
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ধর্ষণচেষ্টার সালিশে মারপিটের ঘটনায় নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আবু বক্কার শেখ (২৮), ওসমান শেখ (২৫), আলী শেখ (২২), হাসিব শেখ (২১) ও লাকি খানমকে (২৩) কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (৬ জুন) রাতে উপজেলার শুয়াগ্রামের এক নারীর ঘরের বেড়া কেটে একই গ্রামের রিপন মধু ও রাজিবুল বিশ্বাস মুখোশ পড়ে ঢুকে। ওই নারীর স্বামী রাতে বাড়িতে না থাকা সুযোগে রিপন ও রাজিবুল তাকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে হাত পা বাঁধার সময় ওই নারীর সঙ্গে হাতাহাতিতে রিপনের মুখোশ খুলে যায়। পরে ওই নারী রিপন ও রাজিবুলকে চিনে ফেললে তারা ঘর থেকে পালিয়ে যান।
এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে রবিবার শুয়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ ডাকা হয়। সালিশে দুইপক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রিপন ও রাজিবুল লোকজন নিয়ে ওই নারীর লোকজনকে মারপিট করেন। এতে ১০ জন আহত হন।
ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘গত শুক্রবার রাতে আমার স্বামী চাকরির সুবাদে বাইরে ছিলের। ঘরে আমি একা ঘুমিয়ে ছিলাম। রাতে এই এলাকার খগেন্দ্রনাথ মধুর ছেলে রিপন মধু ও সুরাত বিশ্বাসের ছেলে রাজিবুল বিশ্বাস মুখোশ পরে আমার ঘরে বেড়া কেটে ঢুকে। তারা প্রথমে আমাকে চেপে ধরে ওড়না দিয়ে হাত পা বাঁধতে থাকে। হাত-পা বাঁধার এক পর্যায়ে আমি লাথি মারলে রিপন মধুর মুখোশ খুলে যায়। আমি রিপন মধুকে চিনে ফেলার কারণে তারা আমাকে রেখে পালিয়ে যায়। বিষয়টি আমি এলাকায় লোকজনকে জানালে আজ রবিবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সালিশ বৈঠকে রিপন মধু ও রাজিবুল বিশ্বাস লোকদের নিয়ে আমাদের লোকজনকে মারপিট করে। আমি রিপন মধুসহ এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করছি।’
এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রিপন মধু ও রাজিবুল বিশ্বাস পলাতক। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় মাতব্বর রনজিত মধু ও সালাম মেম্বার বলেন, সালিশের এক পর্যায়ে রিপন মধু ও রাজিবুল বিশ্বাস লোকজন নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজনকে মারধর করেন। এ ঘটনার পরে আমরা বৈঠক থেকে চলে আসি।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাদল সাহা/অমিয়/