিটফোর্ডের সামনে হত্যার শিকার সেই ব্যবসায়ী
লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ এবং তার পরিবারের শোকে বরগুনার বাড়িতে তার স্ত্রী সন্তানদের পাশে স্বজন ও স্থানীয়রা। ছবি: খবরের কাগজ

মাত্র সাত মাস বয়সে বজ্রপাতে বাবা হারানো বরগুনার ছেলে লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের (৩৬) জীবন শেষ হলো আরও একটি নির্মম সহিংসতা দিয়ে। পেশায় ভাঙারি ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি। রাজধানীর মিটফোর্ডে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার পর ঢুকতে গেলে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। মাথা ও শরীরে ইট পাথরের আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি। নিহতের স্ত্রী লাকি বেগম ও দুই সন্তান এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে। 

এদিকে মৃত্যুর পর শুক্রবার (১১ জুলাই) সোহাগকে বরগুনার রায়ভোগ গ্রামে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় বরগুনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

এ হত্যাকাণ্ড ঘিরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার সংস্থা ও রাজনৈতিক দলগুলো বিচারের দাবি তুলেছে। 

শনিবার (১২ জুলাই) মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেছে বরগুনা প্রেস ক্লাব।

সোহাগের পরিবার জানায়, একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে সোহাগের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে আসছিল। রাজি না হওয়ায় গত ৯ জুলাই বিকেলে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়। 

ঘটনার পর মামলা হলেও নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মূল আসামিদের নাম বাদ দিয়ে মামলায় অন্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

শুধু ব্যবসায়ী নন সোহাগ ছিলেন রাজনৈতিকভাবে সক্রিয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামাজিক মাধ্যমে সোহাগের একটি পুরনো ছবি প্রকাশ করে দাবি করেছেন, সোহাগ বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বরে যুবদলের এক কর্মীসভায় অংশও নিয়েছিলেন।

অভিযোগ উঠেছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মিটফোর্ডে চাঁদা আদায়ের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিএনপির ঢাকা-৭ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ইসহাক সরকারের অনুসারীরা। যুবদল নেতা মহিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় চাঁদার পরিমাণ দ্বিগুণ করার। এতে সোহাগ প্রতিপক্ষ গ্রুপে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করেন। 

এই বিরোধ থেকেই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, হামলার পর নিথর দেহের ওপরও চালানো হয় আঘাত। কেউ পাথর ছুঁড়ছে, কেউ আবার মরদেহের উপর দাঁড়িয়ে উল্লাস করছে। শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেননি।

ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় যুবদল নেতা মহিন, রবিনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন রিমান্ডে রয়েছেন। বিএনপি যুবদল ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে এবং সংগঠনের সব পর্যায়ে জিরো টলারেন্স নীতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে দলীয় নেতাদের কেউ কেউ বলেছেন, সোহাগ নিজেও দলের কর্মী হওয়ায় বিষয়টি আরও জটিল।

মহিউদ্দিন/পপি/

মুকসুদপুরে স্কুল নৈশ প্রহরীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:২২ পিএম
আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:২৩ পিএম
মুকসুদপুরে স্কুল নৈশ প্রহরীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় গ্রামের জেকেএমবি মল্লিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী গৌতম গাইন। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় গ্রামের জেকেএমবি মল্লিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী গৌতম গাইনের (৩৫) হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  

নিখোঁজের তিন দিন পর  শুক্রবার (১১ জুলাই) বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কংশুর এলাকার মধুমতি বিলরুট চ্যানেল থেকে ওই নৈশ প্রহরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

বৌলতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মোল্যা আফজাল হোসেন মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত গৌতম গাইন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়নের কলিগ্রামের বিমল গাইনের ছেলে।

বৌলতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মোল্যা আফজাল হোসেন জানান, গত বুধবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন নৈশ প্রহরী গৌতম গাইন। এরপর থেকে বাড়ি ফিরে না আসায় তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরের দিন বৃহস্পতিবার মুকসুদপুর থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি নং-৫১৫) করে নিহতের স্ত্রী মিলি বৈরাগী।

তিনি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে নৈশ প্রহরী গৌতম গাইনের মরদেহ শনাক্ত করে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারনা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।’

গৌতম গাইনের স্ত্রী মিলি বৈরাগী বলেন, ‘দেড় মাস আগে, ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক মিলে ষড়যন্ত্র করে। কয়েকজনকে দিয়ে গ্রিল কেটে চুরির অপবাদ দেয় আমার স্বামীর বিরুদ্ধে। পরে আমাদের থেকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক তাদের মনোনীত প্রার্থীকে নৈশ প্রহরী চাকরি দিতে চেয়েছিলেন। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষকসহ কয়েকজন শিক্ষক আমার স্বামীকে নিয়োগ দেয়। এই নিয়ে চারজন শিক্ষক সব সময় আমার স্বামীর বিরুদ্ধাচারণ করে আসছিলেন। যে রাতে তিনি নিখোঁজ হন ওই রাতে তার মুঠোফোনে কল দিলেও বন্ধ পাই। সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখি সেখানে নেই। ওই বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজের দ্বায়িত্বে থাকা মো. বাচ্চু মিয়ার কাছে আমার স্বামীর খোঁজ নিই। তিনি ওই রাত সাড়ে ৮টার পর আমার স্বামীকে দেখেননি বলে জানান। পরেরদিন (বৃহস্পতিবার) মুকসুদপুর থানায় সাধারণ ডায়রি করি (জিডি নং-৫১৫)।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামীকি পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।’

ওই বিদ্যালয়ে নতুন ভবনে কাজের দ্বায়িত্বে থাকা মো.বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ওই রাতে সাড়ে ৮টার দিকে একটা খাবারের বাটি হাতে নিয়ে আমাদের কক্ষে প্রবেশ করে গৌতম। কিছু সময় থাকার পর তার কক্ষের দিকে চলে যায়। আমি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তাকে বলার জন্য ডাকাডাকি করলে সাড়া না পেয়ে গেটে তালা বন্ধ দেখি। তখন ভাবলাম হয়তো পাশে কোথাও গেছে। সকালে তার স্ত্রী মিলি বৈরাগী তার খোঁজে নিতে আসলে জানতে পারি সে নিখোঁজ।’

সিন্দিয়াঘাট ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ও তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীর বলেন, ‘গৌতম গাইনের মোবাইল কললিস্টের জন্য আবেদন করা হয়েছে। কললিস্ট পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করা হবে।’ 

বাদল সাহা/সুমন/

হরিপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১১:২৭ এএম
আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৮ এএম
হরিপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে মো. আসকর আলী (২৪) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় পতাকা বৈঠক আহ্বান করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

শনিবার (১২ জুলাই) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার মিনাপুর সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আসকর আলী হরিপুর ইউনিয়নের জীবনপুর এলাকার মো. কানু আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিনাপুর বিওপির মেইন পিলার নম্বর ৩৫৩-এর কাছাকাছি, ভারতের আনুমানিক ২০০ গজ অভ্যন্তরে গুলিবিদ্ধ হয় মারা যান আসকর। সীমান্তে কী কারণে তিনি গিয়েছিলেন, তা এখনও জানা যায়নি। তার মরদেহ এখনও ভারতের অভ্যন্তরে পড়ে রয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত বিএসএফ মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি বিজিবির টহলও জোরদার করা হয়েছে।

৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মইন হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সীমান্তে রাতের দিকে গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। পরে জানতে পারি ভারতের ভেতরে একজনের মরদেহ পড়ে আছে। তিনি বাংলাদেশি না ভারতীয়-তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি জানতে আমরা পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছি।’

নবীন/পপি/

সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১০:৩০ এএম
আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের লক্ষ্মীপুর সীমান্তে গরু চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে শরিফুল ইসলাম (৪৫) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাঙাপাড়া গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

২৮ বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়,  সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার লক্ষ্মীপুর সীমান্তে ভাঙ্গারপাড় নামক স্থান দিয়ে রাত ১টার দিকে শরিফুল ইসলামসহ ১০ থেকে ১২ জন বাংলাদেশি গরু চোরাচালানের উদ্দেশে ভারতের অভ্যন্তরে  অবৈধ পথে গরু আনতে যায়। এ সময় বিএসএফ টহল দল বাঁধা দিলে তারা বিএসএফ টহল দলের ওপর ইট-পাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ শুরু করে।  বিএসএফ তখন ৪ থেকে ৫টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে বিএসএফ টহল দল ৩ থেলে ৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় বিএসএফের গুলিতে  মো. শফিকুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। তার সঙ্গে থাকা অন্যরা তখন তাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এরপর দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

২৮ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল একেএম জাকারিয়া কাদির জানান, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে পতাকা বৈঠক ও জোরালোভাবে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। বাংলাদেশি নিহত হওয়ার পরে এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারিসহ টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

দেওয়ান চৌধুরী/সুমন/