ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

ডেঙ্গুর হটস্পট বরগুনা

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১১:৫২ এএম
ডেঙ্গুর হটস্পট বরগুনা
ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি । খবরের কাগজ

চলতি বছর দেশের আট বিভাগের মধ্যে বরিশাল বিভাগে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এদিকে জেলাগুলোর মধ্যে আক্রান্তদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বরগুনায়। বরগুনাকে ইতোমধ্যে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করে সেখানে চিকিৎসক বাড়ানো হয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলায় নেওয়া হচ্ছে সব ধরনের উদ্যোগ। তবে বরগুনায় আক্রান্ত এত বেশি কেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় বরগুনায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর বরগুনায় পাঁচজনের মৃত্যু হলো। বরগুনায় গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হন ৬৭ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৫৫২ জন। এই সময়ে বরগুনা ছাড়া বরিশাল বিভাগের অন্য পাঁচ জেলার মধ্যে পটুয়াখালীতে ৯ জন, পিরোজপুরে সাতজন, ঝালকাঠিতে ছয়জন এবং শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ জন ভর্তি হয়েছেন। পিরোজপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী চলতি বছর এ পর্যন্ত সারা দেশে ৫ হাজার ৪৪১ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৪৮৬ জন। চলতি বছর দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। তাদের সাতজনই বরিশাল বিভাগের।

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাসকিয়া সিদ্দিকী বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে অন্য রোগীদের চিকিৎসা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসা দিতেই হিমশিম খাচ্ছি। চিকিৎসকসংকট প্রকট। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা অসহায়বোধ করছি।’

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ জানান, চলতি বছরের মে মাস থেকে বরগুনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বরগুনাকে ডেঙ্গুর হটস্পট ঘোষণা করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘কী কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ এত বেশি তা বলা যাচ্ছে না। হয়তো ডেঙ্গুর জেনেটিক রূপের পরিবর্তন হতে পারে। আবার ডেঙ্গু ভাইরাসের ভ্যারিয়েশন পাল্টে যেতে পারে। এটা গবেষণার বিষয়। আমরা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (আইইডিসিআর) বিষয়টি অবহিত করেছি। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থা না থাকায় জটিল রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, ‘আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি। যেখানে ডাক্তার কিছু কম ছিল সেখানে ডাক্তার দেওয়া হচ্ছে। ছুটির মধ্যেও ডাক্তার মোবিলাইজ করার চেষ্টা করছি। মন্ত্রণালয়ও করছে। রবিবারের মধ্যে আশা করছি, আমরা সব ডাক্তার পেয়ে যাব। বরগুনায় এ বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এত বেশি কেন, তা এ মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’

বরিশাল বিভাগের স্বাস্থ্য দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকারিভাবে ওষুধ সরবরাহ ঠিক থাকলেও চিকিৎসকসংকট এবং যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। তারা জানান, ডেঙ্গু রোগীদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘প্লাটিলেট সেল সেপারেটর যন্ত্র’ শুধু বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে আছে। জেলা ও উপজেলার অন্য কোনো হাসপাতালে এটি নেই। এ ছাড়া হাসপাতালগুলোতে শয্যা এবং কক্ষসংকটের কারণে ডেঙ্গু রোগীদের আলাদা কোনো ওয়ার্ডে রাখা যাচ্ছে না। তাদের সাধারণ ওয়ার্ডে অন্য রোগীদের সঙ্গে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। ফলে রোগী ও স্বজনদের ঝুঁকিতে থাকতে হচ্ছে।

এদিকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে বরগুনায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন স্থানীয়রা। বরগুনার জেলা পাবলিক পলিসি ফোরামের আহ্বায়ক হাসানুর রহমান বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পৌরশহরে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। শহরের বিভিন্ন জায়গায় এখনো জলাবদ্ধতা রয়েছে। অনেক স্থানে ময়লা-আবর্জনা আছে। দিনরাত সমানভাবে শহরের সর্বত্র- বাড়িঘরে মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার জন্য মশার কয়েল, ধূপ জ্বালিয়ে ধোঁয়া দেওয়ার পরও মশা কমছে না। মশার উপদ্রব কমাতে পৌরসভার পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেই। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়লেও তারা উদাসীন।’ 

বরগুনা পৌরসভার সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শহর পরিচ্ছন্ন নয় এমন অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা সার্বক্ষণিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার অভিযান চালাচ্ছি এবং মশা যাতে বংশবিস্তার করতে না পারে সে জন্য ওষুধ প্রয়োগ করছি। 

খুলনা
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। চলতি বছর এরই মধ্যে ১৬৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন দুজন।

চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৩০৮ জন। মারা গেছেন দুজন। চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘গত মাসের তুলনায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বাড়লেও সেই হার আতঙ্কজনক নয়। কারণ এখন প্রতিদিন দুই-চারজন করে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।

রাজশাহী
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত দুই রোগী ভর্তি হয়েছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে খুবই গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করছি। রোগীর সংখ্যা এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে।’

প্রতিবেদন তৈরিতে আরও সহযোগিতা করেছেন আমাদের খুলনা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী প্রতিনিধি

নড়াইলে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে এএসআই ক্লোজ

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
নড়াইলে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে এএসআই ক্লোজ
অভিযুক্ত এএসআই ইলিয়াস হোসেন

ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলার আসামির থেকে ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে নড়াইলের লোহাগড়া থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইলিয়াস হোসেনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।

সোমবার (৭ জুলাই) রাতে ক্লোজ করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট লোহাগড়ায় ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা, মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগে ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর লোহাগড়া থানায় ২৯৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩০০-৩৫০ জনের নামে একটি মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মূখ্য সংগঠক কাজী ইয়াজুর রহমান বাবু।

ওই মামলার এজাহারনামীয় আসামি লোহাগড়া উপজেলার এড়েন্দা এলাকার জিল্লুর রহমান।

পরে গত ৬ জুলাই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মামলার বাদী বাবু অভিযোগ করেন, 'এএসআই ইলিয়াস হোসেন ও তার দল আসামি জিল্লুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছেন।

ওই পোস্টে ইয়াজুর রহমান লিখেছিলেন, তার করা মামলার আসামি জিল্লুর রহমানকে গত ৫ জুলাই রাতে এড়েন্দা থেকে গ্রেপ্তার করেন লোহাগড়া থানার (এএসআই) ইলিয়াস হোসেন ও তার দল। এ সময় ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যার মধ্যে ৩০ হাজার নগদ পরিশোধ এবং ১০ হাজার টাকা বাকি রাখা হয়।

ইয়াজুর রহমান আরও লিখেন, 'লোহাগড়া থানার ওসি স্যারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, বাকি ১০ হাজার টাকা আমার এক পরিচিত ভাইয়ের কাছে রেখে গেছে আসামি, টাকাটা নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি।

এর পর তার পোস্টে পুলিশকে নিয়ে নানা সমালোচনামূলক মন্তব্য শুরু করেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে (এএসআই) ইলিয়াস হোসেন বলেন, 'একজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে আসামি জিল্লুর রহমানকে গ্রেপ্তার করতে তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে আমরা তাকে না পেয়ে ফিরে চলে এসেছি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়। আমি আল্লাহর কাছে এর বিচার দিয়ে রাখলাম।'

লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শরিফুল ইসলাম বলেন, 'অভিযোগ ওঠায় ওই এএসআইকে সোমবার রাতে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।

শরিফুল ইসলাম/মৌসুমী
 

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৪ খুন, তিন দিনের রিমান্ডে আরসা প্রধান জুনুনী

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৪ খুন, তিন দিনের রিমান্ডে আরসা প্রধান জুনুনী
আরসা প্রধান জুনুনীর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ছবি: খবরের কাগজ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একই সঙ্গে চার খুনের একটি মামলায় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালুভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীর তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আসাফ উদ্দিন আসিফ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আদালত পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম জিলানী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, ২০২০ সালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর ফোর-মার্ডারের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনী। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

এর আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তায় আরসা প্রধানকে নেওয়া হয় আদালত প্রাঙ্গণে। আদালতে আদেশ শেষে তাকে আবারও কক্সবাজার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুবিধাজনক সময়ে কারাগার থেকে রিমান্ডে নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন মো. গোলাম জিলানী।

আদালতের প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই পক্ষের সংর্ঘষে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। মামলাটি বর্তমানে সিআইডির তদন্তে রয়েছে।

চলতি বছরের ১৮ মার্চ রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ শহরের নতুন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে জুনুনীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

মুহিববুল্লাহ/পপি/

মৌলভীবাজারে ৫০ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্যসহ গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম
মৌলভীবাজারে ৫০ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্যসহ গ্রেপ্তার ২
ভারতীয় চোরাই পণ্যসহ গ্রেপ্তার দুই চোরাকারবারি। ছবি: খবরের কাগজ

মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বিশেষ অভিযানে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়েছে। এ সময় দুই চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন সুনামগঞ্জ জেলার গোলাম কিবরিয়া ওরফে সুলতান (২০) ও কক্সবাজার জেলার মো. মনির হোসাইন (৩৮)।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে সরকারবাজার এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি রেফ্রিজারেটর ভ্যানকে থামার সিগনাল দিলে চালক তা অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে সাধুহাটি এলাকায় গাড়িটি জব্দ করা হয়। গাড়িটিতে তল্লাশি করে মোট ১৬ হাজার ১৬৪ পিস ফেসক্রিম এবং ১৯২ পিস ফেসওয়াশ জব্দ করা হয়েছে। প্রসাধনীগুলোর মোট বাজারমূল্য প্রায় ৪৯ লাখ ৭৭ হাজার ৩৩৬ টাকা। এ ছাড়া রেফ্রিজারেটর ভ্যানটিও জব্দ করা হয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি সুদীপ্ত শেখর ভট্টাচার্য জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা চোরাই পণ্যগুলো সিলেট সীমান্ত থেকে সংগ্রহ করে ঢাকায় চালানের চেষ্টা করছিল বলে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে।

পুলক/সালমান/

সিরাজগঞ্জে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৫২ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
সিরাজগঞ্জে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
খবরের কাগজ

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদদের স্বরণে সিরাজগঞ্জে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে জেলার স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন মুক্তির সোপান চত্বরে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, 'জুলাই আন্দোলনে বীর শহিদদের স্মরণে এ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটা সারা বাংলাদেশের ৬৪ জেলাতেই নির্মিত হবে। আগামী ৫ আগস্টে এ স্মৃতিস্তম্ভ শহিদদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে।'

এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, 'জুলাই-আগস্টে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের স্মরণে সারাদেশের মতো সিরাজগঞ্জেও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হচ্ছে। তাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার জন্য এটা স্থাপিত হচ্ছে। আগস্টের পাঁচ তারিখে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার নেতা, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র, জনতা ও পুলিশসহ এ জেলায় ২৯ জন নিহত হন।

শিশির/মৌসুমী/মেহেদী/ 

সন্তান হত্যার হুমকি দিয়ে ভাবিকে ধর্ষণ, কারাগারে দেবর

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
সন্তান হত্যার হুমকি দিয়ে ভাবিকে ধর্ষণ, কারাগারে দেবর
ছবি: খবরের কাগজ

কুষ্টিয়া কুমারখালীতে দেড় বছরের মেয়ে শিশুকে হত্যার হুমকি দিয়ে মাকে ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগীর দেবর নাঈম শেখকে (২০) কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুরে ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কুমারখালী থানায় একটি মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে নাঈমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার নাইম শেখ কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কসবা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চলতি বছরে খোর্শেদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। ভুক্তভোগী ও আসামি সম্পর্কে আপন দেবর-ভাবি।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. সোলাইমান শেখ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীের স্বামী পদ্মানদীতে ট্রলারে কাজ করেন। গত সোমবার (৭ জুলাই) রাতে স্বামী কাজে গেলে দেবর নাইম শেখ ভাবির শোবার ঘরে ঢুকে দেড় বছর বয়সি শিশুকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন। এর পর ভুক্তভোগী তার স্বামীকে বিষয়টি বললে তিনি আপোষ-মীমাংসার কথা বলেন। পরে ভুক্তভোগীের বাবা থানায় মামলা করেন।

ভুক্তভোগীর মামা বলেন, 'ভাগ্নিকে নিয়ে হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য এসেছি। তার দেড় বছরের এক বাচ্চা আছে। নাইম বাচ্চাকে জবাই করে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক খারাপ কাজ করেছে।'

মামলার বাদী বলেন, 'মেয়েকে তার দেবর জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। উপযুক্ত শাস্তির প্রত্যাশায় থানায় মামলা করেছি।'

তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ও অভিযুক্তের বড় ভাই।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ  বলেন, 'ভাবিকে তার সন্তান হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে দেবরের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা। মামলায় আসামিকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়াও ভুক্তভোগীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। 

মিলন/মেহেদী/