ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

টাঙ্গাইলে সেরা পাঠকরা পেলেন সনদ ও পুরস্কার

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১০:১৩ এএম
টাঙ্গাইলে সেরা পাঠকরা পেলেন সনদ ও পুরস্কার
পাঠকদের মধ্যে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ । খবরের কাগজ

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয়ভিত্তিক গ্রন্থপাঠ কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সেরা পাঠকদের মধ্যে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে গজারিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আলীম আল রাজী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহজাহান ও পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা মো. কামরুজ্জামান, সদস্য রিপন মিয়া, মো. আল-আমিন প্রমুখ।

পাঠাগারের গ্রন্থাগারিক মো. জাহিদ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পাঠাগারের সদস্য মনসুর হেলাল এবং পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ফাওজিয়াহ হক জিনাত। জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের এই গ্রন্থপাঠ কার্যক্রমে দেশের ৪০টি বেসরকারি গ্রন্থাগার থেকে প্রতিটি থেকে ১০ জন করে মোট ৪০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের স্কুল পর্যায়ের পাঠক ফাওজিয়াহ হক জিনাত সেরা দশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। সে পুরস্কার হিসেবে ১০ হাজার টাকা নগদ অর্থ, ৫ হাজার টাকার সমমূল্যের বই এবং সনদপত্র লাভ করেছে। এ ছাড়াও গ্রন্থাগার থেকে অংশ নেওয়া ৯ জন শিক্ষার্থী সনদপত্র পেয়েছেন।

‘এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি’ স্লোগানকে সামনে রেখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে ২০১০ সালে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণুপাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

শ্যামনগরে শিয়াল মারতে বিদ্যুতের ফাঁদ, প্রাণ গেল গৃহবধূর

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:১১ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:১২ পিএম
শ্যামনগরে শিয়াল মারতে বিদ্যুতের ফাঁদ, প্রাণ গেল গৃহবধূর
প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মুরগির খামারে শিয়ালের উপদ্রব ঠেকাতে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতা হয়। সেই ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন রূপবান বেগম (৪৫) নামের এক গৃহবধূ।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ‘সুন্দরবন প্রজেক্ট’ নামীয় মুরগির খামারের পরিবারের সদস্যরা তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। তিনি শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের জহুর আলী মোল্লার স্ত্রী। 

খবর পেয়ে শ্যামনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এদিকে শিয়াল মারার জন্য তৈরি ফাঁদে আটকে ঐ গৃহবধূর মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে প্রজেক্ট মালিক ও তার কর্মচারীরা পালিয়ে যায়।

জানা যায়, উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের সুন্দরবন প্রজেক্ট নামীয় মুরগির খামারে শিয়ালের উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে চারপাশে বৈদ্যুতিক ফাঁদ দেন খামার মালিকরা। সকালে একই গ্রামের জহুর আলী মোল্লার স্ত্রী রূপবান বেগম ওই খামারের মধ্যে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।

নিহত গৃহবধূর ছেলে আব্দুস সবুর জানান, সকালে তার মা ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিল সুন্দরবন প্রজেক্টের ভেতরে। এর আগে গতকাল প্রজেক্টের ম্যানেজার মাকসুদ প্রজেক্টের মধ্যে বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে নেওয়ার জন্য তার মাকে পরামর্শ দিয়েছিল।

তিনি আরও জানান, দুপুর গড়াতে গেলেও তার মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এক পর্যায়ে প্রতিবেশিসহ আশপাশের বাড়িগুলোতে খোঁজ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ সময় পেরিয়ে গেলেও তার মা ফিরছিল না। এক পর্যায়ে আব্দুর রহমান-সহ গ্রামবাসীরা প্রজেক্টের মধ্যে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া তার আটকে তার মায়ের মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর দেয়।

দুর্ঘটনার সময় প্রজেক্টে উপস্থিত থাকা মাকসুদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সুন্দরবন প্রজেক্টের মালিক নুর ইসলাম জানান, খবর পেয়ে প্রজেক্টে পৌঁছান তিনি। শিয়ালের উপদ্রব বেশি হওয়ায় রাতে প্রজেক্টের চারপাশে জিআই তার দিয়ে তৈরি করা বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রাখা হয়। হয়তো ভুলবশত মাকসুদ সকালে বিদ্যুতের সংযোগ খুলে রাখেনি বলে জানিয়েছেন তিনি। 

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্যা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। 

শাহাজান সিরাজ/মাহফুজ

 

চট্টগ্রামে নালায় পড়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৬:০১ পিএম
চট্টগ্রামে নালায় পড়ে শিশুর মৃত্যু
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের হালিশহরে বল তুলতে গিয়ে নালায় পড়ে হুমায়রা নামে তিন বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

বুধবার (৯ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে হালিশহরের নয়াবাজার আনন্দীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ঘণ্টাখানেক পর শিশুকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

আগ্রাবাদ ফায়ার স্টেশনের লিডার কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শিশু হুমায়রার মা একজন গার্মেন্টসকর্মী এবং বাব এলাকায় ডিশ লাইনে কাজ করেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা মো. মাহমুদুর রহমান শাওন খবরের কাগজকে বলেন, ‘নালায় পড়ে শিশু নিখোঁজের খবর শুনে আশপাশের লোকজন উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। সবাই মিলে নালার স্ল্যাব তুলে খোঁজ শুরু করেন। নিখোঁজের প্রায় এক ঘণ্টা পর স্থানীয় এক যুবক শিশুটিকে উদ্ধার করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের লোকজন নালার ওপর থেকে সব স্ল্যাব তুলে নালাটি পরিষ্কার করে। কাজ শেষে তারা অন্য সব স্ল্যাব ফের বসালেও একটি বসায়নি। ওই ফাঁক দিয়েই একটি শিশুর জীবন প্রদীপ নিভে গেল। এই অবহেলার দায় কে নেবে?’

নালায় শিশুর মরদেহ খুঁজে পাওয়া স্থানীয় যুবক জানান, তিনি নালায় নেমে ডুব দিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেছেন। শিশুটি নালার ভেতরে থাকা বিভিন্ন সেবা সংস্থার পাইপের সঙ্গে আটকে ছিল। নিখোঁজের প্রায় ঘণ্টাখানেক পর শিশুকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় শিশুটির দেহ ফোলে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশু নিখোঁজের পর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে ডুবুরিদল নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। তবে তারা কাজ শুরু করার আগেই স্থানীয়রা বিকেল ৩টা ৫৪ মিনিটে শিশুকে উদ্ধার করে মা ও শিশু হাসপাতালে পাঠায়।

মা ও শিশু হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. শারমিন আলম বলেন, ‘নালায় পড়া একটি শিশুকে হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় তার শ্বাস বা হার্টবিট ছিল না। পরে আমরা ইসিজি করে দেখলাম শিশুটি মারা গেছে। শিশুর অভিভাবক বলেন, তাকে নালা থেকে উদ্ধারের আধঘণ্টা পর তারা হাসপাতালে আনেন।’

চট্টগ্রাম শহরের নালায় পড়ে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। গত ছয় বছরে নগরে খাল-নালায় পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০ সালে ২ জন, ২০২১ সালে ৫ জন, ২০২৩ সালে ৩ জন, ২০২৪ সালে ৩ জন ও চলতি বছর দুইজন।

নিখোঁজ হওয়ার ১৪ ঘণ্টা পর চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে নগরের চাক্তাই খাল থেকে শিশু সেহরিশের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন শহরের কিছু নালার পাশে অস্থায়ীভাবে বাঁশের ঘের দেয়।

সালমান/

জেলা পরিষদের গোপন কক্ষে মিলল প্রায় ৯ লাখ টাকা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
জেলা পরিষদের গোপন কক্ষে মিলল প্রায় ৯ লাখ টাকা
ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের একটি তালাবদ্ধ গোপন কক্ষের ফাইল কেবিনেট থেকে ৮ লাখ ৮২ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে পরিষদের নবনিযুক্ত অস্থায়ী চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা, পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা, সদস্য এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তালাবদ্ধ ওই গোপন কক্ষটি খুলে নগদ টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়।

জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধার হওয়া টাকাগুলো সদ্য দায়িত্ব থেকে অপসারিত হওয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার সময়কালে গোপন কক্ষটিতে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এ ঘটনায় সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরাকে অভিযুক্ত করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘কক্ষটি কেবলমাত্র সাবেক চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা ব্যবহার করতেন। এটি ছিল তার ব্যক্তিগত গোপন কক্ষ। আর ওই কক্ষের চাবি জিরুনা ত্রিপুরা ছাড়া আর কারও কাছে ছিল না। সেখানে প্রবেশ সবার জন্যই নিষিদ্ধ ছিল।’

অস্থায়ী চেয়ারম্যান শেফালিকা ত্রিপুরা বলেন, ‘পরিষদে এত নগদ টাকা থাকার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। কীভাবে এসব টাকা এই গোপন কক্ষে এল তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। উদ্ধার টাকাগুলো প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে।’

এদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া অর্থের উৎস, মালিকানা ও ব্যয়ের বৈধতা যাচাইয়ে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে জিরুনা ত্রিপুরার চেয়ারম্যান পদ থেকে বিরত থাকার আদেশ জারির পর গতকাল মঙ্গলবার পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরাকে অস্থায়ী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এদিকে সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরার বিরুদ্ধে আর্থিক ও প্রশাসনিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

রাজু/সালমান/

দাউদকান্দিতে শাপলা তুলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
দাউদকান্দিতে শাপলা তুলতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বাড়ির পাশে পুকুরে শাপলা তুলতে গিয়ে জান্নাত আক্তার (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের উত্তর হাসানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

জান্নাত আক্তার ওই গ্রামের মো. আমির হোসেনের মেয়ে।

পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সূত্রে জানা গেছে, সকালে স্কুল থেকে বাড়িতে গিয়ে পোশাক বদলে জান্নাত অন্য শিশুদের সঙ্গে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে শাপলা ফুল তোলার জন্য পানিতে নামে। এ সময় জান্নাত সাঁতার না জানায় পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়। অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরে ঘটনাটি সবাইকে জানালে স্থানীয়রা জান্নাতকে উদ্ধার করতে  ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে জান্নাতকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

লিটন সরকার বাদল/মৌসুমী/

চট্টগ্রামে চাঁদা না পেয়ে মব সৃষ্টি করে অধ্যক্ষকে মারধর

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
চট্টগ্রামে চাঁদা না পেয়ে মব সৃষ্টি করে অধ্যক্ষকে মারধর
চাঁদা না পেয়ে মব সৃষ্টি করে অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে আটক দুইজন। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামে চাঁদা না পেয়ে মব সৃষ্টি করে একটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। জেলার চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ধারী রায়হানুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। রায়হান বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ানের অনুসারী বলে জানা গেছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে দুইজনকে আটক করলেও পরবর্তীতে বিষয়টি সমঝোতা হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

ভুক্তভোগী ওই অধ্যক্ষের নাম- মো. আবদুল বাতেন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও এলাকায় ওয়াহিদ ইলেকট্রিশিয়ান্স ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন নামক প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ।

জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও এলাকায় র‌্যাব ৭ অফিসের পাশের বিল্ডিংয়ে ওয়াহিদ ফাউন্ডেশন পলিটেকনিক নামক প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত। অধ্যক্ষের কাছে চাঁদা দাবি ও তাকে মারধর করে প্রতিষ্ঠানটির গেটে তালা দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে চান্দগাঁও থানার টিম পৌঁছালে তাদের সামনেই ওই অধ্যক্ষকে মারধর করে রায়হান ও তার অনুসারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে যান উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আমিরুল ইসলাম । মব সৃষ্টি ও চাঁদা দাবি করায় হাতেনাতে রায়হান ও তার এক সহযোগীকে আটক করা হয়।

পরে রাত সাড়ে বারোটার দিকে থানায় জড়ো হতে থাকে রায়হানের অনুসারীরা। পুলিশের ওপর চাপ প্রয়োগ করে থানা থেকে আসামিদের ছাড়ানোর চেষ্টা করে তারা। রাত দেড়টা পর্যন্ত ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ আব্দুল বাতেন ও আটক দুই আসামি থানায় অবস্থান করছিলেন। নিরাপত্তাহীনতায় থাকা অধ্যক্ষ থানা ত্যাগ করার আগেই থানা ঘিরে ফেলে রায়হানের অনুসারীরা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ আবদুল বাতেন বলেন, ‘এই চক্রটি আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও হুমকি দিয়ে আসছে। আমার প্রতিষ্ঠানের পাশেই র‌্যাব-৭ এর অফিস। আমি গতবছরের ৩০ নভেম্বর এ বিষয়ে র‌্যাবকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো সহযোগিতা পাইনি। সম্প্রতি তারা আমার কাছে আবারও চাঁদা দাবি করে। এই চাঁদার টাকা না পেয়ে তারা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা উভয়পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করি। একপর্যায়ে সবার সঙ্গে আলোচনা শেষে বিষয়টির সমাধান হয়েছে। তাই আমরা আটক দুইজনকে ছেড়ে দিয়েছি।’