ঢাকা ২৭ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
English
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে করোনার সতর্কতা জারি

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম
বেনাপোল ইমিগ্রেশনে করোনার সতর্কতা জারি
ছবি: খবরের কাগজ

ভারতের বিভিন্ন স্থানে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। নতুন ভ্যারিয়েন্টের এই করোনা ভাইরাসটি বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই সংক্রমণ এড়াতে দেশের সব বন্দরের মতো বেনাপোলেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

রবিবার (৮ জুন) বন্দরে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মানার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে।

সকাল ১০টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দেখা যায়, মেডিকেল ডেস্কে দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের ভারত থেকে আসা যাত্রীদের করোনার উপসর্গ আছে কিনা তা পরীক্ষা করছেন।
 
ভারত থেকে আসা সুধীর মন্ডল বলেন, ‘১০ দিন আগে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলাম। আজ দেশে ফিরলাম। বাংলাদেশের মতো ভারতের কোথাও করোনা বা ওমিক্রনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেনি।’

আরেক যাত্রী রানী দাস বলেন, ‘একমাস চিকিৎসার পর আজ দেশে ফিরলাম। ভারতের কোথাও নতুন করে করোনার প্রভাব ছড়িয়েছে শুনিনি। দেশে আসার পর দেখছি করোনার পরীক্ষা করছে।’

চেকপোস্টের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ‘ভারতে জেনেটিক সিকুয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, দেশটির কিছু স্থানে ওমিক্রনের নতুন এক ধরন বা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে এ ধরনটি যাতে ছড়াতে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সতর্কতা জারির পর ভারত থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছি। আমাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যদি কারও শরীরে করোনা বা ওমিক্রনের উপসর্গ পাওয়া যায় তাহলে যেন তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রাখা হয়।’

এ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

নজরুল ইসলাম/অমিয়/

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার যানজট, ভোগান্তি

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার যানজট, ভোগান্তি
ছবি: খবরের কাগজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলমান দুই উন্নয়ন প্রকল্প কাজে ধীরগতি ও দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সৃষ্ট খানাখন্দের কারণে মহাসড়কটির ২৫ কিলোমিটার অংশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) মধ্যরাত থেকে জেলার আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে বিজয়নগর উপজেলার রামপুর পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূর-দূরান্তের যাত্রীরা। 

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৫১ কিলোমিটার সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে। এ প্রকল্পের ১৫ কিলোমিটার পড়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অংশে। তবে প্রকল্প কাজের কারণে দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কটিতে নিয়মিত সংস্কার কাজ চালাতে না পারায় বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে ৷ এ ছাড়া একই মহাসড়কে চলমান ছয়লেন প্রকল্প কাজের জন্য মহাসড়কে যানবাহনের ধীরগতির কারণে ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আশুগঞ্জ গোলচত্বরে যানজট তৈরি হয়। তা ছড়িয়ে পড়ে বিজয়নগরের রামপুর পর্যন্ত। ফলে আশুগঞ্জ থেকে সরাইল-বিশ্বরোড মোড় পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ৫-৭ ঘণ্টা। 

ঢাকা থেকে আসা হাসিবুর রহমান নামে এক ট্যুরগাইড জানান, ট্যুরিস্টদের একটি দল নিয়ে সিলেটে যাচ্ছেন তিনি। গতকাল (১০ জুলাই) রাত ৩টার দিকে আশুগঞ্জ পৌঁছানোর পর যানজটের কবলে পড়েন তারা। বেলা ১১টার দিকে সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ে এসে পৌঁছান ৷

এতে করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জনান তিনি।

খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান জানান, উল্টো পথে যানবাহন চলাচলের কারণে যাজনট নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। এ ছাড়া মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপও যাজটের অন্যতম কারণ। তবে যানজট নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কাজ করছে।

আশুগঞ্জ-আখাউড়া চারলেন প্রকল্পের ব্যাবস্থাপক শামীম আহমেদ জানান, নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে খানাখন্দগুলো জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা হচ্ছে।

আজিজুল সঞ্চয়/মৌসুমী

সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্তে প্রায় ২কোটি টাকার চোরাইপণ্য জব্দ

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০১:০১ পিএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ০১:০৭ পিএম
সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্তে প্রায় ২কোটি টাকার চোরাইপণ্য জব্দ
ছবি: খবরের কাগজ।

সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর দায়িত্বাধীন  সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে  ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকার চোরাইপণ্য জব্দ করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১০ জুলাই) ও শনিবার (১১ জুলাই) সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক অভিযান চালিয়ে  এসব চোরাইপণ্য জব্দ করা হয়।

৪৮ বিজিবি সূত্রে জানায়, সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সোনালীচেলা, কালাসাদেক, সোনারহাট, প্রতাপপুর বিছনাকান্দি এবং উৎমা বিওপি কর্তৃক  অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় শাড়ী, সানগ্লাস, মহিষ, সুপারি, জিরা, বিড়ি, চিনি, সাবান, নবরত্ন হেয়ার অয়েল অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী নৌকা জব্দ করা হয়। এছাড়াও ব্যাটালিয়ন সদরের একটি টহলদল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় টাস্কফোর্সের অংশ হিসেবে সিলেট শহর এলাকায় যৌথ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন গোডাউন তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় সুপারি জব্দ করে। সম্মিলিতভাবে  অভিযানে জব্দকরা এসব মালামালের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ৬০০ টাকা।

এ ব্যাপারে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল বলেন, 'ঊর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি'র আভিযান কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বতোভাবে অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান চালিয়ে চোরাচালানী মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দ করা চোরাচালানী মালামালসমূহের বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 রিফাত/

ফেনীতে লাখো মানুষ পানিবন্দি

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
ফেনীতে লাখো মানুষ পানিবন্দি
বাঁধ ভেঙে প্লাবিত এলাকা থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় কয়েকজন। ছবি: খবরের কাগজ

ভারত থেকে থেকে নেমে আসা বাঁধভাঙা পানি পরশুরাম ও ফুলগাজী থেকে গড়িয়ে ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২১টি স্থান ভেঙে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে করে দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এদিকে ফেনীর পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে পানি থাকায় যানচলাচল এখনো বন্ধ রয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন অসুস্থ রোগী, বয়োবৃদ্ধ, নারী-শিশুসহ দূরদূরান্ত থেকে আসা-যাওয়া করা যাত্রীরা।

এদিকে পরশুরামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ফুলগাজীতে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাঁধভাঙা পানি ধীরগতিতে নামছে। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, নদী-খালগুলো সংস্কার না করা ও যত্রতত্র বাড়িঘর নির্মাণ করে পানির সংযোগ বন্ধ করে দেওয়াকে।

তবে বাঁধভাঙা পানি নিম্নাঞ্চল ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঢুকে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টি কমে আসায় নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রশাসন, বিভিন্ন সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবীরা দুর্গত এলাকাবাসীর পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফেনী-ফুলগাজী ও ফেনী-ছাগলনাইয়া আঞ্চলিক সড়কের ওপর দিয়ে ২ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত পানির প্রবাহ রয়েছে। তবে ফেনী শহরের প্রধান সড়কে যে জলাবদ্ধতা ছিল তা কেটে গেছে। শহর এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে।

জানা যায়, গত সোমবার থেকে ভারী বর্ষণের কারণে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়ায় নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২১টি স্থান ভেঙে যায়। এতে করে ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বুধবার থেকে বৃষ্টি কমতে শুরু করায় সকাল থেকে পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে থাকে। তবে বন্যার পানি নিম্নাঞ্চল ফুলগাজী গড়িয়ে ছাগলনাইয়া ও ফেনী সদর উপজেলায় ঢুকতে শুরু করে।

বৃহস্পতিবার সকালে ফেনী-ছাগলনাইয়া সড়কের রেজুমিয়া থেকে পৌরসভা পর্যন্ত অংশে এক থেকে দুই ফুট ওপর দিয়ে গড়িয়ে যেতে দেখা গেছে। এতে করে নতুনভাবে ছাগলনাইয় উপজেলার পাঠাননগর, রাধানগর, ছাগলনাইয়া পৌরসভার অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানি ফেনী সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঢুকে পড়ছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত বাঁধভাঙা পানি ঢুকে ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগ, মোটবী, ছনুয়া, ফাজিলপুর ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম নতুনভাবে প্লাবিত করেছে। এসব এলাকার পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে।

মোটবী ইউনিয়নের তরুণ উদ্যোক্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার রাত থেকে আমাদের ইজ্জতপুর গ্রামে পানি বাড়তে থাকে। সড়কের কোথাও কোথাও ৩ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত ডুবে গেছে। এলাকার সবগুলো পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। অনেকেই গরু-ছাগল নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।’

ফেনীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ক্রমান্বয়ে বৃষ্টিপাত কমছে। তাই বন্যা পরিস্থিতিও উন্নতির দিকে রয়েছে।’

ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা নাসরিন কান্তা বলেন, ‘আমাদের খালগুলো পরিষ্কার অবস্থায় রয়েছে। তারপরও বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে নাগরিকদের সচেতন করতে বলা হয়েছে। কবলিতদের আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠার জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ২ মিটারের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফুলগাজী এলাকার বন্যাকবলিত গ্রামগুলোতে পানির অবস্থা উন্নতির দিকে রয়েছে। পানির চাপ কমে যাওয়ায় নতুন করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা নেই। পানি কমে গেলেই ভাঙনকবলিত স্থানগুলো মেরামত করা হবে।’  

ফেনী জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ফেনীতে কবলিত ৪ উপজেলার মধ্যে পরশুরামে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ফুলগাজীতেও কিছুটা ভালোর দিকে রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার বন্যার পানি ছাগলনাইয়ার প্রধান সড়ক গড়িয়ে বিভিন্ন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আশা করি, শুক্রবার পর্যন্ত জেলাজুড়ে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি শুরু হবে। এখন পর্যন্ত ৫০টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৪ উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার মানুষ আশ্রিত রয়েছে। ২০ হাজারের বেশি কবলিত জনসাধারণের মধ্যে খাবার সরবরাহের জন্য প্রশাসনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারাও কাজ করে যাচ্ছেন।

উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসন

টানা ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে নিয়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ স্থানীয় প্রশাসন।

বন্যার শুরু থেকে দুর্গত এলাকায় পানিবন্দি হওয়া মানুষদের উদ্ধার কার্যক্রম এবং খাদ্যসংকটে পড়া মানুষদের খাদ্য সহায়তা করতে দেখা গেছে।

গতকাল দুপুরে ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের পানিবন্দি মানুষদের ত্রাণ সহায়তা করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ ছাড়া মুন্সির হাট আলী আজম উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেদ্রে মানুষদের রান্না করা খাদ্য বিতরণ করেছে ফেনীস্থ-৪ বিজিবি।

সেনাবাহিনী ফেনী ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ফেনীর ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির অভিজ্ঞতার আলোকে সর্বোচ্চ সহায়তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুতি কার্যক্রম গ্রহণ শুরু হয়েছে। 

ইতোমধ্যে পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার সেনাক্যাম্পগুলোতে ইতোমধ্যে ট্রাইশার্ক বোট, ওবিএম ইঞ্জিন ও লাইফ জ্যাকেট মোতায়েন করা হয়েছে, যা উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া জরুরি পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সেবা নির্বিঘ্ন রাখতে সেনাবাহিনীর একটি চিকিৎসক দল জেলা সিভিল সার্জনের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেছে। 

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আরও জানায়, ৮ জুলাই ফেনী জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে বন্যা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে সেনাবাহিনীর সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়। সেনাবাহিনী সবসময় জাতির দুর্যোগকালীন মুহূর্তে জনগণের পাশে রয়েছে। 

প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ফেনী বন্যা মনিটরিং সেল হেল্পলাইন নম্বর ০১৮৯৮৪৪৪৫০০ এবং ০১৩৩৬৫৮৬৬৯৩ এ যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

খুলে দেওয়া হলো মুহুরী সেচ প্রকল্পের সব কটি গেট

ফেনীতে সৃষ্ট বন্যার পানি দ্রুত গিয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুহুরী সেচ প্রকল্পের সব কটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে দ্রুতগতিতে পানি সাগরের গড়াচ্ছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অংশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা মুহুরী সেচ প্রকল্প। এটি মূলত মুহুরী, কুহুয়াও সিলোনিয়া নদীর পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উজানে নেমে আসা পানি নিষ্কাশনে মুহুরী প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রেগুলেটরের ৪০টি গেট খোলা আছে। যেগুলো দিয়ে দ্রুতগতিতে পানি বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ছে। বর্তমানে ফেনী নদীর পানি স্বাভাবিক রয়েছে। মুহুরী প্রকল্পের মাধ্যমে গেট খোলা রেখে বা বন্ধ রেখে পানির স্তর নিয়ন্ত্রণ করা হয়। জোয়ারের কারণে উল্টা দিক থেকে যেন পানি প্রবেশ করতে না পারে এ জন্য গেটগুলো বন্ধ রাখা হয়। এবারও জোয়ারের সময় গেটগুলো বন্ধ রাখা হয়েছিলো। প্রতিদিন গড়ে দুবার ২ ঘণ্টা করে গেটগুলো বন্ধ রাখা হয়। 

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘পানির চাপ বেড়ে গেলেই ৪০টি গেট একসঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে। সারাদিন পানি নামছে। শুধু জোয়ারের সময় গেট বন্ধ রাখা হচ্ছে।’ 

 

শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে পুশইন

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে পুশইন
ফাইল ছবি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত দিয়ে শিশুসহ ১০ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

শুক্রবার (১১ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া এলাকা দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়।

বিজিবি জানায়, দুই বছর আগে কাজের সন্ধানে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছিল তারা। ভারতীয় পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের কাছে কোনো বৈধ কাগজপত্র ও ভারতীয় পরিচয়পত্র না পাওয়ায় আটক করে। এরপর ২-৩ দিন আগে বিমানযোগে নয়াদিল্লি থেকে গৌহাটিতে নিয়ে আসেন। পরবর্তী সময়ে গৌহাটি থেকে বিএসএফের বাবুরামবিল ক্যাম্পের সদস্যরা শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া বিওপির সীমান্ত পিলার-১১১৮/৩-এসের কাছ দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশইন করে।

এ বিষয়ে বিজিবি-৩৯ ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, ‘পুশইন করা ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজন পুরুষ, একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে, একটি ছেলে শিশু, চারজন নারী এবং দুজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে। তারা সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সাহাজাদপুর গ্রামের বাসিন্দা।’

তিনি আরও জানান, আটকদের রামচন্দ্রকুড়া বিজিবি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। পরিচয় শনাক্ত করে তাদের নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কামরুজ্জামান/রিফাত/

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু

প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ১২:১০ পিএম
আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫, ১২:১২ পিএম
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু
ছবি: খবরের কাগজ

দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় দুটি ট্রাকে ১০ হাজার ৫২০ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়।

সততা বাণিজ্যালয় ও এনপি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের দুটি প্রতিষ্ঠান ভারতের ইসলামপুর থেকে এসব কাঁচামরিচ আমদানি করে। আমদানি করা কাঁচামরিচ প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩৬ টাকা। এতে দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমে আসবে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

কাঁচামরিচ আমদানিকারকরা বলেন, দেশে হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে কাঁচামরিচের দাম। বাড়তে বাড়তে ১৬০ টাকায় ওঠেছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষজন বেশ বিপাকে পড়েছেন।

আমদানি-রপ্তানিকারক জাবেদ হোসেন রাসেল বলেন, ‘দেশের বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাঁচামরিচ আমদানি করা হচ্ছে। আমদানি অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমে আসবে।’

দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আমদানির পরিমান আরও বাড়বে বলেও জানান তারা। 

বন্দর দিয়ে সবশেষ ১৫ নভেম্বর ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি হয়।

কুদ্দুস/পপি/