ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

কোটালীপাড়ায় ধর্ষণচেষ্টার সালিশে মারপিট, আহত ১০

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৫, ১০:২৯ এএম
কোটালীপাড়ায় ধর্ষণচেষ্টার সালিশে মারপিট, আহত ১০
ছবি: খবরের কাগজ

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ধর্ষণচেষ্টার সালিশে মারপিটের ঘটনায় নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

রবিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।

আহত আবু বক্কার শেখ (২৮), ওসমান শেখ (২৫), আলী শেখ (২২), হাসিব শেখ (২১) ও লাকি খানমকে (২৩) কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

জানা গেছে, গত শুক্রবার (৬ জুন) রাতে উপজেলার শুয়াগ্রামের এক নারীর ঘরের বেড়া কেটে একই গ্রামের রিপন মধু ও রাজিবুল বিশ্বাস মুখোশ পড়ে ঢুকে। ওই নারীর স্বামী রাতে বাড়িতে না থাকা সুযোগে রিপন ও রাজিবুল তাকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে হাত পা বাঁধার সময় ওই নারীর সঙ্গে হাতাহাতিতে রিপনের মুখোশ খুলে যায়। পরে ওই নারী রিপন ও রাজিবুলকে চিনে ফেললে তারা ঘর থেকে পালিয়ে যান।

এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে রবিবার শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ ডাকা হয়। সালিশে দুইপক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রিপন ও রাজিবুল লোকজন নিয়ে ওই নারীর লোকজনকে মারপিট করেন। এতে ১০ জন আহত হন। 

ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে আমার স্বামী চাকরির সুবাদে বাইরে ছিলের। ঘরে আমি একা ঘুমিয়ে ছিলাম। রাতে এই এলাকার খগেন্দ্রনাথ মধুর ছেলে রিপন মধু ও সুরাত বিশ্বাসের ছেলে রাজিবুল বিশ্বাস মুখোশ পরে আমার ঘরে বেড়া কেটে ঢুকে। তারা প্রথমে আমাকে চেপে ধরে ওড়না দিয়ে হাত পা বাঁধতে থাকে। হাত-পা বাঁধার এক পর্যায়ে আমি লাথি মারলে রিপন মধুর মুখোশ খুলে যায়। আমি রিপন মধুকে চিনে ফেলার কারণে তারা আমাকে রেখে পালিয়ে যায়। বিষয়টি আমি এলাকায় লোকজনকে জানালে আজ রবিবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সালিশ বৈঠকে রিপন মধু ও রাজিবুল বিশ্বাস লোকদের নিয়ে আমাদের লোকজনকে মারপিট করে। আমি রিপন মধুসহ এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি।’ 

এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রিপন মধু ও রাজিবুল বিশ্বাস পলাতক। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয় মাতব্বর রনজিত মধু ও সালাম মেম্বার বলেন, সালিশের এক পর্যায়ে রিপন মধু ও রাজিবুল বিশ্বাস লোকজন নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজনকে মারধর করেন। এ ঘটনার পরে আমরা বৈঠক থেকে চলে আসি।

কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাদল সাহা/অমিয়/

সড়ক নয়, যেন মৃত্যুফাঁদ ছয় মাসে ৫১ জন নিহত

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
সড়ক নয়, যেন মৃত্যুফাঁদ ছয় মাসে ৫১ জন নিহত
সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে ঢাকা-খুলনা ও হাইওয়ে পুলিশ-বরিশাল মহাসড়কের সঙ্গে রয়েছে অসংখ্য আঞ্চলিক সড়ক। এ সড়কগুলোতে প্রতিদিন ঘটছে বড়-ছোট দুর্ঘটনা। 

 গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত গত ৬ মাসে এ দুই মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক সড়কগুলোতে প্রায় ৮০টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে দুই শতাধিক। সড়কগুলো যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।

এর মধ্যে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জ অংশে ৭০ কিলোমিটারে ২৩টি দুর্ঘটনায় ঘটেছে। নিহত হয়েছেন ২৯ জন, আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গোপালগঞ্জ অংশে চারটি দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ২২ জন আহত হয়েছেন। মামলা হয়েছে তিনটি। আঞ্চলিক সড়কগুলোতে ২৫টি দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত আর আহত হয়েছেন অর্ধ শতাধিক। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ৭টি।
কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো, চালকদের অদক্ষতা, নসিমন অবৈধ যান চলাচল এবং সড়ক ও মহাসড়কের অপরিকল্পিত বাঁকে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা রোধে সড়ক-মহাসড়কে সাইনবোর্ড টানানো ছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও সড়ক বিভাগকে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না।

স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল শেখ বলেন, ‘বাসচালকদের অদক্ষতা আর বেপরোয়া গতির কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি চালানো বন্ধ আর বেপরোয়া গতি কমানো গেলে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।’

কাশিয়ানীর পোনা গ্রামের ররিউল শেখ বলেন, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাস ছাড়া নসিমন-করিমনসহ বিভিন্ন দ্বিচক্রযান চলাচল করে। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গাড়িচালক বলেন, ‘শুধু পথচারীদের নয়, আমরা যারা চালক আমাদেরও দোষ রয়েছে। আমরা ট্র্যাফিক সিগন্যাল না মেনে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে থাকি। সেই সঙ্গে অনেকের ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স থাকে না তবুও ভারী গাড়ি চালান। এসব কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। তবে প্রশাসন যদি ঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করত তাহলে লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালকরা গাড়ি চালাতে পারতেন না।’

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকসুদুর রহমান মুরাদ বলেন, ‘দুর্ঘটনা কমাতে আমরা মহাসড়কে নিয়মিত টহল দিচ্ছি। দ্রুতগতির যানবাহনকে জরিমানা করছি। এ ছাড়া দক্ষতা বাড়াতে চালকদের নিয়ে সভা করা হচ্ছে। এসবের পরেও উদাসীনতার কারণে মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যাচ্ছে না। তারপরও হাইওয়ে পুলিশ দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।’

পরিবার পরিকল্পনা সেবা সম্পর্কে জানেন না চা শ্রমিকরা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:১৭ এএম
পরিবার পরিকল্পনা সেবা সম্পর্কে জানেন না চা শ্রমিকরা
খবরের কাগজ

মাতৃত্বকালীন ও কৈশোর প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সিলেটের চা বাগান এবং পাত্র সম্প্রদায়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কারদের সঙ্গে সিলেটের পরিবার পরিকল্পনায় কাজ করা বিভিন্ন সেক্টরের প্রতিনিধিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 মঙ্গলবার  (৮জুলাই) ১২টায় পরিবার পরিকল্পনা জেলা অফিসে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিলেটের চা বাগান এবং পাত্র সম্প্রদায়ের মাতৃ ও কৈশোর প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত করা প্রকল্পের আওতায় এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (একডো) এই সভার আয়োজন করে। সভায় পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন সেক্টরের দায়িত্বশীল প্রতিনিধি, চা বাগান এবং পাত্র সম্প্রদায়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার ও চা শ্রমিকরা তাদের কার্যক্রম ও সমস্যার কথা আলোচনা করেন। 

কেওয়াছড়া চা বাগানের প্রীতি দাস দীপা বলেন, ‘এই সভায় মাত্র জানলাম কেওয়াছড়া বাগানের পাশে কোনো মেডিকেল আছে। কেওয়াছড়ার একজন মিডওয়াইফ আছেন। আমার মতো কেওয়াছড়া চা বাগানের বেশির ভাগ চা শ্রমিক সরকারি এসব স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে জানেন না।’

একডোর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপপরিচালক মো. নিয়াজুর রহমান। পরিবার পরিকল্পনার বিভিন্ন কার্যক্রম উপস্থাপনা করেন এবং এ-সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নে উত্তর দেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পরিচালক বিশ্বজিত কৃষ্ণ চক্রবর্তী। বক্তব্য দেন সিলেট সদর উপজেলা এমওএমসিএইচ ডা. সুবর্ণা রায় তুলি, আইপাস বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মো. বুরহান মৃধা এবং সিলেট সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল মনসুর আসজাদ। 

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা উপপরিচালক মো. নিয়াজুর রহমান বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনার স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে দেওয়া হয়। আমরা চাই চা শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে। এটা আমাদের দায়িত্ব আর আপনাদের অধিকার। সরকারের কাজ হলো জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া। এর জন্য একটি মাধ্যম ও সেবা প্রয়োজন।’ 

একডোর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ বলেন, ‘চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর জন্য মাতৃত্বকালীন ও  প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা খুব বেশি প্রয়োজন। অন্যান্য সেক্টরের মতো এখানেও তারা বঞ্চিত। তাই চা বাগান ও পাত্র সম্প্রদায়ের নারীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সচেতন করতে আইপাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় আমরা তাদের কমিউনিটির নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এখন এই প্রশিক্ষণ যেন কাজে আসে, সে জন্য পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সঙ্গে সমন্বয় করতে এই সভার আয়োজন করেছি।’

জামালপুরে ভেঙে ফেলা হচ্ছে ছাত্র-জনতার নাম দেওয়া ‘বিজয় চত্বর’

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:১২ এএম
জামালপুরে ভেঙে ফেলা হচ্ছে ছাত্র-জনতার নাম দেওয়া ‘বিজয় চত্বর’
জামালপুর-মাদারগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ মোড়ের ‘বিজয় চত্বরের’ স্থাপনা ভাঙছে গণপূর্ত বিভাগ। মঙ্গলবার জামালপুর শহরের শেখের ভিটা এলাকায়। ছবি: খবরের কাগজ

জামালপুরে ভেঙে ফেলা হচ্ছে বিজয় চত্বরের মূল স্তম্ভ। সেখানে জুলাই শহিদদের স্মরণে স্থাপন করা হবে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ’। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের নামে প্রথমে চত্বরটির নামকরণ করা হয়েছিল ‘মির্জা আজম চত্বর’। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন চত্বরটির নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয় চত্বর’ নাম দেন ছাত্র-জনতা।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে শহরের শেখের ভিটা এলাকায় জামালপুর-মাদারগঞ্জ-দেওয়ানগঞ্জ মোড়ের মধ্যবর্তী স্থানে নির্মিত চত্বরের স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু করে গণপূর্ত বিভাগ। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া স্থানীয় ছাত্র-জনতা। 

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০২৩ সালে ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের নামে নামকরণ করা হয় ‘মির্জা আজম চত্বর’। চত্বরের মধ্যবর্তী স্থানে নির্মিত স্থাপনাটির চারদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন সময়ের প্রতিকৃতি ছাড়াও শেখ হাসিনা ও মির্জা আজমের প্রতিকৃতি ছিল। এ ছাড়া সড়কের দুই পাশে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রতিকৃতিসহ পানির ফোয়ারা নির্মাণ করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে চত্বরটিতে ব্যাপক ভাঙচুর এবং বিজয় চত্বর নামকরণ করা হয়। 

জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সারা দেশের মতো জামালপুরেও স্থাপন করা হচ্ছে জুলাই শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ। এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহা. জাকির হোসেনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে ওঝার মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:০৪ এএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:০৭ এএম
কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে ওঝার মৃত্যু
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

মিরপুরে সাপ ধরতে গিয়ে বিষাক্ত গোখরা সাপের কামড়ে দুল্লু সাপুড়ি নামে এক ওঝার মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকেলে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের আখের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুল্লু সাপুড়ির বাড়ি পার্শ্ববর্তী ছাতিয়ান ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে।

ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পোড়াদহ আখেরমোড় এলাকার আখেরের বাড়িতে বিষাক্ত গোখরা সাপের দেখা যায়। পরে বাড়ির লোকজন সাপ ধরার জন্য সাপুড়িকে খবর দেয়। এর পর সাপুড়ি সাপ ধরে হাঁড়িতে ঢুকাতে গেলে সাপ ছোবল দিলে সাপুড়ি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মিলন/মেহেদী/

ফেনীতে প্রস্তুত ১৩১ আশ্রয়কেন্দ্র

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪৫ এএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম
ফেনীতে প্রস্তুত ১৩১ আশ্রয়কেন্দ্র
ছবি: খবরের কাগজ

গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় নানা প্রস্তুতি গ্রহন করেছে জেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে দুই উপজেলায় মোট ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবারের জন্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১০টার দিকে ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলায় ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

এ ছাড়া সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম (মোবাইল নম্বর-01818-444500, 01336-586693 ) খোলা হয়েছে। 

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ৪০০ করে মোট ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্গতদের মাঝে রান্না করা খাবার সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, জেলায় টানা দুই দিন ধরে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরে সর্বোচ্চ।

ফেনীতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর ১১ টি স্থানে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ।  

নিলয়/মেহেদী/